Bengali Gossip 24

Knowledge is Power 😎

Amazing and Interesting facts about Saudi Arabia | পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ সৌদি আরব সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত এবং মজাদার তথ্য জেনে নিন

1 টি মন্তব্য

Interesting facts about Saudi Arabia in Bengali

Interesting facts about Saudi Arabia in Bengali


সৌদি আরব বিশ্বের এমন একটি দেশ যেখানে মানুষের বসবাস এবং সেই দেশের মানুষের চালচলন অন্য দেশগুলির থেকে অনেকটাই আলাদা। আরব উপদ্বীপের দেশ গুলির মধ্যে সবচেয়ে বড়ো দেশ হলো সৌদি আরব। আধিকারিক ভাবে এই দেশটিকে কিংডম অফ সৌদি আরব বলা হয়। তো জেনে নেওয়া যাক সৌদি আরব সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত এবং মজাদার তথ্য। 

সৌদি নামটি আরবি ভাষা সু ইউ দিয়াহ থেকে এসেছে। এটি সৌদির স্বাসক পরিবার আল সাউদ থেকে নেওয়া হয়েছে। স্বাসক আব্দুল আজিজ ইবন সাউদ ছিল সৌদি আরবের প্রথম স্বাসক। সেই দেশের বর্তমান স্বাসক সালমান আল সাউদ একজন প্রভাব শালী বেক্তি। সৌদি আরব একটি ইসলামিক রাষ্ট্র। তাই সেই দেশের স্বাসক বংশ পরম্পরাই ইসলাম ধর্মের নীতি অনুযায়ী স্বাশন বেবস্থা পরিচালনা করেন। সৌদি আরব পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি খনিজ তেল রপ্তানি করার দেশ গুলির মধ্যে একটি। সেখানে সবচেয়ে বেশি খনিজ তেলের ভান্ডার আছে। প্রায় ৩  কোটি ৩০ লক্ষ জনসংখ্যার এই দেশটি অর্থনীতিতে পৃথিবীর অন্যান্য শক্তিশালী দেশ গুলির মধ্যে একটি। 

সৌদি আরবকে দ্য ল্যান্ড অফ দ্য টু হোলি মস্কোইসও বলা হয় কারণ ইসলাম ধর্মের দুই পবিত্র স্থান সেখানে অবস্থিত। আল মসজিদ আল হারাম  যা মক্কাতে এবং আল মসজিদ আল নাওয়াবী যা মদিনাতে অবস্থিত। ইসলাম ধর্মের মানুষ হজ যাত্রাতে মক্কা তে আসেন। এই মক্কা শহরেই ইসলাম ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মহম্মদের জন্ম স্থান। 

সৌদি আরবের রাজধানী এবং সবচেয়ে জনবহুল শহরটি হলো রিয়াদ।  এছাড়াও আরো অনেক শহর রয়েছে যেমন জিদাহ, দামাম ইত্যাদি। সেই দেশে অধিকাংশ মানুষ মুসলিম। তাই সৌদি আরবের উপর দিয়ে কোনো  মাদক দ্রব্য প্রাচার হয় না। 

সৌদি আরবের আইন বেবস্থা পৃথিবীর কঠোরতম আইন ব্যবস্থার দেশ গুলির মধ্যে একটি। সেই জন্যে সৌদি আরবে অপরাধের সংখ্যা খুবই নগন্য। সৌদি আরবের কোনো সংবিধান নেই। তাদের কাছে কোরানই  সব। সৌদি আরবের আইন ব্যবস্থার প্রাথমিক উৎস হলো ইসলামিক শরিয়া। যা কোরান এবং সুন্নাহর শিক্ষা গুলির থেকে নেওয়া।  এই শরিয়া আইনটি খুবই কঠোর হয়। 

সৌদি আরবের অর্থনীতি প্রধানত তৈল খনন এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর নির্ভর। সেখানে ৯০ শতাংশ ইনকাম তেল রপ্তানি থেকে আসে। এছাড়া পৃথিবীর ষষ্ট সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক গ্যাসের ভান্ডার রয়েছে সৌদি আরবে। সৌদি আরবের সর্বপ্রথম তেলের কুঁয়োটি হলো দামাম নম্বর ৭। সৌদি আরব বেবসা বাণিজ্যের দিক দিয়ে অন্য দেশ গুলির থেকে অনেকটাই এগিয়ে যার কারণে সৌদি আরবের ৩৫ শতাংশ মানুষই বিদেশী যারা বিভিন্ন কাজকর্মের জন্য সেই দেশে বসবাস করেন। 

সামরিক শক্তিতেও সৌদি আরব অনেকটাই শক্তিশালী। আপনি এটা জেনে অবাক হবেন যে দেশের ১০ থেকে ১২ শতাংশ জিডিপি শুধুমাত্র সৈন্য এবং সামরিক জিনিসপত্রের পিছনে খরচ করা হয়। 

সৌদি আরবে খুব কম পরিমানে বৃষ্টিপাত হয়।  যেই কারণে সৌদি আরবে কোনো নদী দেখতে পাওয়া যায় না। সৌদি আরব পৃথিবীর একমাত্র  নদীবিহীন দেশ।  সেখানে বেশির ভাগ অংশই মরুভূমিতে ভরা। কিছু বিখ্যাত মরুভূমি যেমন আল নাফুড, রুব আল খালী এই সৌদি আরবেই অবস্থিত। যেই কারণে সেখানে গরমকালে তাপমাত্রা  সর্বাধিক ৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট পর্যন্ত হতে পারে। 

সৌদি আরব শিক্ষার ক্ষেত্রেও অনেক এগিয়ে রয়েছে। কারণ সেখানে শিক্ষার্থীদের হার যথেষ্ট বেশি। সেখানে পুরুষ এবং মহিলা সবার জন্যই শিক্ষা সহজলভ্য। সৌদি আরবে পুরুষদের শিক্ষার হার ৯০.০৪ শতাংশ এবং মহিলাদের শিক্ষার হার ৮১.৩০ শতাংশ।  

সৌদি আরব ইসলামিক রাষ্ট্র হওয়ায় সেখানে অনেক নিয়ম করে চলতে হয়। সেখানে পাবলিক প্লেসে মদ্যপান নিষেধ। সেখানে মেয়েদের ছোট ছোট পোশাক পড়া, পর্নোগ্রাফি দেখাও সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। আর যারা সেগুলি অমান্য করবে তাদের খুব কঠিন শাস্তি পেতে হয়। তাই সেই দেশের মানুষের জামাকাপড়ে ইসলামী ধর্মের ছাপ  স্পষ্ট লক্ষ্য করা যায়। সেখানে পুরুষেরা থাওব নামক এবং মহিলারা আবায়া নামক পোশাক পরিধান করেন। সৌদি আরব একটি ইসলামিক রাষ্ট্র হওয়ায় সেখানে শুক্রবার এবং শনিবার সবাইকে ছুটি দেওয়া হয়। কারণ মুসলিমদের জন্য শুক্রবার একটি পবিত্র দিন। 

সমস্ত আরব দেশ গুলির খাবার প্রায় একইরকম। তারা সবসময় একইরকম খাবার খেতে পছন্দ করেন। ওদের খাবারে খেজুর এবং মধু বিশেষ ভাবে লক্ষ্য করা যায়। 

সৌদি আরব অর্থনীতির পাশাপাশি খেলাধুলাতেও অনেক প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে। সৌদি আরবের ন্যাশনাল ফুটবল টিম এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে সফল ফুটবল টিম। এছাড়াও সেই দেশে বাস্কেটবল, স্কুবা ডাইভিং এই সব খেলা গুলি বিখ্যাত। সেখানে কিছু ঐতিহ্যের খেলা যেমন ঘোড়া দৌড় বা উট দৌড় বিখ্যাত। সৌদি আরবে একধরণের মজার গাড়ির খেলা দেখা যায় যেখানে বড়ো বড়ো গাড়িকে এক দিকে কাত করে বাকি দুই চাকা দিয়ে চালানো হয়, একে সাইডওয়াক  স্কিং বলা হয়। 


1 টি মন্তব্য :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

কাতার (Qatar) সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য

২টি মন্তব্য

Interesting facts about Qatar  in Bangali


কাতার সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত এবং মজাদার তথ্য

আজ আমরা এমন একটি দেশের সম্পর্কে মজাদার তথ্য জানবো যেই দেশটিকে সারা বিশ্ববাসী কোটিপতির দেশ হিসাবে চিনে।  সেই দেশের মানুষের জীবনযাত্রা এবং বিলাসিতা সারা বিশ্ববাসীকে মুগ্ধ করেছে।  আর সেই দেশটির নাম হলো কাতার। কাতার মধ্য প্রাচ্যের একটি আরব দেশ। মধ্য প্রাচ্যের সমস্ত আরব দেশ গুলির মধ্যে কাতারই সবচেয়ে ছোট দেশ।  তো জেনে নেওয়া যাক কাতার সম্পর্কে কিছু  অদ্ভুত এবং মজাদার তথ্য। 

১৯৭১ সালের আগে কাতার ইউনাইটেড কিংডমের অংশ ছিল। ১৯৭১ সালে ব্রিটিশ স্বাশন থেকে কাতার স্বাধীনতা অর্জন করে। তারপর থেকেই খুব তাড়াতাড়ি শক্তিশালী দেশে পরিণত হয়েছে। কাতারের রাজধানী এবং সবচেয়ে বড়ো শহর হলো দোহা।  এই দোহাতে একটি কৃতিম আইল্যান্ড বানানো হয়েছে যার নাম ফার্ম কাতার।  কাতারের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা এই দোহাতেই বসবাস করে। কাতারের দক্ষিণে সৌদি আরব এবং পশ্চিমে বাহারা অবস্থিত। 

কাতার খুব ধনী দেশ  হওয়ায় সিঙ্গাপুরের পর কাতারে সবচেয়ে বেশি কোটিপতি লোক বসবাস করে। আপনি এটা জেনে অবাক হবেন যে সেখানে প্রায় ১৩ শতাংশ লোক কোটিপতি। আপনি কাতারে বেকার লোক খুঁজেই পাবেন না। কারণ সেখানকার সমস্ত মানুষ কোনো না কোনো কাজের সাথে যুক্ত থাকে। সেখানে বেকারত্বের সংখ্যা ১ শতাংশের থেকেও খুবই কম। কাতারে প্রতি বেক্তির আয় ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৯৩০ মার্কিন ডলার। 

২০১৭ সাল পর্যন্ত কাতারের মোট জনসংখ্যা ২৬ লক্ষ ৪১ হাজার ৬৬৯ জন। আপনি এটা জেনে অবাক হবেন যে কাতারের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৪ শতাংশ কাতারের বাসিন্দা। আর বাকি ৮৬ শতাংশ লোকই বিদেশী। তারা বিভিন্ন কাজকর্মের জন্য সেখানে বসবাস করে। পৃথিবীর মধ্যে কাতারই এক মাত্র দেশ যেখানে প্রায় ১৫০ দেশের বেশি লোক বসবাস করে। 

কাতারের রাষ্ট্রীয় ভাষা আরবি। কিন্তু সেখানে ইংরেজি ভাষাও কিছুটা প্রচলিত আছে।  সেখানে সবচেয়ে বেশি মুসলিম ধর্মের লোক বসবাস করে।  এছাড়াও সেখানে কিছু খ্রিস্টান এবং হিন্দু ধর্মের লোকও বসবাস করে। কাতার ইসলামিক রাষ্ট্র হওয়ায় সেখানে শুক্রবার এবং শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি দেওয়া হয়। 

সেখানকার কোনো মানুষের থেকে সরকার কোনো ট্যাক্স নেয় না। তাছাড়া সেখানে বিদ্যুৎ পরিষেবা, চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।  কাতারে কোনো গরিব লোক বসবাস করে না। অপেক্ষাকৃত যারা কিছুটা নিম্ন মানের আয় করে তারাও খুব সুন্দর ভাবে জীবনযাপন করতে পারে। 



কাতারে শিক্ষিতের হার প্রায় ৫৮ শতাংশ। কাতারে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা খুবই কম। সেখানে মোট জনসংখ্যার মাত্র ২০ শতাংশ মেয়ে বসবাস করে। কিন্তু মেয়েদের সেই রকম কোনো স্বাধীনতা দেওয়া না। 

কাতার একটি ইসলামিক রাষ্ট্র হওয়ায় সেখানে কিছু নিয়ম রয়েছে যা সবাইকে মেনে চলতে হয়। যেমন সেখানে মেয়েদের ছোট ছোট পোশাক পড়া একদমই নিষেধ। তাছাড়া আপনি পাবলিক প্লেসে কখনো মদ্যপান করতে পারবেন না। সেখানে মদ কেনাবেঁচাও সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। সেখানে পর্নোগ্রাফিও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কাতারে দুই ধরণের আইন দেখতে পাওয়া যায়। একটা হলো সাধারণ আইন এবং আরেকটি হলো শরিয়া আইন। শরিয়া আইন খুবই কঠিন। সেখানে যদি কেউ বাজে ধর্মীয় মতবাদ করে  তাহলে তাকে  সাত বছরের জন্য জেলে থাকতে হতে পারে। 

একটা সময় কাতার আরব দেশ গুলির সবচেয়ে গরিব দেশ ছিল।  কিন্তু বর্তমানে কাতার পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ । তারা  প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল খনন এবং মুক্তা নিষ্কাশন থেকে আয় করে। 
কাতারের শুষ্ক জমি এবং প্রতিকূল অবস্থার জন্য সেখানে কৃষিকাজ খুবই কম পরিমানে হয়। আর সেখানে প্রচুর পরিমান খাবার বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। সেখানে প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যায় মধু খাওয়ার রীতি রয়েছে। সেখানকার লোকজনের প্রিয় খাবার হলো মধু এবং খেজুর। 

কাতার তৈল খনির দেশ হওয়ায় সেখানে পেট্রোল জলের দরে পাওয়া যায়। হামাদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট কাতারের বিখ্যাত বিমান বন্দর। এই এয়ারপোর্টটি ২০১৪ সালে নির্মিত করা হয়েছে। প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ এই বিমান বন্দর দিয়ে  যাতায়াত করে। 

তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি, প্রাচ্য নিদর্শন এবং  কোটিপতি লোকদের জীবনযাপন দেখার জন্য সেখানে প্রতি বছর অনেক পর্যটক কাতারে দেয়। 

সবশেষে, কাতার পৃথিবীর প্রথম সবচেয়ে ছোট দেশ যে ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে। হাঁ! ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ কাতারে অনুষ্টিত হতে চলেছে।  কাতারের সবচেয়ে প্রিয় খেলা হলো ফুটবল। যেই কারণে কাতারের সাথে ফুটবলের সম্পর্ক অন্যরকম। 

২টি মন্তব্য :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

দুবাই (Dubai) সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত এবং মজাদার তথ্য জেনে নিন

৩টি মন্তব্য

Interesting facts about Dubai


Interesting facts about Dubai

আজ আমরা এমন একটি শহর সম্পর্কে জানবো যেই শহরটি আমাদের সকলের কাছেই পরিচিত। বিভিন্ন জায়গায় আমরা এই শহরটির নাম শুনে থাকি। কখনো কখনো এই শহরটিকে আমরা বিভিন্ন মুভিতেও দেখে থাকি। পৃথিবীর ধনী শহর গুলির নাম বললেই যেই শহরের নাম আমাদের প্রথম মনে পরে, সেই শহরটির নাম হলো দুবাই। তো চলুন জেনে নিই দুবাই কেন বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর শহর গুলির মধ্যে একটি। 


সারা বিশ্বে দুবাই শহরটি পরিচিতি লাভ করেছে উঁচু উঁচু বিল্ডিং, নামী দামী গাড়ি, বাড়ি এবং তাদের বিলাস বহুল জীবন যাপনের জন্য। বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই মনে করেন যে দুবাই একটি দেশ। কিন্তু দুবাই কোনো দেশ না। সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি দেশ, যা মধ্য প্রাচ্য / দক্ষিণপশ্চিম এশিয়ায় অবস্থিত, দুবাই হলো সেই দেশের সবচেয়ে বড়ো এবং সবচেয়ে জনবহুল শহর।

বর্তমানে সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিংটি হলো ব্রুজ খলিফা। যেটি দুবাইতে অবস্থিত। যা দুবাইয়ের ৯০ কিলোমিটার দূর থেকেও দৃশমান। দুবাইতে অবস্থিত পৃথিবীর তৃতীয় সবচেয়ে উঁচু হোটেল ব্রুজ আল আরব। এই হোটেল মধ্যে একটা সোনার চাদর রয়েছে যেটাকে বাইরে থেকে দেখলে মন ভোরে যায়।  কিন্তু আপনি ইটা জেনে অবাক হবেন যে, ১৯৭০ সালে ওই জায়গায় ছিল মরুভুমি।  মাত্র কয়েক বৎসরে সেই মরুভুমি হয়ে উঠলো পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর একটি শহর। 

আমরা জানি যে এটিএম মেশিন দিয়ে টাকা তোলা হয় কিন্তু আপনি এটা জেনে অবাক হবেন যে দুবাইয়ে এটিএম মেশিন দিয়ে সোনাও বের হয়। একটি জার্মান সংস্থা প্রথম দুবাইতে এই মেশিনটি আবিষ্কার করে। একে গোল্ড এটিএমও বলা হয়।  দুবাই এর একটি শপিং মোলে প্রথম এই মেশিনটি চালু করা হয়। এই মেশিন থেকে সোনার কয়েন, সোনার বিস্কুট এবং বিভিন্ন রকমের গহনাও বের হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো শপিং মোল এই দুবাইয়ে দেখা যায়। 

দুবাইয়ের রাস্তাঘাট খুবই উন্নত। এর জন্য দুবাই এর রাস্তায় আপনি সব সময় দামি অত্যাধুনিক গাড়ি দেখতে পাবেন। যেমন ল্যাম্বরঘিনি,ফেরারি,বিএমডাব্লিউ  ইত্যাদি।  এমনকি দুবাই এর পুলিশ প্রশাসনও এইসব গাড়ি ব্যবহার করেন। পুলিশদের এইসব দামি গাড়ি দেওয়ার কারণ হচ্ছে যাতে তারা সহজে ক্রিমিনালদের ধরতে পারে। যেখানে অন্য দেশে ২/১ তা স্টেশন তৈরি করতে বছরের পর বছর পার হয়ে যায় সেখানে দুবাই মাত্র ১৮ মাসে ৪২  মেট্রো স্টেশন তৈরি করেছে । দুবাইয়ের ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টটি পৃথিবীর তৃতীয় ব্যস্ততম এয়ারপোর্ট। 

দুবাইকে  বালির শহরও বলা হয়। দুবাই তে প্রচুর পরিমান বালি থাকার কারণে সেখানে  উট চলতে দেখা যায়। সেখানকার মানুষ প্রায়ই উঠ দিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু মজার বেপার হলো সেখানে রোবট চালিত উট দেখা যায়।   মাঝে মধ্যে উট যখন দিশাহীন পরে তখন উটকে সঠিক দিশা দেখতে এবং শান্ত করতে এই রোবটিকে ব্যবহার করা হয়। 

বেবসা বাণিজ্যের জন্য দুবাই একটি বিশেষ শহর।  তাই অধিকাংশ মানুষ দুবাইয়ে কাজকর্মের জন্য নিজের দেশ থেকে পারি দেয়। আপনি এটা জেনে অবাক হবেন যে দুবাইয়ে মাত্র ২০ শতাংশ জনগণই প্রকৃত পক্ষে দুবাইয়ের বাসিন্দা।  আর বাকি ৮০ শতাংশ জনগণই অন্য দেশের। অদিকাংশ মানুষ মনে করেন যে দুবাই এর অর্থনীতি তেলের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু আপনি এটা জেনে অবাক হবেন যে দুবাই এর মাত্র ৭ থেকে ৮ শতাংশ ইনকাম তেল থেকে আসে।  আর বাকিটা আসে বেবসা বাণিজ্য এবং পর্যটক দের থেকে। 

 দুবাই এর  ধনী বেক্তিরা  বনের পশুদের  পোষ মানতে ভালোবাসেন। সিংহ এবং চিতাবাগ কে  তারা নিজেদের সাথে নিয়ে রাস্তায় ঘোরা ফেরা করেন। সেখানকার ধনী বেক্তিরা উদার মনের হয়ে থাকে যার কারণে প্রকৃত অর্থে যারা গরিব তাদেরকে বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হয়। 
পৃথিবীর সবচেয়ে বিল্ডিং বেশি তৈরি করা হয় দুবাইয়ে। এবং প্রচুর পরিমান তেলের খননও করা হয় সেখানে। তাই ধারণা করা হয় পৃথিবীর ২৫ শতাংশ ক্রেন এই দুবাইয়ে ব্যবহার করা হয়।

দুবাই একটি ইসলামিক দেশ হওয়ায় সেখানে পাবলিক প্লেস এ মদ খাওয়া অপরাধ।  দুবাই একটি শান্তিপূর্ণ দেশ।  সেখানে ক্রাইম এর মাত্রা খুবই কম। 

দুবাইয়ে প্রচুর পাল্ম আইস্ল্যাণ্ড নামক কৃতিম দ্বীপ তৈরি করা হয়েছে। এই আইস্ল্যাণ্ড গুলি তৈরি করতে প্রচুর পরিমান বালি ব্যবহার করা হয়েছে।  প্রত্যেক দেশের নিজস্ব কোনো পোস্টাল কোড রয়েছে। কিন্তু আপনি ইটা জেনে অবাক হবেন যে দুবাইয়ের কোনো পোস্টাল কোড নেই।

সবশেষে, ব্রুজ খলিফা পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং হলেও দুবাই খুব তাড়াতাড়ি আরেকটি উঁচু বিল্ডিং বানাতে চলেছে যেটা প্রায় ১০০০ মিটার এর কাছাকাছি এবং এটা ২০২০ এর মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে , এর নাম হলো দ্য টাওয়ার অফ ক্রিক হারবার। 







৩টি মন্তব্য :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Amazing and Interesting facts about the country Romania In Bengali. রোমানিয়া সম্পর্কে অসাধারণ কিছু মজাদার তথ্য জেনে নিন

কোন মন্তব্য নেই

Amazing facts about ROMANIA


Amazing and Interesting facts about the country Romania

আজ আমরা ইউরোপের এমন একটি দেশ সম্পর্কে জানবো যেখানে কালা জাদুকে সেই দেশের সরকার বৈধ করে দিয়েছে। সেই প্রাকৃতিক সৌন্ধর্যে ভরা দেশটির নাম হলো রোমানিয়া। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক রোমানিয়া সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত এবং মজাদার তথ্য। 

রোমানিয়া  সম্পর্কে অসাধারণ  কিছু মজাদার তথ্য জেনে নিন


রোমানিয়া নামটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ রোমানাস থেকে , যার অর্থ রোমান সাম্রাজ্যের নাগরিক। রোমানিয়া দেশটি ১৮৭৭ সালে অটোমান স্বাসন থেকে মুক্তি পেয়ে ১৮৮১ সালে কিংডম অফ রোমানিয়া নাম প্রতিষ্টিত হয়। এই দেশের রাজধানী হলো বুখারেস্ট এবং এটিই হলো রোমানিয়ার সবচেয়ে বড়ো শহর। এই বুখারেস্টেই অবস্থিত রোমানিয়ার পার্লামেন্ট প্যালেস টি। অনেকে এই বিল্ডিংটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ভারী বিল্ডিংও মনে করেন। প্রায় ২ লক্ষ ৩৮ হাজার ৩৯৭ বর্গ কিলোমিটার এই দেশটির আয়তন। এটি দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপের সবচেয়ে বড়ো দেশ এবং পুরো ইউরোপে রোমানিয়া  ১২ তম  অবস্থানে রয়েছে।

২০১৭ সাল পর্যন্ত রোমানিয়ার  জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৯৯ লক্ষ। সেখানকার বেশিরভাগ মানুষই খ্রীষ্টান সম্প্রদায় ভুক্ত। রোমানিয়া দেশের মানুষ দের রোমানিয়ান বলা হয়। এছাড়াও হাঙ্গেরিয়ান, রোমা জার্মান ইত্যাদি জাতি গোষ্ঠীর মানুষ সেখানে বসবাস করে। রোমানিয়ার আধিকারিক ভাষা হলো রোমানিয়ান।  সেই দেশের মানুষ রোমানিয়ান ভাষাতেই কথা বলে।  এই ভাষাটি প্রায় ১৭০০ সাল পুরোনো একটি ভাষা। সেই দেশের অধিকাংশ মানুষ পশ্চিম দেশ গুলির মতো জীবন যাপন  করে। কিন্তু গ্রাম এলাকার মানুষ তাদের ঐতিহ্য বজায় রেখেছে। রোমানিয়াতে মহিলাদের চুল দেখে অনায়াসে বোঝা যায় যে সে বিবাহিত না অবিবাহিত। কারণ অবিবাহিত মেয়েরা সাধারণত চুলে বিনুনি করে থাকে এবং বিবাহিত মহিলারা মারমা নামক কাপড় দিয়ে চুল ঢেকে রাখে।

রোমানিয়ার জাতীয় পতাকায় তিনটে রং দেখতে পাওয়া যায়। এই তিনটি রং ট্রানসিলভানিয়া, মলডেভিয়া এবং ওললাচিয়া স্থান গুলিকে নির্দেশ করে। এই স্থান গুলি রোমানিয়ার ঐতিহ্য প্রদান করে। এই দেশটির চার দিকে রয়েছে বুলগেরিয়া, সার্ভিয়া, হাঙ্গেরি ইউক্রেন ইত্যাদি। এছাড়াও দেশটির দক্ষিণ পূর্ব ভাগে অবস্থিত কৃষ্ণ সাগর। পুরো ইউরোপের বেশিরভাগ জঙ্গলই এই রোমানিয়াতে দেখতে পাওয়া যায়। নানান প্রকার বন জঙ্গল থাকায় সেখানে প্রচুর পরিমানে পশুপাখি দেখা যায়। সাধারণত রোমানিয়া ব্রাউন বিয়ার  এর।  রাশিয়া ছাড়া ইউরোপের বেশিরভাগ  ব্রাউন বিয়ারই রোমানিয়াতে পাওয়া যায়।  রোমানিয়াতে প্রতিবছর অনেক বিদেশী পর্যটক ঘুরতে যায়।  ফলে সেখানকার দর্শনীয় স্থান গুলি অনেক জনপ্রিয়  উঠেছে।  সেই জন্য  রোমানিয়ার অর্থনীতিতে পর্যটক শিল্পের ভূমিকা দিন দিন বেড়েই চলছে। বিভিন্ন ফলমূল, তেল,খনিজ সম্পদ, কেমিক্যাল, লোহার যন্ত্রপাতি, বস্ত্র শিল্প ইত্যাদি রোমানিয়ার অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ  অংশ।  রোমানিয়া দেশের  বড়ো পর্বত শ্রেণীর নাম হলো মোল্ডেভেনু পাহাড়। এর উচ্চতা প্রায় ২৫৪৪ মিটার। 

রোমানিয়ার জাতীয় মুদ্রা রোমানিয়ান লেয়ু। যার অর্থ লায়ন। এই দেশের মানুষের জীবন যাত্রার মান বেশ নিম্ন মানের। এর কারণ হলো রোমানিয়া অর্থনীতিতে ইউরোপের অন্যান্য দেশ গুলির থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। কিন্তু সেখানকার মানুষ যথেষ্ট পরিশ্রমী হওয়ায় দিন দিন উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে রোমানিয়া দেশটি।




রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে একটি জনপ্রিয় বইয়ের দোকান রয়েছে। সেই বইয়ের দোকানটিতে আনুমানিক  প্রায় ১২ হাজার বই, ৬ হাজার অ্যালবাম  রয়েছে।

ইউরোপের অন্য দেশ গুলির মতো রোমানিয়ারও প্রিয় খেলা ফুটবল। সেখানকার মানুষ খুবই ফুটবল প্রেমী  থাকে। তবে ওরা  শুধু ফুটবলে সীমাবদ্ধ না, ফুটবলের পাশাপাশি ওরা টেনিসেও বিশ্বসেরা। 

পৃথিবীর দীর্ঘতম লবণের ক্ষনির মুসিয়ামটি রোমানিয়ার ট্রানসেলভেনিয়াতে অবস্থিত। অদ্ভুত ভাবে এটি শুধুমাত্র মেশিন এবং হাত দিয়ে খোদায়  হয়েছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে পুরানো গ্লেসিয়ার এই রোমানিয়াতেই দেখতে পাওয়া যায়।

রোমানিয়াতে কালা জাদুকে বৈধ করে দিয়েছে সেই দেশের সরকার তাই যারা এই কালা জাদু দিয়ে পয়সা উপার্জন করে তার উপরে আলাদা করে ট্যাক্স বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সবশেষে, রোমানিয়ার মানুষ তাদের অতিথি আপ্যায়নের জন্যও পৃথিবী বিখ্যাত। বিদেশী পর্যটকরা যারা  এই  দেশে বেড়াতে আসেন তারা যদি এখানকার স্থানীয় ভাষায় কথা বলেন তো তারা খুবই আনন্দিত হয়। ওরা  অতিথিদের বিভিন্ন রকমের খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করে থাকে। এবং সেখানকার মানুষরা নরম মনের হয়ে থাকে।


ধন্যবাদ 



কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন