Bengali Gossip 24

Knowledge is Power 😎

ব্যয়বহুল শহর সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত অজানা তথ্য | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত অজানা তথ্য

ব্যয়বহুল শহর সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে  বিস্তারিত অজানা তথ্য | Bengali Gossip 24


পৃথিবীর বুকে এক টুকরো স্বর্গ বলা হয় যে দেশটিকে তার নাম হলো সুইজারল্যান্ড। দেশটি বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের কাছে স্বপ্নের মতো সত্যিই অপূর্ব এক দেশ। শুধু বেড়ানোর জন্যই নয় সব বিচারের দেশ হিসেবে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা লাভ করেছে ইউরোপের ছোট্ট এ দেশটি। অনেকেই মনে করে সুইজারল্যান্ড মানেই হচ্ছে রোলেক্স ঘড়ি, দামি সব লোভনীয় চকলেট আর ব্যাংক এর দেশ।  কিন্তু অনেকের মত আপনিও যদি এমন কিছু মনে করেন তাহলে ভুল হবে। কারণ এসবের বাইরেও সুইজারল্যান্ডে মধ্যে অনেক কিছুই আছে যা অনেকেরই অজানা।

Unknown Facts about Switzerland)


সুইজারল্যান্ড মধ্য ইউরোপে অবস্থিত হলেও দেশটি কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত নয়। দেশটির প্রাতিষ্ঠানিক নাম সুইস কনফেডারেশন। অনন্য সুন্দর প্রকৃতি ও সর্বোন্নত শহুরে জীবন থাকা সত্বেও সুইটজারল্যান্ডের বহু মানুষ মাদকযুক্ত। সুইটজারল্যান্ডের প্রশাসনিক রাজধানী বার্ন হলেও সবচেয়ে পরিচিত শহরগুলো হল জুরিচ এবং জেনেভা। সুইজারল্যান্ড এর প্রশাসনিক বিভাগ গুলো কে বলা হয় কেন্টন। এই দেশে মোট 26 টি কেন্টন আছে। এগুলি সবগুলোই অতীতে আলাদাভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল। 26 টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বাধীন রাষ্ট্র একত্রিত হয়ে সুইজারল্যান্ড গড়ে উঠলেও দেশটি আয়তনে খুবই ছোট। তবে ছোট হলেও এই দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ খুবই সুস্থির। যদিও বেশিরভাগ দেশে রাষ্ট্রপতি চার কিংবা পাঁচ  বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করে থাকেন জানলে অবাক হবেন যে প্রতিবছরই জানুয়ারি মাসের 1 তারিখে দেশটির রাষ্ট্রপতি পরিবর্তিত হয়। ছয় বছরের জন্য নির্বাচিত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা পালাক্রমে এক বছর পরে রাষ্ট্রপতি দায়িত্ব পালন করেন। এখানকার নাগরিকরা রাষ্ট্রীয় সকাল কাজে সরাসরি অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়। তাই দেশটির যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীর গতিতে চলে।


সুইজারল্যান্ডের নাগরিকরা চাইলে আইনেরও পরিবর্তন করতে পারেন। যদি তারা সংশ্লিষ্ট আইনের বিরুদ্ধে 100 দিনের মধ্যে 50 হাজার স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে পারেন তবে একটি জাতীয় ভোট অনুষ্ঠিত হয় এবং ভোটাররা আইনটি গ্রহণ করবেন নাকি প্রত্যাখ্যান করবেন তা সাধারন সংখ্যাগরিষ্ঠতা দ্বারা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।


বিশ্বের সর্বোচ্চ জীবনযাত্রারমানের বিচারে  সুইজারল্যান্ড বরাবরই শীর্ষ তিনের মধ্যে থাকে। দেশটি পৃথিবীর ধনী রাষ্ট্র গুলির মধ্যে অন্যতম। সুইজারল্যান্ডের এক সুইস ফ্রাঙ্ক ভারতের প্রায় 81 টাকার সমান। সবচেয়ে অবাক করার ব্যাপার হচ্ছে সব দেশে যদি অর্থনৈতিক মন্দায় মুদ্রার মান একেবারেই কমেও যায় সুইজারল্যান্ডের মুদ্রার মান কখনোই কমে না। এদেশে ব্যাংক গুলি কালো টাকা নিরাপদে রাখার জন্য বিখ্যাত। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের অবৈধ সম্পদ সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে অনায়াসে জমা রাখতে পারে।


বিশ্ব বাণিজ্য এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য সুইজারল্যান্ড অত্যন্ত সহজ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। তাছাড়া সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে রয়েছে জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন এর সদর দপ্তর। 


সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত অজানা তথ্য


সুইজারল্যান্ডের অপরূপ সুন্দর গ্রাম গুলিতে বেশি মানুষ থাকে না। এই দেশে প্রায় 85 শতাংশ মানুষ শহরে বাস করে। আর এই দেশের একাধিক শহর পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল নগরের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। পৃথিবীর শীর্ষ দশটি বসবাস যোগ্য শহরের তালিকায় সুইজারল্যান্ডের ই রয়েছে তিনটি শহর।


সুইজারল্যান্ডের মানুষের গড় মাসিক বেতন প্রায় 5 থেকে 7 লক্ষ টাকা। সেই সাথে সেখানে বেকারত্বের হার খুবই কম। উন্নত জীবন আর অধিক বেতনের আশায় বহু বিদেশি নাগরিক এই দেশে পাড়ি জমায়। সুইজারল্যান্ডের বাসিন্দাদের চার ভাগের এক ভাগে হলো বহিরাগত।


এদেশের সুযোগ-সুবিধা এবং জীবনযাত্রার মানের দিকে দেখলে ঘর ভাড়া তেমন একটা বেশি না তবুও সুইজারল্যান্ড এর সবচেয়ে জনবহুল শহর জুরিচে তিন রুমের একটি সাধারণ ঘর ভাড়া নিতে হলে প্রতি মাসে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে।


সুইজারল্যান্ডের নাগরিকরা শতভাগ শিক্ষিত।উচ্চ শিক্ষার দিক থেকে ওরা অনেক উন্নত। জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেশি হলেও এই দেশের নাগরিকরা নামেমাত্র খরচে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী অর্জন করতে পারেন। শিক্ষকতা সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে সম্মানজনক পেশা হিসেবে গণ্য করা হয়। এখানে একজন শিক্ষক সপ্তাহে 25 ঘন্টা কাজ করে 2500 মার্কিন ডলার আয় করেন। অনেকেই মজা করে সুইজারল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে বলে থাকেন নোবেল প্রাইজ তৈরীর মেশিন। কারণ সুইস বিশ্ববিদ্যালয় গুলো থেকেই এখন অবধি 113 জন নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।


সুইজারল্যান্ডের চকোলেট বিশ্বব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়। এখানে আপনি অনেক কম দাম থেকে অনেক বেশি দামের চকলেট পেয়ে যাবেন অনায়াসে। প্রতিবছর একেকজন সুইস নাগরিক প্রায় 10 কেজি চকোলেট  খেয়ে থাকেন।


আপেক্ষিকতার সূত্র E=MC^2  বিজ্ঞানের ছাত্র ছাড়াও অনেকে জেনে থাকবেন। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন সুইজারল্যান্ডে বসেই আপেক্ষিকতার এই বিখ্যাত সূত্রটি আবিষ্কার করেছিলেন।


সুইজারল্যান্ডে প্রায় 1500 লেক রয়েছে। মজার ব্যাপার হলো দেশটিতে গেলে প্রতি 10 থেকে 12 কিলোমিটারের মধ্যে কোথাও না কোথাও লেক দেখতে পাওয়া যায়। 


তো এই ছিল মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এবং শান্তিপ্রিয় সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।


কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

রতন টাটা বনাম ফোর্ড | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

রতন টাটার প্রতিশোধের গল্প 

রতন টাটা বনাম ফোর্ড | Bengali Gossip 24


ভারতের জনপ্রিয় শিল্পপতি রতন টাটা বুজিয়ে দিয়েছেন যে প্রতিশোধ নিতে হলে কাউকে শারীরিক, মানসিক কিংবা আর্থিক ভাবে ক্ষতি করতে হয় না। 1991 সালে রতন টাটা টাটা গ্রূপের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেই সময় টাটা গ্রুপ ছিল ভারতের সবচেয়ে বড় ট্রাক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এই সাফল্যের ধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে 1998 সালে রতন টাটা আধুনিক প্যাসেঞ্জার কার তৈরি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।পরিকল্পনা অনুযায়ী, 1998 সালের শেষ দিকে টাটা মোটরস টাটা ইন্ডিকা নামে একটি আধুনিক কার লঞ্চ করতে সক্ষম হয়। টাটা ইন্ডিকা ছিল ভারতের কোনো কোম্পানি কর্তৃক ডিজাইনকৃত প্রথম আধুনিক কার। এটি ছিল রতন টাটার স্বপ্নের প্রজেক্ট। এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু যখনই কারটি বাজারে আসে এটির বিক্রি বা জনপ্রিয়তা একেবারেই আশানুরূপ ছিল না। এই কারের বিক্রির হার ছিল খুবই নগন্য। ফলে টাটা গ্রুপ তাদের কার বিজনেস বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। 1999 সালে বিখ্যাত ফোর্ড কোম্পানি টাটা গ্রুপের কার বিজনেস ক্রয় করার আগ্রহ  প্রকাশ করে। সে অনুযায়ী তারা টাটা গ্রপকে  ফোর্ড কোম্পানির হেড অফিসে আমন্ত্রণ জানায়। রতন টাটা এবং তার টিম ফোর্ডের আমন্ত্রণে সেখানে যান। টাটা গ্রুপ এবং ফোর্ড কোম্পানির প্রতিনিধিগণ সেখানে তিন ঘণ্টার একটি দীর্ঘ মিটিংয়ে বসে। কিন্তু সেখানে রতন টাটা তার টিমের সামনে ফোর্ডের চেয়ারম্যান বিল ফোর্ড কর্তৃক বাজে ভাবে অপমানিত হন। উক্ত মিটিংয়ে বিল ফোর্ড রতন টাটাকে বলেছিলেন আপনি কিছুই জানেন না তাহলে আপনি কেন পেসেঞ্জার কার নির্মাণ শুরু করেছেন? আমরা আপনার কার বিজনেস ক্রয় করে আপনাকে বড় ধরণের একটা অনুগ্রহ দেখাচ্ছি।


টিমের  সামনে এমন বাজে ভাবে অপমানিত হয়ে রতন টাটা আর স্থির থাকতে পারলেন না। তিনি সাথে সাথে টিম মেম্বারদের নিয়ে মিটিং রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন। সেই রাতেই রতন টাটা তার কার বিজনেস বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেই রাতেই তিনি মুম্বাইয়ে ফিরে আসেন। 


তারপর তিনি তার সমস্ত মনোযোগ টাটা মোটরসে প্রদান করেন। রতন টাটা এবং তার টিম মেম্বারদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জোরে এক সময় টাটা মোটরস সারাবিশ্বে স্বনামধন্য কোম্পানিতে পরিণত হয়। 2008 সালে টাটা মোটরস মার্কেটে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত কার কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু অপরদিকে ফোর্ড কোম্পানিকে তাদের বিকৃত গাড়ি থেকেই লভ্যাংশ উঠতেই হিমশিম খেতে হচ্ছিল।


এরপর একই বছর অর্থাৎ 2008 সালে রতন টাটা ফোর্ড কোম্পানি থেকে জাগুয়ার এবং ল্যান্ড রোভার এই দুইটি গাড়ি ক্রয়ের অফার পান।


সেই সময় এগুলি ছিল ফোর্ড কোম্পানির সবচেয়ে কম বিক্রিত গাড়ি গুলোর মধ্যে অন্যতম। এবং ফোর্ড এই দুটি গাড়ির কারণে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তখন বিল ফোর্ড  তার টিমকে সাথে নিয়ে মুম্বাই শহরে আসেন। এই মিটিংয়ে বিল ফোর্ড রতন টাটাকে বলেন এই গাড়িগুলো ক্রয় করি আপনি আমাদের জন্য বড় অনুগ্রহ প্রদর্শন করলেন। এটা শুনে রতন টাটা চাইলেই খুব সহজ এবং স্বাভাবিক ভাবেই 1999 সালে বিল ফোর্ডের করা সেই অপমানের প্রতিশোধ নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি বরং তিনি সেসময় বড় মনের এবং ভালো মানসিকতার পরিচয় দেন। বর্তমানে জাগুয়ার এবং ল্যান্ড রোভার টাটা মোটরসের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত গাড়ি গুলোর মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে টাটা মোটরস সারা বিশ্বে পরিচিত এবং অন্যতম বড় এটি কার কম্পানি। আর এখন রতন টাটা বিশ্বজুড়ে সর্বজন সমাদৃত একজন ব্যবসায়ী। শুধুমাত্র তার বিশাল সাম্রাজ্য এবং ব্যবসার জন্যই নয়, তার দয়া এবং বিনয়ী আচরণের জন্য টাটা গ্রপ তাদের লাভের প্রায় 65 শতাংশ বিভিন্ন চ্যারিটি সংস্থায় দান করে।


ফোর্ডের সাথে রতন টাটার এই গল্প আমাদের শিক্ষা দেয় যে সফলতায় সবচেয়ে বড় প্রতিশোধ।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

করোনা কালে যে সকল বলিউড তারকা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

 


ভারতে করোনা মহামারীর সংক্রমণ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়লেও হেব্বি খোশ মেজাজে আছেন বেশ কিছু বলিউড তারকা। এমন ক্রান্তিকালেও জাহ্নবী কাপুর, দিশা পাতানি, আলিয়া ভাট, রণবীর কাপুর, শ্রদ্ধা কাপুর, টাইগার শ্রফ, সারা আলী খান সহ বেশকিছু বলিউড তারকারা লকডাউন থেকে মুক্তি পেতে চলে গিয়েছেন মালদ্বীপে। আবার কেউবা গোয়াতে ছুটি কাটাচ্ছেন। লকডাউনে মালদ্বীপ ভ্রমণে সারা আলি খান সেখান থেকে ইনস্টাগ্রামে একের পর এক ছবি পোস্ট করে যাচ্ছেন। মালদ্বীপের সৈকতে  দেখা যায় সাইফ অমৃতা কন্যাকে। পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায় আকাশের অপূর্ব দৃশ্যের সৈকতে খালি পায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে সারা। সাথে দামি সান গ্লাস পাশে খোলা চটি। ছবি পোস্ট করে লিখেছেন  উপরে আকাশ নিচে বালি সমুদ্রের মাঝে নিজেকে একের পর এক ভিন্ন আঙ্গিকে প্রকাশ করছেন নবাব কন্যা।



নিজেদের সুরক্ষার জন্য বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের পরিবার মুম্বাই যাচ্ছেন। 21 এপ্রিল রাতে নিউইয়র্ক এর উদ্দেশ্য বাঁচালেন শাহরুখ খানের স্ত্রী গৌরি খান ও ছেলে আরিয়ান খান। সেখানে মেয়ে সুহানা খানের অ্যাপার্টমেন্টে থাকবেন তারা।


এই মুহূর্তে বলিউডের সবচেয়ে আলোচিত জুটি রণবীর কাপুর এবং আলিয়া ভাট। এই জুটি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সঞ্জয় লীলা বানসালির গাঙ্গুবাই কাঠিয়াবাদী একটি গানের দৃশ্যে শুটিং করছিলেন আলিয়া। সেই সময় পরীক্ষা করালে তার কোভিদ পসিটিভ আসে। কিছুদিন আগেই করোনা মুক্ত হলেন তারা। এরপরই তারা ছুটি কাটাতে গিয়েছেন মালদ্বীপে।


এদিকে আবার করোনায় ছুটি কাটাচ্ছেন শ্রদ্ধা জাহ্নবী। মালদ্বীপের সৈকতে বিভিন্ন লোকেশনে পাওয়া গেল তাদের। তবে তার ইনস্টার পোস্ট করা ছবিগুলো মধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় আছে তার কিছু ছবি। তাছাড়া খাবারের ছবি, সহ যাত্রীদের সঙ্গে আড্ডার ছবি পোস্ট করেছেন জাহ্নবী। যদিও সবার নজর সেই সুইম সুইটের ছবির দিকেই।


দিশা এবং টাইগার শ্রফও মালদ্বীপে গিয়েছেন। সেখানে পৌঁছে ইনস্টাগ্রামে একের পর এক স্টোরি পোস্ট করছেন। 


তারকাদের নানান মুহূর্তে রঙিন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধরা পড়ায় এই নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে তাদেরকে নিয়ে। এই করোনার সময় এমন পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ট্রল করা ছেড়ে দেননি ভক্তরা। সবার প্রশ্ন দেশবাসীর এই অসহায়তার সময় তারা কি করে ছুটির মেজাজে আছেন? এই ঘটনাকে পালানো মনে করছেন অনেকে। করোনাকালে বলিউড তারকাদের বিলাস ভ্রমণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আলোচনায় দক্ষিণ তথা বলিউড অভিনেত্রী শ্রুতি হাসান। দেশের সংকটময় মুহূর্তে মালদ্বীপ বা গোয়া সফর নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন তিনি। বিষয়টিকে ভালোভাবে নিতে পারেনি নাওয়াজ উদ্দিন সিদ্দিকি। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন দেশের ভয়াবহ অবস্থা মানুষের কাছে খাবার নেই আর আপনারা অর্থ উড়িয়ে চলেছেন। ছুটি কাটাতে যাওয়াটা ভুল নয় কিন্তু তা দেখানোর প্রয়োজন নেই। এবার একটু লজ্জা হওয়া উচিত। এই রকম পরিস্থিতি তে উল্লাস করা সত্যি বেমানান । 


কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

অ্যাপেল, এডিডাস, অ্যামাজন, উইকিপিডিয়া, কোকাকোলা জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের লোগো সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

 জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের লোগোতে লুকিয়ে থাকা কিছু রহস্য 


বিভিন্ন কোম্পানি তাদের প্রতিষ্ঠানকে সারা পৃথিবীর কাছে অন্য ভাবে তুলে ধরার জন্য যে বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করে থাকে তাকেই সেই কোম্পানির বা ব্র্যান্ডের লোগো বলা হয়। প্রতিটি কোম্পানির লোগো পেছনে লুকিয়ে থাকে বিশেষ কোনো বার্তা যা দিয়ে কোম্পানির সামগ্রিক বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। তবে আমরা এর লোগোর পেছনে থাকা বিশেষ কারণ এবং রহস্যকে অনেক সময় বুঝতে পারিনা। আজ আপনাদের জানাবো বিশ্বের সেরা কিছু কোম্পানির লোগোর পেছনে থাকা কিছু অজানা তথ্য।



এডিডাস- বিশ্ব বিখ্যাত স্পোর্টস ব্র্যান্ড এডিডাসের লোগো বহুবার পরিবর্তিত হলেও প্রতিবারই এই লোগোতে তিনটি স্টেপ ছিল। আর এই ব্র্যান্ডের বর্তমান লোগো একটি পাহাড় কে বোঝাই। যা খেলোয়ারদের জীবনের চড়াই-উৎরাই কে নির্দেশ করে। 


জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের লোগোতে লুকিয়ে থাকা কিছু রহস্য


অ্যামাজন-  বর্তমান বিশ্বের সবচাইতে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস হলো এটি। এখানে সব রকমের পণ্য পাওয়া যায়। তাই এই লোগোর নিচে যে A থেকে Z এর মাঝখানে যে তীর চিহ্নটি রয়েছে এর দ্বারা কোম্পানিটি নির্দেশ করে যে সেখানে এ টু জেড সব জিনিস পাওয়া যায়।


জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের লোগোতে লুকিয়ে থাকা কিছু রহস্য

অ্যাপেল-  জনপ্রিয় এই কোম্পানির লোগো ডিজাইন করেন রব জনাফ। তিনি  অ্যাপেলের লোগো তৈরির জন্য কিছু অ্যাপেল নিয়ে এসে বিভিন্ন দিক থেকে এর লোগো ডিজাইন করতে চাইছিলেন। কোনোটিকে অর্ধেক কেটে, কোনোটিকে উপরে কেটে, কিংবা কোনটিকে টুকরো করে কিন্তু কোন ডিজাইনই  তার মনের মতো হচ্ছিল না। এরপর হটাৎ তার খিদে লাগায় তিনি একটি আপেলে কামড় দেন। তখন তার মাথায় আসে অ্যাপেলের বাইট (Bite) আর কম্পিউটারের বাইট (Byte). শব্দ দুটি একই রকম শোনায়। তখন তিনি কামড় দেওয়া আপেলটিকে কোম্পানির লোগো হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন যা আজও বিদ্যমান।


জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের লোগোতে লুকিয়ে থাকা কিছু রহস্য

কোকাকোলা-  বিশ্ব বিখ্যাত এই পানীয়টির লোগোতে ভালোভাবে লক্ষ্য করলে এর 'O' এবং 'L' অক্ষরের মাঝখানে ডেনমার্কের পতাকা খুব স্পষ্টভাবে দেখা যায়। কোম্পানিটি তাদের মার্কেটিং প্রথম ডেনমার্ক থেকেই শুরু করেছিল। তাই তাদের লোগোর মাঝখানে  ডেনমার্কের  পতাকাটি এখনো রয়েছে।


জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের লোগোতে লুকিয়ে থাকা কিছু রহস্য


হুন্দাই- দক্ষিণ কোরিয়ার একটি বিখ্যাত গাড়ির কোম্পানি। অনেকে হয়তো মনে করেন যে এর লোগোতে হুন্দাইয়ের প্রথম অক্ষর হিসেবে ইংরেজির 'H' ব্যবহৃত হয়েছে কিন্তু লোগোটির ভেতরে রয়েছে হাতে হাত মিলানো দুটি মানুষ। যেখানে রয়েছে একজন গ্রাহক আরেকজন কোম্পানির প্রতিনিধি। মূলত ক্রেতাদের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন এবং তাদের খুশি করায় কোম্পানির মূল উদ্দেশ্য।


জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের লোগোতে লুকিয়ে থাকা কিছু রহস্য

এলজি- এটি দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি। এর লোগোতে একটি মানুষের মুখমণ্ডল বুঝানো হয়েছে। যার এল মুখমন্ডলের নাক হিসেবে দেখানো হয়েছে এবং জি পুরো মুখমন্ডলকে বোঝানো হয়েছে।


জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের লোগোতে লুকিয়ে থাকা কিছু রহস্য

টয়োটা- এটি জাপানের বিখ্যাত একটি গাড়ি কোম্পানি। এর লোগোর দিকে নজর পড়লে মনে হয় যেন টুপি পড়া একজন কাউবয়। কিন্তু লোগোটি ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখবেন যে লোগোটিতে টয়োটার সবগুলো অক্ষর রয়েছে। অর্থাৎ ইংরেজি বর্ণমালার TOTOTA এই ছয়টি অক্ষরই খুঁজে পাওয়া যাবে এক এক করে লোগোটিতে। 


জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের লোগোতে লুকিয়ে থাকা কিছু রহস্য

উইকিপিডিয়া- সারা বিশ্বের নির্ভরযোগ্য একটি তথ্য ভান্ডার। এর লোগোটি ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় এর মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় উইকিপিডিয়ার প্রথম অক্ষরটি লেখা রয়েছে। অর্থাৎ ইংরেজি বর্ণমালার ডব্লিউ কে যা বিভিন্ন ভাষা এবং বিভিন্ন জাতির তথ্য কে ধারণ করে। উইকিপিডিয়াতে 301 টি ভাষায় তথ্য রয়েছে। আর জ্ঞান কোন কিছু তেই সীমাবদ্ধ নয়। তাই এর লোগোর উপরিভাগে কিছু অংশ অসম্পূর্ণ রয়েছে। এতে করে বোঝানো হয়েছে এর তথ্য পরিপূর্ণ নয়, নতুন করে আরও তথ্য যোগ হবে এতে।


জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের লোগোতে লুকিয়ে থাকা কিছু রহস্য



তো এই ছিলো জনপ্রিয় কিছু ব্র্যান্ডের লোগো সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নেলসন মেন্ডেলার জীবনের ইতিহাস | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

 নেলসন মেন্ডেলা সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য (Unknown Things about Nelson Mandela)


নেলসন মেন্ডেলা সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য

নেলসন ম্যান্ডেলা এই নামটির কোন ভূমিকার প্রয়োজন নেই। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি এককভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণ বৈষম্যের সাথে লড়ে তা ধ্বংস করেছিলেন। শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী গুণী এই মানুষটি আফ্রিকানদের অধিকার আদায়ের যুদ্ধে প্রায় তিন দশক তিনি জেলের ভেতরেই কাটিয়েছেন এবং জেলখানাতে বসে তিনি আইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। সর্বজন সমাদৃত হলেও নেলসন ম্যান্ডেলার সম্বন্ধে বিশ্বের অনেকেই খুব একটা জানেন না। আজ আমরা নেলসন মেন্ডেলা সম্পর্কে এমনই অজানা আর বিস্ময়কর কিছু তথ্য জানবো। 


ম্যান্ডেলার প্রকৃত নাম রোলিহলাহলা ম্যান্ডেলা। যোসা ভাষায় যার অর্থ দাঁড়ায় গাছের ডাল ভাঙ্গা। যার আরেকটি মানে উত্তেজনা সৃষ্টিকারক। তার নাম পরিবর্তন করার পরও দেখা গেল যে তিনি সেই ইংরেজদের উত্তেজনার কারণ হয়ে রয়ে গেল। 


আপনি জেনে অবাক হবেন যে  মেন্ডেলার হাতের ছাপ ছিল অবিকল আফ্রিকা মহাদেশের আকৃতির মতো। হ্যাঁ! তথ্যটি একেবারেই সত্যি।


তিনি জেলখানায় তার জীবনের 27 বছর অতিবাহিত করেছিলেন এবং ছদ্মবেশে তাকে কেউ টেক্কা দেওয়ার মতো ছিলনা সেসময়। 1962 সালে যখন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তখন তিনি এই ডাইভারের ছদ্মবেশে ছিলেন।


একজন প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সাদা এবং কালো মানুষদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করা। বিশ্বের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে একেবারে নতুন রূপে গড়ে তোলা।


নেলসন মেন্ডেলার জীবনের ইতিহাস | Bengali Gossip 24


তিনি নেলসন ম্যান্ডেলা ফাউন্ডেশন আর দ্যা এল্ডার্স এর মতো অনেক সংগঠন শুরু করেছিলেন। যেটা বিখ্যাত ব্যক্তিদের একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। যারা বিশ্ব ব্যাপী নানান সমস্যা ও মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে সরব হয়।


তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন যে প্রেসিডেন্ট থাকার সময়কালে এইডস সমস্যার সমাধানে একেবারে সময় উৎসর্গ করতে পারেন নি। পরে তিনি 46664 নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠিত করেন। জেলে থাকা কালীন তিনি 466 তম বন্দি ছিলেন। আর 1964 সালে এই দুটি মিলিয়ে সংগঠনের নামকরণ করা হয়েছিল 46664। এটি একটি অপ্রফিট সংস্থা। যা এইডস প্রতিরোধ ও সচেতনতার জন্য নিবেদিত।


2001 সালে প্রোস্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসার পর তিনি অন্যান্য ব্যধিতে ভুগতে শুরু করে। আর তাই তার জনসাধারণের সামনে উপস্থিতি কমে যায়। গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে তার অবদানের জন্য জাতিসংঘ 18 জুলাই দিনটিকে নেলসন ম্যান্ডেলা আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। 


জাতি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের কারণে মেন্ডেলা এবং তার দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সদস্যদের নাম প্রায় 2008 সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।


How far we slaves have come! এই বইটি তিনি ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে হাত মিলিয়ে লিখেছিলেন। যিনি কিউবান বিপ্লবী এবং রাজনীতিবিদ।যিনি 1959 থেকে 1976 সাল পর্যন্ত কিউবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।


একবার তিনি বৃটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের নাম ধরে ডেকেছিলেন এবং তার ওজন এবং ড্রেস নিয়েও কিছু মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন। 


তো এই ছিলো এই মহান মানুষ নেলসন মেন্ডেলা সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।



কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আইপিএল সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য ৷ Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

 আইপিএল সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য (Unknown Facts about IPL)

আইপিএল সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য ৷  Bengali Gossip 24


গত 9 এপ্রিল শুরু হয়েছে আইপিএলের 14 তম আসর। প্রতিবারের মতো এবারও বিশ্বের এক নম্বর ফ্রাঞ্চাইজি লীগ নিয়ে ছিল নানান উত্তেজনা এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের টাকার ঝনঝনানি। লীগ থেকে শুরু করে ফ্র্যাঞ্চাইজি সব কিছু নিয়ে সবসময় আগ্রহের কমতি থাকেনা ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। চলুন আইপিএলের এমন কিছু অজানা বিষয় জেনে নেয়া যাক যা হয়তো আপনি জানেন না।



আইপিএলের ইতিহাসে সবথেকে বেশি আয় করা ক্রিকেটার কে?  মহেন্দ্র সিং ধোনি হলো আইপিএল ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার যিনি আইপিএল থেকে সবথেকে বেশি আয় করেছেন। 2008 সালে চেন্নাই সুপার কিংসে 6 কোটি টাকায় বিনিময়ে যোগ দেন তিনি। 2021 সাল পর্যন্ত আইপিএল ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে স্পর্শ করেছেন 150 কোটি টাকা আয়ের রেকর্ড। 2021 আইপিএলের আগ পর্যন্ত ধোনির মোট আয় ছিল 137 কোটি টাকা। এই বছর চেন্নাই তাকে 15 কোটি টাকা দিয়ে ধরে রাখলে তিনি আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ আয় করা খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড করেন। তার ঠিক পেছনে রয়েছেন রয়েল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরু অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।


 2021 আইপিএলের প্রতি বল ব্রডকাস্টিং খরচ কত? 2018 সালে স্টার স্পোর্টস 16347.5 কোটি টাকায় পাঁচ বছরের জন্য আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্ব কিনে নেয়। সেই হিসেবে প্রতিবছর ব্রডকাস্টিং বাবদ খরচ হয় 3269.5 কোটি টাকা। বল প্রতি হিসেবে যা দাঁড়ায় 24 লক্ষ টাকা। অর্থাৎ প্রতি বল সম্প্রচারে স্টার স্পোর্টস 24 লক্ষ টাকা খরচ করতে হয়। 


আইপিএলের সব থেকে বেশি ফাইনাল খেলা দল কোনটি? 2020 সাল পর্যন্ত আইপিএলের অনুষ্ঠিত হওয়া আসরের মধ্যে সবচাইতে বেশি ফাইনাল খেলা দলটি হচ্ছে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। অনুষ্ঠিত হবার 13 আসরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফাইনাল খেলেছে দলটি। 2008 আইপিএল ফাইনাল থেকে শুরু করে 2020 আইপিএল পর্যন্ত মোট আট আসরের ফাইনাল খেলেছে দলটি।


আইপিএলের সব থেকে বেশি ফাইনাল খেলা দল | Bengali Gossip 24

সর্বোচ্চ আইপিএল জয়ী এবং পরাজয়ী দল? আইপিএল ইতিহাসের অনুষ্ঠিত হবার তেরোটি ফাইনালের মধ্যে সবচাইতে বেশি ফাইনাল খেলার রেকর্ড চেন্নাই সুপার কিংসের দখলে তবে বিশ্বের এক নম্বর ফ্র্যাঞ্চাইজির সর্বোচ্চ ফাইনাল জেতা দলটি রোহিত শর্মার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স আর সর্বোচ্চ পরাজয়ী দলের নাম মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। 

সর্বোচ্চ আইপিএল জয়ী এবং পরাজয়ী দল | Bengali Gossip 24

এখনো পর্যন্ত অধিনায়ক পরিবর্তন না করা দল  2008 সাল থেকে 2021 আইপিএল পর্যন্ত অধিনায়ক পরিবর্তন না করা দলটির নাম চেন্নাই সুপার কিংস। আইপিএলে সবচেয়ে সফল দলটিকে টানা নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন  ক্যাপ্টেন কুল খ্যাত মহেন্দ্র সিং ধোনি। তার নেতৃত্বে আইপিএলের সব থেকে বেশি ফাইনাল খেলার কৃতিত্ব অর্জন করে দলটি। সেইসাথে আসরে সর্বোচ্চ শিরোপা জেতার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তারা মোট তিনবার আইপিএল শিরোপা জিতে নেয়।


তো এই ছিল আইপিএল সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

রোলস রয়েস গাড়ির দাম অনেক বেশি কেন? Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

 রোলস রয়েস সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য (Unknown Facts about Rolls Royce Car)


রোলস রয়েস গাড়ির দাম অনেক বেশি কেন? Bengali Gossip 24

মানুষ মানুষের প্রেমে পরে এই কথা শুনেছেন কিন্তু কখনো শুনেছেন মানুষ কোন গাড়ির প্রেমে পরে? হাঁ! রোলস রয়েস হচ্ছে সেই গাড়ি যা দেখে আপনি মনের অজান্তেই প্রেমে পড়ে যাবেন। কিন্তু দাম শোনার সাথে সাথেই আপনার প্রেম মুহূর্তেই পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যাবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কি এমন আছে রোলস রয়েস গাড়িতে যার জন্য রোলস রয়েস গাড়ির দাম আকাশচুম্বী। রোলস রয়েস পৃথিবীর সবচাইতে বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে একটি। মূলত হাতে তৈরি গাড়ি নির্মাণের জন্যই বিখ্যাত রোলস রয়েস। রোলস রয়েসের গাড়ি গুলো  এতো উচ্চ দামের পিছনে কারণটা হচ্ছে এর অসাধারণ কালার। রোলস রয়েস কোম্পানির কাছে প্রায় ৪৫ হাজার শুধু কালারই  আছে যা এই গাড়ির পেইন্টিং এ ব্যবহার করা হয়। এমনকি মানুষের পছন্দের লিপস্টিকের কালার থেকে শুরু করে একজন মানুষের কল্পনায় যে রং ই আসুক না কেন সব রঙে আছে রোলস রয়েসের কাছে।আপনার গাড়ির যে রং চান ঠিক সেই রংটায় আপনার জন্য গাড়িতে পেইন্ট করবে রোলস রয়েস।


এমনকি  আপনার ব্যবহৃত রঙটা যদি অন্য কারো পছন্দও হয়ে যায় তিনি সেটা নিতে পারবেন না যদি আপনি অনুমতি না দেন। রোলস রয়েসের কাছে গাড়ির পেন্টিং  শুধুমাত্র পেন্টিং না এটা ওদের কাছে অনেকটা পূজার মতো। কারণ তাদের কাছে একজন ক্রেতার পছন্দ অনেক মূল্যবান।


যদিও তাদের গাড়িগুলোতে সাত টি স্তরের প্রলেপ দেওয়া হয়, কিন্তু ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী প্রায় 23 স্তরের রঙের প্রলেপ দেয়া হয়ে থাকে রোলস রয়েস গাড়ি গুলিতে। আর এই অতি উন্নতমানের এই পেইন্টিং গুলির এক একটা স্তরে থাকে প্রায় 45 কেজির মত। ভাবতে পারেন রোলস রয়েস কোম্পানি  কতো কেজি রঙ ব্যবহার করে হয় একেকটা গাড়িতে। সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে এত বিশাল কোম্পানির বানানো গাড়ি গুলোর বিস্তারিত যত পেইন্ট সম্পর্কিত কাজকর্ম আছে সবকিছু একজন মানুষই নিজের হাতে করেন। আর গাড়িগুলোতে এই পেইন্টিং করতে ব্যবহার করা হয় কাঠবিড়ালি লোমবিশিষ্ট ব্রাশ। কারণ এই দিয়ে কোন পেইন্ট করার পর সেখানে কোনো আলাদা দাগ পড়ে না।


রোলস রয়েসের বাইরের অংশগুলোতে এমন এমন কিছু বিশেষত্ব আছে যা হাতে তৈরি কিন্তু একদম নিখুঁত। রোলস রয়েসের সামনে যে গ্রিল আছে সেটা সম্পূর্ন হাতের তৈরি আর চাকার কেন্দ্রে যে লোগো  আছে যেটা চাকা ঘুরলেও সম্পূর্ন স্থির থাকে তা সত্যিই অসাধারণ আর রোলস রয়েসের যে জিনিসটা সবচাইতে ব্যতিক্রম এবং আভিজাত্যের প্রতীক সেটা হলো স্পিরিট অফ এক্সটারসি। যেটা গাড়ি চালানোর জন্য ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে। 2013 সালে বিখ্যাত বিএমডব্লিউ কোম্পানি শুধুমাত্র রোলস রয়েসের এই স্পিরিট অফ এক্সটারসি এবং নাম কিনে নেওয়ার জন্য 65 মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছিল। 


রোলস রয়েস সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য

গাড়ির বাইরের চাইতে ভিতরের খরচ অনেক বেশি কারণ বিলাসিতার এক অনন্য রূপ এর ভিতরের ডিজাইন। গাড়ির ভিতরে যেন সামান্যও বাইরের শব্দ না আসে সেজন্য রোলস রয়েসের গাড়িগুলোতে প্রায় 300 পাউন্ড এর বেশি সাউন্ড প্রফ ফোম ব্যবহার করা হয়। গাড়ির চাকা নির্মাণ করে কন্টিনেন্টাল নামক কোম্পানি। এই কোম্পানি চাকার মধ্যে একধরনের ফোম ব্যবহার করে যাতে রাস্তার চাকার শব্দ কমিয়ে আনে।


এই গাড়ির ড্যাশবোর্ড বলতে গেলে ছোট খাটো একটা আর্ট গ্যালারি। যা কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী কাস্টমাইজ করা হয়। রোলস রয়েসের আরেকটি বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে এই গাড়ির ছাদ। রোলস রয়েস গাড়ির ছাদে ব্যবহার করা হয় স্টার লাইন হেড লাইনার। যার সাহায্যে এই গাড়ির ছাদকে রাতের আকাশের মত করে ফেলা যায়। আর এই ধরনের স্টার লাইন নির্মাণ করা হয় সম্পূর্ণ হাতের সাহায্যে করতে প্রায় 16 ঘন্টা সময় লাগে।


Unknown Facts about Rolls Royce Car in Bengali

 গত 10 বছরে বেড়েছে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশী। এর পেছনে রয়েছে অসাধারণ ডিজাইন, বিলাসিতা আর শতভাগ কাস্টমার সটিস্ফাকশন। রোলস রয়েসের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি গাড়ি হলো স্বফট 10। এই গাড়িটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছিল সবমিলিয়ে চার বছর। যার মূল্য ধরা হয়েছিল 13 মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর কিছুদিন আগেও এই গাড়িটি ছিল পৃথিবীর সবচাইতে দামি গাড়ি। যেখানে অন্য কোম্পানির গাড়ি গুলো হয়তো গতি বা উত্তম চালনোর জন্য দামি সেখানে রোলস রয়েস শুধু একটা কারণেই এত দামী আর সেটা হচ্ছে বিলাসিতা। 


তো এই ছিল রোলস রয়েস সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আইপিএলে প্রীতি জিন্টার দল কতো টাকা আয় করে? Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

আইপিএলে প্রীতি জিন্টা এবং প্রীতি জিন্টার দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব কতো টাকা আয় করে?  

আইপিএলে প্রীতি জিন্টা এবং প্রীতি জিন্টার দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব কতো টাকা আয় করে?  Bengali Gossip 24


আইপিএলে প্রতি মৌসুমে নিজের দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব কে সমর্থন যোগাতে নিয়মিত হাজির হোন প্রীতি জিন্টা। অন্যদিকে খেলার পাশাপাশি বলিউড অভিনেত্রীকে দেখার জন্য মাঠে এসে ভিড় করেন তার হাজারো ভক্ত। 2008 সালে শাহরুখ খানের মতো প্রীতি জিন্তাও আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের তালিকায় নাম লেখান। ডাবর গ্রুপের মোহিত বর্মন এবং ওয়াদিয়া গ্রুপের নেস ওয়াদিয়ার সাথে নিয়ে 76 মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পাঞ্জাবের ফ্রাঞ্চাজি কিনেন এই বলিউড অভিনেত্রী। ক্রিকেট ভক্তরা পাঞ্জাবের মূল মালিক হিসেবে প্রীতিকে চিনলেও দলে তার শেয়ার 23 শতাংশ। দলে সর্বোচ্চসংখ্যক শেয়ারের মালিক হলেন মোহিত বর্মন। কিন্তু দলের ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়ানো এবং প্রচারের জন্য মালিক হিসেবে প্রীতিকেই সামনে রাখা হয়েছে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে আইপিএলের সকল ফ্রাঞ্চাজি মালিকের মধ্যে প্রীতির অর্থ-সম্পদ সবচেয়ে কম।

একটি ম্যাগাজিনে তথ্য অনুসারে প্রীতি জিন্টার মোট সম্পদের পরিমাণ 10 মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দামি গাড়ি ছাড়াও প্রীতি জিন্টার রয়েছে কিছু প্রাইভেট এপার্টমেন্ট। যদিও এখনো প্রীতি সিনেমায় অভিনয়ের জন্য 2 থেকে 3 কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। আর সব মিলিয়ে তার গড় বাৎসরিক আয় 1.62 মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে আইপিএল থেকে প্রীতি জিন্তা বছরে কত টাকা আয় করেন তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। ফ্রাঞ্চাইজির দেওয়া হিসেব অনুযায়ী 2019 সালে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব লাভ করেন প্রায় 45 কোটি টাকা। যা পূর্বের বছরের তুলনায় 150 শতাংশ বেশি। কিন্তু এখান থেকে কোন মালিক কত অর্থ  পেয়েছেন তা অবশ্য জানা যায়নি।


প্রীতি জিন্টা আইপিএল এর বিনিয়োগের মাধ্যমে যেমন আয় করছেন তেমনি মাঠে বসে তিনি ক্রিকেটকে উপভোগ করছেন। আইপিএলে যে সকল ফ্রাঞ্চাজি মালিক নিয়মিত মাঠে উপস্থিত থাকেন তাদের মধ্যে প্রীতি একজন। তিনি পাঞ্জাবের সাফল্যে যেমন উল্লাস করেন তেমন ব্যর্থতায় ভেঙে পড়েন। ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর অসংখ্য বার তাকে মাঠে কাঁদতে দেখা গেছে।


ক্রিকেটের প্রতি এত আবেগ আইপিএলের আর কোন মালিকের মধ্যেই দেখা যায় না। অনেক ফ্রাঞ্চাইজি মালিক দলের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হবে বলে তারা মাঠেই আসেন না। সেখানে প্রীতি সবসময় দলকে উৎসাহ দিয়ে যান একদম সাথে থেকে। বলা যায় মাঠে আসা পাঞ্জাব সমর্থকদেরকে তিনি নেতৃত্ব দেন। বলিউড কুইন প্রীতি যেমন ক্রিকেটকে ভালোবাসেন ঠিক তেমনি ভালোবাসেন ক্রিকেটারদেরকে। আইপিএলের সূত্র ধরে একাধিক ক্রিকেটারের সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন শোনা গেছে। বিশেষ করে অসি পেসার ব্রেটলি এবং পাঞ্জাবের এক সময়কার অধিনায়ক যুবরাজ সিং এর নাম সংবাদমাধ্যমে বেশি এসেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল 2008 সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রীতি জিন্টার দল আইপিএলের শিরোপা জিততে পারেনি। 2014 সালে ফাইনালে উঠলেও কলকাতার কাছে হেরে যায় পাঞ্জাব। এবার শিরোপা জয়ের জন্য নতুন করে সাজানো হয়েছে পাঞ্জাবকে। এমনকি পরিবর্তন করা হয়েছে  দীর্ঘ দিনের নামকে। এবার তারা কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের পরিবর্তে মাঠে নামবে পাঞ্জাব কিংস নামে।


কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আইপিএল দল গুলি কিভাবে আয় করে? Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

 আইপিএল দল গুলি কিভাবে আয় করে? (How Do IPL teams earn money)

আইপিএল দল গুলি কিভাবে আয় করে? Bengali Gossip 24

নিলামের সময় আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলি ভালো খেলোয়াড় কেনার জন্য অনেক বড়ো অঙ্কের টাকা নিয়ে বসে। পছন্দের খেলোয়াড় কেনার জন্য চলে টাকা লড়াই। কোন কোন ক্রিকেটারের পেছনে তারা ব্যয় করেন 15 থেকে 20 কোটি টাকা। এত বিপুল অর্থ ব্যয় দেখে আমাদের অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসতে পারে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা এত অর্থ ব্যয় করছে এতে তাদের লাভ হয় কিভাবে? কিংবা এতো অর্থ ব্যয় করে কতটুকু ই লাভ করতে পারে? এখানে মনে রাখতে হবে আইপিএলে যারা দল কিনেছে তারা কিন্তু শুধুমাত্র ক্রিকেটকে ভালোবেসে দল কিনেন নি। আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজির যারা মালিক তারা প্রত্যেকেই বড় বড় ব্যবসায়ী। তাদের কাছে ক্রিকেটের চেয়ে টাকায় মূল লক্ষ্য।

এই কারণে আইপিএলের অনেক দল মাঠে বাজে পারফরম্যান্স করলেও মালিকদের হতাশ হতে দেখা যায় না। তাহলে মাঠের ক্রিকেট যদি মুখ্য না হয় তাহলে ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকরা কিভাবে লাভ করেন? তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক।


মিডিয়া সত্ত্ব- আইপিএলের সবচেয়ে বড় উৎস হচ্ছে মিডিয়া রাইট থেকে পাওয়া অর্থ। মিডিয়া রাইট বলতে আইপিএলের ম্যাচ গুলো টেলিভিশন এবং অন্যান্য অনলাইন প্লাটফর্ম এ যারা প্রচার করে তাদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ কে বোঝায়। প্রাথমিকভাবে বিসিসিআই এই অর্থ গ্রহণ করে। পরবর্তীতে নিদ্দিষ্ট হারে এই অর্থ ভাগ করে দেয়া হয়। তবে যে দল যতদূর পর্যন্ত যাবে তাদের টাকার পরিমাণ তত বেশি হবে। অর্থাৎ যে দলগুলো সেমি ফাইনাল, ফাইনাল খেলবে সেই দল গুলি অবশ্যই নরমাল রাউন্ড থেকে বাদ পড়া দলগুলোর চেয়ে বেশি অর্থ পাবে। মিডিয়া রাইট থেকে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো 60 থেকে 70 শতাংশ আয় করে থাকে।


ব্র্যান্ড স্পনসরশিপ-  আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো আয়ের আরেকটি প্রধান উৎস হচ্ছে ব্র্যান্ড স্পনসরশিপ। প্রত্যেক দলই কোনো না কোনো কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ থাকে। সেই কোম্পানির লোগো বা নাম জার্সিতে প্রদর্শনের মাধ্যমে দলগুলো অর্থ আয় করে থাকে। স্পন্সর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে যে যত স্পষ্ট ভাবে নিজেদের নাম প্রচার করতে চায় তাদের যত বেশি অর্থ দিতে হয়। বিশেষ করে ম্যাচের জার্সিতে সামনে এবং পেছনে খেলোয়ারদের নামের নিচে যে কোম্পানির লোগো থাকে তাদের বেশি অর্থ দিতে হয়। আর হাতে বা অন্য কোথাও ছোট করে কোন কোম্পানির লোগো বানাতে চাইলে তুলনামূলক কম অর্থ দিতে হয়।


টিকিট বিক্রি- আইপিএল দলের প্রায় 10 শতাংশ আসে টিকিট বিক্রি করে। আইপিএলের টিকিট বিক্রিতে অর্থের বড় অংশ চলে যায় স্বাগতিক দলের কাছে। অর্থাৎ যে দলের মাঠে খেলা হচ্ছে সেই দল সিংহভাগ অর্থ পাবে। সেটা প্রায় 80 শতাংশের কাছাকাছি। আইপিএলের ম্যাচ টিকিট এর দামও ফ্রাঞ্চাজি গুলো নির্ধারণ করে থাক। তবে এক্ষেত্রে যেখানে খেলা হবে,  মাঠের দর্শক ধারন ক্ষমতা, দলের জনপ্রিয়তা এবং সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রার মানকে বিবেচনা করে টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয়। টিকিটের দাম যেন দর্শকদের ক্ষমতার বাইরে চলে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়। 


প্রাইজ মানি- প্রাইজ মানি থেকেও আইপিএলের দল গুলি মোটা টাকা আয় করে থাকে। 2019 সালে চ্যাম্পিয়ন দলকে 20 কোটি টাকা অর্থ প্রদান করা হয়েছিল তার রানার আপকে 12.5 কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। প্রাইজমানি মূলত দুই ভাগে ভাগ করা থাকে একটা অংশ পাই খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফ আরেকটা অংশ পায় ফ্রেঞ্চাইজি । গতবছর করোনার কারণে আইপিএল এর প্রাইজ মানি অর্ধেক করে দেওয়া  হয়েছিল। 2020 মৌসুমে যারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তাদের 10 কোটি টাকা এবং রানার আপ দলকে 6.25 কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিলো।


জার্সি বিক্রি- আইপিএল দলগুলির আরেকটি আয়ের প্রধান উৎস হল জার্সি বিক্রি। আইপিএলে বিভিন্ন দল তাদের নিজেদের জার্সি, কেপ, লোগো ইত্যাদি বিক্রি করে ভালই টাকা উপার্জন করে।


এছাড়াও  বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো মিডিয়া রাইট ছাড়াও আইপিএলের অফিশিয়াল স্পনসর এবং পার্টনারশিপের অর্থ আয় করে থাকে।


তো এই ছিল আইপিএলের বিভিন্ন দল গুলির আয়ের প্রধান উৎস।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন