Bengali Gossip 24

জিৎ কোয়েল বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় জুটি। যারা বাংলা সিনেমা দেখেন তারা জিৎ কোয়েলের সিনেমা দেখেননি এমন মানুষ হয়তো খুজেই পাওয়া যাবে না। তবে এতো এতো জনপ্রিয় জুটি হইয়া সত্বেও দীর্ঘ দিন একসঙ্গে কাজ করেন না জিৎ-কোয়েল। তবে তো চলুন দেখে নেওয়া যেতেই পারে তাঁদের সফল ছবিগুলি যা ভু দর্শকের মন কেড়ে নিয়েছে। জিৎ এবং কোয়েল মল্লিক, টলিউডের সফল জুটিগুলির মধ্যে অন্যতম। পর্দায় তাঁদের যুগলবন্দি মানেই বক্স অফিসে ছবির ভাঁড়ার পূর্ণ।

দীর্ঘ দিন একসঙ্গে কাজ করেন না জিৎ-কোয়েল। তবে নায়ক-নায়িকাকে নিয়ে অনুরাগীদের উৎসাহে এতটুকুও ভাটা পড়েনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়শই দেখা যায় ভক্তদের তাদের জুটি নিয়ে লেখালেখি করতে। 

নাটের গুরু 2003 সালে হরনাথ চক্রবর্তী পরিচালিত এই ছবি দিয়েই জি‍ৎ-কোয়েল জুটির পথ চলা শুরু। পাশাপাশি এটি রঞ্জিৎ-কন্যার প্রথম ছবি। নায়ক-নায়িকার মিথ্যে প্রেমের আখ্যান কী ভাবে সত্যি হয়ে উঠবে, পর্দায় তা-ই ফুটিয়ে তুলেছিল নাটের গুরু। জুটি হিসেবে হাতেখড়িতেই বাজিমাৎ জিৎ-কোয়েলের।

বন্ধন এত বছর পরেও এই ছবির সে ছিল বড়ই আনমনার সুর অনুরাগীদের মনে অমলিন। হারিয়ে ভালবাসাকে নতুন রূপে ফিরে পাওয়ার গল্প বলেছিল রবি কিনাগী পরিচালিত। জিৎ-কোয়েলে অনবদ্য অভিনয়ে অভিভূত হয়েছিলেন দর্শক।

হিরো কলেজ জীবনের প্রেম, সব বাধাবিপত্তিকে তুচ্ছ করে সেই প্রেমকে পরিণতি দেওয়া- স্বপন সাহা পরিচালিত ছবিটির মূল সুরই ছিল এমন। জি‍ৎ-কোয়েলের সমীকরণই বক্স অফিসে সাফস্য এনে দিয়েছিল সেই ছবিকে।

সাত পাকে বাঁধা তেলুগু ছবি পবিত্র বন্ধম এর বাংলা পুনর্নির্মাণ সুজিত মণ্ডল পরিচালিত এই ছবি। নায়ক-নায়িকার টানাপড়েন, তাঁদের প্রেম-অপ্রেমের আখ্যান দর্শকদের মন জয় করেছিল।

100% লাভ রবি কিনাগী পরিচালিত এই ছবিতে জি‍ৎ-কোয়েলের অম্লমধুর রসায়ন ধরা পড়ে। আজও 100% লাভের গান গুনগুন করেন অনেকেই।

তবে 2012 সালের এই 100% লাভের পর তাদের আবার  2015 সালে বেশ করেছি প্রেম করেছি সিনেমায় তাদের একসাথে জুটি বাঁধতে দেখা যায়। 

পরবর্তীতে 2019 সালে শেষ থেকে শুরু সিনেমায় জুটি বাঁধেন এই নায়ক এবং নায়িকা। বহু বছর পর পছন্দের জুটিকে বড়ো পর্দায় দেখে ভক্ত রা অনেক উচ্ছাসিত ছিল। তবে এরপর আর জিৎ কোয়েল কে একসাথে আর কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি। 

তবে আশা করা যায় এই জুটিকে আবার প্রযোজকরা খুব তাড়াতাড়ি ফিরিয়ে আনবে বড়ো পর্দায়। 

কোয়েল মল্লিক, বাংলা তথা টলিউড ইন্ডাস্ট্রির এক স্বনামধন্য অভিনেত্রী। যিনি টলি কুইন নামেও পরিচিত। এই অভিনেত্রী সম্পর্কে আমরা অনেক কিছুই জানি। তবে এমন কিছু জিনিস রয়েছে যা কোয়েল দর্শকদের মধ্যে বহুদিন লুকিয়ে রেখেছেন। তো আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা জানবো কোয়েল মল্লিকের সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য। 

ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রের মূল ধারার প্রথম শ্রেণীর অন্যতম নায়িকা কোয়েল মল্লিক। বহু জনপ্রিয় বাংলা ছবিতে অভিনয় করে দর্শকের মনে জায়গা করেছেন রঞ্জিত মল্লিক কন্যা। বর্তমানে অভিনয়ের পাশাপাশি মা হিসেবে নিজের দায়িত্ব সমান ভাবে পালন করছেন কোয়েল। 20 বছর ধরে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক। টলিউডের সফল এবং অন্যতম প্রথম সারির নায়িকা তিনি। রঞ্জিত মল্লিক কন্যা নয়, বরং নিজের অভিনয় দক্ষতার জোরেই ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের পরিচয় গড়ে তুলেছেন। 

প্রায় 20 বছর আগে জিৎ-এর বিপরীতে ‘নাটের গুরু' ছবি দিয়ে টলিউডে পথ চলা শুরু করেন কোয়েল। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে উঁকি দিলে কোনও বিতর্ক খুঁজে নেই। কলকাতার বিখ্যাত মল্লিক বাড়ির, অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিকের কন্যা তিনি।

দেব, যিশু সেনগুপ্ত, আবির চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সোহম চক্রবর্তীদের বিপরীতে একাধিক ছবিতে অভিনয় করেন। তবে মেয়ে অভিনয়ে আসুক প্রথম দিকে মোটেই চাননি রঞ্জিত মল্লিক। রোম্যান্টিক ছবি হোক কিংবা থ্রিলার পর্দায় সমান দাপট দেখিয়েছেন কোয়েল।

ছোটবেলার পড়াশোনা মডার্ন হাইস্কুল ফর গার্লস থেকে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক কোয়েল। অভিনেত্রীর আরও একটি নাম রয়েছে, রুক্মিণী মল্লিক।

কেরিয়ারের একদম শুরুতেই বলিউডের বিগ ব্যানার ছবির অফার ফিরিয়ে ছিলেন কোয়েল। 2006 সালে গ্যাংস্টার ছবির সঙ্গে ড্রিম ডেবিউ সেরেছিলেন কঙ্গনা রানায়ত। পরিচালক অনুরাগ বসু সবার প্রথম এই ছবি অফার করেছিলেন কোয়েলকে। কঙ্গনার চরিত্রটি করতে রাজি হননি নায়িকা। কারণ? অন্তরঙ্গ দৃশ্যে আপত্তি ছিল কোয়েল মল্লিকের।

বাংলার পাশাপাশি ওড়িয়া ছবিতেও অভিনয় করেছেন কোয়েল। প্রেমী নম্বর 1 এবং মহানায়ক নামের দুটি ওড়িয়া ছবিতে অভিনয় করেছেন।

স্টার জলসার কথা ও কাহিনী টক শোয়ের মাধ্যমে তিনি টেলিভিশনে পদার্পণ করেন। এছাড়াও তাঁকে ঝলক দিখলা জা নাচের রিয়েলিটি শোয়ে সেলিব্রিটি জাজের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। টেলিভিশনে একাধিকবার মহালয়ার শো-য়ে মা দূর্গার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি।

2013 সালে প্রযোজক নিসপাল সিং রানের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন কোয়েল। জানা যায়,বিয়ের আগে সাত বছর প্রেম করেছেন কোয়েল-রানে। যদিও সেই প্রেমের কাহিনি মিডিয়া ও টলিউডের কাছ থেকে লুকিয়েই রেখেছিলেন এই তারকা দম্পতি। 2020 সালে দম্পতির কোল আলো করে আসে ছেলে কবীর। যদিও জীবনের কোনও কথাই গোপন রাখেননি নায়িকা।

অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস মার্কিন চলচ্চিত্র শিল্পে শৈল্পিক এবং প্রযুক্তিগত উভয় যোগ্যতার জন্য 24টি পুরষ্কার নিয়ে গঠিত। এই পুরস্কারগুলি অস্কার নামেও পরিচিত যা অ্যাকাডেমি অফ মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস দ্বারা বার্ষিক ভিত্তিতে পুরস্কৃত করা হয় এবং তারা একাডেমির ভোটিং সদস্যপদ দ্বারা মূল্যায়ন করে অসামান্য সিনেমাটিক কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দেয়। যে ব্যক্তিরা বিভাগ বিজয়ী হিসাবে আবির্ভূত হয় তাদের একটি সোনার মূর্তির একটি অনুলিপি দেওয়া হয় যা আনুষ্ঠানিকভাবে "অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড অফ মেরিট" নামে যায় এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে "অস্কার" নামে পরিচিত। হ্যালো বন্ধুরা! আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা জানবো এই অস্কার সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য এবং পাশাপাশি এই অস্কারের ইতিহাস। 

উদ্বোধনী একাডেমি অ্যাওয়ার্ডে 16 মে, 1929 সালে হলিউড রুজভেল্ট হোটেলে একটি ব্যক্তিগত ডিনারের জন্য জড়ো হওয়া প্রায় 270 জন শ্রোতা উপস্থিত ছিল। এই পুরস্কারের পরবর্তী উদযাপনটি মেফেয়ার হোটেলে হয়েছিল। সেখানে পনেরটি মূর্তি উপস্থাপন করা হয়েছিল এবং অনুষ্ঠানটি প্রায় 15 মিনিট ধরে চলেছিল। বিজয়ীদের তিন মাস আগে মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়েছিল। 

সেরা অভিনেতা বিভাগে প্রাথমিক পুরস্কারটি এমিল জ্যানিংসকে দেওয়া হয়েছিল, যিনি লাস্ট কমান্ড এবং দ্য ওয়ে অফ অল ফ্লেশ-এ তার ভূমিকার জন্য স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। তখন যোগ্যতার মেয়াদের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট বিভাগে করা মোট কাজের ভিত্তিতে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। যাইহোক, চতুর্থ অনুষ্ঠান দ্বারা পেশাদাররা একটি ছবিতে একটি নির্দিষ্ট অভিনয়ের জন্য স্বীকৃত হয়েছিল। প্রাথমিক ছয়টি অনুষ্ঠানের জন্য যোগ্যতার সময়কাল দুটি ক্যালেন্ডার বছর ধরা হতো। 29 তম অনুষ্ঠানের জন্য 27 মার্চ, 1957 সালে সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্রের জন্য বিভাগটি চালু করা হয়েছিল। সেরা ছবি এবং সেরা অ্যানিমেটেড ফিচারের পুরষ্কারগুলি পরবর্তীকালে যুক্ত করা হয়েছিল।

অস্কার পুরস্কার

অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত টাইম জোনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় এবং এই ধরনের লাইভ টেলিকাস্ট হওয়া একমাত্র পুরস্কার অনুষ্ঠান। এনবিসি প্রথম 1953 সালে পুরষ্কারগুলি টেলিভিশনে প্রচার করে যার পরে 1960 সালে এবিসি দায়িত্ব গ্রহণ করে৷ এবিসি হল অনুষ্ঠানের বর্তমান সম্প্রচারক এবং এর চুক্তি 2028 সাল পর্যন্ত রয়েছে। প্রধান পুরস্কারগুলি ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে বা মার্চের শুরুতে টেলিভিশনে প্রচার করা হয়৷ আমন্ত্রিত অংশগ্রহণকারীরা সমসাময়িক ডিজাইনারদের তৈরি পোশাক পরে লাল কার্পেটে হাঁটেন। এছাড়াও এই একাডেমি বিদেশী বাজারে সম্প্রচারের জন্য ইভেন্টের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ তৈরি করেছে। পুরস্কারের টেলিভিশন স্বত্ব বিভিন্ন দেশ কিনে নিয়েছে। ভারতবর্ষে ডিজনী+হটস্টারে লাইভ টেলিকাস্ট করা হবে।

1929 সালে অনুষ্ঠিত প্রথম একাডেমি পুরস্কার হলিউড রুজভেল্ট হোটেলে উন্মোচিত হয়। 1930 থেকে 1943 সালের মধ্যে অনুষ্ঠানটি হয় উইলশায়ার বুলেভার্ডের অ্যাম্বাসেডর হোটেলে বা বিল্টমোর হোটেলে হয়েছিল। পুরষ্কারগুলি 1944 সালে গ্রাউম্যানের চাইনিজ থিয়েটারে স্থানান্তরিত হয় এবং 1946 সাল পর্যন্ত শ্রাইন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। 1949 সালে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড থিয়েটার দ্বারা পুরষ্কারগুলি সংগঠিত হয়েছিল। অনুষ্ঠানটি হলিউডের প্যান্টেজ থিয়েটার, এনবিসি ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার এবং সান্তা মনিকা সিভিক অডিটোরিয়াম সহ বেশ কয়েকটি স্থানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের বর্তমান স্থান হল ডলবি থিয়েটার।

ডলবি থিয়েটার

সারা বিশ্বের সিনেমা জগতে এই পুরষ্কারগুলির জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। সিনেমা জগতের যেকেউ এই পুরস্কার জিততে চাই। তবে এই পুরস্কারের সমালোচনাও করা হয় অনেক বেশি। সমালোচনার একটি অভিযোগ হল বাণিজ্যিকতা যেখানে স্টুডিওগুলি মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে এবং তথাকথিত "অস্কার সিজনে" তাদের চলচ্চিত্রের প্রচারের জন্য পাবলিসিস্টদের  সাথে চুক্তি করে। ইভেন্টটি বৈচিত্র্য এবং পক্ষপাতের অনুভূত অভাব রয়েছে বলে মনে করা হয়। যেই জন্য কিছু বিজয়ী আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তারা এই পুরস্কার গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। 

সত্যজিৎ রায় একজন লিজেন্ডারি বাংলা সিনেমার পরিচালক এবং লেখক। 1992 সালে অ্যাকাডেমিক অ্যাওয়ার্ডের 64 তম সংস্করণে লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট এর জন্য সত্যজিৎ রায়কে অস্কার দেওয়া হয়। আপনি জেনে অবাক হবেন একমাত্র উনাকেই এই স্পেশাল ক্যাটাগরিতে এই আওয়ার্ডটি দেওয়া হয়েছে। 

সত্যজিৎ রায় অস্কার হাতে

2023 এর অ্যাকাডেমিক অ্যাওয়ার্ডের 95 সংস্করণে ভারতবর্ষ থেকে 2 টি পুরস্কার জিতেছে। একটি হলো পরিচালক এস এস রাজামৌলির 'আরআরআর' চলচিত্রের গান 'নাটু নাটু' র জন্য বেস্ট অরিজিনাল গান, আরেকটি 'The Elephant Whisperers' এটা বেস্ট ডকুমেন্টরি শর্ট চলচিত্রের ক্যাটাগরিতে পেয়েছে। 

নাটু নাটু গানের জন্য অস্কার

তো এই ছিল অস্কার সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।।