Bengali Gossip 24

Knowledge is Power 😎

ডেনমার্ক (Denmark) সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নিন

কোন মন্তব্য নেই




ডেনমার্ক (Denmark) সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নিন

ডেনমার্ক সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য (Interesting Facts about Denmark)


আজ আমরা জানবো ডেনমার্ক নামের একটি ছোট দেশের কথা। ছোট বললাম এই কারনে যে কেবলমাত্র ডেনমার্কের মোট আয়তন 42 হাজার 931 বর্গকিলোমিটার এবং এর সাথে গ্রীনল্যান্ড এবং ফেরো আইল্যান্ড যুক্ত করলে তখন ডেনমার্কের মোট আয়তন হয় 22 লক্ষ 10 হাজার 579 বর্গকিলোমিটার। আর দেশের বেশিরভাগটাই সমতলভূমি দিয়ে ভরা। যেখানে দেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে মোলেহোজের উচ্চতা মাত্র 170.86 মিটার। ডেনমার্কের বেশিরভাগ অঞ্চল চাষাবাদের ব্যবহারের উপযোগী। এই দেশের মোট জনসংখ্যা 2018 অনুযায়ী 57 লক্ষ 85 হাজার 864 জন। তো চলুন ডেনমার্ক সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।


ডেনমার্ক কে আধিকারিক ভাবে বলা হয় কিংডম অফ ডেনমার্ক বলা হয়। ডেনমার্কের রাজধানীর নাম কোপেনহেগান। যা ডেনমার্কের সবথেকে জনবহুল শহর। ডেনমার্কের জাতীয় পতাকার নাম ডান্নেব্রগ যা পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন এবং একাধারে ব্যবহার করা পতাকা গুলির মধ্যে থাকায় বিশ্বরেকর্ড গড়েছে। 


ডেনমার্কের আধিকারিক ভাষা ডেনিস এবং কিছু আঞ্চলিক ভাষা ফেরোইস, গ্রীন ল্যান্ডিক এবং জার্মান ভাষারও প্রচলন আছে এবং দেশের অধিকাংশ মানুষ খ্রিস্টান ধর্মে বিশ্বাসী। তবে ডেনমার্কে খ্রিস্টান ধর্মের পর সব থেকে বেশি সংখ্যক মানুষ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস।

ডেনমার্কে ডিভোর্সের পরিমাণটা অনেক বেশি এবং বহু মহিলা ও পুরুষ বিয়ে না করেই একসাথে থাকে। আর এই ধরনের ব্যবস্থা কে "Peparless Marriage" বলে। 

ডেনমার্কের জাতীয় মুদ্রার নাম ডেনিস ক্রোন। আর 1 ডেনিস ক্রোন ভারতীয় 10.5 টাকার সমান। সামাজিক মেলামেশা অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় বেশি এবং আয়ের দিক দিয়ে একে অপরের মধ্যে পারস্পরিক ব্যবধান কম থাকায় ডেনমার্কের করাপশনের মাত্রা খুবই কম। 

 মানব উন্নয়ন সূচক হিসেবে পঞ্চম স্থানে থাকা ডেনমার্ক এখন একটি সর্বোচ্চ মানের জীবনধারণের জন্য পরিচিত দেশগুলির মধ্যে একটি এবং সর্বোচ্চ প্রতি ব্যক্তি আয় অনুযায়ী যেসব দেশ গুলির তালিকা তৈরি হয় তাদের মধ্যে প্রথম দিকে ডেনমার্কের নামটা থাকে। তাই ডেনমার্ক একটি উন্নত দেশ। যারা আয়ের মূল উৎস আয়রন, স্টিল, ফুড প্রসেসিং জাহাজ নির্মাণ শিল্প এবং কনস্ট্রাকশন। তবে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাতে একটা অত্যাধুনিক দেশ হওয়ায় ডেনমার্কের শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে বায়ুকে কাজে লাগানো হয়। তাই পৃথিবীর সবথেকে বড় উইন্ড টারবাইন গুলি এই ডেনমার্কে আছে। 

এই উইন্ড টারবাইন গুলি ঘোরানোর ফলে উৎপন্ন শক্তি বর্তমানে অন্যান্য দেশেও রপ্তানি করা হয়। ডেনমার্কে হাওয়ার গতিবেগ বেশি থাকায় এই বায়ু শক্তি উৎপাদন বেশি হয়। ইউরোপীয় দেশ গুলির মধ্যে ডেনমার্কে বিপুল পরিমাণে প্রাকৃতিক গ্যাসের ভান্ডার পাওয়া গেছে। বিশেষত দক্ষিণ সাগরের যে অঞ্চল টি ডেনমার্কের অংশ সেখানেই গ্যাস এবং তেলের পরিমাণ টা বেশি। 


এই বিপুল খনিজ ভান্ডার থাকায় ডেনমার্ক ক্রুড ওয়েল অর্থাৎ অপরিসিত তেল রপ্তানিতে 32 তম স্থান অধিকার করে। ডেনমার্ক একটি ইউনিটারি স্টেট যা গঠিত হয়েছে ডেনমার্ক এবং তার সাথে দুটি স্ব-শাসিত জায়গা গ্রীনল্যান্ড এবং ফেরো আইল্যান্ড নিয়ে। এই গ্রিন ল্যান্ড ফেরো আইল্যান্ড ডেনমার্কের অন্তর্ভুক্ত হলো এই দুই জায়গায় তাদের নিজস্ব সরকার এবং পার্লামেন্ট রয়েছে। এই দুই দ্বীপ গুলির মধ্যে গ্রীনল্যান্ড কে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দ্বীপ হিসেবে মনে করা হয়। তবে অনেকের মতে অস্ট্রেলিয়া এবং আন্টার্টিকার কথাটা মনে আসতে পারে। কিন্তু এটুকু জেনে রাখা দরকার এই অস্ট্রেলিয়া এবং আন্টার্টিকার দুটি আলাদা মহাদেশ। 

আপনারা পড়ছেন ডেনমার্ক সম্পর্কে তথ্য

ডেনমার্কে শিক্ষিতের হার 99% এবং বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয় এবং মহা বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গেলে কোনোরকম টিউশন ফি দিতে হয় না। এমনকি শিক্ষাক্ষেত্রে অনুদান পাওয়ার জন্য জমা দেওয়ার আবেদন পত্র গৃহীত হলে 18 বছর বা তার উপরে ছাত্রছাত্রীরা আর্থিক সাহায্য পর্যন্ত পেয়ে থাকে। এই ইউনিভার্সিটি গুলোতে বিদেশী ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যবস্থা আছে। 

আধুনিক যুগের একটা যুগান্তকারী আবিষ্কার ব্লুটুথ এর নামকরণ করা হয় ডেনমার্কের ই এক রাজা হ্যারাল্ড ব্লুটুথ এর নাম অনুসারে।

এই দেশে কফির চাহিদা বেশি হওয়ায় ডেনমার্ক কফি পান করায় বিশ্ব বিখ্যাত। যেখানে দেশের এক বিরাট অংশের মানুষ কফি পান করতে পছন্দ করে। 

ডেনমার্কের সাধারন মানুষদের সম্ভাব্য আয়ুকাল 80 বছরের মতো এবং দেশে প্রায় অধিকাংশ চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিনামূল্যে পাওয়া যায়। ডেনমার্কের সবচেয়ে জনপ্রিয় উৎসব জুল যা আবার ডেনিস ক্রিসমাস নামেও পরিচিত। আর এই জুল সারা ডিসেম্বর মাস ধরেই পালন করা হয়। 

এই সহজলভ্য স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসার ঘটায় ডেনমার্কের বেশ কিছুসংখ্যক সাহিত্যিক ও চিকিৎসক নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তাই জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ব্যক্তির মাথাপিছু অনুযায়ী যদি তুলনা করি তাহলে ডেনমার্কের বিশিষ্টজনেরা বিশ্বের সবথেকে বেশি সংখ্যক নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন। বিশ্বে একটি সুখী দেশ হিসেবে পরিচিত ডেনমার্কে কিন্তু ব্যক্তিগত ইনকাম ট্যাক্স অর্থাৎ পার্সোনাল ইনকাম ট্যাক্স সবচেয়ে বেশি থাকা দেশ গুলির মধ্যে আছে। যেখানে 60 শতাংশেরও বেশি ইনকাম ট্যাক্স দিতে হয়।

ডেনমার্কে প্রতি দুই-তিন দিন অন্তর অন্তর বৃষ্টি হয় কারণ এখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি। ফলে বছরে প্রায় 179 দেশে বৃষ্টি হয়। 

অবাক ভাবে ডেনমার্কের মূল ভূখণ্ডের যেকোনো স্থান থেকে সমুদ্রের উপকূল কাছাকাছি। মানে দেশে কোন একটা স্থান থেকে যাত্রা শুরু করে 52 কিলোমিটারের মতো গেলেই জল দেখা যাবে। তাই জলের ভাগ কাছাকাছি থাকায় ডেনমার্কের সাধারন মানুষ ভালো সাঁতার কাটতে পারে। 

তবে ডেনমার্কে যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে সাইকেলের ব্যবহার বেশি হয়। বিশেষ করে দেশের রাজধানী কোপেনহেগেনের সাইকেলের ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু জানেন কি প্রাইভেটকার কেনাটা ডেনমার্কে ব্যয় সাপেক্ষ। কারণ নতুন ব্যক্তিগত গাড়ি কিনলে তার জন্য 150% রেজিস্ট্রেশন ট্যাক্স দিতে হয়। তাই সাধারন মানুষ পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বেশি ব্যবহার করে এবং এর পেছনে সরকারের উদ্দেশ্য ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকানা কমানো। ইউরোপের পুরনো এয়ারপোর্ট গুলির মধ্যে থাকা কোপেনহেগেন এয়ারপোর্ট ডেনমার্কের সবচেয়ে বড় এবং ব্যস্ততম বিমানবন্দর। এই কোপেনহেগেন এয়ারপোর্ট ডেনমার্কের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ডেনমার্কের রাজবংশ বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো রাজবংশের মধ্যে পড়ে। যারা প্রায় এক হাজার বছরের পুরনো এবং এই রাজবংশ একসময় দেশের পূর্ণ শাসনের অধিকার থাকলেও বর্তমানে তাদের ক্ষমতা যথেষ্ট কমে গেছে। 


ডেনমার্কের জাতীয় খেলা ফুটবল। যা ডেনমার্কের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। 


ডেনমার্কে প্রায় 1600 টি ফুটবল ক্লাবে 3 লক্ষেরও বেশি ফুটবল খেলোয়ার রয়েছে।ডেনমার্কে আরও এক ধরনের খেলা হ্যান্ডবলের জনপ্রিয়তাও বেশি। 



তো এই ছিলো ডেনমার্ক সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য ।।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ভিয়েতনাম (Vietnam) সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন

কোন মন্তব্য নেই

ভিয়েতনাম সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন (Unknown Facts about Vietnam)


ভিয়েতনাম (Vietnam) সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন


ভিয়েতনাম বিশ্বের 14 তম জনবহুল একটি দেশ। ভিয়েতনাম পৃথিবীতে এমন একটি দেশ যেখানে রান্নাঘরে দেবতা আছে, যার নাম ওং তাও। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ভিয়েতনাম সম্পর্কে কিছু তথ্য।

ভিয়েতনাম কথাটি আসলে নাম ভিয়েত নামক একটি নাম থেকে এসেছে। যার অস্তিত্ব দ্বিতীয় শতাব্দীর বিসি তে উল্লেখিত ট্রেয়ু রাজবংশ থেকে পাওয়া যায়। অনেকটাই ইংরেজি অক্ষর এস এর মতো দেখতে ভিয়েতনামের আয়তন 3 লক্ষ 31200 30.8 বর্গ কিলোমিটার। অর্থনীতির দিক দিয়ে একদা অত্যন্ত পিছিয়ে থাকা ভিয়েতনাম দেশটি বর্তমানে এশিয়া মহাদেশের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে যথেষ্ট এগিয়ে রয়েছে।এই অসাধারণ উন্নতির পিছনে ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং খনিজ তেলের উৎপাদন থেকে শুরু করে কাজুবাদাম, কফি এবং কালো মরিচ এবং ধানের রপ্তানিতে বিশ্বের বাজারে থাকা সন্তোষজনক স্থান পৃথিবীতে ভিয়েতনাম কফি রপ্তানিতে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। আপনারা ভিয়েতনামের যদি কখনো বেড়াতে যান বা ভিয়েতনামের ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনা করেন তাহলে হচিমিন এবং গুয়েন শব্দটি অবশ্যই শুনে থাকবেন। 




গুয়েন নামটি ভিয়েতনামের নামের সবচেয়ে জনপ্রিয় পারিবারিক নাম। দেশের জনসংখ্যার প্রায় 40 শতাংশ মানুষের নামের সাথে গুয়েন নামটি যুক্ত আছে। বিখ্যাত ব্যক্তি হচিমিনের জন্মনাম গুয়েন সিং কুং। হচিমিন ছিলেন ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট বিপ্লবী নেতা তথা ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি। ভিয়েতনামের ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি মূলত সামাজিক ঐক্যতা এবং পারিবারিক রীতি নীতির উপর ভিত্তি করে গঠিত। ভিয়েতনামের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব যাকে TET উৎসব বলে। তা এখানকার মানুষ ভিয়েতনামের নতুন বছর উপলক্ষ্যে পালন করেন। এছাড়াও ভিয়েতনামের পৃথিবীর কিছু পুরাতন যেখানে পাগোদা ধার্মিক প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। 




আচ্ছা আপনারা কি কখনো এমন নদীর নাম শুনেছেন যার জল থেকে সুন্দর গন্ধ বের হয়? ভিয়েতনামে দ্য পারফিউম নামক একটি নদী আছে যেখানে শরৎকালের গাছের ফুল পড়ায় সেখান থেকে মধুর গন্ধ বের হয়। সন ডং নামক গুহাটি পৃথিবীর দীর্ঘতম গুহা যেটি ভিয়েতনামে অবস্থিত। 


ভিয়েতনামের জাতীয় মুদ্রার ডং। ভারতীয় মুদ্রা হিসেবে এক ইন্ডিয়ান রুপী 351.99 ভিয়েতনামিজ ডং এর সমান। বিশ্বের এক নামকরা পর্যটক স্থান হিসেবে পরিচিত ভিয়েতনামে একবার ঘুরতে এলে হয়তো আপনাদের বারে বারে আসতে ইচ্ছা করবে।



ভিয়েতনামের ঐতিহ্যগত খাবারগুলি মূলত পাঁচ প্রকার উপাদানের ভারসাম্যের উপর ভিত্তি করে বানানো হয়। সেগুলি হল ঝাল, টক, তেতো, নোনতা, এবং মিষ্টি। ফো নামক খাবার ভিয়েতনামে জনপ্রিয় খাবারের মধ্যে একটি। এইসব কারণে ভিয়েতনামের খাবার এশিয়া মহাদেশের যথেষ্ট জনপ্রিয়। দেশে উন্নত ইয়ারপোর্ট, রেলপথ এবং সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা থাকলেও এখনও মোটরবাইক ভিয়েতনামের পরিবহন ব্যবস্থার এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম দেশের রাজধানী হানোই এর মতো এক জনবহুল শহরে গেলে অনায়াসে দেখা যায় সেখানকার মানুষ মোটরবাইক বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকেন। ভিয়েতনামের দীর্ঘতম শহরটি হলো হচিমিন শহর এবং দেশের জনসংখ্যা প্রায় 94.6 মিলিয়ন। বিভিন্ন স্বাধীনতা সংগ্রামের দ্বারা গঠিত ভিয়েতনামকে আধিকারিক ভাবে সোশালিস্ট রিপাব্লিক অফ ভিয়েতনাম বলা হয়ে থাকে এবং বর্তমানে শিক্ষা স্বাস্থ্য এবং বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ভিয়েতনাম হয়ে উঠেছে এক উন্নতশীল দেশ।

তো এই ছিলো ভিয়েতনাম সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।। 

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

কানাডা (Canada) সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন

কোন মন্তব্য নেই



কানাডা (Canada) সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন

কানাডা সম্পর্কে কিছু তথ্য (Unknown Facts about Canada)


বিশ্বের উন্নত দেশগুলির মধ্যে চোখ রাখলে কানাডা নামটি সব সময় প্রথমেই থাকবে। তবে দেশটির ওপর একসময় ফ্রেঞ্চ এবং ইংরেজদের আধিপত্য থাকায় দেশের মূল বাসিন্দাদের সাথে এই ইংরেজ এবং ফ্রেঞ্চ দের কোন না কোন যোগাযোগ দেখতে পাওয়া যায়। কারন এক সময় বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ ইংরেজ এবং ফ্রান্স থেকে এসে বসবাস করতে শুরু করে। তাই স্বাভাবিকভাবেই দেশের অধিকাংশ মানুষ ইংরেজি এবং ফ্রেঞ্চ ভাষায় কথা বলতে পারে। মানে আধিকারিক ভাষাগুলিও ইংরেজ এবং ফ্রেঞ্চ। তো চলুন আয়তনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা দেশটি সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিই। 

এই দেশটির নামটি এসেছে "Kanata" নামের একটি শব্দ থেকে, এর অর্থ হচ্ছে "village"

2012 সালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী কানাডাকে বিশ্বের সবচেয়ে শিক্ষিত দেশ হিসেবে গণ্য করা হতো। যেখানে বলা হয় দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি শিক্ষিত। সেখানকার অধিকাংশ মানুষই শিক্ষিত। আর এর কৃতিত্ব যায় সরকারের কাছে। কারণ সে দেশের সরকার শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগ করে। যা জিডিপির 5.3 শতাংশের মতো। তাই এই বিশাল শিক্ষিত জনসংখ্যার প্রভাব সাহিত্য চর্চার মতো বিভিন্ন শিল্পকলায় থাকা স্বাভাবিক। তাই 1990 সালের দিকে পৃথিবীর উন্নত সাহিত্য গুলির মধ্যে ক্যানাডা সাহিত্যকে ধরা হতো। কিন্তু উন্নত পড়াশোনার একটা প্রভাব দেশে বিজ্ঞান এবং টেকনোলজির ক্ষেত্রে চোখে পড়ে। তাই আজ পৃথিবীর বিখ্যাত পদার্থবিদ রসায়নবিদ ডাক্তারের নাম আসে তাতে একজন অন্তত ক্যানাদিয়ান থাকবেই আর বিশ্বের সমস্ত বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাতে এই দেশটির নাম শীর্ষ তালিকায় থাকে। 

যার ফলস্বরূপ গভীর মহাকাশের খোজ কাজের ক্ষেত্রে তথা মহাকাশে পাঠানো উন্নত প্রযুক্তির স্যাটেলাইট নির্মাণের কানাডার নাম সব সময় থাকে। যার প্রমাণ হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন কে ধরা হয়। যেখানে জাপান আমেরিকা এবং রাশিয়ার সাথে কানাডার স্পেস এজেন্সি হিসেবে কর্মরত। আধুনিক জগতের সব থেকে চাহিদার জিনিস 4g ইন্টারনেট পরিষেবার ক্ষেত্রেও কানাডা এগিয়ে। কারণ বিশ্বের দ্রুত এবং সহজলভ্য ইন্টারনেট পরিষেবার ব্যবহার কানাডাতে হয়ে থাকে। তাই 37000000 জনসংখ্যার দেশটির আইনি ব্যবস্থা কঠোর। যেমন বাচ্চাদের কাছে বেশী প্রিয় জিনিস হিসেবে পরিচিত কোনো জিনিসে যদি কোন রকম অপরাধমূলক চিত্রলেখা থাকে তবে সেগুলি বেআইনি হিসেবে ধরা হয় এবং কানাডাতে এখনও রাজতন্ত্র দেখা যায়। 




যেখানে কুইন এলিজাবেথ 2 দেশের রানী হিসেবে বিবেচিত হন। তবে দেশের পার্লামেন্ট হিসেবে পরিচিত হাউস অফ কম্মন্স অফ কানাডা অনুযায়ী দেশের সরকারের প্রধান হিসেবে দেশের প্রধানমন্ত্রী বিবেচিত হয়। উত্তর আমেরিকার অন্তর্গত যে শুধুমাত্র ক্যানাডার অন্তর্গত যতসংখ্যক হ্রদ রয়েছে তা পৃথিবীপৃষ্ঠে থাকা মোট সংখ্যক থাকা হ্রদের প্রায় 50 শতাংশের মতো। তার সাথে কানাডার অন্টারিও পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পরিমাণ তাজা জলের  উপস্থিতি পাওয়া যায় এবং দেশটির আয়তন হিসেবে যদি জানতে চান তাহলে দেখবেন যে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটা বড় দেশের সাথে কানাডা পৃথিবীর সবথেকে বড় সীমানা ভাগ করে যা 8891 কিলোমিটার দীর্ঘ। শুধু তাই নয় পৃথিবীর দীর্ঘতম উপকূলীয় রেখা কানাডা তে রয়েছে যা দৈর্ঘ্যে 243042 কিলোমিটার কারণ দেশের পূর্বে যেমন আটলান্টিক মহাসাগর আছে তেমনি পশ্চিম দিকে প্রশান্ত মহাসাগর রয়েছে এবং দেশটি বিস্তৃত হয়েছে পূর্ব দিকে যেখানে রয়েছে আর্থিক মহাসাগর তাই বলা বাহুল্য এই দেশের বিরাট অংশে বরফ থাকে। আর দেশের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। 

আর এর জন্য দেশের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে যা ঠান্ডার সময় -15 ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে -40 ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে যায়। তাই দেশটিকে একটি শীতপ্রধান দেশ বললে ভুল হবে না। এই শীত পড়ার ফলে অনেক জায়গায় এত কঠিন ভাবে বরফ জমে যে তাতে অনায়াসেই আইস হকি খেলা যায়। আর আইস হকি কানাডার একটি জাতীয় খেলা। আর লেক্রোসে নামের একধরনের খেলা দেশের জাতীয় খেলা হিসেবে পরিচিত। কিন্তু একটা জিনিস আমেরিকাতে অনেক বড় বড় শপিং মল আছে আর আমেরিকার বড় বড় কোম্পানিগুলোই তাদের মালিক কিন্তু মল অফ আমেরিকার ক্ষেত্রে এটা ঠিক উল্টো। ইউনাইটেড স্টেটসের ব্লুমিংটনে নির্মিত শপিংমলের মালিক কিন্তু ক্যানাডা রিয়েল এস্টেটের মালিক। আর অতীতে আমেরিকা নাকি দুইবার কানাডাকে আক্রমণ করে। আর দুইবার ই বিফল হয়। তাই বলা হয় কানাডার সৈন্যবল আগে থেকেই শক্তিশালী। 




সেই হিসেবে দেখলে ক্যানাডাকে একটি ধনী দেশ হিসেবে বলা যেতে পারে। যার বিবরণ দিলে দেখা যাবে বিশ্বের প্রথম সারির বাণিজ্যিক দেশ তথা অর্থনীতির দিক দিয়ে একটি প্রগতিশীল দেশ এই কানাডা এবং দেশের আর্থিক ভীত হিসেবে গণ্য হয় সার্ভিস সেক্টার।

তবে এদেশের খনিজ তেলের ভান্ডার ভেনেজুয়েলার এবং সৌদি আরবের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে সেই পরিমাণ তেলের ভান্ডার কানাডাতে পাওয়া গেছে। এছাড়াও ইউরেনিয়াম এবং সোনার মত আরো কিছু খনিজ পদার্থের রপ্তানিতে ক্যানাডা বিশ্বের বাণিজ্যিক বাজারে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। 




ইউরেনিয়াম বিভিন্ন শক্তি উৎপাদন নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট এর দরকার হয় এবং এ জাতীয় মুদ্রাটি হলো কানাডিয়ান ডলার। এই এতো পরিমান খনিজ পদার্থ সঞ্চয় থাকার ফলে দেশের কয়েকটি জায়গায় চাষাবাদ ভালো হয় না  তাই বলা হয় সাসকাচুয়েন নামের এক জায়গা নাকি সেখানকার চাষাবাদের জন্য বিখ্যাত। তবে শুধু এখানেই নয় দেশের অন্যান্য জায়গায় চাষাবাদ প্রচুর পরিমাণে হয়ে থাকে। তাই বিভিন্ন রকম শস্যদানা এবং কাঠের দ্রব্য গুলি মূল অর্থের যোগান দেয়। এর মধ্যে কারো যদি বরফে ঘুরতে যাওয়ার স্বপ্ন থাকে তাহলে কানাডা খুব ভালো একটা জায়গা হতে পারে।

তবে অদ্ভুত ভাবে 1960 সালের দিকে বৈজ্ঞানিকেরা কানাডার ওপর একটা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন তাদের মতে পৃথিবীর অন্যান্য জায়গায় গুলির তুলনায় কানাডা তে সবথেকে কম মাধ্যাকর্ষণ বল কাজ করে। কিন্তু এর সঠিক সিদ্ধান্তে প্রমাণটা বৈজ্ঞানিকেরা ভালো দিতে পারে।  আমরা সাধারণত গাড়ির নম্বর প্লেট যে ভাবে দেখে অভ্যস্ত কিন্তু কানাডার উত্তর-পশ্চিম ভাগে মেরু ভল্লুকের আকৃতির মতো দেখতে একরকম নম্বর প্লেট দেখা যায় এগুলো সত্যি দারুন দেখতে। আর এই ভল্লুকের ভয়ে তারা গাড়ির দরজা কখনো লক করেনা। কারণ কোনভাবে যদি গাড়িতে ভাল্লুক ঢুকে পড়ে তাতে যেন তারা তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে সবকিছুর জন্য কারণ একটাই সেখানে কিন্তু অনেক ভল্লুক আছে। 

তো এই ছিল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ কানাডা সম্পর্কে কিছু তথ্য ।।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নামিবিয়া (Namibia) দেশ সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত এবং মজাদার তথ্য

কোন মন্তব্য নেই

নামিবিয়া দেশ সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত এবং মজাদার তথ্য (Unknown Facts about Namibia)


নামিবিয়া দেশ সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত এবং মজাদার তথ্য


রিপাবলিক অফ নামিবিয়া আফ্রিকার দক্ষিণভাগে অবস্থিত 21 শে মার্চ 1990 সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে স্বাধীনতা পাওয়া একটি দেশ। শুনলে অবাক হবেন নামিবিয়া জিম্বাবুয়ের সাথে কোন সীমানা ভাগ করেনি। অথচ দুটি দেশের মধ্যে অন্তত মাত্র 200 মিটার। দুই দেশের মধ্যে সরু একটি নদী জাম্বেজি রিভার বয়ে গেছে। যা দেশ দুটোকে আলাদা করেছে। এই যে আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চল রয়েছে সেখানকার শুষ্কতম অঞ্চল নামিবিয়া । অর্থাৎ সেখানে জল নেই বললেই চলে। তাই 8 লক্ষ 25 হাজার 615 বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশটিতে কি কি রয়েছে আর কেমন কেমন মজাদার তথ্য রয়েছে তা জেনে নেওয়া যাক। 


খোয়ে খোয়ে বাসায় নামিক কথার অর্থ ভাস্ট প্লেস মানে বিশাল জায়গা। নামিক শব্দটা জড়িত আফ্রিকার দক্ষিণ ভাগের 81 হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তন জুড়ে থাকা উপকূলীয় মরুভূমির নামে। নামিক মরুভূমি অ্যাঙ্গেলো এবং নামিবিয়া হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে । তাই নামিব মরুভূমির প্রভাব নামিবিয়াতে থাকাটাই স্বাভাবিক। তাই তার ফলস্বরূপ দেশের নাম হয়েছে নামিবিয়া। নামিব মরুভূমি হলো পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন মরুভূমির মধ্যে একটা। স্বাধীনতার আগে দেশটির নাম ছিল জার্মান সাউথ ওয়েস্ট আফ্রিকা। এখানে এক সময় জার্মান দের শাসন ছিল। তারপর দক্ষিণ আফ্রিকার সেনারা সেখানে জয় লাভ করে। তখন নাম হয়ে যায় সাউথ ওয়েস্ট আফ্রিকা। পরে 1990 সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে স্বাধীনতা পেয়ে এই দেশটির আধিকারিক ভাবে নাম হয় রিপাবলিক অফ নামিবিয়া। 2017 সাল অনুযায়ী জনসংখ্যা 26 লক্ষ 6 হাজার 971 জন। প্রতি বর্গ কিলোমিটার অনুযায়ী কম জনঘনত্ব বিশিষ্ট একটি দেশ নামিবিয়া।

আবাম্বো বা ওবাম্বোর আদিবাসী মানুষেরা চৌদ্দশ দশকের দিকে জাম্বেজি নদীর ওপরের দিকে উপত্যকা অঞ্চলগুলিতে এসে বসবাস করতে শুরু করে পরে আফ্রিকা দক্ষিণভাগে বসতি গড়ে ওঠে। বর্তমানে আদিবাসী গোষ্ঠীর নামিবিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিগত গোষ্ঠী। যাদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার 49 শতাংশ। নামিবিয়া র আধিকারিক ভাষা ইংলিশ। দেশটাতে বেশ কয়েকটি ভাষা জাতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে যেমন জার্মান, ওজি হেরেও, আফ্রিকান এবং অসিবাম্বো। তবে অসিবাম্বো ভাষাতে দেশটির প্রায় 48 শতাংশ মানুষ কথা বলতে পারে অর্থাৎ অধিকাংশ মানুষ এই ভাষাতেই কথা বলতে পারে। 


বর্তমানে নামিবিয়ার রাজধানী উইন্ডহক্ ।ভৌগলিক দিক দিয়ে নামিবিয়া একেবারে মধ্যস্থলে অবস্থিত উইন্ডহক্ । এটি হলো দেশের সবচেয়ে বড় এবং ঘনবসতিপূর্ণ শহর। এর গুরুত্ব জার্মান সাম্রাজ্যের সময় থেকেই ছিল। এখন উইন্ডহক্ রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক তথা দেশের শাসন কেন্দ্র। 

নামিবিয়াতে প্রচলিত মুদ্রা নামিবিয়ান ডলার। তবে দেশের স্বাধীনতার আগে সাউথ আফ্রিকা রেন্ডের যেমন প্রভাব ছিল তেমনি স্বাধীনতার পরেও এর হয়ে গেছে। পৃথিবীতে খুব কম দেশ আছে যারা প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার্থে পদক্ষেপ নিয়েছে সেই অনুযায়ী এই দেশের সংবিধানের ধারা অনুসারে নামিবিয়াতে বনজ সম্পদ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার্থে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। বনজঙ্গলের নানা রকমের জন্তু-জানোয়ার যেমন আফ্রিকার বনের বড়ো বড়ো আয়তনের হাতি নামিবিয়ার জেব্রা এই দেশের পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ।



নামিবিয়াকে চিতাদের দেশও বলা যেতে পারে। দেশে প্রায় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার পর্যন্ত চিতাবাঘের প্রমাণ পাওয়া গেছে। নামিবিয়ার অন্যান্য দর্শনীয় স্থান গুলির মধ্যে ফিস রিভার ক্যানিয়ন দেশের দ্বিতীয় সর্বাধিক পর্যটক আকর্ষণ করে। এই ক্যানিয়ন আফ্রিকার সবচেয়ে বড় ক্যানিয়ন। ফিস রিভার এর তৈরি এই ক্যানিয়ন 160 কিলোমিটার দীর্ঘ 27 কিলোমিটার চওড়া এবং 550 মিটার গভীর। এই নদী নামিবিয়ার ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া দীর্ঘতম নদী। এই দেশের সবচেয়ে উঁচু পর্বত ব্র্যান্ডবর্গ মাউন্টেন। 2573 মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট এই পর্বত পর্বতারোহীদের কাছে বিশেষ পরিচিত। দীর্ঘ মরুভূমির কারণে নামিবিয়াতে একটি ভয়ঙ্কর জায়গাও রয়েছে। সেখানে মানুষের দেহাংশ, বড় বড় জাহাজের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এই জায়গাতে তিমি মাছের সাথে সাথে ঘন কুয়াশার সাথে আটকে যাওয়া জাহাজের ভগ্নাবশেষ প্রায়ই দেখা গেছে। তাই সেখানকার নাবিকদের কাছে এবং স্থানীয় আদিবাসীদের কাছে এই জায়গাটি ভয়ঙ্কর জায়গা হিসেবে পরিচিত। সাব সাহারা অঞ্চলের অন্যান্য জায়গাগুলি তুলনায় কম বৃষ্টিপাত হওয়া এই দেশের উত্তরে অ্যাঙ্গোলা, পূর্বে বতসোআনা, দক্ষিণের সাউথ আফ্রিকা এবং পশ্চিমে রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগর। ইউরেনিয়াম খনি এবং নামিদামি খনি গুলোর জন্য বিখ্যাত এই দেশ নামিবিয়া।

তো এই ছিল নামিবিয়া দেশ সম্পর্কে কিছু তথ্য।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন