Bengali Gossip 24

Knowledge is Power 😎

হংকং সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত তথ্য জেনে নিন

কোন মন্তব্য নেই
হংকং সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত এবং মজাদার তথ্য (Amazing & Interesting Facts about Honkong) 
হংকং সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত তথ্য জেনে নিন

হংকং, চীনের একটি বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল। হংকং কে আধিকারিক ভাবে বলা হয় হংকং স্পেশাল অ্যারোলস্ রয়েস ডমিনিস্ট্রেশন রিজিওন অফ দ্য পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না। যার আয়তন হচ্ছে দুই হাজার সাতশো ঊনআশি বর্গকিমি। চীনের দক্ষিণে অবস্থিত এই হংকং এ প্রায় চুয়াত্তর লক্ষ পঞ্চাশ হাজার মানুষ বসবাস করে। বিশ্বের ধনী দেশ গুলির কথা যদি বলা হয় তাহলে তার মধ্যে হংকং একটি। 

হংকং শহরের নাম শুনলে প্রথমেই আমাদের যে দ্বিধায় পড়তে হয় তা হলো এটি কোনো দেশ না এটি একটি চীনের শহর? না! হংকং কোনো আলাদা স্বাধীন দেশ না। এটি একটি গণ চীনের প্রশাসনিক অঞ্চল। যা এক সময় একটি ব্রিটিশ কলোনি ছিল। ১৮৪২ সালে  ওপিয়াম যুদ্ধে ব্রিটিশদের কাছে চীনাদের পরাজিত হলে তারা হংকং দখল করে নিয়েছিল। তারপর ১৯৯৭ সালে ব্রিটিশ সরকার চীনের কাছে হংকং ফিরিয়ে দেয়। তবে একদেশে  নীতির ফলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেশটি স্বায়ত্ত শাসন এবং সরকার ব্যবস্থাসহ নানা রাজনৈতিক সুবিধা ভোগ করে, যা  স্বতন্ত্র রাষ্ট্রের মতোই। এদের মুদ্রার নাম হংকং ডলার। যা বিশ্বের সর্বাধিক প্রচলিত বাণিজ্যিক মুদ্রার অষ্টম। এমনকি চীন এবং হংকং এর ভিন্নভিন্ন পতাকাও রয়েছে। তো চলুন জেনে নিই হংকং সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত এবং মজাদার তথ্য (Amazing & Interesting Facts about Honkong).


১) হংকং এর জনসংখ্যা  আয়তনের তুলনায় অনেক বেশি। ঘনবসতির দিক দিয়ে হংকং  পৃথিবীতে চতুর্থতম। এখানে প্রতি বর্গকিমি ৬৭৭৭ জন বসবাস করে। যেহেতু এটি একটি ঘনবসতি পূর্ণ এলাকা তাই তাদের উপরে উঠা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। এখানে ১৪ তলা বাড়ির নিচে কোন বিল্ডিং নেই। শুধুমাত্র হংকং শহরে আট হাজারের বেশি উঁচু বিল্ডিং রয়েছে। অর্থাৎ হংকং এ নিউইয়র্কের থেকে দ্বিগুণ উঁচু বিল্ডিং রয়েছে। বিশ্বের ১২ তম উঁচু বিল্ডিং ইন্টারন্যাশনাল কমার্স সেন্টার এখানে অবস্থিত। যা ১৫৮৮ ফিট উঁচু।

২) বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ত ১০ টি এয়ারপোর্টের মধ্যে একটি হলো হংকং ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। আপনি জেনে জেনে অবাক হবেন যে এই এয়ারপোর্ট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫৯ মিলিয়ন যাত্রী যাতায়াত করে। অপরদিকে বিশ্বের একটি অন্যতম এয়ারলাইন  হিসেবে আপনারা হয়তো ক্যাথের নাম শুনে থাকবেন। এটি একটি হংকং এর হোম এয়ারলাইনস্। 


৩) আমরা সবাই জানি  দামী এবং  বিলাস বহুল গাড়ির জগতে রোলস্ রয়েস একটি অনন্য নাম। বিশ্বের অন্যান্য যেকোন শহরের তুলনায় হংকং এ মাথাপিছু রোলস্ রয়েস গাড়ির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি


৪) গ্রিনিজ ওয়ার্ডের রেকর্ড অনুযায়ী সমুদ্রের উপর বিশ্বের  দীর্ঘতম সেতু হচ্ছে হংকং জুহায় অবস্থিত ম্যাকাও ব্রিজ।এই ব্রিজের দৈর্ঘ্য ৫৫ কিলোমিটার হংকং এর প্রধান শহর ম্যাকাও এবং জুহার সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। এই সেতু চালু হওয়ায় হংকং এবং ম্যাকাও এর মধ্যে দূরত্ব প্রায় আড়াই ঘণ্টা কমে এসেছে। হংকং এ আরেকটি বড় জিনিস রয়েছে, তা হলো চলন্ত সিড়ি। বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা চলন্ত সিড়ি সেন্টার মিড লেভেলস্ স্কেলেটর সেখানে অবস্থিত। ১৯৯৩  সালে তৈরি ২৬০০ ফিট লম্বা এই স্কেলেটর টি সেন্টার এবং মিড লেভেলস্ এই দুই জায়গায় যোগাযোগ সাসাধারণ মানুষের জন্য আরো সহজতর করেছে। এটি পর্যটকদের কাছে একটি  আকর্ষণীয় জায়গা।


৫) সুস্থ পরিবেশ এবং মানুষের সুস্থ বিকাশের  জন্য খোলা জায়গা এবং বিনোদনের প্রয়োজন রয়েছে। তাই হংকং ঘনবসতি পূর্ণ জায়গা হলেও পার্ক এবং বিনোদনের জন্য সেখানে ৪০% জায়গা বরাদ্দ থাকে। বাকি এলাকায় রয়েছে বনাঞ্চল এবং উঁচু উঁচু বিল্ডিং


৬) পৃথিবীর অনান্য দেশের তুলনায় হংকং এর মানুষ চা খেতে বেশি পছন্দ করে। সেখানে প্রতি বছর প্রায় ৫৮ লক্ষ কিলোগ্রাম চা শেষ হয়। যা অনান্য দেদেশতুলনায় অনেক বেশি।সেসেখানে প্রতি একজন মানুষ এক বছরে প্রায় ১.৪ কেজি চা করে। পৃথিবীর সবচেয়ে দামী চা আয়রন বুদ্ধা চা আপনি সেখানে পেয়ে যাবেন। যা প্রতিকেজির দাম আট হাজার টাকা।


৭) আরেকটি মজার ব্যাপার হলো সেখানে আপনি কিছু কিছু এপার্টমেন্টে ফোর্থ ফ্লোর খুজে পাবেন না। কারণ চিনা ভাষায় ফোরের উচ্চারণ অনেকটা ইংরেজী শব্দ ডেথ এর মতো। যার অর্থ মৃত্যু। তাই সেখানকার অনেক মানুষ ফোর সংখ্যাটিকে আনলাকি সংখ্যা মনে করে। অপরদিকে চিনা ভাষায় আটের উচ্চারণ এবং ইংরেজি শব্দ ওয়েল্থ এর  উচ্চারণ একই রকম, তাই তারা ইংরেজী আট সংখ্যাটিকে লাকি সংখ্যা হিসেবে মনে করে। 


৮) হংকং এর পিটট্রাম হচ্ছে এশিয়ার  চালু হওয়া প্রথম ট্রাম।  যা ১৮৮৮ সালে চালু হয়েছিল। এখনো হংকং এ বিপুল পরিমানে ট্রাম চলাচল করে। 


৯) বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো রেস্টুরেন্ট  ক্যাফের জায়গা হলো হংকং। সেখানে প্রতি ৬০০ জন মানুষের জন্য একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে।


১০) হংকং এর মানুষ  টয়লেট এর ফ্লাসে সমুদ্রের জল ব্যবহার করে।


তো এই ছিল হংকং সম্পর্কে কিছু অজানা মজাদার তথ্য।


কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

বাহুবলী : বিফোর টি বিগিনিং | কে কে থাকছেন মুখ্য চরিত্রে জেনে নিন

কোন মন্তব্য নেই
বাহুবলী : বিফোর টি বিগিনিং | কে কে থাকছেন মুখ্য চরিত্রে জেনে নিন

বাহুবলী : বিফোর দ্য বিগিনিং 

২০১৯ সালে মুক্তি পাচ্ছে ভারতবর্ষের সবচেয়ে আলোচিত মুভি দ্য বাহুবলীর তৃতীয় পার্ট। তো কে কে থাকছেন মুখ্য চরিত্রে চলুন জেনে নিই। 
বাহুবলী মানেই অমরেন্দ্র বাহুবলী, বাহুবলী মানেই মহেন্দ্র বাহুবলী, বাহুবলী মানেই শিবগামী, বাহুবলী মানেই কাটাপ্পা। মূল এই চরিত্র গুলির পাশাপাশি অবশ্যই রয়েছে  অবন্তিকা, দেবসেনা এবং বল্লালদেব। এখনো পর্যন্ত বাহুবলী সিরিজের ২  টি মুভি রিলিজ হয়েছে। বাহুবলী দ্য বিগিনিং এবং বাহুবলী দ্য কনক্লুশন। দুটি ছবিই দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বক্স অফিসেও তৈরি করেছে নতুন নতুন রেকর্ড। 

তো বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিলো যে এই সিরিজের তৃতীয় পর্ব নিয়ে জল্পনা শুরু করেছে এই ছবির ডিরেক্টর এস এস রাজামৌলি এবং উনার পুরো টিম।  সম্প্রতি এক সরভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে সেই খবর নিশ্চিত করেছেন পরিচালক এস এস রাজামৌলি। কিন্তু তৃতীয় পর্ব কোনো বড়ো পর্দায় নয়, এটি মুক্তি পাবে NETFLIX এ। NETFLIX থেকে ঘোষণা করা হয়েছে তৃতীয় পর্বের নাম বাহুবলী : বিফোর দ্য বিগিনিং। এটি ঘোষণা করা হয় প্রযোজক প্রাসাদ ডেভিনেনির উপস্থিতিতে। জানা গিয়েছে এই ছবির গল্প শিবগামীর চরিত্র ঘিরে। তার উত্থানের সাথে সাথে মাহেশ্মতি সাম্রাজ্য গড়ে তোলা এই ছবির মূল প্রেক্ষাপট। ছবিতে যুবতী শিবগামী চরিত্রে যাবে মৃনাল ঠাকুরকে। যিনি ছোট পর্দার খুব পরিচিত মুখ। জনপ্রিয় ধারাবাহিক কুমকুম ভাগ্যে বুলবুল অরোরাও চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ছবিতে আরো দুই জনপ্রিয় অভিনেতার নাম সংযোজন হয়েছে  জানিয়েছেন NETFLIX ।  হলেন অতুল কুলকার্নি এবং রাহুল বোস। এছাড়াও থাকবেন অনুপ সোনি, সিদ্ধার্থ অরোরা, জামিল খান এই সমস্ত নামকরা অভিনেতারা। পরিচালক জানিয়েছেন ২০১৯ সালেই মুক্তি পাবে বাহুবলী : বিফোর টি বিগিনিং। তবে সঠিক সময় কিছু বলেন নি। 

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

দীপিকা পাডুকোনের বলিউড যাত্রা

কোন মন্তব্য নেই
দীপিকা পাডুকোনের বলিউড যাত্রা

বলিউডের যাত্রা কিভাবে শুরু হলো দীপিকা পাডুকোনের ?

বলিউডে সুপারস্টার শাহরুখ খানের সাথে অভিষেক করার সুযোগ পেয়েছেন খুবই কম অভিনেত্রী। কিন্তু দীপিকা পাডুকোন সেই সব সৌভাগ্যবান দের একজন যিনি তার বলিউডের যাত্রা শাহরুখ খানের সাথে করেছেন। পরিচালক ফাহরা খান ওঁম শান্তি ওঁম ছবির জন্য নতুন মুখ খুঁজছিলেন। আর পেয়েও যান মডেল দীপিকা পাডুকোনকে। ২০০৭ সালে এই ছবিটি বদলে দেয় মডেল দীপিকার জীবন। পেয়েযান বলিউডের টিকিট এবং আর চলচিত্র শিল্প পায় এই মেধাবী শিল্পীকে। 

আজ থেকে ১১ বছর আগে এই ছবির মধ্য দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় দীপিকা পাডুকোনের। বর্তমানে তিনি বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত নামকরা তারকা। অনেক ভালো ভালো ছবি মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। আর এই সাফল্যে গাঁথা দীপিকা উৎসর্গ করেছেন তার প্রথম বলিউডের ছবিটিকে। সম্প্রতি বলিউডের দীর্ঘ যাত্রা নিয়ে মুখ খুলেছেন দীপিকা। বলেছেন ওঁম শান্তি ওঁম ছবিটি তার জীবন পুরোপুরি ভাবে বদলে দিয়েছেন। এই ছবিটি আমাকে সাফল্যের মানচিত্রে তুলতে সাহায্য করে। এটা আমার জীবন রাতারাতি বদলে দেয়। "প্রিমিয়ামের জন্য আমি মুম্বই যাই তখন মানুষ আমাকে অন্য রকম ভাবে দেখেছে। যখন লক্ষ লক্ষ সামনে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন আমি বুজতে পারি আমার জীবন বদলে গিয়েছে" -  বললেন দীপিকা। সেইসময় চলচ্চিত্র শিল্পের বাইরের একজন হিসেবে তার কাজের ব্যপারে জিজ্ঞেস করা হলে দীপিকা বলেন এটা ছিল সঠিক সঠিক স্থানে মেধা, উৎসর্গ, কঠিন পরিশ্রম এবং নিবেদনের যোগফল। দীপিকা বলেন সুযোগের পাশাপাশি ভাগ্যও গুরুত্বপূর্ণ। দীপিকা আরো বলেন "যখন মুম্বই যায় তখন সৌভাগ্য বসত অনিল আনন্দকে পায় উনি আমাকে অনেক সাহস যুগিয়েছিলেন। অতুল কাশবেকার প্রথম ব্যক্তি যিনি আমাকে মুম্বই যাওয়ার জন্য আমার মা  বাবাকে  রাজি করিয়েছিলেন এবং সেই সময় আমার প্রতিনিধি হিসাবে এগিয়ে এসেছিলেন। 

এরপর দীপিকা বললেন সেই সময় ফাহরা খান তার নতুন ছবি ওঁম শান্তি ওঁম ছবির জন্য অভিনেত্রী খুঁজছিলেন। তিনি প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী নির্বাচন করতে  তিনি চেয়েছিলেন কাজ করতে চেয়েছিলেন কোনো নবাগতা অভিনেত্রীর সঙ্গে। তিনি আমার অনেক বিজ্ঞাপন দেখেছিলেন। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই ছবিতে শাহরুখের বিপরীতে আমাকে দিয়েই করাবেন। আমার সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না। কয়েকটি বিজ্ঞাপনে তিনি আমাকে নিখুঁত ভাবে দেখেছিলেন। এরপর আমাকে শাহরুখ খানের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। উনিও ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত ছিলেন। 

কিছুদিন আগে দীপিকা পাডুকোনের প্রেমিক রণভীর সিং এর সাথে বিয়ের তারিখ ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী  ১৪ এবং ১৫ নভেম্বর বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন এই যুগল। ইতালির লেক কোমোতে তারা গাটছড়া বাঁধবেন। ইতালি থেকে ভারতে ফিরে বন্ধু এবং সহকর্মীদের সৌজন্যে বিশাল আয়োজন হবে বলেই খবরে প্রকাশ।  

এই ছিল অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোনের বলিউডের জীবন যাত্রা। প্রতিবেদনটি পড়ে কেমন লাগলো মন্তব্যে জানাবেন। 

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ফেসবুক কিভাবে আয় করে জেনে নিন । ফেসবুকের কিছু গোপন তথ্য

কোন মন্তব্য নেই
ফেসবুক কিভাবে আয় করে জেনে নিন । ফেসবুকের কিছু গোপন তথ্য

ফেসবুক কিভাবে আয় করে? ফেসবুকের আয়ের উৎস কি ? ফেসবুকের ভয়ঙ্কর কিছু গোপন তথ্য (How Facebook Earn?)

আজকের দিনে ফেসবুক হলো সবচেয়ে বড়ো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বর্তমানে ফেসবুকে একাউন্ট নেই এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। যেকোনো বয়সের মানুষকেই আজ ফেসবুক করতে দেখা যায়। এই ফেসবুকের ব্যবহার সমাজের যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য কতটা উপযোগী তা আমরা সবাই জানি। অপরদিকে এটাও ঠিক যে ফেসবুকের ভালো দিক গুলির পাশাপাশি অনেক খারাপ দিকও রয়েছে। যুব যুবতীদের বিভ্রান্ত করা, ফেসবুকের আসক্তি এছাড়াও আমাদের কাজকর্ম ছেড়ে দিয়ে এই ফেসবুকের পিছনে অযথা সময় নষ্ট করা এসব আপনারা সবই জানেন। হয়তো আপনারাও এইসব সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তো চলুন আজ জেনে নি ফেসবুকের কিছু ভয়ঙ্কর তথ্য এবং ফেসবুকের মূল আয়ের উৎস। 

আজকের দিনে ইন্টারনেটের খরচ এতটাই কমে এসেছে যে এটাকে আমরা ফ্রি ই বলতে পারি। বিশেষ করে সমস্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমই এখন বিনামূল্যে আমাদের কাছে চলে এসেছে। যদি আমরা গভীর ভাবে চিন্তা করে দেখি তাহলে আমরা বুজতে পারি যে  আমাদের সকল সুযোগ সুবিধার বিনিময়ে আমাদের মূল্যবান কিছু দিতে হচ্ছে। কি দিতে হচ্ছে ? তো চলুন জেনে নি। 

আমরাতো প্রতিনিয়ত ফেসবুকে আমাদের প্রোফাইলে কিছু না কিছু শেয়ার করে থাকি, লাইক করি, মন্তব্য করি সেইসব ফেসবুকে থাকা সকল বন্ধুরাই দেখতে পায়। কিন্তু আমরা ফেসবুক ব্যক্তিগত অনেক ম্যাসেজ কিংবা অনেক ব্যক্তিগত কাজ করে থাকি যা আমরা আসলে গোপন রাখতে চাই। ফেসবুকে আমাদের সকল কাজ, সকল ম্যাসেজ ফেসবুকের সার্ভারে তথ্য হিসাবে থাকে। আমরা প্রতিদিন  যতসব ম্যাসেজ করি, ভিডিও কল করি আরো যতসব ব্যক্তিগত কাজকর্ম করে থাকি তা সব ফেসবুকের কাছে জমা হয়। আপনি যদি আপনার প্রোফাইল থেকে আপনার ব্যক্তিগত কাজ গুলি ডিলিটও করে দেন তবুও ফেসবুকের কাছে তা জমা থাকে। অনেক সময় ই শোনা যায় যে আমরা প্রতিনিয়ত যে সব কাজ ফেসবুকে করে থাকি সেই সব তথ্য গুলি বাছাই করে ফেসবুক বিজ্ঞাপন দাতাদের কাছে তা বিক্রি করে দেয়। যার কারণে আপনি যদি খেয়াল করে থাকেন দেখবেন আপনি যে সব পোস্ট লাইক, মন্তব্য এবং শেয়ার করে থাকেন বাছাই করে সেই সব জিনিস গুলিই আপনি আপনার টাইমলাইনে প্রতিনিয়ত চলে আসছে। তো বুজতেই পারছেন বিজ্ঞাপন দাতারা কেন তারা এতো টাকা খরচ করে এই সব তথ্য গুলি কিনে নেয়। এই সব তথ্যের মাধ্যমেই তারা আপনার রুচি এবং চাহিদা গুলি জেনে নেয় তারপর এডের মাধ্যমে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ কাস্টমার তারা নিয়ে নেয়।  এটা আসলে ইন্টারনেট অপারেটরের একটি বিশেষ সিস্টেম। যা মোটেও অটোমেটিক নয়। এটার সুবিধা হলো আপনার চাহিদা অনুযায়ী দ্রব্য আপনার ফোনের টাইমলাইনে দেখতে পাবেন। 

ফেসবুক কিভাবে আয় করে? ফেসবুকের আয়ের উৎস কি ? 

সব কিছু ঠিক আছে কিন্তু আসল সমস্যা হলো অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারীরা আছে যারা ম্যাসেজে অনেক গোপন ছবি, ভিডিও কিংবা গোপন তথ্য শেয়ার করেন। এই সমস্ত তথ্য ফেসবুক নিয়ন্ত্রনকারীদের কাছে জমা হয়। যদিও সব তথ্য ফাঁস হয় না কিন্তু বলা তো যায় না কখন কার তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। তো বুজতেই পারছেন যে অ্যাডাল্ট যত সব ওয়েবসাইট আছে সেখানকার বেশিরভাগ ছবি, ভিডিও কিভাবে আসছে? হ্যাঁ! ঠিকই বুজতে পেরেছেন। আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার থাকতেই পারে, আপনার এমন কিছু গোপন তথ্য থাকতেই পারে যেগুলি আপনি আপনার নিজের কিছু  সাথে শেয়ার করতে চান। কিন্তু আপনি এটা নিশ্চয় চান না যে আপনার এই সব গোপন তথ্য গুলি  কারোর কাজে যাক। 

এবার ভিন্ন এবং মজাদার কিছু বলি ইতিমধ্যে আপনারা জেনেছেন যে বিজ্ঞাপন কোম্পানি গুলি আমাদের চাহিদা জানার জন্যে অনেক টাকার বিনিময়ে  ফেসবুকের কাছ থেকে সব তথ্য কিনে নেয় এবং এটার সুফল আমাদেরই উপকারে আসে। আমরা আমাদের চাহিদা খুব সহজেই মিটাতে পারি কিন্তু এই সব তথ্যের মাধ্যমেই কিন্তু অনেকে ভিন্ন কাজ করছে।  সত্যিই অবাক হবেন যে আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনের আগে এভাবেই  ভোটারদের তথ্য ফাঁস করে দিয়েছিলো। যার ফলাফল এখন আপনারা সবাই ই জানেন। 

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ সমাজের সকল স্তরের মানুষকে আরো কাছে নেওয়ার জন্য এবং তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ২০০৪ সালে এই ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিন্তু দেখুন আমরা বর্তমানে ফেসবুক এমন ভাবে ব্যবহার করছি যার কারণে আমরা আমাদের কাছের মানুষের কাছ থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছি।জীবনের সকল কাছের মানুষদের থেকে দূরে সরে গিয়ে আমরা কাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলছি সেটা একটা অনেক বড়ো প্রশ্ন। আর এটা কিন্তু ফেসবুক প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কখনোই ছিল না। আবার অন্যদিকে আমরা সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফেসবুকের মাধ্যমেই পেয়ে থাকি। 

এখন কথা হলো ফেসবুকের খারাপ দিক এবং ভালো দিক দুই ই রয়েছে। ব্যাপার হচ্ছে আমরা কোন দিকটাকে ব্যবহার করবো খারাপ দিক না ভালো দিক সেটা আপনাকেই বেছে নিতে হবে। তো ফেসবুক বা ইন্টারনেটের ভুল ব্যবহার না করে প্রত্যেকের সচেতন হওয়াটাই শ্রেয়। 

তো এই ছিল ফেসবুক নিয়ে কিছু তথ্য। প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

দাবাং থ্রি ছবির শুটিং | Dabangg 3 Shooting | Bengali Gossip

কোন মন্তব্য নেই
দাবাং থ্রি ছবির শুটিং এর তারিখ হলো চূড়ান্ত

দাবাং থ্রি ছবির শুটিং এর তারিখ হলো চূড়ান্ত 

দাবাং থ্রি ছবির শুটিংয়ের তারিখ ঠিক হয়ে গেল। কোন অভিনেত্রীরা থাকছেন এইবার সলমনের সাথে ?

সলমান খান অভিনীত দাবাং ছবির সিরিজ দর্শকদের মনে ব্যাপক সারা জাগিয়েছে। নতুন নতুন রেকর্ড এবং বক্স অফিসে অনেক টাকা ইনকাম করেছে। এরই মধ্যে সিরিজের তৃতীয় পার্ট নির্মাণের চূড়ান্ত ঘোষণা দিয়েছেন প্রযোজক আরবাজ খান। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে তিনি এই বিষয়ে জানান সলমান এখন ভারত ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। যার ফলে চলতি বৎসর দাবাং থ্রি ছবির শুটিং সম্ভব হবে না। তাই আগামী বছর ফেব্রুয়ারী কিংবা মার্চ মাসে শুরু হবে দাবাং থ্রির শুটিং। ২০১০ সালে প্রথম এই ছবির পার্ট নির্মাণ হয়েছিল। তখন সলমান খানের সাথে জুটি বেঁধে ছিলেন সোনাক্ষী সিনহা। এই ছবির মাধ্যমেই বলিউডে অভিষেক হয় সোনাক্ষী সিনহার। এরপর দুবছর বিরতির পর ২০১২ সালে নির্মিত হয় পার্ট টু। এই ছবিতেও জুটি বাঁধেন সলমান সোনাক্ষী। সেই দুই ছবির এতো সাফল্যের পর এর তৃতীয় পার্ট দেখার জন্য দর্শকদের আগ্রহ বেড়েই চলছে। সলমান এবং সোনাক্ষীর জুটিকে দর্শকদের এতটাই ভাল  লেগেছে যে আবারো ফিরে আসছেন একইসাথে দাবাং থ্রি তে। তারমানে কয়েক বছর পর আবারো বড়পর্দায় স্ক্রিন শেয়ার এই জুটি।

উল্লেখ্য, বর্তমানে সলমান ব্যস্ত তার পরবর্তী ছবি ভারতের শুটিং নিয়ে। ২০১৯ সালে ভারত  ছবিটি মুক্তি পাবে। প্রথম দিকে এই ছবিতে সলমনের বিপরীতে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু হটাৎ করে ছবিতে কাজ না করার কথা জানিয়ে দেন এই অভিনেত্রী। এই নিয়ে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে রীতিমতো আলোড়ন হয়। এরপর নায়িকা হিসাবে যোগদেন সলমনের পূর্বতন বান্ধবী কেটরিনা কাইফ।

তো এই ছিল দাবাং থ্রি ছবির শুটিং নিয়ে কিছু কথা। প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন