Bengali Gossip 24

Knowledge is Power 😎

বেঙ্গালুরু সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

Unknown Facts about Bengaluru in Bengali (বেঙ্গালুরু সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য) 

বেঙ্গালুরু সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য | Bengali Gossip 24

আজ আমি আপনাদের ভারতের একটি সুন্দর এবং মনোরম শহর বেঙ্গালুরু সম্পর্কে কিছু তথ্য জানাবো যা হয়তো আপনাদের অজানা। এটি কর্নাটক রাজ্যের রাজধানী। বেঙ্গালুরু আকারে 779 বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত এবং এটি ভারতের চতুর্থ সব চেয়ে বড় শহর। 

বেঙ্গালুরুর জনসংখ্যা প্রায় 85 লক্ষ। জনসংখ্যার দিক দিয়ে বেঙ্গালুরু ভারতের তৃতীয় সবচেয়ে বড়ো শহর। মুম্বই এবং দিল্লির পর বেঙ্গালুরুর স্থান। 

যদি আপনি বেঙ্গালুরু তে ভ্রমণ করতে যেতে চান তাহলে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় হবে সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাস। 

বেঙ্গালুরু শহর পুরো দুনিয়ায় আধুনিক প্রযুক্তি বিদ্যার জন্য পরিচিত। ভারতের মধ্যে বেঙ্গালুরু শহর থেকেই হাইড্রো পাওয়ার থেকে ইলেকট্রেসিটি দেওয়া শুরু হয়ে ছিল। 

পুরো পৃথিবীতে শতকরা সবচেয়ে বেশি ইঞ্জিনিয়ার বেঙ্গালুরু তে দেখা যায়। সেখানে প্রায় 10 লক্ষাধিক ইনফরমেশন টেকনোলজি র ইঞ্জিনিয়ার রয়েছে। 

এছাড়াও ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সফটওয়ার কোম্পানি বেঙ্গালুরু তে রয়েছে। এদের মধ্যে পৃথিবী বিখ্যাত সফটওয়ার কোম্পানি উইপ্রো এবং ইনফোসিস কোম্পানির হেড কোয়ার্টার বেঙ্গালুরু তে রয়েছে।

Unknown Facts about Bengaluru in Bengali


ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য এই শহর সারা ভারতবর্ষের মধ্যে বিখ্যাত। সেখানে এতো পরিমাণ ইঞ্জিনিয়ার থাকে তার একটি প্রধান কারণ হলো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বেঙ্গালুরুতেই রয়েছে। 

এছাড়া বেঙ্গালুরু বায়ো টেকনোলজির জন্যও বিখ্যাত। ভারতের সব বায়ো টেকনিক্যাল কোম্পানি গুলির মধ্যে প্রায় 45 শতাংশ কোম্পানি 

লালবার্গ বোটানিক্যাল গার্ডেন বেঙ্গালুরুর খুবই জনপ্রিয় একটি স্থান। সেখানে প্রায় 1000 এর বেশি প্রজাতির ফুল এবং ফল পাওয়া যায়। 

বেঙ্গালুরু ভারতের পঞ্চম সর্বোচ্চ মাথা পিছু আয় করা শহর। বেঙ্গালুরু তে প্রচুর পরিমাণ ধনকুবের মালিক বসবাস করে। 

Unknown Facts about Bengaluru in Bengali (বেঙ্গালুরু সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য)


আমরা সবাই জানি যে বেঙ্গালুরু বসবাস করার জন্য খুবই ভালো জায়গা কিন্তু আপনি এটা জেনে অবাক হবেন যে বেঙ্গালুরু তে সবচেয়ে বেশি সুইসাইড হয়। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী সেখানে 1 লক্ষ মানুষের মধ্যে 35 জন সুইসাইড করে। এই জন্য বেঙ্গালুরু কে ভারতের সুইসাইড ক্যাপিটাল বলা হয়। 

বেঙ্গালুরু শহরে সমস্ত ধর্মের লোক বসবাস করে। ফলে সেখানে মন্দির, মসজিদ, গির্জা সব ধর্মস্থান দেখা যায়।

বেঙ্গালুরু শহর থেকে অনেক কিংবদন্তি রয়েছেন যারা তাদের নিজেদের ফিল্ডে সাধারণ জনগণের মন জয় করে নিয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম হল অভিনেতা রজনীকান্ত, দীপিকা পাডুকোন, ফিরোজ খান, ক্রিকেট কিংবদন্তি অনিল কুম্বে। 

ভারতের মধ্যে নোবেল প্রাইজের জন্য সবচেয়ে বেশি নমিনেশন পেয়েছে বেঙ্গালুরু থেকে। 1930 সালে সিভি রমন পদার্থবিদ্যা জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। 

তো এই ছিলো ভারতের মনোরম শহর বেঙ্গালুরু সম্পর্কে কিছু তথ্য ।


কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রা কি কি সুবিধা পেয়ে থাকেন? Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

 

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রা কি কি সুবিধা পেয়ে থাকেন? Bengali Gossip 24

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট রা কি কি সুবিধা ভোগ করেন? 

আমেরিকা পৃথিবীর সবচাইতে ক্ষমতাধর দেশ। তাই বলা যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিশ্বের সবচাইতে শক্তিশালী প্রেসিডেন্ট। যিনি পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন গোটা পৃথিবী। যেহেতু মার্কিন প্রেসিডেন্ট এত ক্ষমতাধর একজন ব্যক্তি তাহলে তার সুযোগ সুবিধাও নিশ্চয়ই পৃথিবীর অন্য সকল দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের চেয়ে অনেক বেশি হবে তাই না? আপনাদের কি মনে হয় একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন? তাহলে আর দেরি না করে চলুন জেনে নিই।


যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনের বার্ষিক বেতন ছিল তখনকার সময়ে 25 হাজার মার্কিন ডলার। বর্তমানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বার্ষিক বেতন 4 লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়াও বছরে ভ্রমণের জন্য পেয়ে থাকেন এক লাখ মার্কিন ডলার, বাড়তি খরচের জন্য 50 হাজার মার্কিন ডলার এবং বিনোদনের জন্য 19 হাজার ডলার বোনাস হিসেবে দেওয়া হয় অর্থাৎ বেতন ও অন্য সব সব কিছু মিলিয়ে একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বছরে পাঁচ লক্ষ 69 হাজার ডলার পেয়ে থাকেন।


যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী একেবারে বেতন না নেয়ার সুযোগ নেই বলে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বছরে 1 ডলার বেতন নিয়ে থাকেন। 18 একরের জায়গা নিয়ে নির্মিত আমেরিকার প্রেসিডেন্টের অফিস এবং বসবাসের স্থান। এই হোয়াইট হাউসে রয়েছে 6 টি ফ্লোর এবং সব মিলিয়ে 132 রুম, বিনোদনের জন্য আছে 1 টি  মুভি থিয়েটার, যদিও হোয়াইট হাউসে থাকার জন্য প্রেসিডেন্ট কে কোনো ভাড়া দিতে হয় না। প্রেসিডেন্টের সেবায় নিয়োজিত আছেন মোট 100 জন স্থায়ী কর্মচারী। তবে কর্মচারীকে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করলে অবশ্যই ঘন্টা হিসেবে নিজের পকেট থেকে ডলার দিতে হয়। এছাড়াও প্রেসিডেন্ট পরিবারের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় থাকে হোয়াইট হাউসের বাগানে জন্মানো টাটকা ফল ও সবজি। সড়ক পথে ভ্রমণের জন্য প্রেসিডেন্টের রয়েছে অত্যাধুনিক বুলেটপ্রুফ এবং বোমা প্রতিরোধী গাড়ি। আর তার ভ্রমণের সময় গাড়ি বহরে থাকে 40 থেকে 50 টা গাড়ি  আর এই এদেরকে বলা হয় দ্যা বিস্ট। আধুনিক সব অস্ত্রে সজ্জিত এই গাড়িগুলো বিশেষভাবে তৈরি করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। প্রতিটি গাড়ি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করে থাকেন তারা। আকাশ পথে ভ্রমণের জন্য এয়ার ফোর্স 1 নামে একটি বিমান রয়েছে প্রেসিডেন্ট এর জন্য। 100 জন  মানুষের ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই বিশেষ বিমানে রয়েছে বিশেষ বিমানে রয়েছে একটি কনফারেন্স রুম, একটা ডাইনিং রুম, প্রেসিডেন্ট এর জন্য ব্যক্তিগত কক্ষ একটি মেডিকেল অস্ত্রোপাচারের কক্ষসহ আরো বিভিন্ন সুবিধা। এয়ারফোর্স পরিচালনার জন্য প্রতি ঘন্টায় খরচ হয় প্রায় দুই লাখ ডলার। এয়ারফোর্স বিমান যেখানেই যাক না কেন প্রেসিডেন্টের জীবন যেকোনো হামলা থেকে রক্ষা করার জন্য সবসময় ছায়ার মতো পাশে থাকে মেরিন 1 নামের একটি ফাইটার হেলিকপ্টার। মজার বিষয় হচ্ছে যদি হেলিকপ্টারের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায় এটা ঘন্টায় 150 মাইলে বেশি বেগে চলার ক্ষমতা রাখে। 


সবচাইতে সেরা চার পাইলট এই হেলিকপ্টার পরিচালনা করেন। হেলিকপ্টারটির রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ও যেকোনো আক্রমণ প্রতিরোধের উন্নত ব্যবস্থা। প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারের শারীরিক যে কোনো অসুখ বিসুখে চিকিৎসার জন্য সার্বক্ষণিক একজন চিকিৎসক নিয়োজিত আছেন হোয়াইট হাউসে। শুধু তাই নয় হোয়াইট হাউসে রয়েছে আলাদা আলাদা ক্লিনিক যেখানে চিকিৎসার জন্য যা যা প্রয়োজন সব কিছুই আছে। এই ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকেন মিলিটারি সব বড়ো বড়ো চিকিৎসক। প্রেসিডেন্ট নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন আমেরিকার সেরা গোয়েন্দা রা। 


এমনকি মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার পরেও আজীবন একজন প্রেসিডেন্ট এই নিরাপত্তা সুবিধা পেয়ে থাকেন। এমনকি তাদের সন্তানরাও আছেন এই সুবিধার আওতায়। সাবেক প্রেসিডেন্ট রা ক্ষমতায় না থাকলেও প্রতিবছর একটা ভালো অঙ্কের বিশেষ ভাতা পেয়ে থাকেন। এর বাইরেও অবকাশ যাপন এবং বিদেশে ভ্রমণের জন্য তাদের ভাতা দেওয়া হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তাদের পরিবারকে আমেরিকার আইকন মানা হয়। আর এজন্যই তাদের কারও মৃত্যু হলে সম্পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় দাফন এর ব্যবস্থা করা হয়। তিন ধাপে সম্পন্ন হওয়া এই অনুষ্ঠান চলতে থাকে প্রায় এক সপ্তাহ পর্যন্ত। 


তো এই ছিলো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট দের প্রাপ্ত কিছু সুযোগ সুবিধা। 



কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

বুর্জ আল আরব সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য | Unknown Facts about Burj Al Arab in Bengali | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

বুর্জ আল আরব (Burj Al Arab) সম্পর্কে অজানা তথ্য 

বুর্জ আল আরব (Burj Al Arab) সম্পর্কে অজানা তথ্য


কথায় বলা হয় এই পৃথিবীর কোন সৌন্দর্য্য ই স্বর্গের মতো নয়। স্বর্গে যা চাওয়া হয় তা সাথে সাথে সামনে এসে হাজির হয়। কিন্তু আজ আপনাদের আমি এমন একটি হোটেল সম্পর্কে জানাবো যা এক কথায় স্বর্গতুল্য। সেখানে মানুষ যা চায় তাই পায়। কি নেই সেখানে? সোনার জিনিসপত্র থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত হেলিপ্যাড, রোলস রয়েস সবকিছুই আছে সেই হোটেলে। বিলাসিতার আরেক নাম বলা হয়ে থাকে বুর্জ আল আরব কে। শুধুমাত্র দুবাই ই না বরং সারা বিশ্বের একমাত্র 7 স্টার হোটেল এই বুর্জ আল আরব। বিখ্যাত একটি আরব জাহাজের মাস্তুল এর অনুকরণে এই হোটেলটি বানানো হয়েছে। বুর্জ আল আরব এর অর্থ হচ্ছে আরবের সম্মান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এটি অবস্থিত।


বুর্জ আল আরব সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য | Bengali Gossip 24

এই 7 স্টার হোটেলের একটি সাধারণ মানের রুম ও যদি আপনি আপনি একদিনের জন্য ভাড়া নিতে চান তাহলে খরচ করতে হবে প্রায় সর্বনিম্ন এক লক্ষ টাকা। বড়ো রুম যদি নিতে চান তবে আপনাকে খরচ করতে হবে প্রায় 8 লক্ষ টাকা। আর সবচেয়ে ব্যয়বহুল রাজকীয় কামরায় থাকতে প্রতিদিন খরচ হবে 25 লক্ষ টাকা। টাকার পরিমাণ টা শুনে অনেকের মনে হতে পারে খুব বেশি মানুষ এই হোটেলে যায় না। কিন্তু এমনটি ভেবে থাকলে আপনি ভুল ভাবছেন। কারণ এই হোটেলে থাকতে হলে আগে থেকে শুধু রুম বুকিং করলেই হবে না সাথে আপনার জীবন বৃত্তান্ত বাধ্যতামূলক জমা দিতে হবে। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ পর্যটক এই হোটেল দেখতে ছুটে আসে। 


এই হোটেলে প্রবেশ করার আগে নিরাপত্তা তল্লাশি বাধ্যতামূলক এবং নির্দিষ্ট অংকের দিরহাম হোটেল কর্তৃপক্ষকে জমা দিয়ে ঢুকতে হয়। আর হোটেলটিতে থাকতে হলে হোটেল কর্তৃক নির্দিষ্ট ড্রেসকোট মানতে হয়। ছোট পোশাক পরে হোটেলটিতে প্রবেশের অনুমতি নেই।


বিশ্বের সেরা এই হোটেল টি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় 5 হাজার কোটি টাকা। এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় 1994 সালে। আর কাজ সম্পূর্ণ হয় 1999 সালে। সমুদ্রের মাঝে মানুষের তৈরি একটি কৃত্রিম দ্বীপ এর উপর এটি নির্মাণ করা হয়েছে। একটি ব্রিজের দ্বারা মূল ভূমির সাথে যুক্ত।  


56 তলা বিশিষ্ট হোটেল টি তিনটি তলা রয়েছে জলের নীচে।  আর পুরো হোটেলে লিফট রয়েছে সর্বমোট 18 টি।





দৃষ্টিনন্দন এই হোটেলটির ভবনের নকশাকারী টম রাইড। তিনি ঐতিহ্যবাহী আরবিয়া নৌকার পালের আকারে বুর্জ আল আরবের ডিজাইন করেন। যা ভবিষ্যতের দিকে পাল তুলে এগিয়ে যাওয়া নির্দেশ করে। 


বুর্জ আল আরবে যে সমস্ত অতিথিরা আসেন তাদের 24 ক্যারেট সোনার Iped দেওয়া হয়।  এই Ipad এ আইফোন কোম্পানির সাথে বুর্জ আল আরব হোটেলের লোগো লাগানো থাকে। Ipad দেওয়ার কারণ হলো তার কারণ হলো বিলাসবহুল এই হোটেলের অতিথিরা যাতে রাজকীয় ভাব অনুভব করতে পারে। এর বাইরে হোটেল টির নানা তথ্যাদি সহ বিভিন্ন সেবা Ipad এ দেওয়া থাকে। হোটেল রুমে বসে একজন অতিথি Ipad থেকে রেস্তোরাঁ গুলোর খাবার মেনু জেনে নিতে পারবে। আর যদি কোন অতিথি হোটেলে থাকা কালিন 24 ক্যারেট স্বর্ণের Ipad টি নিজের করে পেতে চান তবে তাকে 7 লক্ষ টাকা অতিরিক্ত প্রদান করতে হবে। 


বুর্জ আল আরব এর অভ্যন্তরে অতিথি রা রাজকীয় সব সুযোগ সুবিধা উপভোগ করে। হোটেলের রুম ভাড়া করলে তাদের দেওয়া হয় একটি বিশেষ ধরনের কার্ড। এই কার্ড স্পর্শ করলে একটি সোনালী রঙের দরজা খুলে যায় আর রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে চলে হোটেলের ভেতরে দরজা, জানালার পর্দার খোলার কাজ। তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে টিভি, টেলিফোন, লাইব্রেরী এমনকি হোটেলের যে খাটে অতিথি রা ঘুমাই  সেটিও ইচ্ছা করলেই ঘোরানো যায়। 


হোটেলটি এত বিশাল আকৃতির হওয়া সত্ত্বেও পুরো হোটেলে মাত্র 28 টি ফ্লোর আছে। অর্থাৎ পুরো ভবনের 40 শতাংশ জায়গায় ব্যবহারের অযোগ্য। শুধুমাত্র উচ্চতা বাড়ানোর জন্য এমনটি করা হয়েছে। হোটেলটির প্রত্যেক টি ফ্লোর দোতলা।  যেখানে রুম রয়েছে মোট 202 টি।


পুরো হোটেলে চোখে পড়বে সুন্দর সুন্দর সব একুরিয়াম এবং অতিথিদের জন্য অভ্যর্থনা কেন্দ্র। এর ভেতরে 87 হাজার স্কয়ার ফিট জায়গা 22 ক্যারেট সোনার পাত দিয়ে মোড়ানো আর একটি ত্রিমাত্রিক কৃত্রিম ঝর্ণা রয়েছে।


বুর্জ আল আরবের রাজকীয় গেইট টি প্রায় 590 ফুট উঁচু যা যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যাচু অফ লিবার্টি চেয়েও বড়। আপনি যদি এই হোটেলের 27 তলায় হেঁটে উঠতে চান তবে আপনাকে 1080 টি সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হবে। 



বুর্জ আল আরবের ছাদে একটি হেলিপ্যাড আছে। হোটেলটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এই হেলিপ্যাডে কিছু মজার কাজ করা হয়েছে। 2004 সালের মার্চ মাসে গল্ফ খেলোয়াড় টাইগার উড সাগরের দিকে বেশ কয়েকটি বল মেরেছেন। 


2005 সালে দুইজন টেনিস খেলোয়াড় এই হেলিপ্যাডে একটি ম্যাচ খেলেছেন। তখন অস্থায়ীভাবে হেলিপ্যাড টিকে একটি টেনিস গ্রাউন্ডে  রূপান্তর করা হয়েছিল। 


এই হেলিপ্যাডে কোনো সীমানা ছিল না তাই যদি একবার বল বাইরে চলে যায় তবে সেটি কে ফিরিয়ে আনার কোনো উপায় নেই। 


এই হোটেলের রেস্তোরাঁ গুলি অন্য রকম। সেখানে মোট 2 টি রেস্তোরাঁ রয়েছে। সেই রেস্তোরাঁয়  বসে এক পাশে তাকিয়ে আপনি দুবাইয়ের পুরো সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। আর অন্য পাশে দেখতে পারবেন কৃত্রিম সাগর। সেখানে খাবারের দাম যে খুব বেশি সেটি নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না। এই হোটেলের আরেকটি বিখ্যাত রেস্তোরাঁ সমুদ্রের জলের নীচে অবস্থিত। সেখানে প্রবেশ করলে মনে হবে আপনি সাবমেরিনে বসে আছেন। বিশাল একুরিয়ামের পাশে সমুদ্রের দৃশ্য দেখতে দেখতে খাওয়ার স্বাদ নিতে পারবেন। আপনার চারপাশে জলে সাঁতার কেটে বেড়াবে জলচর প্রাণী। হোটেল ভবনটিতে বেশ কিছু সুবিধা যোগ করা হয়েছে। যেমন দিনের বেলায় সূর্যের তীব্র আলোকরশ্মি কিছুটা হালকা ভাবে পরিবর্তিত হয়ে প্রবেশ করে। এ জন্য দিনের বেলায় কোন কৃত্রিম আলো এই হোটেলে জালানো হয় না। সম্পূর্ণ সূর্যের আলোতে আলোকিত থাকে। আর রাতের বেলায় এর ভেতরে বাহিরে জ্বলজ্বল করে রঙিন সব আলো। 


সেই হোটেলের জানালা বাইরে থেকে পরিষ্কার করতে প্রয়োজন হয় একটি পুরো  টিম কে। যারা প্রায় 1 মাস কাজ করে ঝুলে ঝুলে। 


এই বিশেষ বৈশিষ্ট্য গুলোর জন্য হোটেলটির নির্মাণ প্রক্রিয়া ছিল প্রকৌশল বিদ্যার জটিল এবং পরিশ্রমের কাজ। তো এই ছিল বিলাসবহুল হোটেল বুর্জ আল আরব সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য ।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

জো বাইডেন সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নিন I Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য 

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য


আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য প্রায় 50 বছরের রাজনৈতিক জীবন তার। হোয়াইট হাউসে যাওয়ার যে স্বপ্ন বহুদিন থেকে লালন করে আসছেন সেই স্বপ্নের পথে এখনো লড়াইয়ে লিপ্ত। 1987 সালে একবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার জন্য মাঠে নামেন। ডেমোক্র্যাট দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন, কিন্তু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে তিনি অন্যের লেখা চুরি করে নিজের নামে চালিয়ে যাচ্ছেন। এই অভিযোগের সূত্র ধরে আরেকটা অভিযোগ সামনে আনা হয়। ছাত্র জীবনের একটি ঘটনা যখন তিনি আইনের ছাত্র হিসেবে তার সাইটেশন পেপারে আরেকজনের লেখা হুবহু ব্যবহার করেছিলেন। তিনি তখন বলেছিলেন সেটা যে নিয়ম বহির্ভূত তা তিনি জানতেন না। এমন অসততার অভিযোগ আনা বলে তিনি প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন। পরে তার এক বন্ধুকে বলেছিলেন "ওই ঘটনা টা আমাকে একটু একটু করে যন্ত্রণা দিয়েছে। সবসময় আমি নিজেকে একজন সৎ মানুষ হিসেবে মনে করেছি। এই জায়গা টায় আমি বিরাট ধাক্কা খেয়েছি"। 


আরেক জায়গায় তিনি লিখেছেন  "আমি নিজের উপর রাগ আর হতাশায় ভুগছি। আমেরিকার মানুষকে আমি কিভাবে বোঝাবো  যে এটা আসল পরিচয় নয় আমার। এটা শুধু আমার একটা মস্ত ভুল"। 


এরপর স্বজনহারানো স্ত্রী-পুত্রকে হারানো, নিজের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ সহ নানা সংকটে আর 20 বছর নিজের সঙ্গে সংগ্রাম করেছেন বাইডেন। এর মাঝে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়ে গিয়েছেন তার থেকে বয়সে ছোটো অনেকেই। যেমন বিল ক্লিনটন, জর্জ বুশ, বারাক ওবামা এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। 


2008 সালে দলীয় মনোনয়ন দৌড়ে নামেন। তবে বারাক ওবামার সঙ্গে পেরে ওঠেননি। যদিও বারাক ওবামা তাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট করে নেন। এরপর 2016 সালের নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন পাননি। হিলারি ক্লিনটনের কাছে হেরে যান। আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প। 


কিন্তু হাল ছাড়েননি জো বাইডেন। তার স্বপ্ন ছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবেন। অবশেষে 2020 সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন লাভ করেন। সেখানেও অনিশ্চয়তা ছিল। জয় লাভ করতে করতেই যেন হেরে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে তিনি মনোনয়ন পেয়ে যান। 


এমনি হাল না ছাড়া মানুষ জো বাইডেন।  মানুষের স্বপ্ন কিভাবে লালন করতে পারে দীর্ঘ সময় ধরে তা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। জো বাইডেন প্রায়ই একটা কথা বলতেন, "বাবার একটা কথা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা। কে তোমাকে কতবার ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো সেটা বড় কথা নয়। কত দ্রুত তুমি উঠে দাঁড়াতে পারলে মানুষ হিসাবে  সেটাই হবে তোমার সাফল্যের পরিচয়"। 


1990 এর দশকে জো বাইডেনের সহকর্মী বলেছেন বাইডেন কখনো হাল হারে না। দরকার না হলেও তার কাজ সে  করেই যায়। অনেকের মতে বাইডেন অনেক প্রতিকূলতা কাটিয়ে দীর্ঘদিন টিকে থাকা একজন ব্যক্তি। এমন সংগ্রামমুখর যার জীবন এমন সুন্দর কথা তিনি বলেন তারই হওয়া উচিত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। কিন্তু পৃথিবীর দুর্ভাগ্য যে সারা বিশ্ব এখন প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতিকদের দখলে। যেখানে  ডোনাল্ড ট্রাম্প, শি জিংপিং, নরেন্দ্র মোদী, কিম জং উন এবং এমুয়েল ম্যাক্রোন শাসন করছেন সেখানে হয়তো বাইডেন বেমানান। কিন্তু পৃথিবীর উচিত জো বাইডেন এবং জাস্টিন ট্রুডো এঁদের দিকে ধাবিত হওয়া। 


পৃথিবীর প্রকৃতি হল উদারতার সহনশীলতার এবং নম্রতার। আমরা ডোনাল্ড ট্রাম্প কে নিয়ে স্রেফ মজা করি। জোকার হিসেবে বেশ মজাদার। কিন্তু সমর্থন জো বাইডেনের দিকেই থাকে। ভালো-মন্দ সবার থাকে। তবে জো বাইডেন ডিসার্ভ করে। যদিও আমেরিকার জনগণ ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো জোকার কেই পছন্দ করবে। 


তো এই ছিল আমেরিকার পরবর্তী রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সম্পর্কে কিছু তথ্য । 

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

কলকাতায় কি কি রয়েছে? কলকাতা কেনো বিখ্যাত? | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

কলকাতায় কি কি রয়েছে? কলকাতা (KOLKATA) কেনো বিখ্যাত? 

আজ আমরা জানবো ভারতের একটি ঐতিহাসিক শহর তথা পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী এবং আমার আপনার প্রিয় শহর কলকাতা কে নিয়ে  এমন কিছু তথ্য হয়তো আপনাদের অজানা। যা আমাদের কলকাতা শহর কে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। তো চলুন আর বেশি দেরি না করে জেনে নিই এই শহরে কি কি আকর্ষণীয় জিনিস রয়েছে যার জন্য এই শহর কে সিটি অফ জয় বলে। (Unknown Facts about Kolkata)


কলকাতা শহরের মোট আয়তন 185 বর্গকিলোমিটার এবং শহরের জনসংখ্যা 44 লাখ 96 হাজার 994 জন এটি ভারতের সপ্তম জনবহুল শহর। দিল্লি এবং মুম্বাইয়ের পর এটি ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম জনবহুল মহানগরী এলাকা। যে সময় ভারতে ব্রিটিশ শাসন জারি ছিল তখন ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল কোলকাতা। আর লন্ডনের পর সমগ্র ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল কলকাতা। আমরা সবাই জানি কলকাতাকে সিটি অফ জয় বলা হয়, তবে কলকাতার আরো দুটো নাম আছে একটি হল সিটি অফ প্যালেস, এবং কালচারাল ক্যাপিটাল অফ ইন্ডিয়া। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর 1984 সালে ভারতের প্রথম মেট্রো রেল চলাচল শুরু হয়েছিল আমাদের কলকাতা তেই। কলকাতা ই হলো ভারতের প্রথম শহর যেখানে নদীর নিচ দিয়ে মেট্রো রেল চলাচল করবে। কলকাতা এবং হাওড়া কে যুক্ত করার জন্য হুগলি নদীর 30 মিটার নিচে দিয়ে ট্যানেল তৈরি হয়ে গেছে। সারা ভারতে কলকাতা একমাত্র শহর যেখানে এখনো ট্রাম ব্যাবস্থা রয়েছে। এশিয়ার প্রাচীনতম ট্রাম চলাচল ব্যবস্থা কলকাতায় অবস্থিত। হাওড়া ব্রিজ হলো পৃথিবীর মধ্যে বড়ো ব্রিজ গুলির একটি। ভারতের মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ততম রেল স্টেশন হলো হাওড়া রেলওয়ে স্টেশন। এটি ভারতের অন্যতম প্রাচীন এবং বৃহত্তম স্টেশন।


বই বাঙালির প্রাণ। কলকাতাতে এমন একটা রাস্তা আছে যার দুপাশে শুধু বই আর বই। হ্যাঁ! আপনি ঠিকই ধরেছেন আমি কলেজ স্ট্রিটের কথা বলছি। এটা পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পুরাতন বই মার্কেট। বইমেলার জন্য কলকাতা বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে। কলকাতা বইমেলা পৃথিবীতে তৃতীয় স্থানে আছে। ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং লন্ডন বইমেলার পর। কলকাতা বইমেলা এশিয়ার বৃহত্তম বইমেলা। ভারতের বৃহত্তম লাইব্রেরি ন্যাশনাল লাইব্রেরী কলকাতায় অবস্থিত। এশিয়ার মধ্যে টোকিও ছাড়া কলকাতা একমাত্র শহর যেখানে 6 জন নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁরা হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাদার টেরেসা, অমর্ত্য সেন, সিভি রমন, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্যার রোনাল্ড রস। 


এবার একটু খেলাধুলা নিয়ে আলোচনা করা যাক বর্তমানে আমরা হয়তো ক্রিকেট নিয়ে একটু বেশি মাতামাতি করি, কিন্তু ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা বাঙ্গালীদের চিরকাল থেকে গেছে। ক্যালকাটা ফুটবল লিগ ভারতের সবচেয়ে পুরনো ফুটবল লিগ। যেটা আবার বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় প্রাচীনতম ফুটবল লিগ। ভারত হয়তো কখনো ফুটবল ওয়ার্ল্ড কাপে অংশগ্রহণ করেনি, তাসত্বেও পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুটবল স্টেডিয়াম কলকাতায় অবস্থিত। সেটি হলো সল্টলেক স্টেডিয়াম। এখানে 2011 সালের আগে 1 লক্ষ বিশ হাজার বসার জায়গা ছিল  তবে বর্তমানে প্রায় 85 হাজার বসার জায়গা আছে। আর এটাই ভারতের বৃহত্তম ফুটবল স্টেডিয়াম। ক্যালকাটা ক্রিকেট ক্লাব পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো ক্রিকেট ক্লাব। ভারতের সবচেয়ে বড় এবং বিশ্বের মধ্যে আসন সংখ্যার দিক থেকে তৃতীয় বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম হলো ইডেন গার্ডেন। শুধুমাত্র ভারতেই নয় সারা পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো পোলো ক্লাব কলকাতা তে অবস্থিত। সেটা হল ক্যালকাটা পোলো ক্লাব। এটি 1862 সালে স্থাপিত হয়েছিল। রয়্যাল ক্যালকাটা গল্ফ ক্লাব পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীনতম গল্ফ ক্লাব। 


ভারতের সবচেয়ে পুরনো চিড়িয়াখানা আলিপুর জুওলজিকাল গার্ডেন কলকাতা তে অবস্থিত।এটা ভারতের প্রথম চিড়িয়াখানা। খিদিরপুর পোর্ট ভারতের একমাত্র নদীর উপর তৈরি করা পোর্ট যা সমুদ্র উপকূলে অবস্থিত নয় এটা হুগলি নদীর উপর তৈরি করা হয়েছে। আর খিদিরপুর পোর্ট শুধুমাত্র কলকাতার ই না সারা ভারতবর্ষের মধ্যে সবচেয়ে পুরনো পোর্ট। কলকাতার বিড়লা প্লানেটরিয়াম এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় প্লানেটরিয়াম। আর পৃথিবীতে দ্বিতীয় বৃহত্তম।


তো এই ছিল আমাদের প্রাণের শহর কলকাতা সম্পর্কে কিছু তথ্য ।


কলকাতায় কি কি রয়েছে? কলকাতা কেনো বিখ্যাত? | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ভারতবর্ষ (India) সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

 Unknown Facts about INDIA

ভারতবর্ষ (India) সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য | Bengali Gossip 24

ভারত আয়তনে পৃথিবীর সপ্তম বৃহত্তম দেশ যেখানে 130 কোটির বেশি মানুষের বসবাস রয়েছে তাই এত সংখ্যক মানুষের বসবাস থাকার দরুন দেশটি জনসংখ্যার দিক দিয়ে পৃথিবীতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত দেশটি বিশ্বের এক জনপ্রিয় গণতান্ত্রিক দেশ। যা বর্তমানে বিশ্বের বাণিজ্যিক, সামরিক এবং বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাতে পৃথিবীর যেকোন উন্নত দেশগুলির সাথে প্রতিযোগিতা করার সামর্থ্য রাখে। তাই এই বিশাল আয়তনের দেশটির সাথে জড়িত কিছু অজানা তথ্য আজ আমরা জানবো। (Unknown Facts about INDIA)

এই দেশের নাম ইন্ডিয়া রাখা হয়েছে ইন্দুস নামের নদী থেকে এবং প্রাচীনকালে এই ইন্দুস নদীর আশেপাশের অঞ্চলে বহু সংখ্যক মানুষের বসবাস ছিল। আর এই প্রাচীন মানব জাতির পরিচয় পাওয়া যায় ভারতীয় উপমহাদেশের এক প্রাচীন শহর থেকে। প্রায় বিংশ শতাব্দীতে এই শহরে যে পুরাতন সভ্যতার পরিচয় পাওয়া গেছে তাকে ইন্দুস ভ্যালি সিভিলাইজেশন বলে। বর্তমানে এই সভ্যতার তৈরি এলাকাগুলি আফগানিস্তান পাকিস্তান এবং ভারতের কিছু অংশে ছড়িয়ে রয়েছে। মনে করা হয় এই সভ্যতার শুরুতে সেখানে 5 মিলিয়নের বেশি মানুষের বসবাস ছিল। তবে ভারতের এই বিশাল জনসংখ্যার মধ্যে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ আছে। যেখানে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, জৈন, বৌদ্ধ সম্প্রদায় মানুষের বসবাস আছে। তাই যেহেতু এটি একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তাই সকল ধর্মের সমান অধিকার ভারতের সংবিধানে দেখা যায়। তারই ফলস্বরূপ দেশটিতে যে রকম বহু মন্দির নির্মিত হয়েছে, তেমনি বহু মসজিদ এবং গির্জা ভারতে দেখা যায়। তাই অনুমান করে বলা হয় ভারতে প্রায় 3 লক্ষের মত মসজিদ আছে। যা হয়তো সংখ্যায় বেশ কয়েকটি দেশের তুলনায় বেশি হতে পারে এবং যেহেতু ভারতের স্থান বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর তালিকায় আছে তাই বেশি উপস্থিত শিক্ষিত এবং কর্মক্ষম মানুষ দের অবদান অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। 


ফলে পৃথিবীর উন্নত এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার তথা বৈজ্ঞানিক দের তালিকা ভারতীয়দের নাম আসে। তাই বলা হয় বিশ্বের নামিদামি কোম্পানির সিইও থেকে শুরু করে নাসার বৈজ্ঞানিক কেন্দ্রগুলিতে ভারতীয়রা উপস্থিত রয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে ইনফরমেশন টেকনোলজির ক্ষেত্রে ভারতের ইনফোসিস, উইপ্রো এবং টিসিএস এর মতো কিছু সংস্থাগুলি আজ পৃথিবীর যেকোনো বড় বড় কোম্পানিগুলো সাথে পাল্লা দিতে সক্ষম। তাই এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সময়ে যে ভাষাটি সর্বাধিক বেশি ব্যবহার করা হয় তা হলো ইংরেজি এবং ভারতের দুটি আধিকারিক ভাষা হলো হিন্দি এবং ইংরেজি। আর এই ভাষাটির সাথে এক অবাক করা কথা ভারতের সঙ্গে জড়িত আছে। মনে করা হয় আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় সর্বাধিক সংখ্যক ইংরেজি ভাষী মানুষ নাকি ভারতে থাকে। যাদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার 10 শতাংশের কিছু বেশি হতে পারে।


ভারতের রাজধানী হিসেবে পরিচিত নিউ দিল্লী। যেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ থেকে শুরু করে বহু বিশিষ্টজনের বসবাস রয়েছে। তবে দিল্লির মহারাষ্ট্র রাজ্যের অন্তর্গত মুম্বাই শহর টি দেশের আর্থিক রাজধানী তথা দেশের বৃহত্তম শহর হিসেবে পরিচিত। আর মুম্বাই শহরে রয়েছে বিশ্বের সর্বাধিক সংখ্যক চলচ্চিত্র প্রস্তুতকারক সংস্থা। মনে করা হয় মুম্বাইয়ের বলিউড নামের এই ইন্ডাস্ট্রিতে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক চলচ্চিত্র তৈরি করা হয়। যা হলিউডের থেকেও বেশি। আর এইসব ফিল্ম গুলি আয়ের ক্ষেত্রে হলিউডের থেকে কোন অংশে কম নয়। এই বলিউডের ফিল্মগুলি পাশ্চাত্য দেশের সাথে সাথে ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিতেও বেশ জনপ্রিয়।


যেহেতু এই দেশের জনসংখ্যা বেশি সেহেতু দেশের কর্মসংস্থান একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। তাই দেশের আর্থিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত মুম্বাই, গুজরাট, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর, হায়দ্রাবাদ এবং কলকাতার মত আরো কিছু জায়গা গুলি দেশের মন কর্মসংস্থানের যোগান দেয়। তবে কর্মসংস্থানের যোগানের ব্যাপারটা যদি বলা হয় তবে সরকারি ক্ষেত্রে ভারতের সবথেকে বেশি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে ভারতীয় রেল। যেখানে 1.3 মিলিয়ন বেশি সংখ্যক মানুষ কাজ করে। আর পৃথিবীতে ভারতীয় রেল ব্যবস্থা কে চতুর্থ সবথেকে বড় রেলওয়ে নেটওয়ার্ক হিসেবে ধরা হয়। যেখানে প্রত্যেক দিন 13 হাজারের মতো শুধুমাত্র প্যাসেঞ্জার ট্রেনের চলাচল আছে এবং প্রতিদিন ভারতের লক্ষাধিক মানুষ এই রেলওয়ে মাধ্যমের ব্যবহার করে থাকে। 


এছাড়াও মানব কম্পিউটার নামে পরিচিত শকুন্তলা দেবী এই ভারতেই জন্মেছেন। ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে শকুন্তলা দেবী 1980 সালে 13 ডিজিট নাম্বারের এক বড় মাপের গুণ কে মাত্র 28 সেকেন্ডের মধ্যে সমাধান করে ফেলেছিলেন। তাই এই অসাধারণ ক্ষমতার জন্য তিনি মানব কম্পিউটার নামে পরিচিতি পান। কিন্তু দেশটির উন্নতি প্রাচীনকাল থেকেই শুরু হয়েছে যেখানে গণিতের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত শূন্য আবিষ্কার এই ভারতেই হয়। আর এর কৃতিত্ব দেওয়া হয় পৌরাণিক গণিতজ্ঞ আর্যভট্ট কে। আর এর সাথে ক্যালকুলাস এবং ত্রিকোনোমিতির  উৎপত্তি ও নাকি ভারতের থেকেই হয়।


সাধারণত আমাদের আশেপাশে প্রতিবেশী বা পাড়া গুলিতে ছোটো বড়ো কিছু পরিবার দেখে থাকি। কোন পরিবারে একজন কোথাও পাঁচজন আবার কোথাও তার থেকেও বেশি দেখে থাকি, কিন্তু ভারতের মিজোরাম রাজ্যে এক পরিবার আছে যেখানে 180 জনের মত মানুষ থাকে আসলে বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকার এই রাজ্যটিতে এক ব্যক্তি থাকেন যার 39 জন স্ত্রী, 94 জন ছেলেমেয়ে এবং কিছু নাতি এবং নাতনি আছে। তাই এই এত সংখ্যক সদস্য সম্পন্ন পরিবারটি এখন ভারতে যথেষ্ট জনপ্রিয়।


তাই ভারতের গৌরব এর তালিকা অন্যান্য যে কোন উন্নত দেশগুলো থেকে কম নয়। আর আশা করা যায় ভবিষ্যতে এই তালিকায় ভারতের গৌরব ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে। তো এই ছিলো সকল দেশের সেরা আমাদের ভারতবর্ষ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

সিডনি শহর কেন বিখ্যাত? অস্ট্রেলিয়া | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই


সিডনি শহর কেন বিখ্যাত? অস্ট্রেলিয়া | Bengali Gossip 24

Unknown Facts about Sydney 

আজ আমরা এমন এক শহর সম্পর্কে জানবো সেই শহরের সম্পর্কে বলার আগে আপনাদের জানিয়ে দিই যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী বিদেশে পড়ার উদ্দেশ্য রাখেন অথবা ক্রিকেট খেলার প্রেমী, যারা ক্রিকেটকে নিজেদের জীবনের অঙ্গ মনে করেন তাদের জন্য এই শহরের পরিচয় নতুন নয়। আমরা কথা বলছি অস্ট্রেলিয়া এবং ভৌগোলিক অঞ্চল ওশেনিয়ার মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল শহর সিডনির ব্যাপারে। তবে স্পেশাল ব্যাপারটা হলো যারা মাছ খেতে ভালোবাসেন তাদের জন্য। বিশ্বের তৃতীয় সব থেকে বড় মাছ বাজার রয়েছে সিডনিতে। সিডনি ফিস মার্কেট নামে পরিচিত এই বাজার প্রতিবছর 3.5 মিলিয়ন পর্যটক আকর্ষণ করে। তাই আর দেরি না করে যারা সিডনিতে আছেন তারা একটা ব্যাগ হাতে নিয়ে চলে যান আর নিয়ে আসুন আপনাদের পছন্দের মাছ আর প্রাণ ভরে খান। 

তো আজ আমি আপনাদের জানাবো অস্ট্রেলিয়ার প্রাণ কেন্দ্র সিডনি সম্পর্কে এমন কিছু অজানা তথ্য যা হয়তো আপনারা জানেন না। (Unknown Facts about Sydney) 

অস্ট্রেলিয়ার নিউসাউথ ওয়েলস রাজ্যের রাজধানী সিডনি শহর। প্রায় 30 হাজার বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার আদিম আদিবাসী মানুষ এই শহরে তাদের বসতি স্থাপন করে। ব্রিটিশ লেফটেনেন্ট জেমস কোক 1770 সালের কার্নেল উপদ্বীপের বোটানি উপসাগরের আদিবাসী জাতির মানুষের মুখোমুখি হয়। সেই সময়টা ছিল ব্রিটিশদের প্রথমেই এই অঞ্চলে পদার্পণ। ব্রিটিশরা স্থানীয়দের ইউরা বলে অভিহিত করতো। তাদের নতুন উপনিবেশ স্থাপনের জন্য কাঁদের নিয়ে আসে আপনি জানলে অবাক হবেন তারা হলো সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীদের। কিছু অপরাধী এবং উপযুক্ত কারিগর নিয়ে তারা তাদের উপনিবেশ স্থাপন শুরু করে। কেবলমাত্র 1788 থেকে 1792 সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত 3546 জন পুরুষ এবং 766 জন মহিলাকে সিডনিতে নিয়ে আসা হয়। ব্রিটিশ রা তাদের দমন নীতি প্রমাণ দেয় যুদ্ধের মাধ্যমে। স্থানীয় অধিবাসী এবং ব্রিটিশ সেনাদের মধ্যে 1788 থেকে 1816 পর্যন্ত চলে। 1816 সালে যুদ্ধের তাৎক্ষণিক অবসান ঘটে কয়েকজন আদিবাসী মৃত্যুর পর। কিন্তু পরবর্তীকালে 1934 পর্যন্ত কয়েকটি যুদ্ধ ঘটে থাকে। তবে ব্রিটিশদের অধীনে থাকা অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহর আধুনিকতার অনেক ছোঁয়া পেয়েছে। 

সিডনির ট্রাম নেটওয়ার্ক ব্রিটিশদের অধীনে থাকা সমস্ত কলোনির মধ্যে বৃহত্তম ছিলো। এই ট্রামপথ 1859 থেকে 1961 পর্যন্ত বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বড় এবং ব্যস্ততা ট্রাম পথের একটি ছিলো। 1861 থেকে 1866 সাল পর্যন্ত ঘোড়ায় টানা ট্রাম রাস্তায় চলতো। কিন্তু রাস্তার ক্ষতি এবং দুর্ঘটনার কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। পরে আবার 1879 থেকে স্টিম ইঞ্জিনের ম্যাডামে চালু করা হয়। 

2019 সাল পর্যন্ত সিডনির জনসংখ্যা 53 লক্ষ 12 হাজার 163 জন। যেহেতু এটি অস্ট্রেলিয়ার সবথেকে জনবহুল শহর তাই এখানকার জনঘনত্বও বেশি 463 জন। 2016 সালে এক তথ্য সামনে আসে সেখানে দেখা যায় সিডনির মোট জনসংখ্যার 42.9 শতাংশ জনগণ শহরের বাইরে জন্মেছেন। এই বিশাল জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশ ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ভার, চীন এবং আরো কয়েকটি দেশ থেকে আগত ইমিগ্রেন্ট। সিডনিতে 38.2% মানুষ ইংরেজি ভাষা বাদে আরো কয়েকটি ভাষায় কথা বলতে পারে। এই ভাষাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ভাষা ক্যান্টোনিজ, গ্রিক, ম্যান্ডারিন, ভিয়েতনামি ভাষা। 

বৃটেনের একটি জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা অনুযায়ী 2009 সালে বিশ্বের পঞ্চম সবথেকে সুরক্ষিত শহর ছিল সিডনি। বিশ্বের এক ঐতিহ্যবাহী শহর হিসেবে পরিচিতি প্রাপ্ত শহরের কিছু নিদর্শন, স্থান এবং নির্মাণের কয়েকটি সম্বন্ধে জানা যাক। প্রথমেই আসি সিডনি অপেরা হাউস- এই আনুষ্ঠানিক ভবনে অনেক ধরনের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবছর লক্ষাধিক পর্যটক যখন অস্ট্রেলিয়াতে বেড়াতে আসে তখন তারা অবশ্যই সিডনি অপেরা হাউসে বেড়াতে আসে। বিশ্ব প্রসিদ্ধ সিডনি অপেরা হাউস জনসাধারণের জন্য 1973 সালে খোলা হয় এবং এটি 2007 সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে নির্বাচিত হয়। 

অস্ট্রেলিয়ান মিউজিয়াম- নিউসাউথ ওয়েলসের এক স্থানে এই মিউজিয়ামটি অবস্থিত। অস্ট্রেলিয়ার সবথেকে পুরনো জাদুঘর হলো এটি। এই প্রাচীন জাদুঘর 193 বছর আগে 1827 সালে স্থাপিত। তখন এই জাদুঘর টি খুবই ছোটো ছিলো। যদি আপনারা পুরো চিত্র দেখতে ভালোবাসেন তাহলে আর্ট গ্যালারি নিউ সাউথ ওয়েলস এর থেকে ভালো জায়গার হতে পারে না। এই গ্যালারিতে প্রথম চিত্র প্রদর্শনী 1874 সালে অনুষ্ঠিত হয়। 

সারা বিশ্বজুড়ে অনেক ব্রিজ নির্মিত হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম সেতু সিডনি হারবার ব্রিজ। ধনুক আকৃতির এই সেতুর নির্মাণ 1923 থেকে 1932 সাল পর্যন্ত চলে। এই ঝুলন্ত ব্রিজে গাড়ি, সাইকেল এগুলি চলতে পারে। 

অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম উঁচু টাওয়ার সিডনি টাওয়ার। 309 মিটার উঁচু টাওয়ার সিডনির সবথেকে উঁচু এবং সমগ্র দক্ষিণ গোলার্ধে সবথেকে উঁচু পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। বিখ্যাত এই টাওয়ার টি 1981 সালে নির্মিত হয়ে সাধারণ মানুষের সামনে আসে। 

আপনার যদি সৈকত বা জলবন্দর ভালো লাগে তবে তার জন্য সিডনি হারবার রয়েছে। সিডনি হারবার বর্তমানে বিশ্বের গভীরতম প্রাকৃতিক বন্দর এর একটি। সঙ্গে সমস্ত ধরনের খেলা যেমন ক্রিকেট, ফুটবল, হকি রাগবি এবং 2000 সালের সামার অলিম্পিক। তাছাড়া অস্ট্রেলিয়া কে সারা বিশ্বের মানুষ ক্রিকেটের জন্য চিনে। সেখানে অনেক ক্রিকেট খেলার স্টেডিয়াম রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড। 

12367.7 বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই শহরে অনেক কিছু দেখার জায়গা আছে। কিন্তু আকর্ষণের মধ্যে আরো কয়েকটি তথ্য রয়েছে। সিডনি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিচিত স্থান। কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। আর হলিউড সিনেমাতে তো আমরা এই শহরকে প্রায়ই দেখতে পাই।

সমগ্র অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সর্ববৃহৎ অর্থনীতি রয়েছে সিডনি শহরে। পর্যটন, ব্যাংকিং, অস্ট্রেলিয়ান স্টক এক্সচেঞ্জ এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ অস্ট্রেলিয়ার সদর দপ্তর সিডনি শহরে রয়েছে। তারপর যেকোন শিল্প বলুন নানা রকম দ্রব্যের কারখানায় সমস্ত কিছু রয়েছে এই সিডনি শহরে। তার ফলে শহরে বিভিন্ন চাকরিও তুলনামূলক বেশি। সমস্ত কিছু পর্যবেক্ষণ করে বলতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র সিডনি শহর।

ভালো আবহাওয়া এবং বৈচিত্র্যময় সুন্দর শহর হলো এই সিডনি । তো এই ছিলো সুন্দর শহর সিডনি সম্পর্কে কিছু তথ্য।


কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

রেল লাইনের উপর জল জমা সত্ত্বেও ট্রেন চালক কিভাবে ট্রেন কে চালিয়ে নিয়ে যায়? Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

রেল লাইনের উপর জল জমা সত্ত্বেও ট্রেন চালক কিভাবে ট্রেন কে চালিয়ে নিয়ে যায়? ট্রেনের সামনে হঠাৎ কেউ চলে আসলে চালক ব্রেক মারে না কেনো? 

রেল লাইনের উপর জল জমা সত্ত্বেও ট্রেন চালক কিভাবে ট্রেন কে চালিয়ে নিয়ে যায়? ট্রেনের সামনে হঠাৎ কেউ চলে আসলে চালক ব্রেক মারে না কেনো? Bengali Gossip 24


আজ আমি আপনাদের ট্রেনের সাথে সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাবো যা হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না। যেমন রেলওয়ে ট্রেক এর উপর যদি কেউ হঠাৎ এসে যায় তাহলে ট্রেনের চালক ব্রেক মারে না কেন? যেমনটা আপনারা হয়তো অনেকবার লক্ষ্য করে দেখেছেন যে কোনো পশু অথবা কোন মানুষ হঠাৎ ট্রেন লাইনের উপর দেখা গেলেও ট্রেনের চালক ব্রেক করে না অথবা গাড়ি থামায় না। সেই সাথে আপনার এটাও জানতে পারবেন রেলওয়ে ট্রেক এর উপর জল পড়ে গেলেও ড্রাইভার কিভাবে ট্রেন চালিয়ে নিয়ে যায়? এভাবে গাড়ি চালালে কি কোনো রিস্ক থাকেনা? তবে যদি আপনারা এই সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে চান তাহলে এই লেখাটি শেষ পর্যন্ত অবশ্যই পড়ে দেখবেন। 


তো চলুন প্রথমেই আমরা জেনে নিই যে রেলওয়ে ট্রেক এর উপর কাউকে দেখা সত্বেও ড্রাইভার গাড়ি থামায় না কেন? আপনারা হয়তো সকলেই লক্ষ্য করে দেখেছেন যে যখন আমরা রেলওয়ে ক্রসিং এর কাছে থাকি তখন সামনে দুটি গেট লাগানো থাকে এবং যখন ট্রেন আসে তখন ট্রেনের ফাটল বন্ধ হয়ে যায় যাতে সেই সময় কেউ লাইনের উপর না আসে। কিন্তু কিছু ওভার স্মার্ট ব্যক্তি গেট অতিক্রম করে রেল লাইনটি টপকানোর চেষ্টা করে। যার ফলে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে যায় কিন্তু আপনারা কি কখনো ভেবে দেখেছেন যখন ট্রেন চলে এবং তার সামনে থেকে কেউ আশা যাওয়া করে এবং চালক দেখা সত্ত্বেও ট্রেন থামায় না? এমনটা এই কারণে করা হয় যদি ট্রেনের সামনে কিছু আসে অথবা কাউকে দেখা যায় তাহলে ট্রেন থামানোর জন্য ট্রেনের লোকো পাইলটকে ইমার্জেন্সি ব্রেক মারতে হবে। এছাড়াও এক একটি ট্রেনে প্রায় 20/22 টি কামরা থাকে। যদি ট্রেন টি 100 কিলোমিটার গতিবেগে যাচ্ছে সেই মুহূর্তে ইমার্জেন্সি ব্রেক মারার জন্য অন্ততপক্ষে 850 মিটার দূরত্ব থাকা দরকার। এছাড়াও যদি সামনে আগত গাড়িটি পুরোপুরি ভর্তি থাকে এবং এই গাড়িটি ঘণ্টায় 80 কিলোমিটার গতিবেগে সামনের দিকে আসে তাহলে সেক্ষেত্রে ইমার্জেন্সি ব্রেক মারার জন্য কমপক্ষে এক কিলোমিটার দূরত্ব থাকা দরকার। এছাড়াও ওই এত দূর থেকে সামনে থাকা জিনিস কে দেখতে অসুবিধা হয় এবং ট্রেনের লাইন টি কিছুটা মোরা থাকে তাহলে 500 মিটার দূরত্ব থেকে দেখা খুবই কঠিন। তাই লোকো পাইলট যখন সামনে কোন জিনিস দেখে তখন তার দূরত্ব খুবই কম থাকে। এই কারণে লোকো পাইলট ট্রেন কে থামায় না। তার কাছে হর্ন ই একমাত্র ভরসা যাকে বাজিয়ে মানুষকে সতর্ক করে দেয়। 


তো এবার জেনে নেওয়া যাক রেল লাইনের উপর জল ভর্তি হয়ে যাওয়া সত্বেও কিভাবে ট্রেন চালক ট্রেন কে চালিয়ে নিয়ে যায়? মুম্বই, কলকাতা, দিল্লী এবং চেন্নাই তে বৃষ্টি হলেই এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে এটা যেকোনো জায়গায় হতে পারে। যদি রেলওয়ে ট্রেকের উপর জল জমে যায় তখন ট্রেন কে অত্যন্ত ধীরগতিতে চালিয়ে নিয়ে যায়। আসলে ট্রেক বদলানোর জন্য যে পয়েন্টগুলো থাকে তাকে ম্যানুয়ালি লক করে দেয়া হয়। ফলে ট্রেন গুলি লাইন পরিবর্তন না করে সোজাসুজি চলতে থাকে। সোজাসুজি মানে ধীর গতির ট্রেন কেবল মাত্র ধীর গতির লাইন দিয়েই চলবে, দ্রুত গতির ট্রেন শুধুমাত্র দ্রুত গতির লাইন দিয়েই চলবে। আসলে রেলওয়ে ট্রেক এর উপর জল ভর্তি হয়ে গেলে ট্রেক সার্কিট ফেল হয়ে যায় এবং সেই সাথে মইন সিগন্যাল ও বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু অটোমেটিক সিগনাল থেকে প্রত্যেক ব্যক্তি সিগনাল পোস্টে সিগনাল লাগানো থাকে এবং যার ফলে কেবল মাত্র 15 কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে চলে। ফলে কোনো রিস্ক থাকে না। 


এবার আপনাদের জানার সুবিধার্থে ভারতীয় রেলের সম্বন্ধে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়ে দিই, যা হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না। যেগুলো আপনাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জীবনযাপনে অনেকটাই সাহায্য করবে। আপনাদের বলে দিই যে ভারতের সর্বপ্রথম রেলওয়ে স্টেশন হলো ছাত্রপতি শিবাজি রেলওয়ে স্টেশন। 1853 খ্রিস্টাব্দের 16 এপ্রিল প্রথমবারের মতো রেল পরিবহন শুরু হয়েছিল। ভারতের প্রথম প্যাসেঞ্জার ট্রেন মহারাষ্ট্র থেকে মুম্বাইয়ের থানে পর্যন্ত প্রায় 35 কিলোমিটার রাস্তা যাত্রা করেছিল এবং এই যাত্রা সম্পন্ন করতে প্রায় 45 মিনিট সময় লেগেছিল সেই ট্রেনটিতে 14 টি কামরা এবং 400 জন যাত্রী ছিল। এটি ব্রিটিশ গভর্নর লর্ড ডালহৌসির সময়কালে চালানো হয়েছিল। এই কারণেই 16 এপ্রিল দিনটিতে ভারতীয় রেল পরিবহন দিবস পালন করা হয়। এছাড়াও আপনারা হয়তো সকলেই জানেন যে ভারতীয় রেল ব্যবস্থা এশিয়ার সবথেকে বৃহত্তম রেল ব্যবস্থা। সেই সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়ার পর ভারতীয় রেল নেটওয়ার্ক বিশ্বের চতুর্থ সবথেকে বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক। এছাড়াও ভারতীয় রেলওয়ে পৃথিবীর সবথেকে উচ্চতম রেলওয়ে ব্রিজ বানানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের চেনাব নদীর উপর তৈরি করা হবে যার উচ্চতা হবে আইফেল টাওয়ার এর থেকেও বেশি এবং আপনারা কি জানেন ভারতীয় রেলওয়ে এক দিনে কতটা দূরত্ব যাত্রা করে? যেটা শুনে আপনারা হয়তো অবাক হয়ে যাবেন এবং সেই দূরত্ব হলো পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের প্রায় 8 গুণ বেশি। এছাড়াও ভারতীয় রেলওয়ে ইউনেস্কো থেকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের খেতাব অর্জন করেছে আর সেটি হলো দার্জিলিং এর হিমালয় স্টেশন। 


তো এই ছিলো ভারতীয় রেল লাইন সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য। 


কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পৃথিবীর সবচেয়ে দামী পেন্টিং সম্পর্কে অজানা তথ্য | মোনালিসা চিত্রের রহস্য | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

পৃথিবীর সবচেয়ে দামী পেন্টিং সম্পর্কে অজানা তথ্য | মোনালিসা চিত্রের রহস্য 


পৃথিবীর সবচেয়ে দামী পেন্টিং সম্পর্কে অজানা তথ্য | মোনালিসা র চিত্রের রহস্য  | Bengali Gossip 24


মোনালিসা পৃথিবীর অন্যতম রহস্যময় সৃষ্টি। যা দীর্ঘ পাঁচশো বছরেরও বেশি সময় ধরে ঐতিহাসিক ও গবেষকদের আলোচনার বিষয়। প্রখ্যাত শিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চির এই সৃষ্টিকে তার অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্ম বলে মনে করা হয়। তবে আজ আমরা জেনে নেবো বিশ্বের সবচেয়ে দামী পেন্টিং মোনালিসা সম্পর্কে আশ্চর্যজনক তথ্য। (Unknown Facts about Monalisa Painting) 

মোনালিসা ছবির হাসির রহস্য নিয়ে গবেষকদের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মতামত। কারণ এই হাসি আলাদা আলাদা অ্যাঙ্গেল থেকে দেখলে সম্পূর্ণ পৃথক লাগে। কখনো মনে হয় হাসিমুখ, আবার কখনো সেই হাসি উধাও হয়ে যায়। 1503 সালে মোনালিসার ছবি বানানো শুরু করেন লিওনার্দো দা ভিঞ্চি। কিন্তু ছবিটি শেষ করেন তিনি 1517 সালে। তো স্বাভাবিক ভাবেই বলা যায় এটি ছিল উনার সব থেকে দীর্ঘ সময় ধরে চলা শিল্পকলা। আপনি জেনে অবাক হবেন যে 1911 সালের 21 শে অগাস্ট মোনালিসা ছবিটি চুরি হয়ে যায় এবং জানা যায় একজন মিউজিয়াম কর্মী এই ছবিটি চুরি করে এবং পরে ধরা পড়েন ইতালি তে। মোনালিসার মতো দেখতে আরো একটি ছবি ভিঞ্চির সমসাময়িক সময়ে একজন স্টুডেন্ট তৈরী করেছিলেন। যার নাম ছিল ফ্রান্সেসো মেজি। যা স্পেনের একটি মিউজিয়ামে সংরক্ষিত। এখনো সঠিকভাবে গবেষকরা জানতে পারেননি যে এই মোনালিসা আসলে কে ছিলেন? অনেকের মতে মোনালিসা ছিলেন ফ্লরেন্সের এক ইটালিয়ান মহিলা। কিন্তু আরো একটি মতবাদে মনে করা হয় এটি লিওনার্দো দা ভিঞ্চির ছবি যা তিনি এক মহিলার মতো কল্পনা করে এঁকেছেন। 1956 সালে এক বলিভিয়ান পর্যটক মোনালিসার এই ছবিটিকে পাথর মেরে নষ্ট করার চেষ্টা করেন। ফলে এই ছবির বাঁ দিকে একটি ক্ষত হয়ে যায়। পরে রিস্টোর করার পরও সেই ক্ষত সামান্য হলেও দৃশ্যমান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মোনালিসা কে রাখার জায়গা ছয়বার বদলানো হয়। যাতে এটি জার্মানদের হাতে না পৌঁছায়। ইতিহাসের সবচেয়ে দামি পেইন্টিং হিসেবে মোনালিসা কে মান্যতা দেয়া হয়। যার দাম এখন প্রায় 700 মিলিয়ন ডলারের থেকেও বেশি। কিন্তু এটি কেনা-বেচার অনুমতি নেই। মোনালিসা কে নিয়ে রয়েছে গান, কবিতা এবং মিউজিয়ামে মোনালিসা পর্যটকরা এখনো লাভ লেটার দিয়ে থাকেন। মোনালিসার ছবিতে মোনালিসা'র চোখের ভ্রু দেখা যায় না খালি চোখে কিন্তু গবেষকরা জানান যে ভিঞ্চি আই ভ্রু এঁকেছিলেন কিন্তু তা সময়ের সাথে অদৃশ্য হয়ে গেছে। 

তো এই ছিলো বিশ্বের সবচেয়ে দামী পেন্টিং মোনালিসার কিছু অজানা তথ্য। 


কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

বিশ্বের বৃহত্তম ১০ টি দেশের নাম জেনে নিন | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো ১০ টি দেশের নাম -

বিশ্বের বৃহত্তম ১০ টি দেশের নাম জেনে নিন | Bengali Gossip 24

পৃথিবীতে মোট স্বাধীন দেশের সংখ্যা 195 টি। এই সব দেশের প্রতিটি আয়তনে সমান নয়। এর মধ্যে যেমন কিছু দেশের আয়তন অতি ক্ষুদ্র তেমনি কিছু দেশ আবার আয়তনে বিশাল। আজকে আমি আপনাদের আয়তনের ভিত্তিতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় 10 টি দেশ সম্পর্কে জানাবো। 

নাম্বার ১০: আলজেরিয়া 

আলজেরিয়া দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকায় ভূমধ্যসাগরের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত। 23 লাখ 81 হাজার 740 বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে এটি বিশ্বের দশম বৃহত্তম এবং আফ্রিকা মহাদেশের বৃহত্তম দেশ। আলজেরিয়ার জনসংখ্যার প্রায় চার কোটি 36 লাখ। জনঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে 46 জন। আর দেশটির উপকূল রেখার দৈর্ঘ্য 998 কিলোমিটার। দেশের শতকরা 90% মরুভূমি। ভূমধ্য সাগরের তীরে অবস্থিত আলজিয়ার্স দেশের বৃহত্তম শহর রাজধানী। 


নাম্বার ৯: কাজাকিস্তান

কাজাকিস্তানের আয়তন 27 লাখ 24 হাজার 900 বর্গকিলোমিটার। যা দেশটিকে পৃথিবীর নবম বৃহত্তম দেশের মর্যাদা এনে দিয়েছে। একই সাথে এটি পৃথিবীর বৃহত্তম স্থলবেষ্টিত দেশ এর আয়তন পশ্চিম ইউরোপের আয়তন এর সমতুল্য। কাজাকিস্তান প্রায় সম্পূর্ণভাবে এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত। এই দেশটিতে বিশাল স্থল উচ্চভূমি রয়েছে। দেশের আবহাওয়া শীতল এবং শুকনো। তবে মরুভূমির মতো নয়। আবার রাশিয়ার মতো ঠান্ডা ও নয়। 1922 থেকে 1991 সাল পর্যন্ত কাজাখস্তান সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল। 1991 সালে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে। 


নাম্বার ৮: আর্জেন্টিনা

আর্জেন্টিনা বিশ্বের 32 তম সর্বাধিক জনবহুল এবং বিশ্বের বৃহত্তম স্প্যানিশ ভাষী দেশ। দেশটি দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ অংশের প্রায় পুরোটা জুড়ে অবস্থিত। আয়তনের দিক থেকে এটি দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম রাষ্ট্র। এর আয়তন 27 লাখ 80 হাজার 400 বর্গকিলোমিটার। আর্জেন্টিনার ভূপ্রকৃতি ও জলবায়ু বৈচিত্র। উত্তরের নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে দক্ষিণ মেরু অঞ্চল পর্যন্ত দেশটির বিস্তার। এর মধ্যেই আছে আন্দিজ পর্বতমালা। তবে বেশিরভাগ লোক দেশটির মধ্যভাগে অবস্থিত বিশাল উর্বর সমভূমির শহর গুলোতে বসবাস করেন। 



নাম্বার ৭: ভারত 

বিগত শতাব্দীর ভারতের সীমানা বেশ কয়েকবার পরিবর্তিত হয়েছে এবং এখনও ভারত দাবি করছে যে কাশ্মীরের উত্তর অঞ্চলের সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কাশ্মীর ছাড়া ভারতের অঞ্চল 32 লাখ 87 হাজার 263 বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। আর এই ভৌগলিক আয়তনের বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম দেশ। অন্যদিকে জনসংখ্যার বিচারে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল এবং পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। দক্ষিণ ভারত মহাসাগর, পশ্চিমে আরব সাগর ও পূর্বে বঙ্গোপসাগর দ্বারা বেষ্টিত ভারতের উপকূল রেখার সম্মিলিত দৈর্ঘ্য 7517 কিলোমিটার বন্য প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতের নানা বৈচিত্র্য এদেশে পরিলক্ষিত হয়। 


নাম্বার ৬: অস্ট্রেলিয়া 

এটি এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ পূর্বে ওশেনিয়া অঞ্চলে অবস্থিত। এর আয়তন প্রায় 76 লাখ 92 হাজার বর্গকিলোমিটার যা ভারতের আয়তনের প্রায় দ্বিগুণ। দেশটি পূর্ব-পশ্চিমে 4000 কিলোমিটার এবং উত্তর-দক্ষিণে 3700 কিলোমিটার দীর্ঘ। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের ক্ষুদ্রতম মহাদেশ কিন্তু ষষ্ঠ বৃহত্তম দেশ। একইসাথে একই ওশেনিয়া অঞ্চলের সর্ববৃহৎ দেশ। অস্ট্রেলিয়া মোট 6 টি অঙ্গরাজ্য নিয়ে গঠিত। এর রাজধানী হলো ক্যানবেরা এবং বৃহত্তম শহর হলো সিডনি। দুটি শহর ই দক্ষিণ পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত। 


নাম্বার ৫: ব্রাজিল

85 লাখ 15 হাজার 767 বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকার বৃহত্তম দেশ। এছাড়াও জনসংখ্যা ও ভৌগোলিক আয়তনের বিচারে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশ। এই দেশটিতে বসবাসকৃত মানুষের সংখ্যা প্রায় 21 কোটি। এটি আমেরিকার একমাত্র পর্তুগিজ ভাষী দেশ এবং বিশ্বের সর্ববৃহৎ পর্তুগিজ ভাষী রাষ্ট্র। ব্রাজিলের পূর্ব ভাগ আটলান্টিক মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত যার উপকূলের দৈর্ঘ্য প্রায় 7 হাজার 491 কিলোমিটার।


নাম্বার ৪: চীন  

চীনের আয়তন 95 লাখ 96 হাজার 961 বর্গকিলোমিটার। স্থলভূমির আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রাষ্ট্র।144 কোটি জনসংখ্যার এই দেশটির বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। চীনের ভূমিরুপ বিশাল এবং বৈচিত্রময়। হিমালয় এবং কারাকোরাম পর্বতমালা, পামির মালভূমি এবং থিয়েনশান পর্বতমালা চীন কে দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়া থেকে আলাদা করেছে। চীনের শাসনের আওতায় পড়েছে 12 টি প্রদেশ, 5টি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল 4 টি কেন্দ্রশাসিত পৌরসভা এবং 2 টি স্বায়ত্তশাসিত বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল। এছাড়াও চীন তাইয়ানের উপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে আসছে। 


নাম্বার ৩: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিনের চেয়ে সামান্য বড়, আবার কানাডা চেয়ে সামান্য ছোট এদেশের আয়তন প্রায় 98 লাখ 33 হাজার 530 বর্গকিলোমিটার। মহাদেশীয় যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা অতি বিস্তৃত। আটলান্টিক থেকে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত, উত্তরে কানাডা থেকে দক্ষিনে মেক্সিকো পর্যন্ত এই সীমার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। আয়তনের ভিত্তিতে বৃহত্তম অঙ্গরাজ্য হচ্ছে আলাস্কা। 


নাম্বার ২: কানাডা

কানাডার 99 লাখ 84 হাজার 670 বর্গকিলোমিটার আয়তন এই দেশটাকে পশ্চিম গোলার্ধের বৃহত্তম দেশের মর্যাদা দিয়েছে। দেশটি আটলান্টিক মহাসাগর থেকে প্রশান্ত মহাসাগর এবং উত্তরে আর্টিক মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত যার এটিকে আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশে পরিণত করেছে।এটি উত্তর আমেরিকা মহাদেশের প্রায় 40 শতাংশ এলাকা নিয়ে গঠিত।


নাম্বার ১: রাশিয়া

রাশিয়া আয়তনের দিক থেকে বর্তমান বিশ্বের বৃহত্তম দেশ। দেশটি আয়তনের দিক থেকে ইউরোপ, ওসেনিয়া ও এন্টার্কটিকা মহাদেশ তিনটির চেয়ে বড় এবং দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের চেয়ে সামান্য ছোট। এই দেশটির অধীনে রয়েছে পৃথিবীর মোট আবাসযোগ্য জমির 1/8। রাশিয়া কত বিশাল তার ধারণা যদি এখনো পাননি তাহলে জেনে রাখুন আয়তনের দিক থেকে এটি প্রায় প্লুটো গ্রহের সমান। রাশিয়ার আয়তন 1 কোটি 70 লাখ 98 হাজার 240 বর্গকিলোমিটার। তবে আয়তনে বিশাল হলেও রাশিয়াতে জনবসতি খুবই কম আসলে রাশিয়া একটি বিশাল বনভূমির দেশ। দেশের প্রায় 60 শতাংশ বনভূমি দ্বারা আচ্ছাদিত এবং এর প্রায় অর্ধেক এলাকায় এখনো মানুষের পা পড়েনি।


তো এই ছিলো বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো ১০ টি দেশ। 

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন