Knowledge is Power 😎

হোয়াইট হাউস সম্পর্কে বিস্তারিত অজানা তথ্য | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

হোয়াইট হাউসের ইতিহাস 

হোয়াইট হাউস সম্পর্কে বিস্তারিত অজানা তথ্য | Bengali Gossip 24


হোয়াইট হাউস!

বাইরে থেকে এই ভবনের চিত্রটা হয়তো আমাদের সবার কাছেই মোটামুটি পরিচিত। কিন্তু সুবিশাল সাদা এই ভবনের ভিতরটা কেমন? মার্কিন প্রেসিডেন্ট রা কোথায় কাজ করেন? কোথায় গোপন বৈঠক করেন? কোথায় সিনেমা দেখেন? এসব হয়তো অনেকটাই আমাদের কাছে অজানা। তাহলে চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক এই হোয়াইট হাউস সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য। 

1791 সালের হোয়াইট হাউসের জন্য জায়গাটি পছন্দ করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন। আর বর্তমানে 55 হাজার বর্গফুটের এই ভবনটি মূলত দাঁড়িয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি শহরের 1600 পেনসিলভানিয়া এভিনিউতে। হোয়াইট হাউসে রয়েছে 132 টি কক্ষ, 35 টি শৌচাগার ও 3 টি রান্নাঘর। এছাড়াও রয়েছে থিয়েটার হল, সুইমিংপুল, টেনিস কোর্ট, গলফ কোর্ট এবং জগিং ট্রাক। অন্যদিকে হোয়াইট হাউসের মোট দরজার সংখ্যা 412 টি এবং জানালা 147 টি। হোয়াইট হাউসে ওঠানামা করার জন্য রয়েছে 8 টি সিঁড়ি এবং 3 টি লিফট।

বাসভবন বলা হলেও হোয়াইট হাউস মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। হোয়াইট হাউসে রয়েছে ইস্ট উইং, ওয়েস্ট উইং এবং এক্সিকিউটিভ রেসিডেন্ট বা থাকার জায়গা মূলত এই তিনটি আলাদা ভাগে বিভক্ত পুরো এই ভবনটি। তো চলুন একটু বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক হোয়াইট হাউস সম্পর্কে।

প্রথমে ওয়েস্ট উইং দিয়েই শুরু করা যাক। কারণ এখান থেকেই মূলত পরিচালিত হয় মার্কিন প্রেসিডেন্টের সব দাপ্তরিক কার্যাবলী। চারতলা এই ভবনে রয়েছে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর। তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রেসিডেন্ট রুম, ওভাল অফিস এবং কেবিনেট রুম।  আগে প্রেসিডেন্ট  রুমেই সেক্রেটারি দপ্তর এবং প্রেসিডেন্টের দপ্তর ছিল। বর্তমানে এই রুমটি খাবার ঘর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আর ওভাল অফিসটি বর্তমানে প্রেসিডেন্ট এর প্রধান দপ্তর। ডিম্বাকৃতির এই কক্ষের জানালা গুলো  বুলেটপ্রুফ কাঁচ দিয়ে তৈরি। কক্ষটির আসবাব এবং অন্দরসজ্জা প্রেসিডেন্টের পছন্দ অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। ওভাল অফিসের বাইরে ডানদিকে রয়েছে হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেন। এটি বিশেষ অনুষ্ঠান এবং বিশেষ অতিথিদের জন্য ব্যবহার করা হয়।

গ্রাউন্ড ফ্লোরে আছে সিচুয়েশন রুম। পাঁচ হাজার বর্গফুটের এই ঘরে প্রেসিডেন্ট আসেন কোনো সমস্যার মুখোমুখি হলে। এখানে তিনি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। সিচুয়েশন রুম চালান ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের কর্মীরা। 

এ ছাড়াও এ ভবনে হয়েছে হোয়াইট হাউসের প্রেস রুম। মূলত এখান থেকেই সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। 

এবার একটু জেনে নেওয়া যাক এক্সিকিউটিভ রেসিডেন্ট নিয়ে। হোয়াইট হাউজ চত্বরের কেন্দ্রীয় ভবন হলো এক্সিকিউটিভ রেসিডেন্ট। এটি মূলত ওয়েস্ট উইং এবং ইস উইং এর মাঝখানে অবস্থিত। এই ভবনের রয়েছে সবুজ, নীল এবং লাল রঙের কক্ষ। এসব কক্ষের জালানার পদ্মা মেঝের কার্পেট সহ গৃহসজ্জার সামগ্রিক রং সবকিছুই নির্ধারিত হয়ে থাকে কক্ষের নাম অনুসারে। একই ভবনের তৃতীয় তলায় আছে প্রেসিডেন্সিয়াল বেডরুম সুইট। এখানে আছে প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্ট লেডির ব্যক্তিগত শোবার ঘর, আরেকটি শোবার ঘর এবং সাজসজ্জার ঘর। 

অপরদিকে এক্সিকিউটিভ রেসিডেন্স এর পূর্ব দিকে দ্বিতল ভবনটি হল ইস্ট উইং। আর এই ভবনের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে ফার্স্টলেডির দপ্তর। এছাড়াও এ ভবনে আছে একটি পারিবারিক থিয়েটার হল। যেখানে প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারের সদস্যরা দিনের যেকোনো সময় নিজেদের পছন্দের সিনেমা উপভোগ করতে পারেন। 

প্রেসিডেন্টের বাসভবন বলা হলেও হোয়াইট হাউস কে ঘিরে নেই তেমন কোন গোপনীয়তায় বরং এর একটি অংশ রয়েছে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত। প্রতিদিন যেখানে বেড়াতে আসেন কয়েক হাজার দর্শনার্থী। তবে এত মানুষের আসা-যাওয়া থাকলেও নিরাপত্তার বেলায় কোন আপোষ নেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবনে। 24 ঘন্টা কড়া নজরদারি করেন অসংখ্য গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্নাইপার। 1800 সালে প্রতিষ্ঠার পর যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট জন অ্যাডামস থেকে শুরু করে সদ্য নির্বাচিত হওয়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সবাই পাস করেছে এই হোয়াইট হাউসে।

তো এই ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউস সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।


কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন