Bengali Gossip 24

Knowledge is Power 😎

স্বপ্নের শহর মুম্বাই সম্পর্কে অজানা তথ্য | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

 

স্বপ্নের শহর মুম্বাই সম্পর্কে অজানা তথ্য | Bengali Gossip 24

মুম্বাই সম্পর্কে অজানা তথ্য


মুম্বাই 

আজ আপনাদের বলবো ভারত বর্ষ তথা বিশ্বের বিখ্যাত শহর যাকে ভারতের অর্থনৈতিক, ব্যবসায়ী এবং বিনোদনের রাজধানী বলা হয়। আরব সাগরের পাড়ে অবস্থিত মুম্বাই শহরে ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে আসে। এই শহরে ভারতবর্ষের সবথেকে বেশি সংখ্যক ধনী ব্যক্তিরা বসবাস করেন। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সিনেমা তৈরি করে যে বলিউড তার প্রধান কেন্দ্র এই শহর। জাঁকজমকপূর্ণ এবং সদা ব্যস্ত এই শহর ভারতবর্ষের মহারাষ্ট্র রাজ্যের রাজধানী মুম্বাই। কখনো না থেমে থাকা এই শহর বহু মানুষের জীবনে প্রতিষ্ঠা এনে দিয়েছে। সমাজের সকল স্তরের মানুষের উদ্যম এর ফলে বিখ্যাত হওয়া এই শহরের এক ছদ্মনাম স্বপ্নের নগরী। দ্যা সিটি অফ ড্রিমস। 

হিন্দি ও মারাঠি ভাষার সিনেমা ও টিভি সিরিয়ালের অভিনেতা, অভিনেত্রী ও কলাকুশলীদের জন্য উত্তম স্থান এই শহর। বৃহৎ মানের শিল্প ও তাদের দপ্তরের অবস্থানের কারণে ভারতের অর্থনীতির মধ্যমনি হিসেবে বিরাজমান মুম্বাই। পর্তুগিজ এবং ব্রিটিশ আমল থেকেই শহরের গুরুত্ব ছিল অসীম। যা ধীরে ধীরে উন্নত হয় এক বৃহৎ আকার নিয়েছে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক মুম্বাই শহর সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।

মুম্বাই সম্পর্কে অজানা তথ্য

(Unknown Facts about Mumbai)

শহরের বর্তমান নাম মুম্বাই রাখা হয়েছে মুম্বাদেবি নাম অনুসারে। মুম্বা দেবীর উদ্দেশ্যে নির্মিত মুম্বা দেবী মন্দির মুম্বাই শহরে উপস্থিত। তবে শহরের নাম পূর্বে বোম্বে ছিল। এর গঠন প্রধানত সাতটি দ্বীপ নিয়ে হয়। পর্তুগিজগন সাতটি দ্বীপকে সমন্বিত করে নাম দিয়েছে বোম্বাই। 

শহরে মেগাসিটির আয়তন 603 বর্গ কিলোমিটার এবং মেট্রো সিটির আয়তন 4355 বর্গ কিলোমিটার। 2011 জনগণনা অনুযায়ী শুধুমাত্র মেগাসিটি এলাকায় 1 কোটি 24 লাখ 78 হাজার 447 জন লোক বসবাস করে। যা ভারতের মেগাসিটির মধ্যে সবথেকে বেশি এবং মেট্রো এলাকার জনসংখ্যা 1 কোটি 84 লাখ 14 হাজার 288 জন। মুম্বাই শহরের প্রধান ভাষা মারাঠি ভাষা এবং এই শহরের বাসিন্দাদের মুম্বাইকার নামে ডাকা হয়। 

বলা হয়ে থাকে মুম্বাই শহর নাকি কোন সময় ঘুমায় না। প্রায় সব সময় ব্যস্ত থাকায় এই শহরের গতিকে বজায় রেখেছে মুম্বইয়ের শহরতলির ট্রেন এবং যাত্রীবাহী বাস। যাত্রী পরিবহন সাপেক্ষে বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত রেল ব্যবস্থা  16 এপ্রিল 1853 সালে চালু হয়। সেই দিনই চালু হয়েছিল ভারতের প্রথম যাত্রীবাহী রেল পরিষেবা বরী বন্দর থেকে থেকে থানে পর্যন্ত। এই রেল পরিষেবা এশিয়া মহাদেশের প্রাচীন রেল পরিষেবা রূপে গণ্য হয়। শহরের প্রথম যাত্রীবাহী বাস পরিষেবা চালু হয় 15 জুলাই 1926 সালে।

এশিয়া মহাদেশ তথা বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি। তার 27 তলার বিশাল বাড়িটি বর্তমানে সবথেকে দামি ব্যক্তিগত বাড়ি। মুম্বাই শহরের নানাবিদ ধর্মীয় স্থল সহ তিনটি ইউনেস্কোর দ্বারা নির্বাচিত ঐতিহ্যবাহী স্থান রয়েছে।

স্বপ্নের শহর মুম্বাই সম্পর্কে অজানা তথ্য


ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট রূপে পরিচিত ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাস। এটি ভারতবর্ষের মধ্যে ব্যস্ততম একটি রেল স্টেশন। বর্তমানে এই টার্মিনাল ভারতের মধ্য রেল জোনের হেডকোয়াটার।

ভারতবর্ষের অর্থনৈতিক কেন্দ্র মুম্বাইয়ের ধনী ব্যক্তিদের তালিকার কাহিনী কয়েক বছরের নয়। তা শুরু হয়েছিল ইংরেজ আমল থেকেই। মহান ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট জামসেদজী টাটা এবং বর্তমানেও বহু নামি ব্যবসায়ী ও ব্যক্তিত্বের বসবাস মুম্বাই শহরে রয়েছে। ব্যবসায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বহু বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রতিষ্ঠান এই শহরে রয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটির নাম আইআইটি বোম্বে, টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ ইত্যাদি। 

ভারতের ক্রীড়া জগতের মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় একটি ক্রিকেট খেলা। এই খেলার সকল স্তরের পরিচালনায় থাকা বিসিসিআই এর সদর দপ্তর মুম্বাই শহরে রয়েছে। ভারতের এক প্রাচীন এবং বৃহৎ ক্রিকেট স্টেডিয়াম ব্রাবোন ক্রিকেট স্টেডিয়াম মুম্বাই শহরে রয়েছে। দেশের বহু পরিচিত প্রাক্তন এবং বর্তমান খেলোয়াড় এই শহরে বসবাস করেন। 

গেট ওয়ে অফ ইন্ডিয়া, মারিন ড্রাইভ, সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির, নারিমান পয়েন্ট, জুহু বিচ, মুম্বাই ফ্লিম সিটি এবং আরো অনেক জনপ্রিয় স্থানের নাম তালিকায় যুক্ত করলেও মুম্বাইতে ঘোরার জায়গা শেষ হয়না। 

স্বপ্নের শহর মুম্বাই সম্পর্কে অজানা তথ্য  জেনে নিন

মুম্বাইয়ের বিখ্যাত ডাব্বাওয়ালা সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। রেস্টুডেন্ট বা বাড়ি থেকে ঠিক সময় মত অফিসের কর্মীদের হাতে গরম খাবার টা পৌঁছে দেবার কৃতিত্ব তাদেরই আছে। মুম্বাইয়ের ডাব্বাওয়ালার ব্যবস্থা 1890 সাল থেকে চালু হয় যা আজও চলে আসছে। 

মুম্বাই শহর একটি অদ্ভুত এবং চমকপ্রদ শহর। এই শহরে যেমন গগনচুম্বী ইমারত দেখতে পাবেন তেমনি দেখতে পাবেন সারি সারি বস্তি। সমগ্র এশিয়া মহাদেশের অন্যতম বৃহৎ বস্তি ধারাবি এই মুম্বাই শহরে রয়েছে। প্রায় 2.16 বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থাকা এই বস্তিতে আনুমানিক 10 লক্ষ মানুষের বসবাস রয়েছে।

সমগ্র এশিয়া মহাদেশের অন্যতম বৃহৎ বস্তি ধারাবি এই মুম্বাই শহরে রয়েছে

তো এই ছিল স্বপ্নের শহর মুম্বাই সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ফোর্বস বিলিয়নিয়ার লিস্ট তৈরি করে কিভাবে? | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

ফোর্বসের ধনী তালিকায় ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সদস্য এবং মধ্য প্রাচ্যের যুব রাজদের নাম থাকে না কেন ?

ফোর্বস বিলিয়নিয়ার লিস্ট তৈরি করে কিভাবে? | Bengali Gossip 24


পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের কথা বলতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই জেফ বেজোস,  বিল গেটস, মার্ক জুকারবার্গ এই নামগুলো প্রথমে আমাদের মাথায় আসে। ফোর্বস, বিজনেস ইনসাইডার বা ব্লুমবার্গ এইসব বিজনেস ম্যাগাজিন অনুসারে এই তালিকায় ঘুরেফিরে জেফ বেজোস, বিল গেটস, ওয়ারেন বাফেট এই নাম গুলোই আসে।

কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন এই তালিকা গুলোতে কোন শেখ বা সৌদি যুবরাজ কিংবা ব্রিটিশ রাজপরিবারের কোনো সদস্যদের দেখা যায় না কেন?

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ যেমন কুয়েত, সৌদি আরব, কাতার এই দেশগুলো বিভিন্ন ধন সম্পদে পরিপূর্ণ। এই দেশগুলোর অধিকাংশ শেখ বা যুবরাজ রা বিল গেটস, মার্ক জুকারবার্গ এর চেয়েও বেশি জাঁকজমকপূর্ণ জীবনযাপন করে থাকে। তা সত্ত্বেও কী কারণে তারা এই তালিকায় স্থান পায় না? 

ফোর্বস, বিজনেস ইনসাইডার, ব্লুমবার্গ এরকম আরো অনেক ম্যাগাজিন এই তালিকা গুলো তৈরি করে থাকে। সেগুলির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন হলো ফোর্বস। এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক ফোর্বস এই তালিকা তৈরি করতে পুরো বিশ্ব থেকে তথ্য সংগ্রহ করে কিভাবে?

অধিকাংশ ব্যবসায়ী ফোর্বস কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রদান করে সহযোগিতা করে থাকেন। কিন্তু যারা কোনো ধরনের সহযোগিতা করতে চান না তাদের জন্য ফোর্বসের রয়েছে 50 জন প্রতিবেদক এর সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম। তারা প্রথমে একটি সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করেন। তারপর তাদের পরিবারের বিভিন্ন সদস্য, বন্ধুবান্ধব বা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে থাকেন। প্রতিবেদকরা সবসময় সম্ভাব্য তালিকার সদস্যদের নজরে রাখেন। ব্যবসায়ীদের কোন ব্যবসায় চুক্তি, সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় কোনো কিছুই তাদের নজর এড়ায় না। তবে ফোর্বসে প্রকাশিত সব তথ্যই যে সঠিক তা কিন্তু নয়। বিগত বছরগুলোতে ফোর্বসের বিভিন্ন তালিকায় কিছু ত্রুটি লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু তার পরেও ফোর্বস এখনো পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য বিজনেস ম্যাগাজিন। 

এখন প্রশ্ন হলো কি কারনে ফোর্বস মধ্যপ্রাচ্যের শেখদের বা সৌদি যুবরাজ দের কিংবা ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সদস্যদের এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করে না?

প্রথমত ফোর্বস তাদের কেই এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে যারা পারিবারিকভাবে প্রাপ্ত সম্পত্তি নয় বরং নিজের প্রচেষ্টায় অন্তত 1 বিলিয়ন ডলার অর্জন করেছেন। এমন অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা নিজের প্রচেষ্টায় ধনী হননি। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির ধনী পরিবার থেকে এসেছেন বলেই বর্তমানে তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা ধনী ব্যক্তি। তাহলে কিভাবে এই হিসাব নিকাশ করা হয় চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ধরুন এক ব্যক্তির কাছে দুই বিলিয়ন ডলার ছিল এবং তিনি ফোর্বসের লিস্টে ছিলেন। বৃদ্ধ বয়সে তিনি তার এই সম্পত্তি দুই সন্তানের মধ্যে এক বিলিয়ন করে ভাগ করে দিলেন। এখন ওরা যে এক বিলিয়ন ডলার করে পেলেন তারা কিন্তু ফোর্বসের তালিকায় আসবেন না। কিন্তু তাদের মধ্যে যদি কেউ এক বিলিয়ন থেকে বৃদ্ধি করে দশ বিলিয়ন এ পরিণত করতে পারেন তাহলে তিনি তালিকায় আসবেন।

প্রথমত, এজন্যই অধিকাংশ মধ্যপ্রাচ্যের শেখ এবং সৌদি যুবরাজ রা ফোর্বসের তালিকায় আসেন না। কারণ তাদের অধিকাংশ সম্পত্তি পারিবারিকভাবে পাওয়া। দ্বিতীয়ত, শেখ বা ঐ সকল দেশের শাসকদের সত্যিকারের নেট সম্পত্তির পরিমাণ নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব। কারণ তারা নিজেরাও জানেন না তাদের কোথায় কোথায় সম্পত্তি রয়েছে। 2018 সালে একজন মধ্যপ্রাচ্যের শাসক 18 বিলিয়ন সম্পত্তি নিয়ে ফোর্বসের তালিকায় স্থান পান। কিন্তু তালিকা প্রকাশ করার পর তিনি জানান যে এই তথ্য সম্পূর্ন ভুল এবং তার সম্পত্তির পরিমাণ অন্ততপক্ষে এর চেয়ে 10 গুণ বেশি। আর তখন থেকেই ফোর্বস সিদ্ধান্ত নেয় যে মধ্যপ্রাচ্যের কোন শাসকের পরিবারের কেউ এই ফোর্বসের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।

এরপর যদি ব্রিটিশ রাজপরিবার গুলোর কথা বলা হয়, সেখানে রানী এবং তার পরিবার যে সম্পত্তি উপভোগ করেন সেগুলো কিন্তু কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। সেগুলো সব ক্রাউনস প্রোপার্টি। অর্থাৎ যার মাথায় মুকুট থাকবে বা যিনি রানী হবেন তিনি এবং তার পরিবার সেগুলো উপভোগ করতে পারবেন। এজন্যই মূলত ব্রিটিশ রাজ পরিবার গুলোকে ফোর্বসের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় না।

তো এই ছিল ফোর্বস সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

হোয়াইট হাউস সম্পর্কে বিস্তারিত অজানা তথ্য | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

হোয়াইট হাউসের ইতিহাস 

হোয়াইট হাউস সম্পর্কে বিস্তারিত অজানা তথ্য | Bengali Gossip 24


হোয়াইট হাউস!

বাইরে থেকে এই ভবনের চিত্রটা হয়তো আমাদের সবার কাছেই মোটামুটি পরিচিত। কিন্তু সুবিশাল সাদা এই ভবনের ভিতরটা কেমন? মার্কিন প্রেসিডেন্ট রা কোথায় কাজ করেন? কোথায় গোপন বৈঠক করেন? কোথায় সিনেমা দেখেন? এসব হয়তো অনেকটাই আমাদের কাছে অজানা। তাহলে চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক এই হোয়াইট হাউস সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য। 

1791 সালের হোয়াইট হাউসের জন্য জায়গাটি পছন্দ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন। আর বর্তমানে 55 হাজার বর্গফুটের এই ভবনটি মূলত দাঁড়িয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি শহরের 1600 পেনসিলভানিয়া এভিনিউতে। হোয়াইট হাউসে রয়েছে 132 টি কক্ষ, 35 টি শৌচাগার ও 3 টি রান্নাঘর। এছাড়াও রয়েছে থিয়েটার হল, সুইমিংপুল, টেনিস কোর্ট, গলফ কোর্ট এবং জগিং ট্রাক। অন্যদিকে হোয়াইট হাউসের মোট দরজার সংখ্যা 412 টি এবং জানালা 147 টি। হোয়াইট হাউসে ওঠানামা করার জন্য রয়েছে 8 টি সিঁড়ি এবং 3 টি লিফট।

বাসভবন বলা হলেও হোয়াইট হাউস মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। হোয়াইট হাউসে রয়েছে ইস্ট উইং, ওয়েস্ট উইং এবং এক্সিকিউটিভ রেসিডেন্ট বা থাকার জায়গা মূলত এই তিনটি আলাদা ভাগে বিভক্ত পুরো এই ভবনটি। তো চলুন একটু বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক হোয়াইট হাউস সম্পর্কে।

প্রথমে ওয়েস্ট উইং দিয়েই শুরু করা যাক। কারণ এখান থেকেই মূলত পরিচালিত হয় মার্কিন প্রেসিডেন্টের সব দাপ্তরিক কার্যাবলী। চারতলা এই ভবনে রয়েছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর। তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রেসিডেন্ট রুম, ওভাল অফিস এবং কেবিনেট রুম।  আগে প্রেসিডেন্ট  রুমেই সেক্রেটারি দপ্তর এবং প্রেসিডেন্টের দপ্তর ছিল। বর্তমানে এই রুমটি খাবার ঘর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আর ওভাল অফিসটি বর্তমানে প্রেসিডেন্ট এর প্রধান দপ্তর। ডিম্বাকৃতির এই কক্ষের জানালা গুলো  বুলেটপ্রুফ কাঁচ দিয়ে তৈরি। কক্ষটির আসবাব এবং অন্দরসজ্জা প্রেসিডেন্টের পছন্দ অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। ওভাল অফিসের বাইরে ডানদিকে রয়েছে হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেন। এটি বিশেষ অনুষ্ঠান এবং বিশেষ অতিথিদের জন্য ব্যবহার করা হয়।

গ্রাউন্ড ফ্লোরে আছে সিচুয়েশন রুম। পাঁচ হাজার বর্গফুটের এই ঘরে প্রেসিডেন্ট আসেন কোনো সমস্যার মুখোমুখি হলে। এখানে তিনি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। সিচুয়েশন রুম চালান ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের কর্মীরা। 

এ ছাড়াও এ ভবনে হয়েছে হোয়াইট হাউসের প্রেস রুম। মূলত এখান থেকেই সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। 

এবার একটু জেনে নেওয়া যাক এক্সিকিউটিভ রেসিডেন্ট নিয়ে। হোয়াইট হাউজ চত্বরের কেন্দ্রীয় ভবন হলো এক্সিকিউটিভ রেসিডেন্ট। এটি মূলত ওয়েস্ট উইং এবং ইস উইং এর মাঝখানে অবস্থিত। এই ভবনের রয়েছে সবুজ, নীল এবং লাল রঙের কক্ষ। এসব কক্ষের জালানার পদ্মা মেঝের কার্পেট সহ গৃহসজ্জার সামগ্রিক রং সবকিছুই নির্ধারিত হয়ে থাকে কক্ষের নাম অনুসারে। একই ভবনের তৃতীয় তলায় আছে প্রেসিডেন্সিয়াল বেডরুম সুইট। এখানে আছে প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্ট লেডির ব্যক্তিগত শোবার ঘর, আরেকটি শোবার ঘর এবং সাজসজ্জার ঘর। 

অপরদিকে এক্সিকিউটিভ রেসিডেন্স এর পূর্ব দিকে দ্বিতল ভবনটি হল ইস্ট উইং। আর এই ভবনের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে ফার্স্টলেডির দপ্তর। এছাড়াও এ ভবনে আছে একটি পারিবারিক থিয়েটার হল। যেখানে প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারের সদস্যরা দিনের যেকোনো সময় নিজেদের পছন্দের সিনেমা উপভোগ করতে পারেন। 

প্রেসিডেন্টের বাসভবন বলা হলেও হোয়াইট হাউস কে ঘিরে নেই তেমন কোন গোপনীয়তায় বরং এর একটি অংশ রয়েছে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। প্রতিদিন যেখানে বেড়াতে আসেন কয়েক হাজার দর্শনার্থী। তবে এত মানুষের আসা-যাওয়া থাকলেও নিরাপত্তার বেলায় কোন আপোষ নেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবনে। 24 ঘন্টা কড়া নজরদারি করেন অসংখ্য গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্নাইপার। 1800 সালে প্রতিষ্ঠার পর যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস থেকে শুরু করে সদ্য নির্বাচিত হওয়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সবাই পাস করেছে এই হোয়াইট হাউসে।

তো এই ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউস সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।


কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আইপিএলের দলগুলোর মালিক কারা? | আইপিএলে প্রীতি জিন্টার শেয়ার কতটুকু? | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

আইপিএলের দলগুলোর মালিকদের সম্পর্কে আজনা তথ্য 

আইপিএলের দলগুলোর মালিক কারা?  আইপিএলে প্রীতি জিন্টার শেয়ার কতটুকু? | Bengali Gossip 24


পৃথিবীর জনপ্রিয় লীগ গুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। এক দিকে চোখ ধাঁধানো চাকচিক্য এবং অন্য দিকে টাকার ঝনঝনানি। পৃথিবীর সেরা খেলোয়ার দের মিলন মেলা বিবেচিত এই টুর্নামেন্টের ফ্রাঞ্চাইজি গুলো সঙ্গে করে নিয়ে আসে টাকার বস্তা। টাকা নিয়ে রীতিমতো ছিনিমিনি করা শত কোটি টাকার টিম গুলোর মালিক কে? তাদের কাজ কি? তা নিয়ে আজকে আমি আপনাদের জানাবো। 

প্রথমেই শুরু করা যাক দক্ষিণ ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি চেন্নাই সুপার কিংসকে নিয়ে। এখনো পর্যন্ত আইপিএলের অন্যতম সফল টিম এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টি। চেন্নাইয়ের ওনারশিপ হয়েছে মূলত চেন্নাই সুপার কিংস ক্রিকেট লিমিটেডের কাছে। 2014 পর্যন্ত ইন্ডিয়া সিমেন্ট এই ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক ছিল পরে তা চেন্নাই সুপার কিংস ক্রিকেট লিমিটেড কিনে নেয়। 

এরপর আসা যাক রয়েল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরু সম্পর্কে। রয়েল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরু প্রতি আসরে ই নজরকাড়া প্লেয়ারদের নিয়ে যায় দল সাজাই। ফ্রাঞ্চাইজি টির মালিকানায় রয়েছে ইউনাইটেড স্পিরিট নামক একটি প্রতিষ্ঠান। ইউনাইটেড স্পিরিট একটি ভারতীয় অ্যালকোহল কোম্পানি। আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম এই স্পিরিট কোম্পানি টির প্রোডাক্ট পৃথিবীর 37 টি দেশে রপ্তানি হয়।

এরপর জেনে নেওয়া যাক বাঙালি টিম কলকাতা নাইট রাইডার্স এর সম্পর্কে। বাঙালি টিম হলেও বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ছাড়া এই ফ্রাঞ্চাইজি তে কোন বাঙালী প্লেয়ার নেই। কলকাতা নাইট রাইডার্স এর মালিকানায় রয়েছে বলিউড কিং খানের প্রতিষ্ঠান রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্ট এবং মেহেতা গ্রুপ। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের শেয়ার হিসাব করলে শাহরুখ খানের কাছে টিমটির 55 শতাংশ শেয়ার রয়েছে এবং যেখানে মেহতা গ্রুপের কাছে রয়েছে 45 শতাংশ শেয়ার  2008 সালে শাহরুখ খান এবং জুহি চাওলা মিলে কলকাতা নাইট রাইডার্স কে 75 মিলিয়ন ডলার দিয়ে কিনে নিয়েছিল।

সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ 2013 সালে ডেকান চার্জার থেকে নাম পরিবর্তন করে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ নাম ধারণ করে। 2013 সাল থেকেই সান টিভি নেটওয়ার্ক এর কাছে এই ফ্রাঞ্চাজি টির মালিকানা রয়েছে।

এরপর চলুন জেনে নেওয়া যাক কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব এর সম্পর্কে। এই আসরে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে পাঞ্জাব কিংস। সবাই পাঞ্জাবের মূল মালিক প্রীতি জিনতাকে মনে করলেও দল টির সর্বাধিক 46 শতাংশ শেয়ারের মালিক মোহিত বর্মন। যিনি বিখ্যাত ভারতীয় কোম্পানি ডাবর ইন্ডিয়ার মালিকও বটে। দল টির 23 শতাংশ করে শেয়ার রয়েছে বিখ্যাত বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা এবং ওয়াদিয়া পরিবারের ছেলে নেস ওয়াদিয়ার কাছে। দল টির বাকি শেয়ার বিজনেসম্যান করন পালের কাছে রয়েছে। 

এই লীগের অন্যতম একটি দল হল রাজস্থান রয়েলস। যারা প্রথম আসরেই কাপ জয় করে ছিল। রাজস্থান রয়েলস এর মালিকানা বেশ কয়েকজনের কাছে রয়েছে। এই টিমে সবচেয়ে বেশি শেয়ার রয়েছে ট্রেসকো ইন্টারন্যাশনাল একটি আর্কিটেক্ট কোম্পানির কাছে। তাদের কাছে মোট শেয়ার রয়েছে 44.2 শতাংশ। এরপর দলটির সর্বাধিক শেয়ার 32.4 শতাংশ রয়েছে মনোজ বাদালের কাছে। তিনি একটি ফাইন্যান্সিং কোম্পানির কো ফাউন্ডার। রাজস্থান রয়্যালসের মালিকানার এক অবাক করা তথ্য হলো যে কিংবদন্তির লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্নও দলটির মালিকদের মধ্যে একজন। এই দলটি তে শেয়ারের পরিমাণ 3 শতাংশ।

এরপর জেনে নেওয়া যাক ভারতের বর্তমান রাজধানী দিল্লি ভিত্তিক ফ্র্যাঞ্চাইজি দিল্লি ক্যাপিটালস কে নিয়ে। দিল্লি ক্যাপিটালস নামক ফ্র্যাঞ্চাইজির ওনারশিপ রয়েছে মূলত দুটি কোম্পানির কাছে। একটি হলো জিএমআর গ্রুপ অন্যটি জে এস ডাব্লু গ্রুপ। 1978 সালে প্রতিষ্ঠিত জিএমআর গ্রুপ মূলত একটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার কোম্পানি। এই কোম্পানির ওনার জিএম রাও। যিনি মূলত দিল্লির শেয়ারহোল্ডার। দিল্লির আরেক শেয়ারহোল্ডার জে এস ডব্লিউ গ্রুপ মূলত মুম্বাই ভিত্তিক একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি। যারা স্টিল, এনার্জি সহ নানা ফিল্ডে কাজ করে থাকে। দিল্লি ক্যাপিটালস এর শেয়ার এই দুটি কোম্পানির মাঝে সমান ভাগে ভাগ করা আছে।

সবশেষে জেনে নেওয়া যাক আইপিএলের সবচেয়ে সফল দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স সম্পর্কে। ভারতবর্ষের সবচেয়ে ধনী পরিবার আম্বানি পরিবারের অর্থাৎ রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এর কাছেই শুরু থেকে ফ্রাঞ্চাইজি টি রয়েছে। দল টিকে সাধারণত পরিচালনা করে মুকেশ আম্বানির ছেলে আকাশ আম্বানি এবং মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নিতা আম্বানি। 

তো এই ছিল আইপিএলের দলগুলোর মালিকদের সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।



কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ব্রিটেনের রানীর কি কি ক্ষমতা রয়েছে? | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

ব্রিটেনের রানীর অদ্ভুত সব ক্ষমতা যা অন্যান্য রাষ্ট্র প্রধানের থাকে না।।

ব্রিটেনের রানীর অদ্ভুত সব ক্ষমতা | Bengali Gossip 24


বৃটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের নাম আমরা প্রায় সবাই শুনেছি। উনার রয়েছে অদ্ভুত বেশকিছু ক্ষমতা। এইসব ক্ষমতা পৃথিবীর আর কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের নেই। রানীর এই সব ক্ষমতার মধ্যে অনেকগুলো ই বিস্মিত করবে মানুষকে। তবে রানীর এই ক্ষমতা গুলো রয়েছে এবং তিনি চাইলেই তৎক্ষণাৎ এগুলো প্রয়োগ করতে পারেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক রানীর বিস্ময়কর সব ক্ষমতা।


ব্রিটেনের রানী চাইলেই যেকোনো আইন যখন ইচ্ছে তিনি অমান্য করতে পারেন। কিন্তু উনি এটা কখনোই করেন না। কারণ উনি খুবই বিনয়ী। 


ব্রিটেনের রানীর প্রয়োজন হয় না কোন পাসপোর্টের। বৃটেনের রাজপরিবারের সবার ই পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হয়। একমাত্র রানী ব্যথিত। পাসপোর্ট ছাড়াই রানী ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিশ্বের এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে। তিনি এই পর্যন্ত 94 বার বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন। তার যতই বয়স বাড়ছে তার ঘুরে বেড়ানো বাড়ছে সমান তালে।


রানী কোন লাইসেন্স ছাড়াই গাড়ি চালাতে পারেন। বৃটেনের জনসাধারণের ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করতে হয় রানীর নামেই। পুরো ব্রিটেনে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যার গাড়ি চালাতে কোন লাইসেন্স বা নাম্বার প্লেট এর প্রয়োজন হয় না। তবে লাইসেন্স না থাকলেও তিনি কিন্তু বেশ ভালই গাড়ি চালাতে পারেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি একটি ফাস্ট ট্রাক চালিয়ে ছিলেন। আর সেটি হচ্ছে উইমেন্স অক্সিলিয়ারী টেরিটোরিয়াল সার্ভিসের জন্য। আর এই উইমেন্স অক্সিলিয়ারী টেরিটোরিয়াল সার্ভিস হলো ইংল্যান্ডে নারীদের জন্য একটি পৃথক সেনাবাহিনী। এই সেনাবাহিনীর অংশ হিসেবে রানী এলিজাবেথ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। 


ব্রিটেনের রানীর কাছে রয়েছে যুদ্ধ বাধিয়ে দেওয়ার বিশেষ ক্ষমতা। রানী যেকোনো সময় পৃথিবীর যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বাধিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখেন।এমনকি  যুক্তরাজ্যের সংসদ কোন দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে চাইলে তার আগে রানীর অনুমতি নিতে হবে। 


টেমস নদীর সবগুলো রাজহাঁস রানীর মালিকানাধীন। রয়াল ফ্যামিলির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের সূত্রে জানা যায় ব্রিটেনের জলাশয়ের সবগুলো রাজহাঁস প্রকৃতপক্ষে রানীর মালিকানাধীন। তবে রানীর এই ক্ষমতা শুধু টেমস এবং তার শাখা নদী গুলোর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। প্রতিবছর ব্রিটেনের রাজহাঁসদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করা হয়, সেখানে টেমস নদীর সব রাজহাঁস কে ধরে তাদের রাজকীয় রাজহাঁস হিসেবে চিহ্নিত করে আবারও ছেড়ে দেয়া হয়। 


রানী এলিজাবেথ কর বা রাজস্ব দিতে বাধ্য নন। বৃটেনের কোন আইনে রানীর কর দেওয়া নিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু 1992 সাল থেকে রানী স্বেচ্ছায় আয়কর এবং মূলধনী কর দিয়ে আসছেন। রানীর অনুমতি এবং স্বাক্ষর ছাড়া বৃটেনের কোন আইন পাশ করা হয় না। 


ব্রিটেনের রানীর রয়েছে অদ্ভুত এক ক্ষমতা। তিনি চাইলেই অন্যের সন্তানকে কেড়ে নিতে পারেন। ব্রিটেনের আইন মতে উনি দেশের সমস্ত বাচ্চার আনুষ্ঠানিক অভিভাবক। তাই তিনি চাইলেই কারো বাচ্চাকাচ্চা কেড়ে নিতে পারেন। কিন্তু চিন্তার কোনো কারণ নেই, উনি এমনটা কখনোই করেন না।


কোন আদালত রানীকে অভিযুক্ত করতে পারেনা। কোন আদালত চাইলেই কোন মামলায় অভিযুক্ত করতে পারবে না। উনার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা যাবে না। এমনকি উনি নিজেও কোন মামলার সাক্ষী হতে পারবেন না। পৃথিবীর কোনো আদালত ইংল্যান্ডের রানী এলিজাবেথের বিচার করার ক্ষমতা রাখে না। 


অন্যের সম্পদ হরণ করার বিধান রয়েছে রানীর কাছে। রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থায় রানী প্রয়োজনে যে কারো সম্পত্তিতে অনুপ্রবেশ, দখল কিংবা চাইলে ধ্বংসও করতে পারেন। তবে দেশের সবাই উনাকে ভরসা এবং সম্মান করেন। 


রানীর নিজস্ব একটি এটিএম মেশিন আছে। রাজ পরিবারের কেউই এই মেশিন ব্যবহার করতে চাইলে রানীর অবশ্যই অনুমতির দরকার আছে। 


অস্ট্রেলিয়ার সরকার কে বহিষ্কার করার ক্ষমতা রয়েছে ব্রিটেনের রানীর কাছে। অস্ট্রেলিয়ার আনুষ্ঠানিক সরকারপ্রধান রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ নিজেই। এই পদের কারণে অস্ট্রেলিয়ার সরকারের উপর রানীর বেশকিছু ক্ষমতা রয়েছে। যেমন 1975 সালে অস্ট্রেলিয়ায় রানীর প্রতিনিধি গভর্নর জেনারেল তৎকালীন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী কে বহিষ্কার করেছিলেন। যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও রানী আরো 14 টি রাষ্ট্রের প্রধান।


তো এই ছিল ব্রিটেনের রানীর কিছু অদ্ভুত সব ক্ষমতা যা অন্যান্য রাষ্ট্র প্রধানের থাকে না।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গুজরাট সম্পর্কে বিস্তারিত অজানা তথ্য | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

ভারতের গুজরাট রাজ্য উন্নত কেন? গুজরাটি রা ব্যবসায় সফল হয় কেন?



গুজরাট সম্পর্কে বিস্তারিত অজানা তথ্য | Bengali Gossip 24


অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ভারতবর্ষের পঞ্চম উন্নত রাজ্য গুজরাত। ভারতের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত এই রাজ্য ও নানাবিধ শিল্প ও উৎপাদন জাত দ্রব্যের বিপুলসংখ্যক কারখানার জন্য দেশ-বিদেশের বিখ্যাত।


2018 সালের গুজরাটের নর্মদা নদীর উপর নির্মিত স্ট্যাচু অফ ইউনিটি বিশ্বের সবথেকে উঁচু মূর্তির তকমা পেয়েছে। জনপ্রিয় পর্যটক স্থল হিসেবে পরিচিত মূর্তি স্থলটি স্বাধীন ভারতবর্ষের প্রথম ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ও প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী বল্লভ ভাই প্যাটেল এর উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছে। 


গুজরাট প্রাচীন কাল থেকেই ইতিহাসের পাতায় পরিচিত একটি নাম। যেখানে সম্ভবত বিশ্বের প্রথম সমুদ্র বন্দর লোথাল ও প্রাচীন উন্নত মানব সভ্যতা সিন্ধু সভ্যতার কয়েকটি অংশে বিদ্যমান রয়েছে। সংস্কৃত শব্দ গর্জরা থেকে আগত শব্দ গুজরাট সমগ্র ভারত বর্ষ তথা বিশ্বে পরিচিত।


তাই এখানকার দারুন দারুন তথ্য গুলি শুনলে নিশ্চই অবাক হয়ে যেতে হয়।

(Unknown Things about Gujrat)


পশ্চিম ভারতে অবস্থিত গুজরাট রাজ্যের আয়তন 1 লক্ষ 96 হাজার 24 বর্গকিলোমিটার। 2011 অনুযায়ী রাজ্যের মোট জনসংখ্যা 6 কোটি 4 লক্ষ্য 39 হাজার 692 জন। জনসংখ্যা অনুযায়ী রাজ্যটি ভারতবর্ষে নবম স্থানে রয়েছে। সবরমতী নদী হলো গুজরাটের দীর্ঘতম নদী। এই রাজ্যের 1600 কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূল ভারতের সব থেকে দীর্ঘ উপকূলবর্তী এলাকা। প্রকৃতির অসাধারণ সৃষ্টি কচ্ছের রণ। 


দারুন দেখতে এই ভূমি ভারতবর্ষ এবং পাকিস্তানের সীমানাবর্তী এলাকায় অবস্থিত রয়েছে। কচ্ছের রণের অধিকাংশ অঞ্চল ভারতের গুজরাট রাজ্যের অন্তর্গত। গুজরাটি ভাষা হলো গুজরাটের আধিকারিক ভাষা। 


কচ্ছের রণ অঞ্চলে প্রচলিত ভাষা কর্চি এবং সিন্ধি। ভারতবর্ষে গুজরাটি মানুষজন তাদের ব্যবসার পদ্ধতি ও উন্নতির কারণে সুপ্রসিদ্ধ। প্রাচীন গুজরাটের ব্যবসায়ীদের সাথে আরবীয় ব্যবসায়ীরা বহুকাল ব্যবসার মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন। সেই প্রচলিত ব্যবসার প্রধান মাধ্যম ছিল জলবন্দর। প্রাচীনকালের খাম্বাট বন্দর এবং সুরাট বন্দর এর প্রায় সমাপ্তির পরও ভারতের নিজস্ব সবচেয়ে বড় বন্দর কচ্ছ উপসাগর নির্মিত হয়েছে। গুজরাটের মন্দিরা বন্দর বর্তমানে বাৎসরিক 139 মিলিয়ন কার্গো পরিচালনা করে। এছাড়াও বিশ্বের সবচেয়ে বড় করার তেল শোধনাগার গুজরাটের জামনগর রয়েছে। বিশ্বের সবথেকে বড় জাহাজ ভাঙ্গার আংগন গুজরাটের আলাং শহরে অবস্থিত। রাজ্যের দক্ষিণ পশ্চিম উপকূলে দাহেজ বন্দরের নির্মিত হয়েছে ভারতের একমাত্র লিকুইড ক্যামিকেল পোর্ট টার্মিনাল। 


ভারতের লবণের চাহিদা 78 শতাংশের পূর্তি গুজরাট করে থাকে। গুজরাট ভারতের মোট সোডা অ্যাশের 98 শতাংশ সরবরাহ করে। তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের উত্তোলনসহ বহু ছোট-বড় দেশি-বিদেশি কারখানা গুজরাটে উপস্থিত। পুরো বিশ্বে সব থেকে সস্তা চার চাকার গাড়ি হলো টাটা ন্যানো। এর কারখানা গুজরাটের রয়েছে। গুজরাটের জামনগর পিতল উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। এই রাজ্যের সুরাট শহর বিশ্বজুড়ে হীরা ব্যবসা ও পালিশ এর জন্য প্রসিদ্ধ। কয়েক লক্ষ মানুষ সুরাটে হীরা ব্যবসার সাথে নিযুক্ত রয়েছেন। সুরাট শহর ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে সাথে সবথেকে পরিষ্কার শহর গুলির মধ্যে একটি। তাই স্বভাবতই গুজরাটের বেশিরভাগ বাসিন্দারা আর্থিক দিক দিয়ে সচ্ছল। তবে গুজরাটি শুধু দেশেই নয় বিদেশেও তাদের ব্যবসা বাণিজ্যের সফলতার পরিচয় দিয়েছে। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক হাজার হোটেল এবং মোটেলের মালিকানা গুজরাটিদের হাতে। এই ব্যবসায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেক অংশীদার গুজরাটি। আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে উত্তর আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের মধ্যে গুজরাটি দের অংশ বেশি রয়েছে। 


এই রাজ্যের প্রায় 85 শতাংশ গ্রামের রাস্তা প্রায় সব রকমের আবহাওয়ার জন্য নির্মিত হয়েছে। গুজরাটের প্রায় সমস্ত গ্রামে ই বৈদ্যুতিক সংযোগ রয়েছে। 


গুজরাটের আগের রাজধানী ছিল আমেদাবাদ। এই শহরের নাম দেন সুলতান আহমেদ শাহ। আমেদাবাদ শহর বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতিতে উন্নতির পথে এগিয়ে যাওয়া শহরের একটি। গুজরাটের সবথেকে বড় শহরও আমেদাবাদ। বর্তমানে গুজরাটের রাজধানী শহর হলো গান্ধীনগর। সবরমতী নদীর ধারে অবস্থিত শহর ভারতের তথা সারা বিশ্বের জনপ্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব মহাত্মা গান্ধীর জন্মস্থান। মহাত্মা গান্ধীর আসল নাম ছিল মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। মহাত্মা গান্ধীর এক জগৎ বিখ্যাত বৃহৎ সবরমতী আশ্রম আমেদাবাদে অবস্থিত। গুজরাট ভারতের সবথেকে সুরক্ষিত শহরের মধ্যে গণ্য হয়। যার দরুন বহু পর্যটক গুজরাটের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলি পরিদর্শনে আসেন। গুজরাটের বিখ্যাত দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে গান্ধীনগর স্বামীনারায়ণ অক্ষরধাম মন্দির, তারাকাতে অবস্থিত তারকাদেশ মন্দির, বারংবার ধ্বংসের কবল থেকে পুনঃনির্মিত হয়ে বিরাজমান সোমনাথ মন্দির, আমেদাবাদের বিখ্যাত জামা মসজিদ, সূর্য মন্দির এবং আরো বহু জাদুঘর এবং দর্শনীয় স্থান গুজরাট কে ভারতবর্ষের এক পরিচিত পর্যটনস্থল বানিয়েছে। 


ভারতের সবথেকে বেশি দুধ উৎপাদনকারী রাজ্যের মধ্যে অন্যতম হলো গুজরাট। নিরামিষ পিজ্জা! হ্যাঁ! পিজ্জার কথাই বলছি, প্রথম নিরামিষ পিজ্জার চলন ভারতের গুজরাট থেকে শুরু হয়। ম্যাকডোনাল্ড এবং আরো সমস্ত ব্র্যান্ড তাদের পিজ্জা বানানোর পদ্ধতি কিছুটা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয় গুজরাটে। কারণ গুজরাটে নিরামিষ আহার বেশি করা হয়। তারপর গুজরাটের থালির নাম শুনেছেন? নিরামিষ বলে ভাবছেন কেমন খাবার হবে কে জানে! তবে শুনুন নিরামিষ খাবারের পদ অনেক বেশি হয় এবং সুস্বাদু হয়। গুজরাটিদের ফেমাস কারী, ধোকলা, চাট, দইবড়া, আলু পুরি ও আরো কত যে মুখরোচক খাবার রয়েছে তা গুণে শেষ করতে পারবেন না। 


আধুনিক গুজরাটের ব্যবসার পাশাপাশি দেশের বহু প্রসিদ্ধ প্রতিষ্ঠান ও বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের বেশ কয়েকটি উপস্থিত রয়েছে। মহাকাশ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র স্পেস এপ্লিকেশন সেন্টার আমেদাবাদে অবস্থিত। 


তো এই ছিল গুজরাট সম্পর্কিত কিছু অজানা তথ্য।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

মরিশাস দেশ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

মরিশাস সম্পর্কে অজানা তথ্য

মরিশাস দেশ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন | Bengali Gossip 24


বিশ্বে যে কয়টি দেশ পর্যটকদের কাছে স্বর্গের মতো তাদের মধ্যে মরিশাস অন্যতম। ছোট্ট এই দেশটিতে প্রতিবছর প্রায় 20 লক্ষের অধিক পর্যটক বেড়াতে আসেন। আফ্রিকার দক্ষিণ-পূর্বে ভারত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত ছোট এই দেশটির আয়তন মাত্র 2040 বর্গকিলোমিটার। মরিশাস আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে ধনী, উন্নত এবং আধুনিক সংস্কৃতির দেশ। অতীতে ডাচ, ফরাসি এবং ব্রিটিশরা এই দ্বীপ শাসন করেছে। সর্বশেষ ঔপনিবেশিক জাতি ব্রিটিশদের কাছ থেকে মরিশাস 1968 সালে স্বাধীনতা লাভ করে। 


মরিশাসের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর হল পোর্ট লুইস। মজার ব্যাপার হলো আপনি মরিশাস গেলে দেখতে পাবেন যে এখানকার বেশিরভাগ মানুষই তামিল, ভোজপুরি, হিন্দি এবং তেলেগু ভাষায় কথা বলছে। মরিশাসের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় আচার আচরণ অনেকটা ভারতীয়দের মতো। কারণ মরিশাসের বেশিরভাগ লোকই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তাদের বেশিরভাগ লোকের ধর্ম হিন্দু। এটি যেন ভারত মহাসাগরের বুকে আরেকটি ভারত। মরিশাস বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিন্দু রাষ্ট্র। এর কারণ হলো মরিশাসে ব্রিটিশ শাসনামল চলাকালে আঠারো শতকের মাঝামাঝি সময়ে আখ চাষের জন্য ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে শ্রমিক নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে পরবর্তীতে এরাই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে ওঠে এবং বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে থাকে। ফলশ্রুতিতে স্বাধীনতা লাভের পর এখনো ভারতীয় বংশোদ্ভূতরাই এই দ্বীপটি শাসন করছে। 


মরিশাস আফ্রিকার সবচেয়ে সুন্দর দেশও বটে। দেশটির চারপাশ সমুদ্র বেষ্টিও এবং মধ্য ভূমি উঁচু পাহাড় এবং আগ্নেয়শিলা দ্বারা গঠিত। এর মধ্য ভাগে রয়েছে বেশকিছু নয়নাভিরাম লেক। এছাড়া দেশটির বাকি অংশ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অরণ্য আর সুবিশাল আখ ক্ষেত দিয়ে আবৃত। দেশটির এই বিচিত্র ভৌগলিক পরিবেশ আর চারপাশের নীল জলরাশি মরিশাস কি করে তুলেছে পর্যটকদের স্বর্গরাজ্য।


মরিশাস সম্পর্কে অজানা তথ্য

মরিশাস এর প্রধান দুটি প্রাণী হল সাম্বালা নামের এক ধরনের হরিণ আর ডোডো নামের এক ধরনের বিলুপ্ত পাখি। দুটো প্রাণীকেই  মরিশাসের জাতীয় প্রতীকের স্থান দেওয়া হয়েছে। 


ঐতিহ্যগত ভাবে মরিশাসের অর্থনীতিতে একমাত্র অর্থকরী শস্য আধিপত্য বিস্তার করে আসছে যা হলো আখ। দেশের অর্ধেকেরও বেশি মানুষের জমিতে আখ চাষ করা হয়। আখ থেকে প্রস্তুতকৃত চিনি এবং ছোলা গুড় মরিশাসের প্রধান দুটি রপ্তানি দ্রব্য। স্বাধীনতার পর মরিশাসের সরকার কৃষির উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে অর্থনীতির আধুনিকায়নের উদ্যোগ হাতে নেয় এবং নতুন নতুন শিল্প স্থাপন করে। বর্তমানে মরিশাস আখের রস থেকে পরিশোধিত চিনি এবং চিনিজাত দ্রব্য প্রক্রিয়াজাতকরণের পাশাপাশি বস্ত্র, ধাতু, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ধাতব দ্রব্য, রাসায়নিক সার ও রাসায়নিক দ্রব্য, পানীয় এবং চামড়াজাত দ্রব্য, ইলেকট্রনিকস যন্ত্রাংশ ইত্যাদি উৎপাদন করে থাকে। 


মরিশাস একটি সমাজ কল্যাণমূলক রাষ্ট্র। এই দেশের সরকার সমস্ত নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ও প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা স্তর পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান করে থাকে। 2019 সালে বিশ্ব শান্তি সূচক অনুযায়ী মরিশাস আফ্রিকার সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশের স্বীকৃতি লাভ করেছে। এছাড়া মরিশাস একমাত্র আফ্রিকার রাষ্ট্র যেটি মানব উন্নয়ন সূচকে অত্যন্ত উচ্চ শ্রেণীর স্থান করে নিয়েছে।


তো এই ছিল মরিশাস সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।


কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ত্রিপুরা রাজ্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

ত্রিপুরা রাজ্য সম্পর্কে আজনা তথ্য

ত্রিপুরা রাজ্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য | Bengali Gossip 24


ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্য গুলির সেভেন সিস্টার স্টেট এর মধ্যে একটি সুন্দর রাজ্য হলো ত্রিপুরা। আয়তনে বেশি বড় নয় কিন্তু প্রাচীন মন্দির এবং বহু পার্বত্য অঞ্চল রয়েছে। মা ত্রিপুরা সুন্দরীর নাম অনুসারে এই রাজ্যের নাম ত্রিপুরা রাখা হয়েছে। একসময় ত্রিপুরা রাজবংশএই অঞ্চল শাসন করতো। যা ভারতের স্বাধীনতা পর্যন্ত ব্রিটিশ সরকারের অধীনস্থ একটি রাজ্য ছিল। তারপর 1971 সালে নর্থ ইস্টার্ন এরিয়া রিঅরগানাইজেশন এক্ট অনুযায়ী অঞ্চলটি ত্রিপুরা নামে একটি পূর্ন রাজ্যের অধিকার পায়।  শিক্ষাগত দিক দিয়ে ভারতের অন্যতম শিক্ষিত রাজ্য হিসেবে পরিচিত ত্রিপুরা। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা। যা উত্তর-পূর্ব ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর।বর্তমানে মুম্বাই এবং চেন্নাইয়ের পর ভারতের তৃতীয় আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে আগরতলা। বর্তমান ভারত সরকারের স্মার্ট সিটি মিশন অনুযায়ী এই শহরটিকে স্মার্ট সিটি বানানোর পরিকল্পনা চলছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে পরিপূর্ণ রাজ্যে দেখার মতো অনেক কিছু রয়েছে। তো চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক এই ছোট্ট রাজ্যে আর কি কি রয়েছে?

(Unknown Things about Tripura)


আয়তনে ভারতের ছোট রাজ্যের মধ্যে গণ্য হলেও প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং মানুষের ব্যবহার মন কাড়ার মতো। বাঙালি সংখ্যাগরিষ্ঠ এই রাজ্যে স্থানীয় বাঙালি এবং ত্রিপুরী মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে মিলে মিশে আছে। তাই বাংলা ভাষার পাশাপাশি ককবরক ভাষারও চলন রয়েছে। রাজ্যের জনসংখ্যা 36 লক্ষ 71 হাজার 32 জন। এবং 2011 অনুযায়ী ত্রিপুরা রাজ্যে 65.73 শতাংশ বাঙালি, 25.9 শতাংশ ত্রিপুরী,  2.3 শতাংশ চাকমা এবং হিন্দিভাষী 1.5 শতাংশ মানুষ আছেন। উত্তর-পূর্ব ভারতে অসমের পর দ্বিতীয় জনবহুল রাজ্য হলো ত্রিপুরা। তাই একদিকে বাঙালীদের সেরা উৎসব দুর্গাপূজা যেমন পালিত হচ্ছে তেমনি ত্রিপুরী এবং জমাতিয়া মানুষেরা গরিয়া উৎসব পালন করে। 


নাচ-গানে ত্রিপুরার মানুষ ভারত তথা সারা বিশ্বে নাম করেছে। ত্রিপুরার মহারাজ মহারাজা ঈশান চন্দ্র মানিক্যর দুই পুত্র ভারতের সঙ্গীত জগতের দুই বিখ্যাত নাম। একজন সেতার বাদক নবদ্বীপচন্দ্র দেববর্মন এবং অপরজন সবার পরিচিত এস ডি বর্মন। বিখ্যাত সুরকার আর ডি বর্মনের পিতা ছিলেন এস ডি বর্মন। এবার বলুন তো হস্তশিল্প কার না ভালো লাগে! সবারই মন চায় হাতের তৈরি জিনিসপত্র বাড়িতে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার। তার জন্য রয়েছে ত্রিপুরা। বাস এবং বেতের হস্তশিল্প এবং ত্রিপুরার গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি নানা ধরনের মূর্তিগুলো এই রাজ্যে অনায়াসে পেয়ে যাবেন। তাই বলা হয় হস্তশিল্প, সঙ্গীত এবং নাচ এগুলি ত্রিপুরার সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। 


বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশে পরিণত হবার পর পশ্চিমবাংলা থেকে ত্রিপুরার যে দূরত্ব কয়েকশো কিলোমিটার ছিল তা বেড়ে গিয়ে 1500 কিলোমিটারের বেশি হয়ে যায়। ভারতের  অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে ত্রিপুরাকে যুক্ত করা প্রধান সড়ক পথ ন্যাশনাল হাইওয়ে 8। যাকে ত্রিপুরার জীবনরেখাও অনেক সময় বলা হয়। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের সাথে ব্রডগেজ রেল লাইনের মারফত 2016 সালে ত্রিপুরা আরো পাকাপাকি ভাবে আরো বেশিভাবে যুক্ত হয়। রাজ্যে আগে থেকেই চালিত পুরনো রেল পথের পুনর্বিন্যাস' এবং নতুন রেলপথ চালুর প্রচেষ্টা চলছে। বর্তমান ভারত সরকার এবং ত্রিপুরা সরকারের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের আখাউড়া জংশনের সাথে ত্রিপুরা রেলপথের যুক্ত হচ্ছে। যার ফলে বর্তমান  কলকাতা থেকে আগরতলার দূরত্ব 1000 কিলোমিটার পর্যন্ত কম হয়ে যাবে। এছাড়া ভারতের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে বিমান পথেও ত্রিপুরা যুক্ত। সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের ব্যস্ততম এবং আসামের লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরের পর দ্বিতীয় বৃহৎ বিমানবন্দর ত্রিপুরার মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দর। যাকে আগরতলা বিমানবন্দরও বলা হয়। বর্তমানে এয়ারপোর্ট অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া এই বিমানবন্দরের প্রসারণ এর কাজ করছে। যার ফলে কিছু বছরের মধ্যেই আগরতলা বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিণত হবে এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ঢাকা, সিলেট এবং চট্টগ্রাম এর সাথে যুক্ত হতে পারবে। যদিও ঢাকার সাথে আগরতলা বাস চলাচলের মাধ্যমে আগে থেকেই যুক্ত।


ত্রিপুরার তিন দিকেই রয়েছে বাংলাদেশ। উত্তর-পূর্বে রয়েছে আসাম এবং পূর্বে মিজোরাম। সমগ্র ভারতের তৃতীয় সবথেকে ছোট রাজ্য হলো ত্রিপুরা। ত্রিপুরার মোট আয়তন 10491.69 বর্গকিলোমিটার। এতো ছোট আয়তন এবং সঠিক যোগাযোগের সমস্যা থাকা সত্বেও ত্রিপুরা রাজ্যে শিক্ষিতের হার শুনলে চমকে উঠতে হয়। এ রাজ্যে 2013 অনুযায়ী 94.65 শতাংশ জনসংখ্যা শিক্ষিত। যাইহোক সমস্ত রকম বাধা বিপত্তি কাটিয়েও রাজ্যের মানুষ শিক্ষাকে মেরুদন্ড হিসেবে বেছে নিয়েছেন। যার জন্য ত্রিপুরার বহু মানুষ দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। 


উত্তর-পূর্ব রাজ্যের পাহাড় এবং পার্বত্য অঞ্চল রয়েছে যেগুলো দেখতে সর্বদাই মানুষ উৎসুক হয়ে থাকে। ভ্রমণ বিলাসী মানুষদের জন্য ত্রিপুরার মনোরম প্রকৃতি সর্বদা প্রস্তুত। ত্রিপুরার একটি দর্শনীয় স্থান হলো ঊনকোটি। বড়ো বড়ো পাহাড়ে খোদাই করে শিব ঠাকুরের যে সমস্ত মূর্তি করা হয়েছে তা দেখলেই হতবাক হয়ে যেতে হয়। কিভাবে এবং কখন এরূপ খোদাই করা সম্ভব হয়েছে তা ভাবলেও অবাক লাগে। এক কথায় অসাধারণ এই স্থান। এমনকি পাথরগুলোর গায়ে গণেশ ঠাকুর, মা দূর্গা, শিব ঠাকুরের বাহন মূর্তি দেখা যায়। প্রতিবছর এপ্রিল মাসে সেখানে মেলা অনুষ্ঠিত হয়। ফলে সাধারণ অবস্থায় সেখানে যেরূপ পর্যটক আসে তার থেকেও বেশি পর্যটক মেলার সময় আসে। বর্তমানে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া অনুযায়ী এই স্থানটিকে হ্যারিতেজের তকমা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টায় ঊনকোটির উন্নতি সাধনের চেষ্টা চলছে এবং এই রকম আরেকটি পর্যটন কেন্দ্র দেবতামুরাও রয়েছে। সত্যি বলতে কি দারুন জায়গা পরিপূর্ণ রাজ্য ত্রিপুরা। 


ত্রিপুরা রাজ্যে রাজ বংশের শাসন থাকায় অসাধারণ রাজমহল রয়েছে। তাদের মধ্যে উজ্জয়ন্ত প্যালেস এবং নীরমহল অন্যতম। একসময় মানিক্য রাজ বংশের বাড়ি ছিল উজ্জয়ন্ত প্যালেস। যাকে ত্রিপুরা সরকার কিনে নেয় এবং একসময় রাজ প্রাসাদটি ত্রিপুরা রাজ্যের বিধানসভা ছিল  বর্তমানে এখানে উত্তর-পূর্ব ভারতের তথা রাজ্যের নানান ধরনের পাথরের মূর্তি ও মানিক্য রাজ বংশের বিভিন্ন স্মৃতির সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন শিল্পকলা রয়েছে। তাই রাজ প্রাসাদটি এখন রাজ্যের মিউজিয়াম। আপনার যদি উত্তর পূর্ব ভারতের শিল্প কলা সম্পর্কে জানতে ইচ্ছা করে তাহলে মিউজিয়াম ঘুরে আসতে পারেন। 


মা কালীর দারুন মন্দির কমলাসাগর কালীমন্দির। কমলা সাগরের লেকটি এই মন্দিরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। রাজ্যটি আয়তনে ছোট কিন্তু সমগ্র রাজ্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পরিপূর্ণ রয়েছে। এই রাজ্যের অন্তর্গত জঙ্গলের আয়তন 566.93 বর্গকিলোমিটার। ত্রিপুরার সিপাহিজলা অভয়ারণ্যে মেঘলা চিতা দেখা যায়। এছাড়া ত্রিপুরার তৃস্না অভয়ারণ্য বাইসনের জন্য বিখ্যাত।


ত্রিপুরার অর্থনীতির মূল অংশ চাষাবাদ, চা শিল্প এবং সার্ভিস সেক্টরের উপরে নির্ভরশীল। এছাড়া ব্যাপক পরিমানে রাবার চাষ, মাছ চাষ করা হয়। ওএনজিসি র দ্বারা এই রাজ্যে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিপুল সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।


সবশেষে, বলতে হয় শুঁটকি মাছের নাম শুনেছেন? ত্রিপুরা রাজ্যে শুঁটকি মাছ খুবই জনপ্রিয়। যদি কোনো ত্রিপুরা রাজ্যে বেড়াতে যান তবে অবশ্যই একবার এই শুঁটকি মাছ ট্রাই করে দেখবেন। 


তো এই ছিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর ত্রিপুরা রাজ্য সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সিঙ্গাপুর কিভাবে উন্নত হলো? | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

একটি ভঙ্গুর দেশ থেকে কিভাবে সিঙ্গাপুর আজকের অবস্থানে এলো?

সিঙ্গাপুর কিভাবে উন্নত হলো? | Bengali Gossip 24


লি কুয়ান ইউ ছিলেন সিঙ্গাপুরের প্রথম প্রধান মন্ত্রী। বর্তমান সিঙ্গাপুরের চেহারা বদলে দেয়ার মহানায়ক বলা হয়ে থাকে এই লি কুয়ান ইউকে। কুয়ান ইউ শব্দের অর্থ হলো "উজ্জ্বল আলো"। যে আলোর ছোঁয়ায় বদলে গিয়েছে ছোট একটি দেশ সিঙ্গাপুর।


তিনি যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন তখন সিঙ্গাপুরের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র 500 মার্কিন ডলার। সেখান থেকে লি কুয়ান ইউর প্রধান মন্ত্রিত্বের শেষ বছর  তা গিয়ে দাঁড়ায় সাড়ে 14 হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ প্রায় 2800 শতাংশ বৃদ্ধি। আর বর্তমানে সিঙ্গাপুরের মাথাপিছু আয় প্রায় 53 হাজার মার্কিন ডলার বা 40 লক্ষ টাকা।


কি! ভাবতে অবাক লাগছে তো? তাহলে চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক একটি ভঙ্গুর জায়গা থেকে কিভাবে হয়ে উঠলো আজকের এই সিঙ্গাপুর?

(Unknown Facts about Singapore)

একটি ভঙ্গুর দেশ থেকে কিভাবে সিঙ্গাপুর আজকের অবস্থানে এলো?

1957 সালে মালয়েশিয়ার সাথে ফেডারেশন গঠন করে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে সিঙ্গাপুর। তার ঠিক দুই বছর পরেই নির্বাচনে জিতে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী হয়ে যান লি কুয়ান ইউ। কিন্তু আদর্শিক কারণে 1965 সালে মালয়েশিয়ার সাথে দুঃখজনক বিচ্ছেদের পর লি হাতে পান ভঙ্গুর এক দেশ। সেই থেকে শুরু শক্ত হাতে  সবকিছু মোকাবেলা করে সিঙ্গাপুরকে নিয়ে এসেছেন আজকের অবস্থানে।


কিন্তু তার এই পথ চলাটা কিন্তু খুব একটা সহজ ছিল না। একটি দেশ গড়ার কাজে শুরুতে যে জিনিসটি প্রয়োজন তা হলো জাতিগত ঐক্য। কিন্তু সিঙ্গাপুর বিভিন্ন ধর্ম বর্ণ জাতির দেশ। সংখ্যাগরিষ্ঠ চীনা বংশোদ্ভূত দের সাথে বৃহৎ সংখ্যক মালয় এবং ভারতীয়। এদের মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। কিন্তু ক্ষমতা নেওয়ার কয়েক বছরের মাথায় এই সমস্যার সমাধান করে ফেলেন তিনি।


যেকোনো রকম অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি কারীদের বিরুদ্ধে নেন কঠোর আইনি ব্যবস্থা। আয়তনে একেবারেই ছোট একটি দেশ। নেই তেমন কোনো প্রাকৃতিক সম্পদও। কিন্তু  এইসবের পরেও লির চোখে উচ্চাকাঙ্খার কমতি ছিল না।


ক্ষমতায় এসে প্রত্যেকের জন্য সরকারি আবাসন নিশ্চিত করলেন। কারণ তার ধারণা ছিল এই শহরে যখন কেউ একটি বাড়ির মালিক হবে শহরটির ব্যাপারে তার আরো বেশি দায়িত্ব ও মমত্ববোধ সৃষ্টি হবে। বাড়ি তো হলো এবার প্রয়োজন কর্মসংস্থান। কিন্তু এত ছোট দেশে শিল্প কারখানা স্থাপনের জায়গা কোথায়? তবে এটি যেমন ছিল অসুবিধা তেমনি অন্যদিকে সুবিধাও। সুবিধা এই অর্থে যে ছোট একটি দেশ বলে একে সবুজ পরিপাটি বানিয়ে বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ সহজ হবে। তিনি সেই সুযোগটাই নিলেন। সবুজ ও পরিচ্ছন্ন শহর নির্মাণে দিলেন সর্বোচ্চ গুরুত্ব। রাস্তার ধারে সারিবদ্ধ গাছ তো বটেই, পুরো সিঙ্গাপুরের 10 ভাগ জায়গা জুড়ে রয়েছে কেবল উদ্যান ই।  


বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এতটাই কড়াকড়ি যে দেশটিতে চুইংগাম খাওয়াই নিষিদ্ধ। সিঙ্গাপুর ছোট্ট একটা দেশ। সেখানে লক্ষ লক্ষ প্রাইভেট কার চললে দুই দিনে দেশের রাস্তা অচল হয়ে যাবে। তাই তিনি নিশ্চিত করলেন উন্নত গণপরিবহন ব্যবস্থার। 


এখন নিশ্চয়ই মনে প্রশ্ন জাগছে এই উন্নয়নের জন্য সিঙ্গাপুর এত টাকা পেল কোথায়? যা দিয়ে এমন অভূতপূর্ব উন্নয়ন সম্ভব! এর উত্তর হলো 1973 সালে যখন আমেরিকান ডলারের সাথে স্বর্ন মজুদ ব্যবস্থার বিচ্ছেদ হয় তখন লি কুয়ান ইউ তার চুড়ান্ত ফায়দা নেন।


এশিয়ার ডলারের বাজার তৈরিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয় তার সরকার। এমনকি বিশ্বব্যাপী মুদ্রা বিনিময়ে শীর্ষে উঠে আসে সিঙ্গাপুর। সেই সঙ্গে মার্কিন নীতি এবং মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রতি অনুরাগের জন্য মাথার উপর ছিল বিশ্ব ব্যাংক এবং ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড। 


অন্যদিকে মন্ত্রী এবং সরকারি চাকুরিজীবি দের বিশাল অঙ্কের বেতন প্রদান শুরু করলেন তিনি। যাতে তারা ঘুষ না খায় এবং আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে। নিজে ছিলেন প্রচন্ড সৎ এবং কঠোর। তাকে রীতিমত ভয় পেতেন প্রশাসনের সবাই। তাইতো তার চাপে পড়ে সিঙ্গাপুরের অভিধান থেকে মুছে গেল দুর্নীতি নামক শব্দটি। 


যখন তিনি প্রথম ক্ষমতায় এলেন তখন সিঙ্গাপুরে ছিল কেবল একটি সমুদ্র বন্দর। তবে এর ভৌগলিক অবস্থান টি যে অর্থনৈতিক দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ন তা বুঝে ছিলেন তিনি। তাইতো উন্নয়নের বড় হাতিয়ার বানালেন এই বন্দরটিকে। ঢেলে সাজালেন সিঙ্গাপুরের সমুদ্র বন্দর, বিমানবন্দর এবং সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোকে। ফলাফলও এলো হাতেনাতে।  অল্প সময়ে সিঙ্গাপুর পরিণত হল এয়ারলাইন্সগুলোর ট্রানজিট রুটে। এইভাবে আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে শক্ত আবির্ভাবের পর সিঙ্গাপুর পরিণত হয় এশিয়ার সবচেয়ে বাণিজ্যিক হাবে। কারণটা খুবই সোজা সেখানে কোনো রাজনৈতিক গোলযোগ নেই,  যোগাযোগ ব্যবস্থাও রয়েছে চমৎকার, কর খুবই অল্প, সরকারও আন্তরিক আর অবকাঠামো ও পরিবেশ তো অতুলনীয়। আর এই জন্যই বর্তমানে গুগল, ফেসবুক, টয়োটা এবং পেপসি সহ এমন কোন বৈদেশিক কোম্পানি নেই যারা সিঙ্গাপুরে আঞ্চলিক সদর দপ্তর খোলেনি। লি কুয়ান ইউ সবসময় সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্র ক্ষমতায় ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সচেষ্ট ছিলেন। এর ফলে কখনো তাকে কোনরকম বিদ্রোহের মুখে পড়তে হয়নি। তিনি সব সময় ছিলেন একজন পার্টির সাধারণ সম্পাদক। সবসময় চেয়েছেন দেশ সেবা করতে। এমনকি দেশ সেবার জন্য তিনি নিজের অবসর সময়টুকু পান নি। 



(Unknown Facts about Singapore in Bengali)

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন