Bengali Gossip 24

Knowledge is Power 😎

এখন চীন, পাকিস্তানও ভয় পাচ্ছে ভারতকে | Now China and Pakistan also fears India

কোন মন্তব্য নেই

শক্তিশালী হয়ে উঠছে ভারতের সামরিক শক্তি 

Now China and Pakistan also fears India (S 400 Missile)

বিশ্ব জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে নিজেদের সামরিক বাহিনীকে আরো শক্তিশালী করছে বিশ্বের ক্ষমতাশীল দেশ গুলি। চলছে ভয়ঙ্কর  মোহরা এবং পাল্টাপাল্টির হুমকি। তারই জের ধরে এবার রাশিয়ার সাথে সবচেয়ে বড়ো প্রতিরক্ষা চুক্তিতে আবদ্ধ হলো ভারত। চুক্তির মূল বিষয় হচ্ছে এস ৪০০ ট্রায়াম্ফ মিসাইল অস্ত্র (S 400 Misile)। এই সেই চুক্তি যেখানে চীন এবং পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দেশ গুলির রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা সূত্রের খবর অনুযায়ী এই রুশ ক্ষেপণাস্ত্র এস ৪০০ ট্রায়াম্ফ মিসাইল ভারতের আকাশে শত্রু প্রবেশের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। কিন্তু কি এই এস ৪০০  ট্রায়াম্ফ? কি কি বৈশিষ্ট রয়েছে এই অস্ত্রের? তো চলুন নেওয়া যাক এস ৪০০  ট্রায়াম্ফ সম্পর্কে বিশেষ  তথ্য। 

এস ৪০০  ট্রায়াম্ফ এমন এক ক্ষেপণাস্ত্র যাকে আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশগুলিও ভয় পায়। এই এস ৪০০  ট্রায়াম্ফ মিসাইল অস্ত্র ভারতের ডিফেন্স সিস্টেমকে আরো শক্তিশালী করে তুলবে। এর সেন্সর এতটাই শক্তিশালী যে হাজার কিলোমিটার দূর থেকে ধেয়ে আসা বিপদকে খুব সহজেই শনাক্ত পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এস ৪০০  ট্রায়াম্ফ আসার পর চীন এবং পাকিস্তানের বিরুদ্বে ভারতের সামরিক শক্তি কয়েকগুন্  বেড়ে যাবে। 

রাশিয়ার তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রের নাম হলো  এস ৪০০  ট্রায়াম্ফ। যা এর ৪০০ কিলোমিটার আওতায় আসা যেকোনো মিসাইলকে কিছু সময়ের মধ্যেই ধ্বংস করে দিতে পারে। শুধু তাই নয় এটি বিশাল বিশাল যুদ্ধবিমানকে ও ধ্বংস করে দিতে পারে। অর্থাৎ আকাশে ধেয়ে আসা যেকোনো বিপদকে রুখে দিতে পারবে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এর থেকে ৪.৮ কিমি প্রতি সেকেন্ড গতিতে ৩ ধরণের মিসাইল নির্গত হয়। যা এক সাথে ৩৫ টি লক্ষ্যে আঘাত করতে পারে। কারণ এতে আছে ৮ টি মিসাইল লঞ্চার এবং ৭২ টি মিসাইল যা শত্রুদের ধ্বংস করার জন্য সবসময় প্রস্তুত হয়ে রয়েছে। রাশিয়া দাবি করছে যে তাদের তৈরি এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্রের চোখে ধুলো দেওয়ার ক্ষমতা কারোর নেই। এর আওতায় আসা যেকোনো কিছুকে মুহূত্বের মধ্যে ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। যার উত্তর এখনো আমেরিকার মতো শক্তিশালী দেশও খুঁজে পাইনি। এস ৪০০  ট্রায়াম্ফ কে যেকোনো জায়গায় যেকোনো মুহূর্তে সক্রিয় করা যায়। এমনকি এই ডিফেন্স সিস্টেমটি এতটাই শক্তিশালী যে এটি একসাথে জল, স্থল এবং আকাশ তিন জায়গা তেই আক্রমণ করতে সক্ষম। এই এস ৪০০  ট্রায়াম্ফ মাত্র পাঁচ মিনিটে পুরো দেশকে একটি সুরক্ষা বলয়ে ঘিরে দিতে পারে। যাকে ভেদ করা আমেরিকার বড়ো বড়ো মিসাইল গুলির নেই। 

এখন চীন, পাকিস্তানও ভয় পাচ্ছে ভারতকে (S 400 Missile)


এবার জেনে নেওয়া যাক এই এস ৪০০  ট্রায়াম্ফ ক্ষেপণাস্ত্রটি কিভাবে চীন এবং পাকিস্তানের কাছ থেকে ভারতকে রক্ষা করবে। এই মিসাইলের আক্রমণ করার ক্ষমতা ৪০০ কিমি। আর এই রেঞ্জে চলে আসছে সমগ্র পাকিস্তান সহ চীনের অনেকটাই অংশ। অর্থাৎ যুদ্ধকালীন অবস্থায় যদি কোনো মিসাইল পাকিস্তানের  দিক থেকে আসে তাহলে এই  এস ৪০০  ট্রায়াম্ফ সেই মিসাইল গুলিকে পাকিস্তানের আকাশেই ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। ঠিক একইভাবে চীনের যেকোনো মিসাইল ভারতে আসার আগে ধ্বংস করে দেবে এই ক্ষেপণাস্ত্র। 

বর্তমানে আমেরিকা এবং রাশিয়ার সম্পর্ক খুবই খারাপ। তাই আমেরিকা কখনোই চাই না যে ভারত এই মিসাইল রাশিয়া থেকে কিনে রাশিয়াকে আরো অর্থনৈতিক দিক দিয়ে শক্তিশালী করে তুলুক। তাই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কড়া বার্তা দিয়েছে যে যেই দেশ রাশিয়ার থেকে এই মিসাইল কিনবে তাকে আমেরিকা সবরকম সাহায্য বন্ধ করে দেবে। কিন্তু ভারত সরকার দেশের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি রাশিয়ার থেকে কিনে নিয়েছে এবং কূটনৈতিক দিক দিয়ে রাশিয়া এবং আমেরিকা দুই দেশের সাথেই  বন্ধুত্বপূর্ণ  সম্পর্ক রেখেছে ভারত। যার ফলস্বরূপ এই  এস ৪০০  ট্রায়াম্ফ ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতের হাতে চলে আসলেই চীন এবং পাকিস্তানের পক্ষে ভারতে পরমাণু অস্ত্র চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। এককথায় এই মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমটি ভারতের সুরক্ষা বেবস্থাকে যে আরো শক্তিশালী করে তুলবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। 

এই ছিলো শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র  এস ৪০০  ট্রায়াম্ফ সম্পর্কে কিছু তথ্য। প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

বিশ্বের কিছু অদ্ভুত খাবার প্রতিযোগিতা | Amazing Food Competition In the World in Bengali by BengaliGossip24

কোন মন্তব্য নেই

বিশ্বের কিছু অদ্ভুত এবং মজাদার খাবার প্রতিযোগিতা, যা শুনলে আপনি রীতিমতো চমকে যাবেন (Amazing and Interesting Food Competition In the World)

বিশ্বের কিছু অদ্ভুত এবং মজাদার খাবার প্রতিযোগিতা

ভালো ভালো খাবার খেতে কে না ভালোবাসে? আবার সেই খাবার খেয়ে যদি পুরস্কার পাওয়া যায় তাহলে তো আর কোথায় নেই। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছে যারা ভীষণই খাবার প্রিয়। এক সাথে অনেক খাবার খেয়ে ফেলার ক্ষমতা রাখে। এমন খাদ্য প্রিয় বন্ধুদের সাথে আমরা হয়তো নানান সময় অনেক খাবার খেয়েছি আবার হয়তো প্রতিযোগিতাও করেছি। ঠিক তেমনি বিশ্ব জুড়ে বহু খাবার প্রতিযোগিতা প্রচলিত রয়েছে। এই সব প্রতিযোগিতায় প্রতি বছর বহু মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। তবে খাবার প্রতিযোগিতায় যে প্রতিবছর ভালো পরিবেশন করে তা কিন্তু নয়। বিশ্ব জুড়ে এমন কিছু অদ্ভুত খাবার প্রতিযোগিতা হয়, যেখানে এমন এমন খাবার পরিবেশন  করা হয় তা আপনার কল্পনারও বাইরের। এই সব প্রতিযোগিতার পুরস্কার হিসাবেও থাকে অদ্ভুত অদ্ভুত জিনিস। এই  ধরণের প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতে হলে আপনাকে জীবনের বাজি রেখে খেতে বসতে হবে। কারণ এই ধরণের অদ্ভুত প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে ইতিমধ্যে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশ্বের কিছু অদ্ভুত এবং মজাদার খাবার প্রতিযোগিতার নাম (Amazing and Interesting Food Competition in the World).

১) ২০১৪ একটি খাবার প্রতিযোগিতা হয়েছিল। সেখানে যে যত বেশি রসুন কম সময়ে খেতে পারবে সে হবে বিজয়ী। তো সেখানে ডেভিড ফ্রিডম্যান নামের এক বেক্তি ১ মিনিটে ৩৩ টি রসুনের কোয়া খেয়ে বিজয়ী হন। এর আগে ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় অলিফ ফার্মার নামে এক বেক্তি ৫ মিনিটে ৪৯ টি রসুনের কোয়া খেয়ে জিতে নেন ১০০ পাউন্ড। তবে যতই পুরস্কার জিতেন না কেন এর প্রতিযোগিতার পর তাদের শরীর থেকে তিন থেকে চার দিন ধরে শুধু রসুনের গন্ধই পাওয়া যেত। যা দূর করতে তাদের অনেক কিছু করতে হয়েছিল।

২) ইংল্যান্ডে প্রতি বছর বিচুটি পাতা খাওয়ার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ছোটবেলায় অনেকেই আমরা দুস্টুমি করে বন্ধুদের গায়ে বিচুটি পাতা ঘষে দিতাম। বিচুটি গাছ হলো এক ধরণের খসখসে পাতা যুক্ত উদ্ভিদ। এই গাছ গুলির পাতায় প্রচুর পরিমান হিস্টামিন নামক পদার্থ থাকে যার ফলে আমাদের শরীরের চামড়ায় লাগলে প্রচুর পরিমানে খুজলি হয়। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত এক বিচুটি পাতা খাওয়ার প্রতিযোগিতায় এক বেক্তি ২ ফুট করে মোট ৮৬ ফুট বিচুটি পাতা খেয়ে জিহ্বা সাদা করে ফেলেছিলেন। জিতে নিয়েছিলেন জয়ের মুকুট। ওই বেক্তির মতে বিচুটি পাতা খেতে আমরা যেরকম ভাবি সেরকম কোনো ব্যথা লাগে না। শুধুমাত্র মুখে একটু সুড়সুড়ি লাগে।

৩) আরেকটি অদ্ভুত খাবার প্রতিযোগিতার নাম হলো তেলাপোকা খাওয়ার প্রতিযোগিতা। এমনিতেই তেলাপোকাকে কমবেশি অনেকেই ভয় পায়। তেলাপোকা লাফিয়ে এসে আমাদের গায়ে বসলে এমনিতেই দুহাত তুলে লাফিয়ে উঠি। সেই তেলাপোকা যদি আপনাকে খেতে বলা হয় তাও আবার জলজ্যান্ত তেলাপোকা তাহলে আমাদের অবস্থা কি হবে একবার ভাবুন। হাঁ! আমরা  দুঃস্বপ্নেও যা ভাবি না সেই তেলাপোকা খাওয়ার প্রতিযোগিতাও বিশ্বে অনুষ্ঠিত হয়। ফ্লোরিডার এক পোষা পাখির দোকানের দোকানদার প্রতি বছর আয়োজন করেন এমনি এক তেলাপোকা খাওয়ার প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগীদের মধ্যে যে বিজয়ী হবেন সে পাবেন এক মূল্যবান পোষা অজগর। কি ভয় পেয়ে গেলেন? আপনি ভয় পেলেও বহু প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেন। এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারী এক প্রতিযোগী প্রায় ৬০ গ্রাম তেলারপোকার লার্ভা এবং এক বালতি জলজ্যান্ত তেলাপোকা খেয়ে বিজয়ী হোন। কিন্তু জেতার কিছুক্ষন পর সেই বেক্তি অজ্ঞান হয়ে পরে। এবং পরবর্তীতে ওই বেক্তির মৃত্যু ঘটে। মৃত্যুর কারণ খুঁজতে গিয়ে অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো পোকার থেকে বিষাক্ত ছড়িয়ে ওই বেক্তির মৃত্যু ঘটেছে। কিন্তু পরবর্তীতে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা যায় তিনি দম বন্ধ হয়ে যান। আসলে প্রতিযোগিতায় তেলাপোকা খাওয়ার সময় তিনি তেলাপোকা গুলি না চিবিয়ে সরাসরি গিলে ফেলেন। ফলে জ্যান্ত থেকে গিয়েছিলো অনেক তেলাপোকা। ফলে ওই জ্যান্ত তেলাপোকা গুলোই উপরের দিকে আসতে থাকে এবং তখনই ওই ব্যক্তির স্বাস আটকে যায়। পরবর্তী সময়ে অবশ্য আর কোনো প্রতিযোগী এই সমস্যায় পড়তে হয় নি।
Amazing  Food Competition In the World in Bengali by BengaliGossip24

৪) ২০১৬ সালে একটি মেডিকেল জার্নালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে এক ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে। যিনি একটি প্রতিযোগিতায় বিশ্বের সবচেয়ে ঝাল মরিচ গোস্ট পেপার খেয়েছিলেন। গোস্ট পেপারে স্কোভিলের পরিমাণ ১০ লক্ষেরও বেশি। এই মরিচ খাওয়ার পর ক্রমাগত বমি করা শুরু করেন। এবং এক সময় তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। ডাক্তাররা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে পান যে অতিরিক্ত বমি করার ফলে পেটের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতি হয়েছে। তখন তিনি মারাও যেতে পারতেন। কিন্তু সেই যাত্রায় তিনি বেঁচে যান।

৫) আপনি এটা জেনেও অবাক হবেন যে পৃথিবীতে জল খাওয়ারও প্রতিযোগিতা হয়। এই প্রতিযোগিতায় এক মহিলা সবাইকে অবাক করে দিয়ে ৭.৬ লিটার জল খেয়ে ফেলেছিলেন। অন্যান্য প্রতিযোগিতারা জানান যে তিনি এতো বেশি পরিমাণ জল পান করেছিলেন যে উনার অনেকটাই ফুলে গিয়েছিলো। পরবর্তীতে ওই মহিলার স্বামী আয়োজক কারীর বিরুদ্ধে মামলা দায় করে ১৬ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ নিয়ে নেন। কিন্তু টাকা পেলেও ওই মহিলাকে বাঁচানো সম্ভব হয় নি। 

এই ছিল বিশ্বের কিছু অদ্ভুত এবং মজাদার খাবার প্রতিযোগিতা। প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 



কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পোল্যান্ড সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য | Unknown Facts about Poland In Bengali by BengaliGossip24

1 টি মন্তব্য

Interesting and Unknown Facts about 'Poland'

Unknown Facts about Poland In Bengali

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অনেক দেশ তাদের সামরিক শক্তির পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু এই যুদ্ধে ক্ষতি হয়েছে অগণিত সৈন্য এবং সাধারণ মানুষ। যার বিবরণ লিখলে ইতিহাসের একটি সম্পূর্ণ বই লেখা যাবে। আর যুদ্ধের কারণ বা ফল সবটাই পাশ্চাত্য ইতিহাসের বই গুলি পড়লে বুঝতে পারবেন। তবে এই যুদ্ধে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কয়েকটি শক্তিশালী  দেশ তথা জাপান এবং জার্মানির সাথে সাথে আরো একটি দেশ এই যুদ্ধের কবলে পরে তার নাম পোল্যান্ড। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দেশটি জার্মানির হিটলারের স্বৈরাচারী মনোভাব এবং স্বাসন ব্যবস্থার কাছে সব থেকে বেশি নিগৃহীত দেশ  গুলির মধ্যে একটি ছিল। একটা সময় নিগ্রহের পরিমান এতটাই বেশি হয়ে যায় যে যার  সেখানকার মানুষের অস্তিস্ত টিকিয়ে রাখাই দায় হয়ে পরে। কিন্তু এই সব প্রতিবন্ধকতাকে দূর করে, পোল্যান্ড বর্তমানে এক উন্নত দেশ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক পোল্যান্ড সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য (Some Unknown Facts about Poland)

পোল্যান্ডের ইতিহাসে চোখ দেখা যায় দেশটি বেশ কয়েক দশক যাবৎ স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে যাচ্ছিলো। এর ফলে কয়েক বার তারা স্বাধীনতা পেতে সক্ষমও হয়েছিল কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্বের শেষ সময়ে ট্রিটি অফ ভের্সাইল্লিস এর মাধ্যমে দেশটি পুনরায় স্বাধীনতা পায়। কিন্তু এই স্বাধীনতা দিন টিকে থাকে নি। ১৯৩৯ সালে যখন জার্মানির হিটলার পোল্যান্ড আক্রমণ করেন এর মাধ্যমেই দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে যা যা ঘটে ছিল তাকে ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায় বললে ভুল হবে না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দেশটি কোনোরকম স্বাধীনতা পেলেও সেই সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব বিশেষ ভাবে থেকেই যায়। কিন্তু এর অবসান ঘটে ১৯৮৯ সালের বিপ্লবের ফলে। সেই সময় বেশ কয়েক বছর কমিউনিস্ট স্বাসনের অবসান ঘটিয়ে পোল্যান্ড একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।

পোল্যান্ড সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য


ইউরোপ মহাদেশের মধ্যভাগে অবস্থিত পোল্যান্ড দেশটিকে আধিকারিক ভাবে পোল্যান্ড প্রজাতন্ত বলা হয়। পোল্যান্ডের সর্বমোট আয়তন ৩ লক্ষ ১২ হাজার ৬৬৯ বর্গকিমি। এবং পৃথিবীর মানচিত্রে ৬৯ তম স্থানে থাকা দেশটি বর্তমানে স্বাশন ব্যবস্থার সুবিধার্থে ১৬ টি প্রশাসনিক উপবিভাগে বিভক্ত। যার চার দিকে রয়েছে ইউক্রেন, স্লোভাকিয়া, জেক অফ রিপাবলিক, জার্মানির মতো দেশ গুলি। ২০১৪ সাল পর্যন্ত পোল্যান্ডের জনসংখ্যা ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ ৮৩ হাজার ৯৫৭ জন এবং জনসংখ্যার দিক দিয়ে ৩৪ তম  স্থানে থাকা পোল্যান্ড দেশটির প্রতি বর্গকিমি জায়গায়  ১২৩ জন বসবাস করে। পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ। একটা সময় এই জায়গাটি অতন্ত্য সুন্দর ছিল কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্বের সময় জার্মানির আক্রমণের ফলে জায়গাটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে পোল্যান্ডের এই শহরটি সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক  রাজনৈতিক কেন্দ্র হিসাবে বিবেচিত হয়। এর কারণ হিসাবে বলতে গেলে দেখা যাবে পোল্যান্ডের কিছু বৈজ্ঞানিক  কেন্দ্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তর গুলি এই পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে অবস্থিত। এই জন্যই বলা হয় যে ইউরোপের কিছু  বিশাল বিশাল ইমারতে ভরা শহর গুলির মধ্যে ওয়ারশ একটি। এই শহরটির প্রাচীন ঐতিহ্য এবং মর্যাদার কথা বিবেচনা করেই হয়তো শহরটির পুরাতন অংশটিকে আজ উনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। এই জায়গাটিকে ওয়ারশ ওল্ড টাউনও বলা হয়।

পোল্যান্ডের নাগরিকদের পলিশ বা পোল বলা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অগণিত মানুষের মৃত্যুর ফলে দেশটির জনসংখ্যা অনেক কমে যায়। তাই হয়তো মনে করা হচ্ছে বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যা যা রয়েছে তার দ্বিগুন হতে অনেক সময় লেগে যাবে। সম্প্রীতি পাশ্চাত্য দেশ গুলি যখন আর্থিক সংকটে ভুগছিল তখন ইউরোপের শক্তিশালী দেশগুলির অর্থনীতি বেশ খারাপের দিকে পৌঁছায়। কিন্তু এর মধ্যেও পোল্যান্ডের অর্থনীতি খুব একটা নিচে নামে নি। কারণ পোল্যান্ডের অর্থনীতি সেই সময় স্থিতিশীল ছিল যার ফলে পোল্যান্ডকে এই সংকটে পড়তে হয় নি।

Interesting Facts about Poland In Bengali


পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশর পর সব থেকে পুরোনো এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হলো ক্রাকোও। এই সংহতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির অধিকৃত পোল্যান্ডের রাজধানী হিসাবে গণ্য হতো। এবং এই শহরে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা ক্রাকোও ঘেটো চোখে পরে। যা সেই সময়ের জার্মানির অত্যাচারের স্বরূপ হিসাবে এখনো দাঁড়িয়ে আছে। তবে শহরটি প্রাচীনকাল থেকে একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসাবে বিবেচিত হয়। ঐতিহাসিক স্থান হিসাবেও ক্রাকোও শহরটি খুবই জনপ্রিয়। তাই ক্রাকাও আজ একটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থল।

বর্তমানে পৃথিবীর উন্নত  দেশ গুলির বেশিরভাগ টাই ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্গত। তাই এইসব উন্নত দেশ গুলির আধুনিকতা যত বেড়েছে দেশে বড়ো বড়ো শহরও নির্মাণের কাজ তত শুরু হয়েছে। কিন্তু তার সাথে এই দেশ গুলিতে বন্য জন্তু গুলিও জন্য যে বনজঙ্গল রয়েছে তাও ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। আর বনজঙ্গলের অংশ কমে যাওয়ায় কিছু ইউরোপীয় বাইসন এবং ব্রাউন বিয়ারের মতো কিছু প্রাণী দিন দিন লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু পোল্যান্ডে অবস্থিত বিএলওয়েজা নামক জঙ্গলে এখনো সেই প্রাণী গুলিকে মুক্ত অবস্থায় দেখা যায়। 

পৃথিবীতে পোল্যান্ড এমন একটি দেশ যেখানে ড্রাগনের মুখ দিয়ে সত্যি কারের আগুন বের হয়। তবে ব্রোঞ্জ দিয়ে নির্মিত এই ড্রাগনটি কৃত্তিম কিন্তু আগুনটা সত্যিকারের যেটা প্রাকৃতিক গ্যাসের সাহায্যে জ্বালানো হয়। ক্রাকাও তে গিয়ে মূর্তিটির সামনে দাঁড়িয়ে সমস করে বললেও মূর্তিটি দিয়ে আগুন বের হয়। আসলে ড্রাগনের স্ট্যাচুটি স্বাস ফেলার সময় সেই অগুনতি বের হয়। এই স্ট্যাচুটি নির্মাণ করেন পোলান্ডেরই এক মূর্তি প্রস্তুতকারক ব্রোনিসলাও ক্রমী। এবং বর্তমানে এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের কাছে এটি খুবই পছন্দের জায়গা।

বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যাতেও পোল্যান্ড অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। বহুকাল আগে থেকেই পোল্যান্ডের বৈজ্ঞানিকেরা তাদের আবিষ্কারের দ্বারা দেশটিকে বিশ্বের বিজ্ঞান সমাজের শিখরে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে। যেখানে বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক মেরি কুরী জন্মে ছিলেন। রসায়ন বিজ্ঞানে তেজস্ক্রিয়তার অনুসন্ধান কার্যে যার অবদান সবচেয়ে বেশি রয়েছে। এবং পৃথিবীর চারদিকে যে সূর্য প্রদক্ষিণ করে চলেছে এই ধারণাকে সর্বপ্রথম ভুল প্রমান করেন নিকোলাস কোপারনিকাস নামের এক পোল্যান্ডের বৈজ্ঞানিক। তো বুজতেই পারছেন বিজ্ঞানের দিক দিয়ে ইউরোপের অন্য সব দেশ গুলির থেকে পোল্যান্ড কতটা এগিয়ে রয়েছে। 

তো এই ছিল পোল্যান্ড সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য। সুম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 


1 টি মন্তব্য :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন