Bengali Gossip 24

Knowledge is Power 😎

ফেসবুকের কিছু গোপন ফিচারস | Some Secret Features in FACEBOOK | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই
ফেসবুকের কিছু গোপন ফিচারস (Some Secret Features in FACEBOOK in Bengali)

ফেসবুক! আজকের দিনে ফেসবুক হলো সবচেয়ে বড়ো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বর্তমানে ফেসবুকে একাউন্ট নেই এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। যেকোনো বয়সের মানুষকেই আজ ফেসবুক করতে দেখা যায়। এই ফেসবুকের ব্যবহার সমাজের যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য কতটা উপযোগী তা আমরা সবাই জানি। আমরা প্রতিনিয়ত ফেসবুক করি ঠিকই  কিন্তু ফেসবুকে এমন কিছু উপকারী ফিচারস রয়েছে যা হয়তো আমরা অনেকেই জানি না। সেই সব ফিচারস গুলি যদি ঠিক মতো ব্যবহার করতে পারি তাহলে আমাদের ফেসবুক প্রোফাইল অনেকটাই আপডেট হয়ে যাবে। তো চলুন জেনে নিই ফেসবুকের সেই গোপন ফিচারস গুলি সম্পর্কে কিছু আপডেট। 

১. অ্যানিমেটেড করুন প্রোফাইল ছবি

আপনার প্রোফাইলের ছবি অ্যানিমেটেড করা সম্ভব ফেসবুকে। এজন্য ফেসবুকের মোবাইল অ্যাপ থেকে পিকচার-এ যান। সেখানে "Take a New Profile Video" অপশন থেকে নিজের একটি ভিডিও আপলোড করুন।


২. অন দিস ডে মেমোরি 

আপনার ফেসবুকের প্রোফাইলে এক বছর আগের কাজ দেখতে চাইলে অন দিস ডে ফিচার ব্যবহার করুন।  এজন্য ফেসবুকে লগইন করার পর https://www.facebook.com/onthisday টাইপ করলেই হবে।


৩. বিরক্তিকর পোস্ট বন্ধ করুন

আপনার বন্ধুর তালিকায় থাকা ব্যক্তিরা বা কোনো পেজ এ যদি বিরক্তিকর পোস্ট আপলোড করা হয় তাহলে তাদের আনফলো করুন। এতে তাদের পোস্ট আর আপনাকে দেখতে হবে না। এজন্য তার প্রোফাইলে গিয়ে বা সেই পেজে গিয়ে প্রোফাইল ছবির নিচে "Following" বদলে "Unfollow" করে দিন।


৪. ভিডিও অটোপ্লে বন্ধ করুন

অনেক ব্যবহারকারীই ফেসবুকের নিউজ ফিডে ভিডিওগুলো অটো প্লে হওয়ায় সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে যাদের সীমিত ডাটা কিংবা সীমিত গতি থাকে তাদের সমস্যা এটি বাড়িয়ে তোলে। এটি বন্ধ করা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। এ জন্য যা করতে হবে-

কম্পিউটার থেকে ফেসবুকে লগইন করে আপনার প্রোফাইলে যান। এরপর ওপরের ডান পাশের কোনা থেকে "Settings"-এ যান। এর বাম পাশের কলামের একেবারে নিচের দিকে "Videos" অপশনটি খুঁজে বের করুন। এরপর "Auto-Play Videos"-এ ক্লিক করুন এবং "Off" নির্বাচন করুন।

অ্যান্ড্রয়েডে ফোনে ফেসবুকের অ্যাপ ওপেন করুন এবং বাম পাশের তিনটি পাশাপাশি লাইনে ক্লিক করুন। এরপর "App Settings" থেকে "Autoplay" খুঁজে বের করুন। যদি ওয়াইফাই সংযোগের সময় অটোমেটিক চালু রাখতে চান তাহলে "On Wi-Fi Connections Only" সিলেক্ট করতে পারেন। এছাড়া "Never Autoplay Videos" নিতে পারেন, যা সিলেক্ট করলে আর কখনোই অটোপ্লে আপনাকে বিরক্ত করবে না।


৫. নিউজ ফিডে পোস্ট সেভ করে রাখুন

আপনার নিউজ ফিডে এমন কোনো বিষয় এসেছে, যা বিস্তারিত দেখা খুবই দরকার। কিন্তু সময়ের অভাবে আপনি সেটার পেছনে সময় দিতে পারছেন না? তাহলে আপনি পরবর্তীতে দেখার জন্য এটি সেভ করে রাখতে পারেন। এজন্য পোস্টের ডান পাশে যে ছোট তীর চিহ্নটি রয়েছে সেখানে যান। এরপর সেভ লিংক সিলেক্ট করে লিংকটি সেভ করে রাখুন। 


৬. বন্ধু ও ফলোয়ার সেটিংস 

ফলোয়ারের সেটিং ঠিক করে দিলে তারা কোন কোন পোস্ট পাবে তার একটি সেটিংস ঠিক করতে পারবেন। এছাড়া কে কে আপনার ফলোয়ার হতে পারবে, তাও নির্ধারণ করতে পারবেন। এজন্য অ্যাকাউন্ট সেটিংস থেকে "Followers" সিলেক্ট করুন। সেখানেই পাবেন এ সেটিংস।


৭. ফেসবুক অ্যাক্টিভিটি 

ফেসবুকে আপনার যাবতীয় কার্যক্রম সংরক্ষিত থাকে অ্যাক্টিভিটি লগ-এ। এটি আপনার প্রোফাইলের ওপরের ডান পাশে যে ছোট ড্রপ ডাউন চিহ্ন রয়েছে সেখানে থাকা তালিকায় পাবেন। আপনার প্রোফাইল দিয়ে যা যা করা হবে সব কিছু রেকর্ড থাকবে সেখানে। 


৮. ফ্রেন্ড লিস্ট গোপন করুন

আপনার ফ্রেন্ড লিস্ট অন্যরা যেন দেখতে না পায় সেজন্য ডেস্কটপ থেকে ফ্রেন্ডস-এ যান। এরপর ডান পাশে কলমের মতো চিহ্ন থেকে এডিট প্রাইভেসি সিলেক্ট করুন। সেখানে গিয়ে "only me" অপশনটি সিলেক্ট করুন।  এরপর আপনার ফ্রেন্ড লিস্ট আপনার বন্ধুদের কাছ থেকে গোপন হয়ে যাবে।


৯. কোনো বন্ধুর কাছে পোস্ট গোপন করা

আপনি যখন কোনো পোস্ট করবেন তখন তা স্বভাবতই বন্ধুদের কাছে যাবে। কিন্তু আপনি যদি তা গোপন করতে চান তাহলে তা সিলেক্ট করতে পারবেন কোনো পোস্টের ডান পাশের ড্রপ ডাউন লিস্ট থেকে। খুব সহজেই আপনার বন্ধুর কাছ থেকে গোপন করতে পারেন।

১০. গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট হাইলাইটেড 

কোনো বন্ধু কিংবা পেজের একটি আপডেটও মিস করতে চান না। মোবাইল অ্যাপে আপনি এজন্য "following"-এ ক্লিক করুন। এরপর  "all post" সিলেক্ট করুন। এরপর থেকে তাদের প্রোফাইল ছবির ডান পাশে একটি নীল তারা দেখা যাবে।


তো এই ছিল ফেসবুকের কিছু উপকারী গোপন ফিচারস। যা আমাদের ফেসবুক প্রোফাইল আপডেট করার জন্য সত্যিই প্রয়োজন। 

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

গুগ্‌ল সম্পর্কে কিছু অজানা এবং গোপন তথ্য | Unknown and Secret Facts about GOOGLE in Bengali | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

গুগ্‌ল সম্পর্কে কিছু অজানা মজাদার তথ্য 

গুগ্‌ল সম্পর্কে কিছু অজানা মজাদার তথ্য

গুগ্‌ল আধুনিক প্রযুক্তি বিদ্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যা আজ আমাদের জীবনের সাথে পুরোপুরি ভাবে যুক্ত হয়ে গেছে। এক কথায় বলতে গেলে ‘যা নেই গুগ্‌লে, তা নেই গুগ্‌লে’— এই কথাটা কিন্তু গুগ্‌ল সম্পর্কে বলা যায়। গুগল এমনই একটি সার্চ ইঞ্জিন ভেবে দেখুন তো, দিনভর না খেয়ে কাটাতে পারেন কিন্তু ২৪ ঘণ্টা গুগ্‌ল ছাড়া কাটাতে পারেন কি? আধুনিক সভ্যতার প্রায় ধারক ও বাহক হয়ে উঠেছে এই গুগল। এই গুগল সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি কিছু জানি। তো চলুন জেনে নিই গুগ্‌ল সম্পর্কে কিছু অজানা মজাদার তথ্য যা হয়তো অনেকেরই কাছে অজানা।  

১) গুগ্‌ল নামটির জন্ম কিন্তু ভুল করে। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ এবং সের্গেই ব্রিন আসলে লিখতে চেয়েছিলেন 'googol', যার অর্থ এমন একটি সংখ্যা যার পিঠে রয়েছে ১০০টি শূন্য। বানান ভুল করে ওঁরা লেখেন 'google' ।

২) প্রতি ২ মিনিটে ২ মিলিয়ন সার্চ হয় গুগ্‌লে।.

৩) প্রতিদিন গুগ্‌লের মোট সার্চের ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ সম্পূর্ণ নতুন। অর্থাৎ এর আগে গুগ্‌ল এই বিষয়ে কোনও সার্চ পায়নি।

৪) গুগ্‌ল নিজেই কিনে রেখেছে ‘googlesucks.com' ডোমেইনটি যাতে অন্য আর কেউ ওই ডোমেইনটি না কিনতে পারে।

Unknown and Secret Facts about GOOGLE in Bengali- Bengali Gossip 24

৫) ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল জন্ম নেয় ‘জিমেল’। দিনটি ‘এপ্রিল ফুল’ ডে বলে সবাই প্রথমে ধরে নিয়েছিলেন যে ওটি আসলে একটি প্র্যাংক।

৬) গুগ্‌ল এমন একটি কম্পিউটার তৈরি করছে যে নিজেই নিজেকে প্রোগ্রাম করতে পারে। নাম ‘নিউরাল টিউরিং মেশিন’।

৭) ২০১০ সালে নিকারাগুয়া ভুল করে আক্রমণ করে বসে কোস্টা রিকা-কে কারণ গুগ্‌ল ম্যাপ্‌স-এ কিছু ভুল ছিল।

৮)  ২০১০-এর পর থেকে গড়ে প্রতি মাসেই ২টি করে কোম্পানি কিনেছে গুগ্‌ল।

৯) মরুভূমির ‘স্ট্রিট ভিউ’ তৈরি করতে গিয়ে একটি উটের সাহায্য নিয়েছিল গুগ্‌ল।

১০) গুগ্‌লের প্রথম টুইট ছিল বাইনারিতে ‘আই অ্যাম ফিলিং লাকি’।

১১) এই ‘আই অ্যাম ফিলিং লাকি’ বাটনের জন্য প্রতি বছর ১১০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয় গুগ্‌লের, 

১২) ২০১৪ সালে গুগ্‌ল-এর আয়ের ৯০ শতাংশই এসেছে বিজ্ঞাপন থেকে।

১৩)  ২০২০-র মধ্যে পৃথিবীর প্রত্যেকটি বই স্ক্যান করতে চায় গুগ্‌ল। অর্থাৎ ১৪০ মিলিয়ন বই।

১৪) গুগ্‌ল-এর কোনও কর্মচারীর মৃত্যু হলে তাঁর স্বামী বা স্ত্রী পরের ১০ বছর পর্যন্ত অর্ধেক বেতন পেতে পারেন এবং মৃত ব্যক্তির সন্তানেরা যতদিন না ১৯ বছরে পা দিচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত প্রতি মাসে পাবে ১০০০ ডলার।


তো এই ছিল গুগ্‌ল সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য। 

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যায় জাপানের কিছু অদ্ভুত আবিষ্কার

কোন মন্তব্য নেই
জাপানের তৈরি কিছু অদ্ভুত আবিষ্কার যা জাপান দেশটিকে অন্য দেশ গুলির থেকে আলাদা করে রাখে (Some Amazing Discoveries made by JAPAN that Kept JAPAN Separate from Other Countries)

জাপানের তৈরি কিছু অদ্ভুত আবিষ্কার যা জাপান দেশটিকে অন্য দেশ গুলির থেকে আলাদা করে রাখে
উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যায় জাপানের কিছু অদ্ভুত আবিষ্কার - BengaliGossip24

আধুনিক এই যুগে মানব জীবনযাত্রাকে আরো সহজতর করে তোলার জন্য প্রযুক্তি বিদ্যা দিন দিন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন যন্ত্রপাতি সহ বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রযুক্তির মাত্রা। বর্তমানে বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশ ই উন্নত প্রযুক্তির জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে এবং সেই সমস্ত উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যার দেশ গুলির মধ্যে যে দেশটি সবার প্রথমে আসে তা হলো জাপান। জাপানের মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবন যাপন প্রযুক্তির সাথে যুক্ত করে নিয়েছে। সমস্ত বড়ো বড়ো জিনিস থেকে শুরু করে অতীব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জিনিস গুলিতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সহজতর করে তুলেছে। সেখানকার মানুষ ঘুমোতে যাওয়ার থেকে শুরু করে ঘুম থেকে জেগে উঠা পর্যন্ত সমস্ত কাজে প্রযুক্তিবিদ্যার ব্যবহার করে থাকে।  তো চলুন জেনে নিই এমন কিছু অদ্ভুত আবিষ্কার যা একমাত্র জাপান ছাড়া আর অন্য কোনো দেশ গুলিতে খুঁজে পাওয়া যায় না। 

১) বৃত্তাকার কী -বোর্ড : সাধারণত আমরা কম্পিউটারে যেই কী বোর্ড ব্যবহার করে থাকি সেই কী বোর্ড সারা বিশ্বেও ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু জাপান এমন একটি দেশ যেখানে  সেখানকার মানুষ এই কম্পিউটারের কী বোর্ডের পাশাপাশি ওদের নির্মিত এক বিশেষ বৃত্তাকার কী বোর্ড ব্যবহার করে থাকে। কী বোর্ডটি দেখতে অনেক বৃত্তাকার ড্রাম সেটের মতো। জাপানের ইনফরমেশন টেকনোলজির টিম এই কী বোর্ডটি তৈরি করেছে তাদের নিজেদের কাজ আরো সহজ করে তোলার জন্য। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে এই কী বোর্ড দেখতে অনেকটাই কঠিন এবং আজব লাগতে পারে। কিন্তু প্রস্তুতকারক কোম্পানি দাবি করে যে এই কী বোর্ড সাধারণ কী বোর্ডের থেকে অনেক দ্রুত কাজ করে। বৃত্তাকার হওয়ায় এই কী বোর্ডকে ড্রাম সেটের মতোও ব্যবহার করা যেতে পারে। এই কী বোর্ড শুধুমাত্র জাপানেই তৈরি হয় এবং শুধুমাত্র জাপানের মানুষরাই এই কী বোর্ড ব্যবহার করে বলে এই কী বোর্ডের অক্ষর গুলি জাপানি ভাষায় লেখা। সেই জন্য এই কী বোর্ড গুলি বাণিজ্যিক বাজারে পাওয়া যায় না। 

২) সাই-ফাই দরজা : সাধারণত বড়ো বড়ো শপিং মোল  বা হোটেল গুলিতে আমরা অটোমেটিক দরজা দেখতে পাই যেগুলি অটোমেটিক খুলে যায় এবং অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যায়। আমরা সিনেমা যেসকল অটোমেটিক দরজা গুলি সেগুলি আসল নয়। সেগুলিকে কম্পিউটার গ্রাফিক্স দিয়ে তৈরি করা হয়। কিন্তু জাপানিরা সেই কাল্পনিক জিনিসটাকে বাস্তবে নিয়ে এসেছে। তারা এমন দরজা আবিষ্কার করেছে যেগুলি মানুষের শরীরের শেপে অটোমেটিক খুলে যায়। এই দরজা গুলিতে একটি বিশেষ সেন্সর থাকে যার কারণে যদি কোনো মানুষ সাই-ফাই দরজার সামনে দাঁড়ায় তাহলে তার শরীরের শেপে অটোমেটিক দরজা খুলে যাবে। এই দরজা গুলিতে এমন কিছু সিকিউরিটি ফিচারসও রয়েছে যেখানে মানুষের চেহারা দেখে দরজা খুলে। অর্থাৎ সেই  এসে যদি কোনো  ব্যক্তি দাঁড়ায় তবে দরজাটি অটোমেটিক কিছুতেই খুলবে না। এই দরজা গুলি বাইরের ধুলোবালি প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে।


৩) কুকুরের চশমা : অনেকেই বাড়ি ঘরে পশু পাখি পুষতে ভালোবাসেন। যখনই কোনো প্রাণীকে পুষে থাকি তখন আমরা সেটাকে বাড়ির সদস্যের মতোই ভালোবাসি। আর এই অত্যাধিক ভালোবাসার কারণে এদের নানা সময় পোশাক জুতো ইত্যাদি পরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু জাপানে কুকুরকে চশমা পড়তে দেখা যায়। কুকুরের চশমা  ট্রেন্ড আজ জাপানে এতটায় জনপ্রিয় হয়েছে যে সেখানে কুকুরের জন্য আলাদা আলাদা ডিসাইনের চশমা তৈরি করা হয়।

৪) গরম কার্পেট : সাধারণত শীতকালে আমাদের ঘরের মেজে খুব ঠান্ডা পরে। যার কারণে আমাদের চলতে ফেরতে খুবই অসুবিধায় পড়তে হয়। কার্পেট এমন এক বস্তু যা ঘরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে আর শীতকালে ঘরের মেজ ঠান্ডা হওয়া থেকে রক্ষা করে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই কার্পেট গুলি প্রচন্ড ভারী হয়ে থাকে যার ফলে যদি এই কার্পেট গুলিতে কোন ভাবে জল পরে যায় বা যদি ময়লা জমে যায় তবে তা পরিষ্কার করতে খুবই কষ্ট হয়। তাই জাপানিজরা এমন এক কার্পেটের আবিষ্কার করেছেন যা আমাদের সাধারণ কার্পেট গুলির থেকে একদমই আলাদা। ইটা একটা ইলেক্ট্রনিক কার্পেট। অর্থাৎ এটা ইলেকট্রিসিটির মাধ্যমে গরম হয়। যার ফলে ঠান্ডার সময় এই কার্পেট খুবই উপযোগী। ইলেকট্রিকাল হিটার থাকায় এটা গরম থাকে এবং এটাকে সর্বাধিক ১১০ ডিগ্রি পর্যন্ত গরম করা যায়। আর যখন ময়লা হয়ে যায় খুব সহজেই পরিষ্কার করা যায়। কারণ এটা পুরোপুরি ভাবে জল নিরোধক কার্পেট। অর্থাৎ যদি ভুল বসত কোনো ভাবে জল পরে যায় সেটা এই কার্পেটকে কোনো ভাবেই ক্ষতি করতে পারবে না।

৫) জাপানিজ ভেন্ডিং মেশিন : আমাদের দেশে সাধারণত আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় জিনিস গুলির জন্য বাজারে যেতে হয়। নির্দিষ্ট বাজার থেকে জিনিসপত্র কিনে নিয়ে আসতে হয়। কিন্তু জাপানে তা করতে হয় না। কারণ জাপানের মানুষ ভেন্ডিং মেশিন নামক একপ্রকার যন্ত্র ব্যবহার করেন। এই মেশিনটি সাধারণত এটিএম মেশিনের মতো হয়ে থাকে। আমাদের দেশে যেমন এটিএম মেশিন থেকে যেকোনো জায়গা থেকে টাকা তোলা যায় তেমনি জাপানে যেকোনো জায়গা থেকে ওদের প্রয়োজনীয় যেকোনো জিনিস এই ভেন্ডিং মেশিনের সাহায্যে পেয়ে যায়। এই মেশিন গুলি ক্রয় বিক্রয়কে আরো সহজ করে তুলেছে। সেখানে কোনো মানুষ যদি বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় কোনো কিছু নিয়ে যেতে ভুলে যায় তবে তাকে সেই জিনিসের জন্য বাজারে যেতে হয় না, রাস্তায় যেকোনো জায়গা থেকে সেই ভেন্ডিং মেশিনের সাহায্যে অনায়াসে পেতে পারে।

৬) ১৮০ ডিগ্রি ট্রেনের সিট : আমাদের দেশে যে ট্রেন গুলি দেখা যায় তাতে যে বসার সিট্ গুলি থাকে তা সামনের এবং পিছনের দিকে মুখ করে থাকে যার ফলে ট্রেনের যাত্রীদের অনেক সময় উল্টো করে  হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য জাপানিরা ট্রেনের সিট্ গুলিকে এমন ভাবে তৈরি করেছে যে গুলি ১৮০ ডিগ্রিতে রোটেট করে। ফলে ট্রেন গুলি যখন চলাচল করে তখন কোনো যাত্রী যদি  উল্টো অবস্থায় থাকে তবে তাদের সুবিধা অনুযায়ী বসতে পারে।

৭) টয়লেট সিঙ্ক : বর্তমানে ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলা দূষণ এবং বিশ্ব উষ্ণতার ফলে জলের সমস্যা প্রায় সব দেশেই দেখা যায়। বিশেষ করে গরম কালে আমাদের জল অনেক বেশি পরিমানে প্রয়োজন হয়। কিন্তু জলের সমস্যার কারণে আমাদের বিভিন্ন সময় সমস্যায় পড়তে হয়। আর যারা উন্নত মানের টয়লেট ব্যবহার করে তাদের টয়লেটে একটি ফ্ল্যাশ ট্যাংকও যুক্ত থাকে। যেখানে সাধারণত ৮ থেকে ১০ লিটার জল সঞ্চয় থাকে। প্রত্যেকবার আমরা যখন ফ্ল্যাশ ব্যবহার করি তখন অনেক জলের অপচয় হয়। সেই জন্য জাপানিরা টয়লেট সিঙ্ক পদ্ধতির ব্যবহার শুরু করে। যার ফলে একবার ব্যবহৃত জল পুনরায় রিসাইক্লিন করে সেই জল ফ্ল্যাশ এ জমা করা হয় এবং তা ফ্ল্যাশ এ ব্যবহার করা হয়। সেখানে রান্না ঘরের বেসিনের পাইপ একেবারে টয়লেটের ফ্লাশের সাথে যুক্ত থাকে। তো সব অব্যবহৃত জল সব টয়লেটের যার ফলে খুব বেশি জল অপচয় হয় না।

৮) জল ছাড়া ওয়াশিং মেশিন : সাধারণত আমরা যে ওয়াশিং মেশিন গুলি ব্যবহার করি তাতে প্রথমে আমাদের জল দিয়ে তারপর কাপড় পরিষ্কার করতে হয়। যার ফলে অনেক জলের প্রয়োজন হয়। এই সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জাপানিরা এমন একটি ওয়াশিং মেশিন আবিষ্কার করে যেটি জল ছাড়া কাপড় পরিষ্কার করতে সক্ষম। সাধারণত এই ওয়াশিং মেশিনটিতে একপ্রকার রাসায়নিক দ্রব্য থাকে। এই রাসায়নিক দ্রব্যের সাহায্যে জল ছাড়াই কাপড় পরিষ্কার করা হয়। এই রাসায়নিক দ্রব্য খুব সহজেই কাপড়ে থাকা ময়লা এবং জীবাণু গুলোকে জল ছাড়াই পরিষ্কার করে দেয়। আমরা যেমন নির্দিষ্ট কিছু জামা কাপড়কে ড্ৰাই ওয়াশ করি তেমনি জাপানিরা তাদের জামা কাপড়কে এই জল ছাড়া ওয়াশিং মেশিনের সাহায্যে পরিষ্কার করে।

৯) প্যাকেটিং সেদ্দ ডিম : ডিম্ খেতে কম বেশি সবাই ভালোবাসে। আমাদের দেশে সাধারণত ডিম্ রান্না করে খাওয়া হয়। কিন্তু জাপানে ডিমকে সেদ্দ করে তা প্যাকেট করে বিক্রি করা হয়।

এই ছিল জাপানের কিছু অদ্ভুত আবিষ্কার যা একমাত্র জাপানেই দেখতে পাওয়া যায়। 

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

২০১৯ আইপিএল নিলামের দামি ১০ ক্রিকেটার | IPL Auction 2019

কোন মন্তব্য নেই

২০১৯ এর আইপিএলে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি দশ ক্রিকেটার (The most expensive ten cricketers to be sold in this IPL) 

২০১৯ এর আইপিএলে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি দশ ক্রিকেটার

সম্প্রীতি শেষ হলো ২০১৯ সালের আইপিএল নিলাম। বেশ কিছু বিদেশী এবং ভারতীয় ক্রিকেটারদের বেশ চড়া দামে কিনেছে টুর্নামেন্টের ফ্রেঞ্চাইজি গুলি। সর্বাধিক দামে বিক্রি হয়েছে ভারতীয় পেসার জয়দেব উনাদকাদ এবং বরুন চক্রবর্তী। আর বিদেশী ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে ইংল্যান্ডের স্যাম কারেন। আইপিএলের সর্বশেষ আসরেরও সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার ছিল জয়দেব উনাদকাদ। এই বার ৮ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায় তাকে দলে নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। নিলামে তাকে নিয়ে কম টানাটানি হয় নি। জয়দেব উনাদকাদের বিক্রি মূল্য ছিল ১ কোটি ৫০ লক্ষ। শুরুতে তার প্রতি আগ্রহ দেখায় দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, এরপর তাকে বিট করে রাজস্থান রয়্যালস। সেই বিটে অংশ নেয় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবও। সবশেষে ৮ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায় তাকে কিনে নেয় রাজস্থান রয়্যালস। গত আইপিএলে দামি ক্রিকেটার হলেও খুব ভালো কিছু করতে পারেন নি তিনি। তারপরেও তার উপর বিশ্বাস রেখে এই বছরও এতো দাম দিয়ে পুনরায় কিনে নিলো রাজস্থান রয়্যালস। তবে এই বার নিলামে সবচেয়ে বড়ো চমক নুতুন চেহারা বরুন চক্রবর্তী। তার বিক্রি মূল্য ছিল মাত্র ২০ লক্ষ টাকা। প্রথমে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস এবং চেন্নাই সুপার কিংস এই নিলামে অংশ নেয় তারপর ধীরে ধীরে চওড়া হতে থাকে তার দাম। এরপর কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সও এই নিলামে অংশ নেয়। শেষ পর্যন্ত ৮ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব তাকে কিনে নেয়। সবচেয়ে দামি বিদেশী ক্রিকেটার হলো ইংল্যান্ডের স্যাম কারেন। তার বিক্রি মূল্য ছিল ২ কোটি টাকা। কিন্তু নিলামে তাকে ৭ কোটি ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনে নেয় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। 

তো চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এইবারের আইপিএল নিলামের সবচেয়ে দামি ১০ ক্রিকেটার। 

১) বরুন চক্রবর্তী (ভারত)
- কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব 
- ৮ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা 

২) জয়দেব উনাদকাদ (ভারত)
- রাজস্থান রয়্যালস 
- ৮ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা 

৩) স্যাম কারেন (ইংল্যান্ড)
- কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব 
- ৭ কোটি ২০ লক্ষ টাকা 

৪) কলিন ইনগ্রাম (দক্ষিণ আফ্রিকা)
- দিল্লি ক্যাপিটালস 
- ৬ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা 

৫) অক্ষর প্যাটেল (ভারত)
- দিল্লি ক্যাপিটালস 
- ৫ কোটি টাকা 

৬) কার্লোস ব্রাথহোয়াইট (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
- কলকাতা নাইট রাইডার্স 
- ৫ কোটি টাকা 

৭) মোহিত শর্মা (ভারত)
- চেন্নাই সুপার কিংস 
- ৫ কোটি টাকা 

৮) শিভাম ডুবে (ভারত)
- রয়াল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরু 
- ৫ কোটি টাকা 

৯) প্রভাসিমরান সিং (ভারত)
- কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব 
- ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা 

১০) মোহাম্মদ সামি (ভারত)
- কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব 
- ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা।

তো এই ছিল এই আসরের দামি ১০ ক্রিকেটার। 

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

বিশ্বের কিছু অরুচিকর খাবারের নাম জেনে নিন

কোন মন্তব্য নেই

বিশ্বের কিছু অদ্ভুত এবং অরুচিকর খাবার (Some Amazing but Unhealthy Foods in the World)


কিছু অরুচিকর খাবার - Weird Food

মাদের এই পৃথিবীটা যেমন বিচিত্র তেমনি রয়েছে নানা রকম বিচিত্র সুস্বাদু খাবারের সমাহার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন খাবারের ঐতিহ্য। তবে যারা খাবারের ব্যাপারে একটু সৌখিন, নতুন নতুন খাবারের সম্পর্কে একটু আধটু খোঁজ খবর রাখে, তাদের কাজই হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে মজাদার খাবারের স্বাদ সংগ্রহ করা। আপনি যদি খাবারের সৌখিন হয়ে থাকেন তাহলে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে আপনি সুস্বাদু খাবারের খোঁজ পেয়ে যাবেন। কিন্তু এই সুস্বাদু খাবারের পাশাপাশি সেখানে এমন অনেক খাবার রয়েছে যেগুলি অনেকের কাছে খাওয়ার অযোগ্য, পুরোপুরি ভাবে অরুচিকর খাবার। সেই সব খাবার খেতে আমাদের দুইবার  ভাবতে হবে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক এমনই কিছু অদ্ভুত এবং অরুচিকর খাবারের নাম। 

১) কাঁচা অক্টোপাস : অক্টোপাস এমনই একটি অদ্ভুত প্রাণী যেটি খাওয়া তো দূরের কথা ধরতে বা কাছে যেতেই শরীর ঘিনঘিন করে। কিন্তু পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছে যারা অক্টোপাসকে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষদের জন্য অক্টোপাস খুবই মজাদার একটি খাবার। শুধু তাই নয় সেখানকার মানুষরা অক্টোপাসকে কাঁচা জ্যান্ত খেয়ে ফেলে। জ্যান্ত খাওয়ার ফলে এটি অনেক সময় গলায় আটকে যায়। এর ফলে স্বাশ প্রস্বাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। এর পরেও দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ অক্টোপাস খেতে খুবই ভালোবাসে। তো ভেবে দেখুন যেটা আপনার কাছে অরুচিকর খাবার সেটা অন্য কারোর জন্য খুবই পছন্দদের একটি খাবার।

বিশ্বের কিছু অদ্ভুত এবং অরুচিকর খাবার


২) পোড়া মাকড়শা : বড়ো বড়ো মাকড়শা দেখতে আমরা সবাই ই কম বেশি ভয় পেয়ে থাকি। কিন্তু সেই মাকড়শা যদি আপনাকে কেউ খেতে বলে আপনার অবস্থা কি হবে ভাবুন। এটা আমাদের জন্য একটি অরুচিকর ঘৃণ্য খাদ্য হলেও কম্বোডিয়া দেশের মানুষের কাছে খুবই পছন্দদের একটি খাবার। পুরো দেশের লোকজন এক প্রজাতির মাকড়শা পুড়ে বা গরম তেলে ফ্রাই করে বেশ অনায়াসে এই খাবারটি খায়। সেখানকার মানুষের কাছে এটি খুবই পছন্দদের খাবার যা আমাদের মতো সাধারণ মানুষ খেতে দুইবার ভাববে। তাদের মতে এই পোড়া মাকড়সার স্বাদ অনেকটা কাঁকড়ার মতো। মাকড়শা ফ্রাই করে খাওয়া কম্বোডিয়াতে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে।
বিশ্বের কিছু অরুচিকর খাবারের নাম  জেনে নিন

৩) এসকামোলস : এসকামোলস একটি মেক্সিকোর জনপ্রিয় খাবার। এটি একটি বিশেষ প্রজাতির পোকামাকড়ের লার্ভা দিয়ে তৈরি করা হয়। একটি বিশেষ প্রজাতির গাছের নিচে এই পোকা গুলি  লার্ভা দিয়ে থাকে। মেক্সিকানরা এটিকে ওমলেট বানিয়ে খায়। ওদের মতে খাবারটি খেতে অনেকটা মাখনের মতো। ওরা এই এসকামোলসকে খুব মজা করেই খায়। 

৪) ভ্রূণ গঠিত ডিম : পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই ডিম্ একটি জনপ্রিয় খাবার এবং কম বেশি প্রায় সবাই ই ডিমকে খুব পছন্দ করে। কিন্তু এদিক থেকে পছন্দের তালিকায় ফিলিপাইন দেশের লোকজন অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে।  সেখানকার লোকজন এমন ডিম্ খেতে পছন্দ করে যেটাতে ভ্রূণ থাকে। বিভিন্ন রকমের মসলা বা ভিনিগার মিশিয়ে তারা এই ডিমটিকে খায়। এমনকি ডিম্ খাওয়ার সময় ভ্রূণের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের পাখাও দেখা যায়। যদিও আমাদের কাছে এটা খুবই বিশ্রী লাগছে বা অরুচিকর লাগছে কিন্তু ফিলিপাইনদের কাছে এটা খুবই জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু একটি খাবার।
ভ্রূণ গঠিত ডিম - বিশ্বের কিছু অরুচিকর খাবারের নাম


৫) কাসু মারজু : ফ্রান্স এবং ইতালির পনির বিশ্ব জুড়ে বিখ্যাত একটি খাবার। তবে কাসু মারজু ফ্রান্স এবং ইতালিতে তৈরি করা এমন একটি খাবার যা ভেড়ার দুধ দিয়ে একটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয়। প্রথমে এই খাবারটি দেখতে অনেকটা চিজের মতো মনে হয়। তবে ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় এতে অনেক জীবিত কীড়া থাকে। শুধু তাই নয় এটি তৈরি করার সময় তার ওপরে জীবিত কীড়া ছেড়ে দেওয়া হয় ডিম্ দিয়ে বংশ বৃদ্ধি করার জন্য এবং সেখানকার মানুষ এই খাবারটিকে খুবই পছন্দ করে, যা হয়তো আপনার আর আমার দ্বারা সম্ভব হবে না।

বিশ্বের কিছু অদ্ভুত এবং অরুচিকর খাবার (Some Amazing but Unhealthy Foods in the World)


তো এই ছিল এমন কিছু খাবারের নাম যা আমাদের জন্য পুরো অরুচিকর ঘৃণ্য খাদ্য মনে হলেও কিছু কিছু মানুষের জন্য খুবই পছন্দের খাবার। 

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

বিশ্বের কিছু শক্তিশালী গাড়ির নাম জেনে নিন

কোন মন্তব্য নেই

বিশ্বের কিছু শক্তিশালী বুলেটপ্রুফ গাড়ি  (Some Powerful Bulletproof Cars in the World)

বিশ্বের কিছু শক্তিশালী বুলেটপ্রুফ গাড়ি

মাদের মধ্যে প্রায় সবার ই রাজার মতো জীবন যাপন কাটাতে মন চায়। লাক্সারিয়াস গাড়িতে ঘুরে বেড়াতে সবার ই মন চায়। যে গাড়িতে থাকা অবস্থায় কেউ আপনার কোনো ক্ষতি পারবে না। পৃথিবীতে এমন কিছু শক্তিশালী বুলেটপ্রুফ গাড়ি রয়েছে যে গুলিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে পৃথিবীর সমস্ত শক্তিশালী দেশ গুলির নেতা মন্ত্রীরাও নিজেদেরকে শতভাগ সুরক্ষিত বলে মনে করে। সাধারণত এই গাড়ি গুলি ভিআইপি লোকজনদের জন্যই বানানো হয়েছে। যাদের সুরক্ষা দেয়াটা অত্যন্ত জরুরী। তো চলুন জেনে নিই পৃথিবীর এমন কিছু শক্তিশালী বুলেটপ্রুফ সুরক্ষিত গাড়ি, যার দৃঢ় এবং মজবুত গঠন আমাদের সাধারণ মানুষের চিন্তারও বাইরে। 

CADILLAC VAN: বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী গাড়ির গুলির মধ্যে প্রথমেই যে গাড়িটির নাম আসে তা হলো Cadillac Van. Cadillac Van একটি পরিচিত গাড়ি। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি মিস্টার ডোনাল্ড ট্রাম্প এই গাড়িটি ব্যবহার করেন। এই গাড়িটিতে অত্যন্ত আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। এই গাড়ির মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ মার্কিন ডলার।  তবে এই গাড়ির অনেক তথ্যই অজানা যা মার্কিন রাষ্ট্রপতির সুরক্ষার জন্যে গোপন রাখা হয়েছে। এই গাড়ির কাঁচ এতটাই মজবুত যে এতে কোনো আঘাতেরই কোনো প্রতিক্রিয়া হয় না। পেট্রোল ট্যাংকের সুরক্ষার জন্য এটাকে বিশেষ ফোম দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে। যাতে এটা ফাটলে অথবা ধাক্কা লাগলে কোনো ভাবে আগুন লেগে না যায়। এই গাড়ির পিছনে রাষ্ট্রপতির জন্য একটি কম্পার্টমেন্ট রয়েছে। যার পার্টিশন কাঁচ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। শুধুমাত্র স্বয়ং রাষ্ট্রপতিই ইটা খুলতে পারবে। এই গাড়িতে একটি প্যানিক বাটন রয়েছে যা টিপলে দ্রুত রাষ্ট্রপতির কাছে সাহায্য পৌঁছে যাবে।
বিশ্বের কিছু শক্তিশালী বুলেটপ্রুফ গাড়ি  (Some Powerful Bulletproof Cars in the World)


COMBAT 98: আরেকটি পরিচিত শক্তিশালী গাড়ি হলো COMBAT ৯৮। যদি আপনি কখনো এই গাড়ির মধ্যে বসে থাকেন তাহলে আপনি বুজতেই পারবেন না যে আপনি আদৌ কোনো গাড়ির মধ্যে বসে আছেন। এই রয়াল গাড়িতে সব কিছুই ফার্স্টক্লাস ব্যবহার করা হয়েছে। এই গাড়িতে লেদার দিয়ে তৈরি আরামদায়ক সিট্, আধুনিক মাল্টিমিডিয়া সিস্টেম, রেফ্রিজেরেটর আর সেই সব সুযোগ সুবিধা রয়েছে যা একটি লাক্সারিয়াস গাড়িতে থাকা দরকার। Cadillac Van এর মতো এই গাড়িটিও যেকোনো ধরণের বুলেট প্রটেক্ট করতে সক্ষম। ল্যান্ড মাইন এবং ছোটোখাটো যেকোনো ধরণের বোম্ব এই গাড়িটি খুব সহজেই প্রটেক্ট করতে পারে। এই গাড়ির কাঁচ অত্যন্ত হাই গ্রেডেড বুলেটপ্রুফ। এই গাড়িটি ১৩০ মাইল গতিতে আপনি চালাতে পারবেন। উচ্চ্ গতির সাথে সুরক্ষা। এরপরেও এই গাড়ির ইঞ্জিনটি খুব চমৎকার ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।



BMW 7 SERIES: বিএমডাব্লিউ নামটি আমাদের সবার কাছেই পরিচিত একটি নাম।  জার্মান কোম্পানি বিএমডাব্লিউ  শুধুমাত্র লাক্সারিয়াস গাড়ি তৈরি করার জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত। কিন্তু এই বিএমডাব্লিউ র নির্মাণ করা বিএমডাব্লিউ ৭ সিরিজের গাড়ি গুলি বিশ্বের শক্তিশালী গাড়ি গুলির মধ্যে একটি। এই কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী এই জার্মান কোম্পানির সবচেয়ে সফল আবিষ্কার। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করায় গাড়িটির ওজন অনেকটাই বেশি। কিন্তু অতিরিক্ত ওজন হলেও এর পারফরম্যান্সের কোনো ঘাটতি হয়নি। এই গাড়িটি আপনাকে সমস্ত রকম অস্ত্র এবং রাসায়নিক হামলা থেকে সর্বদা সুরক্ষিত রাখবে। এই গাড়িটিতে একটি অক্সিজেন ট্যাংক লাগানো আছে। জরুরী অবস্থায় আপনি ওইটা ব্যবহার করতে পারবেন। এই গাড়িতে V12 ইঞ্জিন লাগানো আছে। যা ৫৫০ হর্সপাওয়ার শক্তি প্রদান করে। এই গাড়ির মূল্য প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মার্কিন ডলার। 

বিশ্বের কিছু শক্তিশালী গাড়ির নাম জেনে নিন


CONQUEST KNIGHT XV: এই গাড়িটি মজবুত স্টিল এবং ক্যাবলার ফাইবার গ্লাস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই গাড়ির গ্লাস গুলির সহ গাড়ির চাকাও বুলেটপ্রুফ। কারণ এটি ৬০৬১ অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই গাড়িতে ৬.৫ লিটারের ডিজেল ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। এই গাড়ির ইঞ্জিন ৩৫০ হর্সপাওয়ারের শক্তি প্রদান করে থাকে। এই দানবীয় শক্তির জন্যই এই গাড়ি যেকোনো অবস্থায় আপনাকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম । এই গাড়ির মূল্য প্রায় ৮ লক্ষ মার্কিন ডলার। 

AUDI A8L SECURITY: অডির এই গাড়িটি একটি শক্তিশালী বুলেটপ্রুফ গাড়ি। এই গাড়িতে  V7 সুরক্ষা পরত লাগানো আছে। এই V7 কে সর্বশ্রেষ্ঠ সুরক্ষা পরত হয়। এই গাড়িটি যাত্রীকে যেকোনো অবস্থা থেকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসতে পারবে। এই গাড়িটি পুরোপুরি ভাবে বুলেটপ্রুফ হওয়ায় এই গাড়িতে ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী বন্ধুক দিয়ে গুলি করলেও এই গাড়ির কোনো ক্ষতি হবে না। এই গাড়িতে যত খুশি গুলি করুন না কেন এই গাড়ির ভিতরে কোনো গুলি প্রবেশ করবে না। সমস্ত রকম রাসায়নিক আক্রমণ থেকেও এই গাড়ি আপনাকে সর্বদা সুরক্ষিত রাখবে। যেকোনো রাসায়নিক পদার্থকে যদি এই গাড়িতে ফেলা হয় তাহলে গাড়িতে একটি লেয়ার তৈরি হবে যা আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে। এই গাড়ির আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।

Top Powerful Bulletproof Cars in the World in Bengali


তো এই ছিল বিশ্বের কিছু শক্তিশালী গাড়ির নাম। যা আপনাকে সবসময় সুরক্ষিত রাখবে। 

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

থাইল্যান্ড সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নিন | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

Unknown Facts about the Country THAILAND

থাইল্যান্ড সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নিন | Bengali Gossip 24

আমাদের এশিয়া মহাদেশের বেশ কয়েকটি দেশ একটা সময় বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশ গুলির স্বাশন ব্যবস্থা চলতো।  কিন্তু দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া মহাদেশের অন্তর্গত থাইল্যান্ড এমন একটি দেশ যেখানে ইউরোপীয় স্বাশনের প্রভাব বিশেষ একটা পরে নি। বেশির ভাগ সময় ই এই দেশে রাজার রাজত্বের প্রসার ঘটে। আজ আমরা যে দেশটিকে কিংডম অফ থাইল্যান্ড হিসাবে জানি সেটাকে একটা সময় সিয়াম নাম ডাকা হতো। থাইল্যান্ডের আধিকারিক মানুষরা থাইল্যান্ড কে মুইঅং থাই নামে একটা সময় ডাকতেন। 

থাইল্যান্ডের আধিকারিক ভাষা হলো থাই। এই থাই শব্দের অর্থ হলো ফ্রি ম্যান। কথা কিছুটা হলেও সত্যি। কারণ যুদ্ধ ব্যতীত থাইল্যান্ডকে কোনো পাশ্চাত্যের দেশ কোনো সময় ই স্বাসন করতে পারে নি। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে দেশটি রাজতন্ত্রের অধীনে চলে আসে এবং  রাজ্ বংশের অধীনে থাকাকালীন ই দেশটি গণতান্ত্রিক অধিকার পায়। সেই সময় রাজা প্রজাদীপক বাধ্য হয়ে দেশের সাধারণ মানুষ গুলিকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার দিয়ে দেয়। ফলে থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে। কিন্তু তারপরেও রাজাদের কাছে খুব সীমিত ক্ষমতা থেকেই যায়। তবে এই রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেন এই দেশে স্থায়ী হতেই চাই না। এই দেশে যে কতবার রাজনৈতিক অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না। ২০১৪ সালে এই দেশে স্বাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন হয়।  আর তার কয়েক বছর পরেই ২০১৭ সালে নতুন ভাবে সংবিধান গঠন করা হয়। 

থাইল্যান্ডের মোট আয়তন ৫ লক্ষ ১৩ হাজার ১২০ বর্গকিমি। যা আয়তনে বিশ্বে ৫০ তম স্থান দখল করে রেখেছে। এই দেশের চারদিকে মালেশিয়া, কম্বোডিয়া এবং মায়ানমারের মতো দেশ গুলি রয়েছে। কিন্তু থাইল্যান্ডের পাশাপাশি সেখানকার কিছু বিখ্যাত জায়গা রয়েছে যা সারা বিশ্বের কাছে খুবই পরিচিত এবং জনপ্রিয়। যেমন থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক, পাটায়া, ফুকেট ইত্যাদি। 

থাইল্যান্ডের জাতীয় মুদ্রা থাই বাত। থাইল্যান্ডের মানুষ ওদের মুদ্রাকে খুবই সম্মান করে। কারণ ওদের মুদ্রাতে ওখানকার রাজার ছবি থাকে। তাই ওদের মুদ্রাকে যদি কেউ অপমান করে তাহলে তাদের আর রক্ষা নেই। বাত পৃথিবীতে বহুপ্রচলিত মুদ্রা গুলির মধ্যে একটি। 

থাইল্যান্ড দেশটি একটা সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ সুনামির কবলে পড়লেও সেখানে পরবর্তী সময়ে পর্যটকদের আসা কখনোই কমে যায় নি। কারণ এই দেশের রাজধানী ব্যাংককের আসল নামটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো নাম গুলির মধ্যে একটি। এছাড়াও ব্যাংকককে সিটি অফ এঞ্জেলস, সিটি অফ রয়াল প্লেসেস আরো কিছু বিখ্যাত নামে ডাকা হয়। প্রাচীন মানুষরা মনে করতেন থাইল্যান্ডের মানুষরা দক্ষিণ পশ্চিম চীন থেকে এসে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় তাদের বসতি স্থাপন করে। যাকে আগে সিয়াম নামে ডাকা হতো। আর এখন তাকে থাইল্যান্ড বলা হয়। তাই দেশের মূল জাতিগত গোষ্ঠীকে থাই বলা হয় এবং চীনা থাই গোষ্ঠীর মানুষকেও থাইল্যান্ডে দেখা যায়। 

 জনসংখ্যার দিক দিয়ে ২০ তম স্থানে অবস্থান করা থাইল্যান্ডের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৬ কোটি ৯০ লক্ষ। এই দেশের অধিকাংশ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী। তবে তবে থাইল্যান্ডের মানুষ বৌদ্ধ ধর্মের একটি শাখা থেরাভাদা তে বিশ্বাসী। এই থেরাভাদার সমস্ত লিপি গুলি রাখা আছে পালি ক্যানন এ। এই বৌদ্ধ ধর্মের পাশাপাশি ওখানে স্বল্প পরিমান হিন্দু, মুসলিম এবং খ্রিষ্টান ধর্মের মানুষও বসবাস করে। থাইল্যান্ডে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব থাকায় সেখানে বেশির ভাগ জায়গায় বৌদ্ধদের মন্দির এবং স্তূপ দেখতে পাওয়া যায়। 'গ্রেট বৌদ্ধা অফ থাইল্যান্ড' এই বিশাল ভাস্কর্যটি এই থাইল্যান্ডেই অবস্থিত।

থাইল্যান্ড প্রযুক্তিবিদ্যার দিক দিয়েও অনেক এগিয়ে। আজ বড়ো বড়ো গাড়ি নির্মাণ শিল্পে পৃথিবীর মধ্যে থাইল্যান্ড অন্যতম। এছাড়াও ওখানে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত অনেক দ্রব্য উৎপন্ন হয়। টিনের দ্রব্য উৎপাদনে বিশ্বের বাণিজ্যিক বাজারে থাইল্যান্ড সবার উপরে থাকে। ওখানে দেশের মূল অর্থনৈতিক ব্যবস্থা রপ্তানীগত দ্রব্য থেকেই আসে। এছাড়াও থাইল্যান্ডের অর্থনীতির অনেকটাই আসে পর্যটন শিল্পের থেকে। সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতি বছর ব্যাংকক, পাটায়া এই শহর গুলিতে বেড়াতে আসে। পর্যটন শিল্প থেকে আসা আয়ের পরিমান দেশের সমগ্র অর্থনীতির ৬ শতাংশের মতো।

থাইল্যান্ডের পরিবহন ব্যবস্থা খুবই উন্নত। বিশেষ করে পর্যটকদের যাতে কোনো অসুবিধায় না পড়তে হয় সেই সব দিকে বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখা হয়।  এবং পর্যটকদের মাত্রা বাড়ানোর জন্য ওরা পর্যটকদের সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা প্রদান করে। থাইল্যান্ডে পর্যটকদের বেড়ানোর জন্য জায়গার অভাব নেই। যেমন সেখানে বিভিন্ন লেক, স্তুপ, গার্ডেন ইত্যাদি পর্যটকদের বিশেষ ভাবে আকৃষ্ট করে।

চালের তৈরি যেকোনো খাবার এবং নানা রকম মাছের খাবার থাইল্যান্ডে খুবই জনপ্রিয়। বিশ্বের একটি বড়ো খাবার  প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউশন এ থাইল্যান্ডে উৎপন্ন প্রায় সব  রকমের চালের খাবার সঞ্চিত রাখা আছে। তো বুজতেই পারছেন চাল উৎপাদনে থাইল্যান্ড বিশ্ব বিখ্যাত।

একটা জিনিস থাইল্যান্ডে প্রতিদিন দেখতে পাওয়া যায় তা হলো ওখানে প্রতিদিন সকাল ৮ টায় জাতীয় পতাকা তোলার নিয়ম রয়েছে এবং সেই পতাকা সন্ধ্যে ৬ টায় নামিয়ে নেওয়া হয়। থাইল্যান্ডের পতাকায় তিনটি রং দেখতে পাওয়া যায়, লাল রং, সাদা রং এবং নীল রং। এই প্রত্যেকটি রঙের কিছু বিশেষত্ব রয়েছে।  যেমন লাল রং দেশের জায়গা এবং মানুষের প্রতীক। সাদা রং দেশের মানুষের সম্প্রদায়ের প্রতীক এবং নীল রং দেশের রাজতন্ত্রের প্রতীক।

খেলাধুলাতেও  থাইল্যান্ড এর মানুষ খুবই আগ্রহী। আপনি যদি বক্সিং ভালোবাসেন তাহলে থাই বক্সিং এর নাম নিশ্চই শুনে থাকবেন। এই থাই বক্সিং থাইল্যান্ড এ খুবই জনপ্রিয় একটি খেলা। যা ওখানে মুয়ায় থাই নামে পরিচিত। তবে দিন দিন ফুটবলের জনপ্রিয়তা থাইল্যান্ডে বেড়েই চলছে। এবং দেশের জাতীয় ফুটবল টিমটি সাফল্যের দিকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

 কিন্তু দিন দিন বন জঙ্গলের পরিমান থাইল্যান্ডে কমে যাচ্ছে। যার ফলে প্রাণীজ সম্পদ দিন দিন লপ্ত হয়ে যাচ্ছে।  কিন্তু বর্তমানে থাইল্যান্ডে গাছপালা কাটা একেবারে নিষিদ্ধ কারণ ওখানের মাটিতে বিভিন্ন রকমের প্রাণী পাওয়া গিয়েছে যা খুবই বিরল। থাইল্যান্ডের জাতীয় পশু হাতি। যার দেহের গঠন শক্তির পরিচয় দেয়। তো ওখানে প্রায় সব জায়গাতেই হাতি দেখা যায়।

তো এই ছিল স্বপ্নের শহর থাইল্যান্ড সম্পর্কে অজানা মজাদার তথ্য।


কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন