Bengali Gossip 24

Knowledge is Power 😎

"টোটাল ধামাল" মুভি রিভিউ

কোন মন্তব্য নেই
"টোটাল ধামাল" মুভি রিভিউ

লতি সপ্তাহে মুক্তি পেয়ে গেলো বলিউডের ধামাল সিরিজের টোটাল ধামাল মুভিটি। ধামাল সিরিজের মুভি দুটি বেশ দর্শকদের মন জয় করেছে। এটি এই সিরিজের তিন নম্বর মুভি। তো স্বাভাবিক ভাবেই দর্শকের আশা এই ছবি নিয়ে বরাবরের মতই একটু উপরে। এছাড়াও টোটাল ধামাল মুভিতে বাঘা বাঘা সব কাস্টিং রয়েছে । যাদের অভিনয় আগে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে । তো চলুন জেনে নিই কেমন হয়েছে টোটাল ধামাল?
এই মুভিটার গল্প সিরিজের পূর্বতন গল্পের সাথে অনেকটায় মিলে যায়। যেখানে একটি লোক মারা যাওয়ার সময় কয়েকজনকে ৫০ কোটি টাকার একটি রহস্য বলে যায় । যেটা একটা চিড়িয়াখানায় রয়েছে । এই কথা শুনেই সবার মধ্যে লোভ জেগে যায়  এবং যে যার মতো করে খাঁচার সন্ধানে বেরিয়ে যায়। সেখানে শর্ত একটাই যে খাঁচার কাছে যে আগে পৌঁছবে পুরো টাকাটা তার । এটা নিয়েই নানা রকম ঝামেলা শুরু এবং এভাবেই গল্পটা এগোতে থাকে। এই মুভিতে অনেক ফানি ডেসট্রাকশন সিন যেমন প্লেন ক্লাশ, ট্রেন ক্লাশ সব কিছুই রয়েছে। কিন্তু সব কিছুর মধ্যে অনেক ফাঁক ফোকর রয়েছে এই গল্পে । এই গল্পে ভালো আনন্দময় কোনো প্লট ছিল না। কমেডি সিন তো এই মুভিতে অনেক ছিলো কিন্তু সেটা হাস্যকর তেমন একটা ছিল না বরং অনেকটা বিরক্তিকর ছিল। এবং কিছু কিছু সিন, চরিত্র এতটা গতানুগতিক যে কিছুক্ষণ দেখলেই পুরো ছবিটা ক্লিয়ার হয়ে যায়। তবে এখানে অভিনেতা অভিনেত্রী র কোনো দোষ নেই। কারণ যারা যারা এই মুভিতে রয়েছে তারা যে কমেডি মুভিতে বাজীমাৎ করে আসছে তা আমরা সবাই জানি। তবে এইখানে আসল সমস্যা ছিল ডিরেক্টর ইন্দ্র কুমারের। উনি ঠিক মতো প্লটটা সাজাতে পারেন নি।  মুভি দেখতে দেখতে আপনার এমন মনে হতে পারে যে বড়ো বড়ো সব অভিনেতা অভিনেত্রীরা তো রয়েছে কিন্তু তাদেরকে কি কি করতে হবে ঠিক ভাবে বোঝানো হয় নি। তবে এই ছবিতে দর্শকদের যেটা ভালো লেগেছে সেটা হলো অনিল কাপুর এবং মাধুরীর জুটি । এখনো যে তাদের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি রয়েছে তা এই ছবি দেখলেই বোঝা যায়। তবে অনিল মাধুরীর পর অজয় দেবগনের  অভিনয় ও দর্শকদের ভালো লেগেছে। কিন্তু সঞ্জয় মিশ্র খুব একটা মন জয় করতে পারে নি। এছাড়া অনেক দিন পর সুযোগ পাওয়া আর দেশমুখ ভালোই করেছেন । জনি লিভারের সাথে তার সিন গুলি খুবই মজার। তবে দুর্বল প্লটের জন্য ধামালের মোস্ট ফেভারিট চরিত্র এরশাদ আরশি এবং জাফেদ জাফরির দুই ভাইয়ের চরিত্র একেবারে ঢাকা পড়ে যায় । সবশেষে এই ছবিতে সব কিছু ছিল কিন্তু ডিরেক্টর সবটা সাজাতে পারেন নি। 

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

বলিউডের কিছু ব্যর্থ বায়োপিক মুভি

কোন মন্তব্য নেই
সম্প্রীতি বলিউডে খুবই বায়োপিক মুভির ট্রেন্ড চলছে। এম এস ধোনি, ভাগ মিলখা ভাগ কিংবা দঙ্গল এই বায়োপিক মুভি গুলি বলিউডে কম বেশি আলোচিত বা সাফল্য মন্ডিত হয়েছে। সব কিছুর ভিড়ে এমন কিছু বায়োপিক রয়েছে যে গুলি দর্শকদের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং বক্স অফিস কালেকশনেও করেছে হতাশ। তো চলুন জেনে নিই বলিউডের সেই সব অসফল বায়োপিক মুভি গুলির নাম।
বলিউডের কিছু ব্যর্থ বায়োপিক মুভি


বলিউডের ব্যর্থ বায়োপিক মুভি :


১) মঙ্গল পান্ডে - দ্য রাইসিং :  এই মুভির উপর দর্শকদের প্রত্যাশা ছিল আকাশছোঁয়া। কারণ কেতন মেহতার পরিচালনায় মুভিতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন বলিউডের পার্ফেক্টশনিস্ট নামে খ্যাত আমির খান। সিপাহী বিদ্রোহের উপর নির্মিত সিনেমার জন্য  নিজের পুরো রূপ পরিবর্তন করে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু গল্পের কাহিনীটা বিভিন্ন জায়গায় আধো আধো থাকায় সিনেমাটি দর্শকদের মন জয় করতে পুরোপুরি ভাবে ব্যর্থ হয়েছে  একই ভাবে বক্স অফিসেও মুখ থুবড়ে পড়েছে। 

২) আজহার : আজহার এমন একটি বায়োপিক মুভি ছিল যাতে দর্শকরা পুরোপুরি ভাবে হতাশ হয়েছে। বায়োপিক মুভিতে একটু আধটু এন্টারটেইনমেন্ট থাকেই কিন্তু আজহার মুভিতে এন্টারটেইনমেন্ট একটু অন্য মাত্রার ছিল। গল্প এবং ভুল পরিচালনা মুভির মুখ্য ভূমিকায় থাকা ইমরান হাশমি একা সামলে উঠতে পারে নি। ক্রিকেটার আজহার উদ্দিনের জীবনী অবলম্বনে তৈরি হওয়া সিনেমায় অনেক তথ্যের বিকৃতিও হয়েছে বলে জানা যায়। সেই জন্য সিনেমাটি দর্শকদের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়। 

৩) সারাবজিৎ : এই বায়োপিক মুভিটি সারাবজিৎ সিং এর। এই সিনেমাটি প্রমান করে যে  সেরা পারফরমেন্স দিয়েও কোনো মুভিকে হিট করা বা দর্শকদের মন জয় করা যায় না। বড়ো বড়ো স্টারডম থাকা সত্ত্বেও বাক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল এই মুভিটি। অভিনেতা রণদীপ হুদা এবং ঐশর্য্য রাই তাদের সেরা পারফরমেন্স দিয়েও হিট মুভির তকমা লাগাতে পারে নি। তারা তাদের চেষ্টার কমতি রাখে নি। আর এই মুভির গল্পটায় এরকম যে সবকিছু কাঁপিয়ে দিতে সক্ষম। কিন্তু মুভিতে অনেক বেশি মেলো ড্রামা দেখানো হয়েছে যে যার জন্য দর্শকদের মন জয় করতে পারে নি। 

৪) ড্যাডি : ড্যাডি! না, ড্যাডি কোনো খারাপ ছবি না। ইটা মুম্বই আন্ডার ওয়ার্ল্ডের এক চরিত্রের উপর নির্মিত। বস্তি বাসিন্দা থেকে মুম্বইয়ের ক্ষমতাশীল মানুষ এটুকুই যথেষ্ট এই সিনেমাটিকে সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য।  কিন্তু যদি পরিচালক সঠিক ভাবে  চরিত্র এবং গল্পের উপর মনোযোগ দিতেন তাহলে খুব সহজেই সিনেমাটি দর্শকদের মন জয় করতে পারতো। 

৫) হাসিনা পার্কার : এই সিনেমার গল্পটা কোথা থেকে শুরু হয় র কোথায় বা গিয়ে শেষ হয় কিছুই তেমন একটা বোঝা যায় না। বিশেষ করে মুখ্য চরিত্রে থাকা শ্রদ্ধা কাপুর একেবারে বেমানান ছিলেন। তিনি যে বিচিত্র ভঙ্গিমায় কথা বলতেন তা ছিল পুরো হাস্যকর। তাই দর্শকরা এই মুভিটিকে পছন্দ করে নি। 

তো এই ছিল বলিউডের কিছু অসফল বায়োপিক যেগুলি দর্শকদের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়। 

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন