Knowledge is Power 😎

ব্রিটেনের রানীর কি কি ক্ষমতা রয়েছে? | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

ব্রিটেনের রানীর অদ্ভুত সব ক্ষমতা যা অন্যান্য রাষ্ট্র প্রধানের থাকে না।।

ব্রিটেনের রানীর অদ্ভুত সব ক্ষমতা | Bengali Gossip 24


বৃটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের নাম আমরা প্রায় সবাই শুনেছি। উনার রয়েছে অদ্ভুত বেশকিছু ক্ষমতা। এইসব ক্ষমতা পৃথিবীর আর কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের নেই। রানীর এই সব ক্ষমতার মধ্যে অনেকগুলো ই বিস্মিত করবে মানুষকে। তবে রানীর এই ক্ষমতা গুলো রয়েছে এবং তিনি চাইলেই তৎক্ষণাৎ এগুলো প্রয়োগ করতে পারেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক রানীর বিস্ময়কর সব ক্ষমতা।


ব্রিটেনের রানী চাইলেই যেকোনো আইন যখন ইচ্ছে তিনি অমান্য করতে পারেন। কিন্তু উনি এটা কখনোই করেন না। কারণ উনি খুবই বিনয়ী। 


ব্রিটেনের রানীর প্রয়োজন হয় না কোন পাসপোর্টের। বৃটেনের রাজপরিবারের সবার ই পাসপোর্ট এর প্রয়োজন হয়। একমাত্র রানী ব্যথিত। পাসপোর্ট ছাড়াই রানী ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিশ্বের এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে। তিনি এই পর্যন্ত 94 বার বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন। তার যতই বয়স বাড়ছে তার ঘুরে বেড়ানো বাড়ছে সমান তালে।


রানী কোন লাইসেন্স ছাড়াই গাড়ি চালাতে পারেন। বৃটেনের জনসাধারণের ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করতে হয় রানীর নামেই। পুরো ব্রিটেনে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যার গাড়ি চালাতে কোন লাইসেন্স বা নাম্বার প্লেট এর প্রয়োজন হয় না। তবে লাইসেন্স না থাকলেও তিনি কিন্তু বেশ ভালই গাড়ি চালাতে পারেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি একটি ফাস্ট ট্রাক চালিয়ে ছিলেন। আর সেটি হচ্ছে উইমেন্স অক্সিলিয়ারী টেরিটোরিয়াল সার্ভিসের জন্য। আর এই উইমেন্স অক্সিলিয়ারী টেরিটোরিয়াল সার্ভিস হলো ইংল্যান্ডে নারীদের জন্য একটি পৃথক সেনাবাহিনী। এই সেনাবাহিনীর অংশ হিসেবে রানী এলিজাবেথ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। 


ব্রিটেনের রানীর কাছে রয়েছে যুদ্ধ বাধিয়ে দেওয়ার বিশেষ ক্ষমতা। রানী যেকোনো সময় পৃথিবীর যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বাধিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখেন।এমনকি  যুক্তরাজ্যের সংসদ কোন দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে চাইলে তার আগে রানীর অনুমতি নিতে হবে। 


টেমস নদীর সবগুলো রাজহাঁস রানীর মালিকানাধীন। রয়াল ফ্যামিলির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের সূত্রে জানা যায় ব্রিটেনের জলাশয়ের সবগুলো রাজহাঁস প্রকৃতপক্ষে রানীর মালিকানাধীন। তবে রানীর এই ক্ষমতা শুধু টেমস এবং তার শাখা নদী গুলোর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। প্রতিবছর ব্রিটেনের রাজহাঁসদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করা হয়, সেখানে টেমস নদীর সব রাজহাঁস কে ধরে তাদের রাজকীয় রাজহাঁস হিসেবে চিহ্নিত করে আবারও ছেড়ে দেয়া হয়। 


রানী এলিজাবেথ কর বা রাজস্ব দিতে বাধ্য নন। বৃটেনের কোন আইনে রানীর কর দেওয়া নিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু 1992 সাল থেকে রানী স্বেচ্ছায় আয়কর এবং মূলধনী কর দিয়ে আসছেন। রানীর অনুমতি এবং স্বাক্ষর ছাড়া বৃটেনের কোন আইন পাশ করা হয় না। 


ব্রিটেনের রানীর রয়েছে অদ্ভুত এক ক্ষমতা। তিনি চাইলেই অন্যের সন্তানকে কেড়ে নিতে পারেন। ব্রিটেনের আইন মতে উনি দেশের সমস্ত বাচ্চার আনুষ্ঠানিক অভিভাবক। তাই তিনি চাইলেই কারো বাচ্চাকাচ্চা কেড়ে নিতে পারেন। কিন্তু চিন্তার কোনো কারণ নেই, উনি এমনটা কখনোই করেন না।


কোন আদালত রানীকে অভিযুক্ত করতে পারেনা। কোন আদালত চাইলেই কোন মামলায় অভিযুক্ত করতে পারবে না। উনার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা যাবে না। এমনকি উনি নিজেও কোন মামলার সাক্ষী হতে পারবেন না। পৃথিবীর কোনো আদালত ইংল্যান্ডের রানী এলিজাবেথের বিচার করার ক্ষমতা রাখে না। 


অন্যের সম্পদ হরণ করার বিধান রয়েছে রানীর কাছে। রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থায় রানী প্রয়োজনে যে কারো সম্পত্তিতে অনুপ্রবেশ, দখল কিংবা চাইলে ধ্বংসও করতে পারেন। তবে দেশের সবাই উনাকে ভরসা এবং সম্মান করেন। 


রানীর নিজস্ব একটি এটিএম মেশিন আছে। রাজ পরিবারের কেউই এই মেশিন ব্যবহার করতে চাইলে রানীর অবশ্যই অনুমতির দরকার আছে। 


অস্ট্রেলিয়ার সরকার কে বহিষ্কার করার ক্ষমতা রয়েছে ব্রিটেনের রানীর কাছে। অস্ট্রেলিয়ার আনুষ্ঠানিক সরকারপ্রধান রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ নিজেই। এই পদের কারণে অস্ট্রেলিয়ার সরকারের উপর রানীর বেশকিছু ক্ষমতা রয়েছে। যেমন 1975 সালে অস্ট্রেলিয়ায় রানীর প্রতিনিধি গভর্নর জেনারেল তৎকালীন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী কে বহিষ্কার করেছিলেন। যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও রানী আরো 14 টি রাষ্ট্রের প্রধান।


তো এই ছিল ব্রিটেনের রানীর কিছু অদ্ভুত সব ক্ষমতা যা অন্যান্য রাষ্ট্র প্রধানের থাকে না।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন