জাপান (Japan) সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য
অনেকে অজানা জিনিস জানতে খুবই ভালোবাসে। আজ আমরা জাপান সম্পর্কে এমন কিছু অবাক করা তথ্য জানবো যা যদি আপনি প্রথম শুনে থাকেন তাহলে অবশ্যই চমকে যাবেন। জাপান পূর্ব এশিয়ায় প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত একটি দেশ। জাপানি ভাষায় জাপান শব্দটিকে নিহন বা নিপুন নামে ডাকা হয়। এক সময় মনে করা হতো সকালে পূর্ব দিকে সূর্য উঠাটাকে জাপান থেকেই সবচেয়ে আগে দেখা যায়। এর জন্য জাপানকে ল্যান্ড অফ দি রাইসিং সান বলা হয়। ঐতিহাসিকদের মতে প্রায় ১৩ বছর ক্রিস্টপূর্বে জাপানে জমান নামক মানব সভ্যতার খোঁজ পাওয়া যায়। যাদের আদিম মানুষ বলা হয়। আসলে এরাই জাপানের আদিবাসী বাসিন্দা আইনু দের পূর্বপুরুষ। চীনা ইতিহাস বই বুক অফ হান্ট সর্বপ্রথম, যেখানে জাপানের নাম পাওয়া যায়। সাধারণত জাপানকে একটি দ্বীপের দেশ বলা হয়। দ্বীপের দেশ বলার কারণ জাপান দেশটি প্রায় ৬৮৫২ টি দ্বীপের্ সমন্নয়ে গঠিত। এই দ্বীপ গুলির মধ্যে হোনশু, হক্কাইডো, কিউশু, শিকোকু উল্লেখযোগ্য। জাপানে একটি দ্বীপ আছে যার নাম ওকুনোশিমা, যা পুরোটা খরগোশ দিয়ে ভরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য বিজ্ঞানীরা নিয়ে এসেছিলেন। এই দেশের রাজধানী হলো টোকিও। জাপানের জাতীয় ফুল হলো চেরি ব্লসম। জাপানের আয়তন ৩ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯৭২ বর্গকিমি।
জাপানের প্রথম স্বাসকের নাম ছিল জিম্মু তান্নু এবং বর্তমানেও একজন স্বাসক যার নাম আকিহিতো। কিন্তু বর্তমানে জাপান একটি স্বাধীন প্রজাতন্ত দেশ। দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশকে পরিচালিত করে। জাপান দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরের নিকট অবস্থিত হওয়ায় জাপানে খুবই ভূমিকম্প হয়। জাপানের বেশির ভাগ দ্বীপ গুলিই ভূমিকম্প প্রবন এলাকা পেসিফিক রিং অফ ফায়ারে অবস্থিত। পেসিফিক রিং অফ ফায়ার হলো প্রশান্ত মহাসাগরের একটি এলাকা যেখানে ছোট বড়ো অনেক আগ্নেয়গিরি রয়েছে। সেখানে প্রায় ১০৮ টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। ১৯২৩, ১৯৯৫ এবং ২০১১ সালের ভূমিকম্পে অনেক মানুষ মারা গিয়েছে। জাপানে প্রায় প্রতিদিন গড়ে ৫/৬ বার ভূমিকম্প হয়। জাপানের প্রায় ৭০ শতাংশ জায়গা ই বসবাসের অযোগ্য। সেখানে রয়েছে ঘন ঘন জঙ্গল, পাহাড় পর্বত তাই দেশের অধিকাংশ জনসংখ্যাকে উপকূলবর্তী এলাকায় দেখা যায়। জাপান পৃথিবীর সবচেয়ে ঘন বসতির দেশ গুলির একটি। যেখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ৩৩৬ জন মানুষ বসবাস করে। শুধুমাত্র দেশের রাজধানী টোকিওতে প্রায় ৯০ লক্ষ মানুষ বসবাস করে। জাপানের জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ হোনশু নামক দ্বীপটিতে বসবাস করে। জাপানের মানুষদের আয়ুকাল অনেকবেশী হয়ে থাকে এবং জাপানিরা খুবই পরিশ্রমী হয়ে থাকে।
জাপানের সংবিধান অনুযায়ী সেখানে সব ধর্মের মানুষ বসবাস করতে পারে। জাপানে প্রায় ৫১.৮২ শতাংশ সিন্টো, ৩৪.৯ শতাংশ বৌদ্ধ এবং ২.৩ শতাংশ খ্রীষ্টান ধর্মের মানুষ বসবাস করে। জাপানের প্রধান ভাষা হলো জাপানীজ। জাপানীজ ভাষায় বিভিন্ন ধরণের অক্ষর দেখা যায়।
জাপানকে প্রযুক্তিবিদ্যার দেশও বলা হয়। কারণ জাপান প্রযুক্তিবিদ্যাতে অন্য দেশ গুলির থেকে অনেক এগিয়ে। ১৯৪৫ সালে জাপানের দুইটি শহর হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে পরমাণু হামলা হয়েছিল। তখন সেখানকার মানুষের খুবই ক্ষতি হয়েছিল। তারপরেও তারা নিজেদের পরিশ্রমে এতো তাড়াতাড়ি উন্নতির ছোঁয়া পেয়েগেছে। পৃথিবীর বিখ্যাত কিছু ইলেকট্রনিক এবং গাড়ির কোম্পানি যেমন সনি, প্যানাসনিক, নিশান, টয়োটা, হোন্ডা ইত্যাদি জাপানের তৈরি করা। জাপানের তৈরি করা ইলেক্ট্রনিকে প্রচুর পরিমানে সোনা এবং রুপো ব্যবহার করা হয়। জাপানে বাবহার করা বেশিরভাগ ফোন ওয়াটার প্রুফ হয়। জাপান খুব তাড়াতাড়ি সুপার কম্পিউটার তৈরি করার পরিকল্পনা করছে। জাপানের ট্রেন পৃথিবী বিখ্যাত। জাপানের ট্রেন গুলি পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুত গতির ট্রেন। সেখানকার ট্রেনগুলি সময় মতো চলে সবসময়। জাপানের সবচেয়ে দ্রুতগতির ট্রেন শিনকানসেন সারা পৃথিবীতে বুলেট ট্রেন হিসাবে পরিচিত। এই ট্রেন গুলি প্রতি ঘন্টায় প্রায় ২৪০ কিমি থেকে ৩০০ কিমি বেগে চলে। শিঞ্জুকু রেলওয়ে স্টেশন পৃথিবীর ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশন। সেখানে প্রত্যেক দিন প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করে। এই দেশের সবচেয়ে বড়ো এয়ারপোর্ট হানেডা, এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় ব্যস্ততম এয়ারপোর্ট।
জাপানের পর্যটন শিল্পও অনেক উন্নত। প্রতি বছর অনেক পর্যটক জাপানে বেড়াতে যান। টোকিও স্কাই ট্রি পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা টাওয়ার। জাপানের রাজধানী টোকিও শহরটি খুবই সুন্দর একটি শহর। সেখানকার বড়ো বড়ো বিল্ডিং গুলি, সেখানকার শিল্প নিদর্শন গুলি পর্যটকদের বিশেষ ভাবে আকৃষ্ট করে।
![]() |
Tokyo Skytree |
জাপানে কিছু লোকপ্রিয় খাবার আছে। জাপানের মানুষ কাঁচা ঘোড়ার মাংস খায় যাকে বাসিসি বলে। ভাতের সাথে চিনি, লবন দিয়ে মেখেও খাওয়া হয় যাকে সুসি বলা হয় এবং তার সাথে কাঁচা মাছ কেটে কেটে পরিবেশন করা হয়। আমেরিকার পর সবচেয়ে বেশি ম্যাকডোনাল্ড এর রেস্টুরেন্ট জাপানে আছে। জাপানের মানুষরা সামুদ্রিক খাবার খুবই পছন্দ করেন। তারা প্রতিবছর প্রায় ১৭ মিলিয়ন টন সামুদ্রিক খাবার আমদানি করে থাকে।
জাপানের মানুষরা অনেক ক্রিয়েটিভ হয়ে থাকে। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি অ্যানিমেশন ডিসাইন জাপানে তৈরি হয়।
দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন জঙ্গল কেন বিখ্যাত? | Amazing and Interesting Facts about Amazon Rainforest and Amazon River in Bengali
Amazing and Interesting Facts about Amazon Rainforest
প্রকৃতি যতটা সুন্দর ঠিক ততটাই ভয়ঙ্কর। বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জায়গা, যেখানে টিকে থাকার জন্য লড়াই করতে হয় প্রতিনিয়ত, পরিস্থিতি যেখানে বেঁচে থাকার অনুপযোগী, পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর এবং ভয়ঙ্কর জায়গার নাম হলো আমাজন। আমাজন বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো জঙ্গল। আমাজনকে পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয়। এর বিস্তার বিশ্বের প্রায় সব জঙ্গলের দ্বিগুন। যেখানে গোটা পৃথিবীর তিন ভাগের এক ভাগ সেখানে বসবাস করে এবং কত রকমের যে প্রাণী ও জীবজন্তু বসবাস করে তাদের সম্পকে আমরা জানিও না।
আমাজন নদীকে ঘিরে এই জঙ্গল প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি বৎসর আগে সৃষ্টি হয়েছে। প্রাচীন কাল থেকেই যাত্রীরা এই জঙ্গল ভ্ৰমণ করে মূলত সোনা, রূপা এবং বিভিন্ন খাজানার জন্য। মূলত পর্তুগীজ যাত্রীরা মনে করতো বিশাল এই অরণ্যে লুকিয়ে আছে এলডোরাডো নামক এক গুপ্ত শহর। যা পুরোপুরি সোনা দ্বারা নির্মিত। এই ভ্রান্ত ধারণাটি এসেছে গ্রিক পৌরাণিক গল্প থেকে। সেখানে বলা হয়েছে যে এলডোরাডো নামক সোনায় মোড়ানো শহরটি পাহারা দেয় নারী যোদ্দারা। সেই জন্যই এই জঙ্গলের নাম আমাজন রাখা হয়েছে।
আমাজন শব্দটি একটি গ্রিক শব্দ। পর্তুগীজ, স্প্যানিশ এবং ফ্রান্স অভিযাত্রীরা প্রতিযোগিতায় নামে এই এলডোরাডো নামক গুপ্ত শহরটিকে খুঁজে বার করার জন্য। কিন্তু কেউই এই কাল্পনিক শহরটিকে খুঁজে বার করতে পারেনি।
এই বিশাল আকার জঙ্গলটি আয়তনে প্রায় ৫৫ লক্ষ বর্গকিমি। দক্ষিণ আমেরিকার ৯ টি দেশ জুড়ে আমাজন জঙ্গলটি রয়েছে। যার মধ্যে ৬০ শতাংশ রয়েছে ব্রাজিলে, ১৩ শতাংশ রয়েছে পেরুতে আর বাকি অংশ রয়েছে কলোম্বিয়া, ভেনুজুয়েলা, ইকুয়েডর, বলিভিয়া, গুয়ানা, সুরিনামা এবং ফ্রান্স গায়ানা। পৃথিবী জুড়ে যেই রেনফরেস্ট রয়েছে তার অর্ধেক এই আমাজন জঙ্গল।
নানারকম প্রজাতির বাসস্থান হিসাবে সম্মৃদ্ধ আমাজন, এই জঙ্গলে প্রায় ৩৯০ মিলিয়ন বৃক্ষ রয়েছে। যেগুলি প্রায় ১৬০০০ প্রজাতিতে বিভক্ত। আমাজন জঙ্গলের গুরুত্ব অপরিসীম। পৃথিবীর ২০ শতাংশ অক্সিজেন আসে আমাজন জঙ্গল থেকে। এছাড়া অনেক ঔষধ এর জন্য প্রয়োজনীয় গাছপালা এই আমাজন জঙ্গলে পাওয়া যায়। শুধু তাই নয় আমাজন পৃথিবীর প্রাকৃতিক সপ্তম আশ্চর্যের একটি।
এই জঙ্গলের নদী মানে, আমাজন নদীটি বেশিভাগ ছোট ছোট নদীর উৎস। এই নদীটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী। কোনো কোনো জায়গা এই নদীটির এতো চওড়া যে এপাশ থেকে ওপাশে দেখা যায় না। এছাড়া এই নদীতে প্রায় ৪৫ লক্ষ প্রজাতির পোকামাকড় রয়েছে। এছাড়াও ৪২৮ প্রজাতির উভচর, ৩৭৮ প্রজাতির সরীসৃপ, ৪২৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। এছাড়া আমাজন নদীতে ৩০০০ প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী রয়েছে। বিশেষ করে লাল পিরানহা প্রচুর পরিমানে দেখা যায়। সেখানে ভয়ঙ্কর সাপ যেমন আনাকোন্ডা দেখা যায় । ওদের কোনো বিষ নেই। ওরা নিজের শরীর দিয়ে পেঁচিয়ে তারপর ভক্ষণ করে। আমাজন জঙ্গলে ৩০০ র বেশি উপজাতি বসবাস করে এবং তারা বেশিরভাগই ব্রাজিলিয়ান , তারা সবাই স্পেনিশ ও পর্তুগীজ ভাষায় কথা বলে। এদের মধ্যে অনেক যাযাবর লক্ষ্য করা যাই। ওদের সাথে সভ্য জগতের কোনো সংযোগ নেই। ওরা সভ্যতার কোনো ছোয়া পাইনি।
আমাজন নদীকে ঘিরে এই জঙ্গল প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি বৎসর আগে সৃষ্টি হয়েছে। প্রাচীন কাল থেকেই যাত্রীরা এই জঙ্গল ভ্ৰমণ করে মূলত সোনা, রূপা এবং বিভিন্ন খাজানার জন্য। মূলত পর্তুগীজ যাত্রীরা মনে করতো বিশাল এই অরণ্যে লুকিয়ে আছে এলডোরাডো নামক এক গুপ্ত শহর। যা পুরোপুরি সোনা দ্বারা নির্মিত। এই ভ্রান্ত ধারণাটি এসেছে গ্রিক পৌরাণিক গল্প থেকে। সেখানে বলা হয়েছে যে এলডোরাডো নামক সোনায় মোড়ানো শহরটি পাহারা দেয় নারী যোদ্দারা। সেই জন্যই এই জঙ্গলের নাম আমাজন রাখা হয়েছে।
আমাজন শব্দটি একটি গ্রিক শব্দ। পর্তুগীজ, স্প্যানিশ এবং ফ্রান্স অভিযাত্রীরা প্রতিযোগিতায় নামে এই এলডোরাডো নামক গুপ্ত শহরটিকে খুঁজে বার করার জন্য। কিন্তু কেউই এই কাল্পনিক শহরটিকে খুঁজে বার করতে পারেনি।
এই বিশাল আকার জঙ্গলটি আয়তনে প্রায় ৫৫ লক্ষ বর্গকিমি। দক্ষিণ আমেরিকার ৯ টি দেশ জুড়ে আমাজন জঙ্গলটি রয়েছে। যার মধ্যে ৬০ শতাংশ রয়েছে ব্রাজিলে, ১৩ শতাংশ রয়েছে পেরুতে আর বাকি অংশ রয়েছে কলোম্বিয়া, ভেনুজুয়েলা, ইকুয়েডর, বলিভিয়া, গুয়ানা, সুরিনামা এবং ফ্রান্স গায়ানা। পৃথিবী জুড়ে যেই রেনফরেস্ট রয়েছে তার অর্ধেক এই আমাজন জঙ্গল।
নানারকম প্রজাতির বাসস্থান হিসাবে সম্মৃদ্ধ আমাজন, এই জঙ্গলে প্রায় ৩৯০ মিলিয়ন বৃক্ষ রয়েছে। যেগুলি প্রায় ১৬০০০ প্রজাতিতে বিভক্ত। আমাজন জঙ্গলের গুরুত্ব অপরিসীম। পৃথিবীর ২০ শতাংশ অক্সিজেন আসে আমাজন জঙ্গল থেকে। এছাড়া অনেক ঔষধ এর জন্য প্রয়োজনীয় গাছপালা এই আমাজন জঙ্গলে পাওয়া যায়। শুধু তাই নয় আমাজন পৃথিবীর প্রাকৃতিক সপ্তম আশ্চর্যের একটি।
এই জঙ্গলের নদী মানে, আমাজন নদীটি বেশিভাগ ছোট ছোট নদীর উৎস। এই নদীটি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী। কোনো কোনো জায়গা এই নদীটির এতো চওড়া যে এপাশ থেকে ওপাশে দেখা যায় না। এছাড়া এই নদীতে প্রায় ৪৫ লক্ষ প্রজাতির পোকামাকড় রয়েছে। এছাড়াও ৪২৮ প্রজাতির উভচর, ৩৭৮ প্রজাতির সরীসৃপ, ৪২৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। এছাড়া আমাজন নদীতে ৩০০০ প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী রয়েছে। বিশেষ করে লাল পিরানহা প্রচুর পরিমানে দেখা যায়। সেখানে ভয়ঙ্কর সাপ যেমন আনাকোন্ডা দেখা যায় । ওদের কোনো বিষ নেই। ওরা নিজের শরীর দিয়ে পেঁচিয়ে তারপর ভক্ষণ করে। আমাজন জঙ্গলে ৩০০ র বেশি উপজাতি বসবাস করে এবং তারা বেশিরভাগই ব্রাজিলিয়ান , তারা সবাই স্পেনিশ ও পর্তুগীজ ভাষায় কথা বলে। এদের মধ্যে অনেক যাযাবর লক্ষ্য করা যাই। ওদের সাথে সভ্য জগতের কোনো সংযোগ নেই। ওরা সভ্যতার কোনো ছোয়া পাইনি।
তো এই ছিল আমাজন জঙ্গল সম্পর্কে কিছু তথ্য।।
Unknown and Interesting facts about Uruguay in Bengali | Bengali Facts Uruguay | উরুগুয়ে সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য
Interesting facts about Uruguay
আজ দক্ষিণ আমেরিকার আরেকটি ফুটবলের দেশ সম্পর্কে কিছু মজার জিনিস জানবো। যার নাম উরুগুয়ে।
উরুগুয়ে দেশটি দক্ষিণ আমেরিকার ছোট একটি দেশ। আয়তনে দেশটি দক্ষিণ আমেরিকায় সুরিনামার পর দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর একটি দেশ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুরের কারণে উরুগুয়েকে দক্ষিণ আমেরিকার সুইজারল্যান্ড বলা হয়। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দক্ষিণ পূর্ব উপকূলে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মধ্যে অবস্থিত একটি দেশ। আধিকারিক ভাবে উরুগুয়ে দেশটিকে পূর্ব উরুগুয়ে প্রজাতন্ত বলা হয়। এই দেশের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর মন্টেবিডিও। এই দেশের বেশির ভাগ মানুষ শহরে বসবাস করে। প্রায় ৪০% মানুষ শুধুমাত্র এই দেশের রাজধানী মন্টেবিডিওতে বসবাস করে। উরুগুয়ে ব্রাজিল থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। এই দেশের বেশির ভাগ লোকজন ইউরোপীয় বংশোদ্ভুত। উরুগুয়ের রাষ্ট্রীয় ভাষা স্পেনিশ। এই দেশের সংস্কৃতিতে স্পেনের ঐতিহ্যের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
উরুগুয়ের জাতীয় সংগীত পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ জাতীয় সংগীত। এটা প্রায় ৬ মিনিটের বেশি সময় ধরে গাইতে হয়।
পৃথিবীর একমাত্র দেশ যার জাতীয় খাবার হলো স্যান্ডউইচ।
শিক্ষার দিক দিয়েও উরুগুয়ে অনেক এগিয়ে। বিশ্বের শীর্ষ শিক্ষিত দেশ গুলির মধ্যে উরুগুয়ে একটি। এই দেশটিতে প্রত্যেকের শিক্ষা গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। ২০০৯ সালে প্রথম উরুগুয়ের সব ছাত্রছাত্রীর জন্য বিনামূল্যে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের বেবস্থা করে দেওয়া হয়। এই দেশে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শিক্ষা প্রধান করা হয়।
২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত শ্বাসন করা উরুগুয়ে প্রেসিডেন্ট জোসে মুজিকাকে পৃথিবীর সবচেয়ে গরিব প্রেসিডেন্ট বলা হয়। কারণ উনার সব টাকা বিভিন্ন সংস্থাতে দান করে দিতেন। উনি প্রেসিডেন্ট ভবন ছেড়ে অন্য কোনো ছোট ঘরে থাকতেন। ১৯৮৫ পূর্বে উরুগুয়েকে মিলিটারিরা শ্বাসন করতো। কিন্তু এর পরে সেখানে লোকতান্ত্রিক সরকার গঠন করা হয়।
অর্থনীতিতে উরুগুয়ে খুবই উন্নতশীল একটি দেশ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে এই দেশে অনেক পর্যটকরা আসে। এই পর্যটন শিল্প দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।কৃষিকাজ ও গবাদি পশুপালনও এই দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। যার কারণে উরুগুয়েতে প্রচুর পরিমানে গরু এবং ভেড়া দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া পেট্রোলিয়াম , যানবাহনের যন্ত্রাংশ এবং খাদ্য প্রকিয়াকরণ এর উপর নির্ভরশীল। উরুগুয়ে মাংস, ভেড়ার পশম এবং চামড়া, আঙ্গুর , তেল ও মদ রপ্তানি করে থাকে। দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় উরুগুয়েতে। এই দেশের ৯৫% বিদ্যুৎ সুবিধাপ্রাপ্ত।
উরুগুয়ে দেশটি সাধারণত বিশ্বের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে ফুটবলের জন্য। ফুটবলের সাথে উরুগুয়ের সম্পর্ক অনেক আগে থেকেই। এবং ফুটবল ইতিহাসে অনেক সাফল্য পেয়েছে এই দেশটি। প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্ব এই দেশটির আছে। ১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে ৪-২ গোলে পরাজিত করে প্রথম বিশ্বকাপ জয় করে উরুগুয়ে। ওরা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয় করে ১৯৫০ সালে ব্রাজিলকে হারিয়ে। যেই দেশ যতটা বিশ্বকাপ যেতে তাদের দেশের জার্সিতে ঠিক ততটা ষ্টার লাগানো থাকে। সেই হিসাবে উরুগুয়ের জার্সিতে ২ তা ষ্টার থাকার কথা। কিন্তু ওদের জার্সিতে ৪ টা ষ্টার দেখতে পাওয়া যাই। তার কারণ হচ্ছে ওরা বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে ১৯২৪ সালে এবং ১৯২৮ সালে মোট ২ বার গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক ফুটবলে স্বর্ণপদক জয় করে। এছাড়াও ওরা সর্বমোট ১৪ বার মহাদেশীয় কাপ (কোপা আমেরিকা) জয় করে। আন্তর্জাতিক ভাবে উরুগুয়ে মোট ১৮ টি শিরোপা জয় করে।
তো এই ছিল উরুগুয়ে সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।।
পেরু সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত এবং মজাদার তথ্য জেনে নিন
Interesting facts about Peru
আজ আমরা দক্ষিণ আমেরিকার একটি দেশ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জানবো। যে দেশটির নাম হলো পেরু। এই দেশটি অনেকেরই কাছে অজানা একটি দেশ। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক পেরু সম্পর্কে কিছু অদ্ভুত এবং মজাদার তথ্য।
পেরু দক্ষিণ আমেরিকার মধ্য পশ্চিমে অবস্থিত ছোট একটি দেশ। প্রাকৃতিক সৌন্ধর্যের দিক দিয়ে পেরু অদ্ভুত একটি দেশ। বিশ্বের সুন্দর সুন্দর দেশ গুলির মধ্যে পেরু একটি। পেরু নামটি এসেছে স্পেনিশ শব্দ পেলু থেকে, যার অর্থ নদী। পেরুকে আধিকারিক ভাবে পেরু প্রজাতন্ত বলা হয়। এই দেশের রাজধানী এবং জনবহুল শহর হলো লিমা।
পেরুর ৮০% মানুষ শহরে থাকে। যার মধ্যে বেশির ভাগ মানুষ রাজধানী লিমাতে থাকে। এই দেশটির উত্তরে ইকুয়েডর ও কলোম্বিয়া, পূর্বে ব্রাজিল, দক্ষিণ-পূর্বে বলিভিয়া, দক্ষিণে চিলি এবং পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর দ্বারা আবৃত। পেরু দেশটির আয়তন ১২ লক্ষ ৮৫ হাজার ২১৬ বর্গকিলোমিটার।
এই দেশের প্রধান ভাষা স্পেনিশ। এছাড়াও কিছু আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে যেমন কচুয়া এবং আয়মারা। ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলির মধ্যে পেরুই সবচেয়ে আগে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৮২১ সালে পেরু স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
পেরুর ৮০% মানুষ শহরে থাকে। যার মধ্যে বেশির ভাগ মানুষ রাজধানী লিমাতে থাকে। এই দেশটির উত্তরে ইকুয়েডর ও কলোম্বিয়া, পূর্বে ব্রাজিল, দক্ষিণ-পূর্বে বলিভিয়া, দক্ষিণে চিলি এবং পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর দ্বারা আবৃত। পেরু দেশটির আয়তন ১২ লক্ষ ৮৫ হাজার ২১৬ বর্গকিলোমিটার।
এই দেশের প্রধান ভাষা স্পেনিশ। এছাড়াও কিছু আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে যেমন কচুয়া এবং আয়মারা। ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলির মধ্যে পেরুই সবচেয়ে আগে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৮২১ সালে পেরু স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
পেরুর ভোগোলিক আবহওয়া অনেকটাই অন্যরকম। কারণ সেখানে রয়েছে জনবিরল মরুভূমি, সবুজ মরুদ্দ্যান, বরফাবৃত পর্বতমালা, উচ্চ মালভূমি এবং গভীর উপত্যকা। পেরুর উত্তর পশ্চিম থেকে দক্ষিণ পূর্ব বরাবর আন্দিস পর্বতমালা রয়েছে। আমাজন নদীর উৎপত্তি স্থল এই আন্দিস পর্বতমালার চূড়া থেকে। পেরুতে ৬০% আমাজনের জঙ্গল রয়েছে। এই জঙ্গল থাকার কারণে সেখানে প্রচুর পরিমানে গাছপালা দেখা যায়। পেরুর জাতীয় বৃক্ষ সিনকোনা। এই গাছটি অনেক উপকারী। এই গাছটি থেকে ম্যালেরিয়ার ঔষধ তৈরি করা হয়।
পেরুতে প্রচুর পরিমানে খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়। সোনা উৎপাদনে পেরু ষষ্ট স্থানে এবং কপার উৎপাদনে পেরু তৃতীয় স্থানে রয়েছে। পেরুতে বিভিন্ন ধরণের আলু পাওয়া যায়। এই দেশটি কোকিন উৎপাদন করার জন্যও বিখ্যাত। ২০১৩ সালে সবচেয়ে বেশি কোকিন উৎপাদনকারী দেশ ছিল পেরু।
পেরু বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে একসাথে ৬৫০ টি পাখি উড়তে দেখা গিয়েছে। এবং এটা একটা বিশ্ব রেকর্ড। সাধারণত সেখানে ৩৫০ থেকে ৪০০ পাখি একসাথে দেখা যেতে পারে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো উড়ন্ত পাখি আন্দেয়ান কাণ্ডের পেরুতে পাওয়া যায়। পাখিটি প্রায় ৪ ফুট লম্বা। আকাশ থেকে সেখানকার মরুস্থলে অনেক পাখির চিত্র দেখা যায় , যা সত্যিই অদ্ভুত। পেরু থেকে পাখিরার মলমূত্র বিদেশে রপ্তানি করা হয়, যা সার হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
পেরু দেশটিতে আরো কিছু অদ্ভুত এবং মজার নিয়ম রয়েছে যেমন সেখানে যদি কোনো মেয়েকে বিয়ে করতে হয় তাহলে মেয়ের হবু স্বামীকে তার শ্বাশুড়ির কাছে পিটুনি খেতে হয়। আর সেখানে বিয়ের আগে পরিবারের সম্মতিতে ছেলে এবং মেয়েকে একসাথে থাকতে হয়। এছাড়াও এই দেশে বিয়ের আগে ছেলেকে কিছুদিন শ্বশুরের সাথে এবং মেয়েকে শ্বাশুড়ির সাথে কাটাতে হয়। যদি কিছুদিন থাকার পরে ওদের মনে হয় যে ওরা থাকতে পারবে না তখন তারা আলাদা হয়ে যায়।ওদের প্রথম সন্তানকে সামাজিক সন্তান হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
তো এই ছিল দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরু সম্পর্কে কিছু তথ্য।।
ইকুয়েডর দেশ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য
Interesting facts about Ecuador
আজ আমরা দক্ষিণ আমেরিকার আরেকটি দেশ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জানবো। যার নাম ইকুয়েডর। এই দেশটি অনেকেরই কাছে অজানা একটি দেশ। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ইকুয়েডর সম্পর্কে কিছু মজাদার তথ্য।
ইকুয়েডর দেশটিকে আধিকারিক ভাবে ইকুয়েডর প্রজাতন্ত্রও বলা হয়। ইকুয়েডর দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে ভূমধ্যসাগরে প্রবাহিত একটি দেশ। এই দেশের পাশে জায়গা যেমন উত্তর দিকে কলোম্বিয়া, দক্ষিণ দিকে পেরু এবং পশ্চিম দিকে বিশাল আকারের প্রশান্ত মহাসাগর রয়েছে। ইকুয়েডর দেশটি পুরোপুরি ভুমধ্যরেখার পর থাকার কারণে দেশটির নামকরণ এইরকম হয়েছে। এই দেশের রাজধানী হলো কুইটো।
এই দেশটিতে একটা সময় স্পেনের শাসন চলতো। কিন্তু ১৮২০ সালে ঘুয়াকুলি নামে একটি শহর প্রথম স্বাধীনতা লাভ করে স্পেনের থেকে। তবে ইকুয়েডরের স্বাধীনতা দিবস আনুষ্ঠানিকভাবে ২৪ শে মে ১৮২২ সালে লাভ করে। ১৮৩০ সালে ইকুয়েডর গ্রান কলোম্বিয়া থেকে পৃথক হয়ে একটি স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হয়ে ওঠে।
বর্তমানে ঘুয়াকুলি হলো ইকুয়েডরের সবচেয়ে বড়ো শহর। ইকুয়েডরের নীতিবাক্য হলো "ঈশ্বর, স্বদেশ এবং স্বাধীনতা"।
ইকুয়েডর একটি মধ্যম আয়ের দেশ, একটি উন্নয়নশীল অর্থনীতির সাথে যা পণ্য, পেট্রোলিয়াম এবং কৃষি পণ্যগুলির উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল। এই দেশটি সাধারণত তেলখননের উপর নির্ভরশীল এবং এই দেশের আর্থিক বেবস্থার ৫০% আসে এই তেল থেকে। ২০০০ সালে এই দেশে একবার আর্থিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। সেই সময় ওই দেশের জিডিপি গ্রোথ ৬% কমে গিয়েছিলো। এই দেশের জাতীয় বৃক্ষ হলো সিন্যাকুইনে। এই গাছটি খুব উপকারী হয়, গাছটি থেকে প্রচুর পরিমানে কুইনাইন উৎপাদন করা হয়। ম্যালেরিয়ার ঔষধ এই বৃক্ষ থেকে তৈরি করা হয়।
এই দেশটিতে একটা সময় স্পেনের শাসন চলতো। কিন্তু ১৮২০ সালে ঘুয়াকুলি নামে একটি শহর প্রথম স্বাধীনতা লাভ করে স্পেনের থেকে। তবে ইকুয়েডরের স্বাধীনতা দিবস আনুষ্ঠানিকভাবে ২৪ শে মে ১৮২২ সালে লাভ করে। ১৮৩০ সালে ইকুয়েডর গ্রান কলোম্বিয়া থেকে পৃথক হয়ে একটি স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হয়ে ওঠে।
বর্তমানে ঘুয়াকুলি হলো ইকুয়েডরের সবচেয়ে বড়ো শহর। ইকুয়েডরের নীতিবাক্য হলো "ঈশ্বর, স্বদেশ এবং স্বাধীনতা"।
ইকুয়েডর একটি মধ্যম আয়ের দেশ, একটি উন্নয়নশীল অর্থনীতির সাথে যা পণ্য, পেট্রোলিয়াম এবং কৃষি পণ্যগুলির উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল। এই দেশটি সাধারণত তেলখননের উপর নির্ভরশীল এবং এই দেশের আর্থিক বেবস্থার ৫০% আসে এই তেল থেকে। ২০০০ সালে এই দেশে একবার আর্থিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। সেই সময় ওই দেশের জিডিপি গ্রোথ ৬% কমে গিয়েছিলো। এই দেশের জাতীয় বৃক্ষ হলো সিন্যাকুইনে। এই গাছটি খুব উপকারী হয়, গাছটি থেকে প্রচুর পরিমানে কুইনাইন উৎপাদন করা হয়। ম্যালেরিয়ার ঔষধ এই বৃক্ষ থেকে তৈরি করা হয়।
এই দেশটির সম্পূর্ণ আয়তন ২ লক্ষ ৮৩ হাজার ৫৬১ বর্গকিমি যা ১ লক্ষ ৯ হাজার ৪৮৪ বর্গমাইলের সমান। এই দেশের অনেকটা জায়গা জুড়ে রয়েছে আমাজন জঙ্গল। ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৬৪ লক্ষ। এই দেশের সরকারি ভাষা হলো স্পেনিশ। স্পেনিশ ছাড়াও এই দেশে আরো কিছু আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে যেমন কিচওয়া এবং শুয়ার। এই দেশের মানুষরা খুবই সুন্দর এবং নরম মনের হয়ে থাকে। দেশটির জাতীয় মুদ্রা US ডলার। এই দেশে নানান সংস্কৃতি এবং শিল্পকলার ছাপ দেখতে পাওয়া যায়।
ধন্যবাদ
ব্রাজিল (Brazil) সম্পর্কে কিছু অবাক করা তথ্য
![ব্রাজিল (Brazil) সম্পর্কে কিছু অবাক করা তথ্য ব্রাজিল (Brazil) সম্পর্কে কিছু অবাক করা তথ্য](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgc8SRcRemc0iyuUdccbf_fvwKUYKP4raNFSsK24AqXRH1q3hqpchOwJBkU_3WBfcCVtHSOWJAmij9Ei-FPAQ8NWfBSTPwdP7oeOzGkxDT_CfbL3sIglY2nSIPcIEcJP13FZO2k940QI1m2/w200-h199/image+%25284%2529.jpg)
ব্রাজিল সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য (Amazing and Interesting facts about Brazil)
আজ আমরা দক্ষিণ আমেরিকার এমন একটি দেশ সম্পর্কে জানবো যেই দেশটির নাম শুনলে আমাদের সবচেয়ে আগে ফুটবলের কথা মনে পরে। সেই দেশটি সাধারণত ফুটবলের জন্য সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। সেই দেশ থেকে অনেক অনেক ফুটবলের লিজেন্ড তৈরি হয়েছে যাদের নাম সমস্ত ফুটবল প্রেমিক মনে রাখবে।
হাঁ! আপনি ঠিক ই ধরেছেন, আজ আমরা ব্রাজিল সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য জানবো তা যদি আপনি প্রথম শুনে থাকেন তাহলে অবশ্যই চমকে যাবেন।
ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড়ো দেশ। এই দেশটি আয়তনে পৃথিবীতে পঞ্চম এবং জনসংখ্যার দিক দিয়েও পাঁচ নম্বরে আছে ব্রাজিল। ব্রাজিল নামটি এসেছে একটি গাছের নাম ব্রাজিলউড থেকে। বিশাল অরণ্যে ঘেরা এই দেশটির আয়তন প্রায় ৮৫ লক্ষ বর্গকিলোমিটার। দক্ষিণ আমেরিকার ৪৭% জায়গা জুড়ে ব্রাজিলের অবস্থান। ইকুয়েডর এবং চিলি ছাড়া দক্ষিণ আমেরিকার বাকি সবগুলি দেশের সাথে ব্রাজিলের সীমান্ত আছে। বিশ্বের সবচেয়ে ক্যাথলিক এর বসবাস এই ব্রাজিলে। ব্রাজিলের মোট জনসংখ্যার ৬৫ ভাগ ই ক্যাথলিক। বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো যদি আমাজন এই ব্রাজিলে অবস্থিত। প্রায় ৪০০০ মাইল পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার পাঁচটি দেশের উপর দিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে গিয়ে পড়েছে। এই নদী যে পরিমান জল ধারণ করে তা বিশ্বের অন্যান্য নদী গুলির থেকে অনেক বেশি। আমাজন নদীর কোনো সেতু নেই।
ব্রাজিলে মারামারি, খুনোখুনি অনেক বেশি পরিমানে হয়। ব্রাজিলে যতই মারামারি, খুনোখুনি হোক না কেন তা নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তারা কখনো প্রতিবেশী দেশ গুলির সাথে যুদ্ধ করতে যাই না। তাই ১৮৭০সালের পর ব্রাজিলে কোনো প্রকার যুদ্ধ হয় নি। ব্রাজিলিয়ান ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই আশাবাদী হয়ে থাকে। তারা সব সময় এটাই মনে করে যে সামনে যা হবে তা ভালোর জন্যই হবে।
আপনারা পড়ছেন ব্রাজিল সম্পর্কে তথ্য
পর্যটক দের জন্য ব্রাজিল এক আকর্ষণীয় জায়গা। তাই প্রতি বছর প্রায় ৬ মিলিয়ন পর্যটক ব্রাজিলে ঘুরতে যাই। ব্রাজিলের অর্থনৈতিক অনেকটাই আসে পর্যটকদের থেকে। পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিমান বন্দরের দেশ হলো এই ব্রাজিল। যুক্তরাট্রের পরেই ব্রাজিলের অবস্থান। ব্রাজিলের রাজধানীর নাম ব্রাজিলিয়া। মজার বিষয় হলো আজ থেকে প্রায় ৬০ বছর আগে মাত্র ৪১ মাসে এই রাজধানী নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রাজিলিয়া শহরটি পৃথিবীর অন্যতম একটি সুন্দর শহর। এই শহর টি আকাশ থেকে দেখলে মনে হয় একটি পাখির মতো। বিশ্ব ঐতিহ্য ছড়াছড়ি ব্রাজিলে। সপ্তম আশ্চর্যের একটি christ the redeemer এই ব্রাজিলে অবস্থিত।
কফি রপ্তানি কারক দেশ হিসাবে ব্রাজিলের স্থান প্রথম। শুধুমাত্র ২০১৪ সালেই ২৭২ কোটি ৭ লক্ষ ১০ হাজার কিলোগ্রাম কফি রপ্তানি করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে লম্বাকৃতির দেশ হলো এই ব্রাজিল। উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় ৪৩৯৫ কিমি লম্বা আর পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রায় ৪৩১৯ কিমি লম্বা। আমাজন জঙ্গল থাকার কারণে বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি দেখা যাই এই ব্রাজিলে।
ব্রাজিলে বিভিন্ন ভাষাবাসীর লোক রয়েছে। সেখানে প্রায় ১৮০ টি ভাষায় মানুষ কথা বলে। ব্রাজিলে ব্রাজিলিয়ান দের ছাড়া সবচেয়ে বেশি জাপানীজদের লক্ষ্য করা যাই। আমাজন জঙ্গলে অনেক আদিম মানুষ এখনো রয়েছে যাদের সাথে আধুনিক সভ্যতার সম্পর্ক এখনো স্থাপিত হয় নি। ব্রাজিলে একটি বিখ্যাত স্নেক ল্যান্ড রয়েছে যেখানে প্রতি বর্গমিটারে ৫ টি করে সাপ থাকে। সেই জায়গাটি পর্যটকদের জন্য নিষিধ্য করে দিয়েছে সেই দেশের সরকার।
ফুটবল ইতিহাসে সোনালী অতীত রয়েছে ব্রাজিলের। ফুটবলের জন্য পরিচিতি পাওয়া এই দেশে অনেক ফুটবল লিজেন্ড রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম পেলে, রোনাল্ডো , রোনালদিনহো , রোমারিও , গারিনচ্চা, কাকা প্রমুখ। ব্রাজিল ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ওয়ার্ল্ডকাপ জিতেছে। মোট ৫ বার ( ১৯৫৮, ১৯৬২,১৯৭০, ১৯৯৪, ২০০২ ) এর মধ্যে তিনবারই জিতেছে পেলে। পেলে একমাত্র খেলোয়াড় যে তিনটা বিশ্ব কাপ জিতেছে। ব্রাজিলের হয়ে পেলের ৭৯ টি গোল রয়েছে। ব্রাজিল একমাত্র দেশ যারা সবগুলি ফিফা ওয়ার্ল্ডকাপ এ অংশগ্রহণ করেছে। ব্রাজিল ফুটবলে সাম্বা স্টাইলের জন্য বিখ্যাত। নরওয়ে একমাত্র ফুটবল টীম যাদেরকে ব্রাজিল কখনো হারাতে পারেনি। দুই দলের মোট ৪ বার দেখা হয়েছে। ৩ টা আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি আর একটা ১৯৯৮ এ ফিফা ওয়ার্ল্ডকাপ এ। মোট ৪ বরে ২ বার ব্রাজিল হেরেছে আর ২ বার ড্র করেছে।
তো এই ছিল ব্রাজিল দেশ সম্পর্কে কিছু তথ্য।।
আর্জেন্টিনার (Argentina) সম্পর্কে কয়েকটি চমকপ্রদ তথ্য
আর্জেন্টিনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য (Details Information about Argentina in Bengali)
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশ সম্পর্কে জানে না। কিন্তু সারা বিশ্বের মানুষ সেই দেশের ফুটবল এবং সেই দেশের ফুটবলার দের ভালোভাবেই চিনে বা মনে রেখেছে। যেই দেশে মহান মহান মানুষ থাকে সেই দেশটা এমনিতে ই পরিবর্তন হয়ে যাই। হাঁ! আপনি ঠিক ই ধরেছেন, আমি সেই দেশটার কথা ই বলছি যার নাম আর্জেন্টিনা। তো জেনে নেওয়া যাক আর্জেন্টিনা সম্পর্কে কিছু অবাক করা তথ্য। যা আপনাকে অবশই চমকে দেবে।
আর্জেন্টিনা দক্ষিণ আমেরিকার একটি দেশ। দক্ষিণ আমেরিকায় এই দেশটি ব্রাজিলের পর দ্বিতীয় সর্ব বৃহৎ দেশ। আর্জেন্টিনার নাম ল্যাটিন শব্দ আর্জেন্টাম থেকে এসেছে। যার অর্থ সিলভার। যখন শুরুতে ইউরোপিয়ান লোক এই দেশে এসেছিলো তখন তারা ভেবেছিলো এই দেশ সিলভার দিয়ে ভর্তি। তাই তারা এই দেশের নাম আর্জেন্টিনা রেখেছিলো।
আর্জেন্টিনায় শিক্ষিতের হার অনেক বেশি। এই দেশে শিক্ষিত দের হার ৯৯%. পৃথিবীর শিক্ষিত দেশের লিস্ট এ এই দেশের নাম অনেক ওপরে ই থাকে। সেখানে ৫ বছর থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত সবাইকে স্কুলে যাওয়া বাধ্যতামূলক। আর্জেন্টিনায় লোকসংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৪৫ লক্ষ্। তারা সবাই স্পেনিশ ভাষায় কথা বলে। তাদের ধর্ম হলো খ্রীষ্টান।
আর্জেন্টিনা সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে ফুটবলের জন্য। এখানে রয়েছে ফুটবলের দুই মহান জাদুকর ম্যারাডোনা এবং মেসি। তাদের নাম জানে পাওয়া যাবে না এমন ফুটবল প্রেমিক খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর্জেন্টিনা দুইবার ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছে। ১৯৭৮ সালে প্রথম এবং ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয় ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছে। কিন্তু আপনি এটা জেনে অবাক হবেন, যে দেশ এতোটা ফুটবল প্রিয় সেই দেশের জাতীয় খেলা ফুটবল না। তাদের জাতীয় খেলার নাম পাতো, যেটা ঘোড়া দোর আর বাস্কেট বলের কম্বিনেশন। যেটা ঘোড়ার উপর বসে খেলতে হয়। কিন্তু এর পরেও ফুটবলের জনপ্রিয়তা এতটুকুও কমে নি। আর্জেন্টিনা ফুটবলের পাশাপাশি ট্যাংগোর জন্য বিখ্যাত। ট্যাংগো প্রথম শুরু হয়েছিল আর্জেন্টিনায়।
সেই দেশে ম্যারাডোনা নামে একটি চার্জ তৈরি করা হয়েছে। সেই দেশে মেসির ফ্যানরা নিজেদের বাচ্চার নাম মেসি নামে এতো পরিমান রেখেছে যে মেসির হোম টাউন রোজারিওতে মেসি নামটি ব্যান করে দিয়েছে সেই দেশের সরকার। আর্জেন্টিনায় বেশির ভাগ লোক ই গ্রামে থাকে। দক্ষিণ আমেরিকায় চিলির পর দ্বিতীয় ধনী দেশ আর্জেন্টিনা। এর কারণ হলো সেই দেশের কাজ করার লোকেরা অধিক প্রশিক্ষিত। দক্ষিণ আমেরিকায় দ্বিতীয় অর্থনৈতিক দেশ হলো আর্জেন্টিনা। এই দেশের বৃদ্ধি ক্রমশ বেড়েই চলছে। এই দেশের ২৫% ইনকাম ম্যানুফেক্ট্যুরিং থেকে আসে।
সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতেও আর্জেন্টিনা অনেক এগিয়ে রয়েছে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রথম আবিষ্কার হয় আর্জেন্টিনায়। এখনো পর্যন্ত সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে তাদের ৩ টি নোবেল পুরুস্কার আছে। আর্জেন্টিনার রেল বেবস্থা অনেক উন্নত এবং তাদের রেল লাইন পুরো ল্যাটিন আমেরিকায় সবচেয়ে বড়ো।
আর্জেন্টিনা দেশটি শান্তিতে বিশ্বাসী তাই তারা আজ পর্যন্ত কোনো হাতিয়ার বানায় নি। কিন্তু তারা ১৯৮০ সালে ই পরমাণু অস্ত্র বানাতে সক্ষম ছিল। আর্জেন্টিনা দক্ষিণ আমেরিকার এক মাত্র দেশ যেখানে সবচেয়ে অধিক পরিমান মুসলিম এবং য়ুহুদি বসবাস করে। ২০০১ সালে রাজনীতির কারণে মাত্র ১০ দিনের মধ্যে ৫ জন প্রেসিডেন্ট পরিবর্তন করা হয়েছে।
আর্জেন্টিনা মদ বানানোর জন্য বিখ্যাত। মদ বানানোর পাশাপাশি ওরা সেই মদ এক্সপোর্ট ও করে থাকে। ২০১৪ তে আর্জেন্টিনা ১ লক্ষ ৫৯ হাজার টন মদ এক্সপোর্ট করেছিল। সেখানকার লোকজনের বিয়ার এতো পছন্দ করে যে অনেকের নিজের পছন্দের বিয়ার ব্র্যান্ডও থাকে। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বীফ প্রডিউস করে আর্জেন্টিনা। প্রতি বছর ৩০ লক্ষ থেকে ৩৫ লক্ষ টন বীফ প্রডিউস করে তারা।
আর্জেন্টিনায় শিক্ষিতের হার অনেক বেশি। এই দেশে শিক্ষিত দের হার ৯৯%. পৃথিবীর শিক্ষিত দেশের লিস্ট এ এই দেশের নাম অনেক ওপরে ই থাকে। সেখানে ৫ বছর থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত সবাইকে স্কুলে যাওয়া বাধ্যতামূলক। আর্জেন্টিনায় লোকসংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৪৫ লক্ষ্। তারা সবাই স্পেনিশ ভাষায় কথা বলে। তাদের ধর্ম হলো খ্রীষ্টান।
আপনারা পড়ছেন আর্জেন্টিনা সম্পর্কে তথ্য
আর্জেন্টিনা সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে ফুটবলের জন্য। এখানে রয়েছে ফুটবলের দুই মহান জাদুকর ম্যারাডোনা এবং মেসি। তাদের নাম জানে পাওয়া যাবে না এমন ফুটবল প্রেমিক খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর্জেন্টিনা দুইবার ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছে। ১৯৭৮ সালে প্রথম এবং ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয় ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছে। কিন্তু আপনি এটা জেনে অবাক হবেন, যে দেশ এতোটা ফুটবল প্রিয় সেই দেশের জাতীয় খেলা ফুটবল না। তাদের জাতীয় খেলার নাম পাতো, যেটা ঘোড়া দোর আর বাস্কেট বলের কম্বিনেশন। যেটা ঘোড়ার উপর বসে খেলতে হয়। কিন্তু এর পরেও ফুটবলের জনপ্রিয়তা এতটুকুও কমে নি। আর্জেন্টিনা ফুটবলের পাশাপাশি ট্যাংগোর জন্য বিখ্যাত। ট্যাংগো প্রথম শুরু হয়েছিল আর্জেন্টিনায়।
সেই দেশে ম্যারাডোনা নামে একটি চার্জ তৈরি করা হয়েছে। সেই দেশে মেসির ফ্যানরা নিজেদের বাচ্চার নাম মেসি নামে এতো পরিমান রেখেছে যে মেসির হোম টাউন রোজারিওতে মেসি নামটি ব্যান করে দিয়েছে সেই দেশের সরকার। আর্জেন্টিনায় বেশির ভাগ লোক ই গ্রামে থাকে। দক্ষিণ আমেরিকায় চিলির পর দ্বিতীয় ধনী দেশ আর্জেন্টিনা। এর কারণ হলো সেই দেশের কাজ করার লোকেরা অধিক প্রশিক্ষিত। দক্ষিণ আমেরিকায় দ্বিতীয় অর্থনৈতিক দেশ হলো আর্জেন্টিনা। এই দেশের বৃদ্ধি ক্রমশ বেড়েই চলছে। এই দেশের ২৫% ইনকাম ম্যানুফেক্ট্যুরিং থেকে আসে।
সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতেও আর্জেন্টিনা অনেক এগিয়ে রয়েছে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রথম আবিষ্কার হয় আর্জেন্টিনায়। এখনো পর্যন্ত সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে তাদের ৩ টি নোবেল পুরুস্কার আছে। আর্জেন্টিনার রেল বেবস্থা অনেক উন্নত এবং তাদের রেল লাইন পুরো ল্যাটিন আমেরিকায় সবচেয়ে বড়ো।
আর্জেন্টিনা দেশটি শান্তিতে বিশ্বাসী তাই তারা আজ পর্যন্ত কোনো হাতিয়ার বানায় নি। কিন্তু তারা ১৯৮০ সালে ই পরমাণু অস্ত্র বানাতে সক্ষম ছিল। আর্জেন্টিনা দক্ষিণ আমেরিকার এক মাত্র দেশ যেখানে সবচেয়ে অধিক পরিমান মুসলিম এবং য়ুহুদি বসবাস করে। ২০০১ সালে রাজনীতির কারণে মাত্র ১০ দিনের মধ্যে ৫ জন প্রেসিডেন্ট পরিবর্তন করা হয়েছে।
আর্জেন্টিনা মদ বানানোর জন্য বিখ্যাত। মদ বানানোর পাশাপাশি ওরা সেই মদ এক্সপোর্ট ও করে থাকে। ২০১৪ তে আর্জেন্টিনা ১ লক্ষ ৫৯ হাজার টন মদ এক্সপোর্ট করেছিল। সেখানকার লোকজনের বিয়ার এতো পছন্দ করে যে অনেকের নিজের পছন্দের বিয়ার ব্র্যান্ডও থাকে। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বীফ প্রডিউস করে আর্জেন্টিনা। প্রতি বছর ৩০ লক্ষ থেকে ৩৫ লক্ষ টন বীফ প্রডিউস করে তারা।
তো এই ছিল আর্জেন্টিনা সম্পর্কে কিছু তথ্য।।
ফুটবলের দেশ কলম্বিয়া সম্পর্কে কিছু অজানা মজাদার তথ্য
Amazing facts about Colombia in Bengali
আজ আমরা দক্ষিণ আমেরিকার একটি দেশ কলোম্বিয়া সম্পর্কে কিছু অবাক করা তথ্য জানবো। কলোম্বিয়া দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর এ একটি দেশ যার নাম ক্রিস্টোফার কলম্বাস এর নাম অনুসারে রাখা হয়েছে। এই দেশটি স্বাধীনতা লাভ করেছে স্পেনের থেকে। কলোম্বিয়ার রাজধানী হলো ভাগোটা। এই দেশের বৃহত্তম শহর হলো দেশের রাজধানী ভাগোটা। কলোম্বিয়ার রাষ্ট্র ভাষা স্পেনিশ। কিন্তু কলোম্বিয়াতে প্রায় ষাট রকমের ভাষা ব্যবহার করা হয়।
কলোম্বিয়া একটি মাত্র দেশ যেখানে প্রশান্ত মহাসাগর এবং কেরিবিয়ান সাগর একসাথে মিলে গিয়েছে। কোলোম্বিয়াতে কোনো ঋতু নেই কারণ এই দেশ ভূমধ্য রাখা বরাবর , এখানে সারাবছর সূর্যের তাপ বেশি থাকে।
কোলোম্বিয়াতে প্রচুর পরিমানে প্রজাপতি পাওয়া যাই। বিশেষজ্ঞরা মনে করে সারা পৃথিবীর ৪০% প্রজাপতি এখানে পাওয়া যাই. কলোম্বিয়া সবচেয়ে দামি হীরা উৎপাদন করে থাকে।
কলোম্বিয়াতে ধূমপান প্রচুর পরিমানে করা হয়ে থাকে যার ফলে সেখানকার মানুষ ধূমপানের ফলে মারা যায়।
সেখানে ছেলেদের থেকে মেয়েরা ই বেশি প্রাধান্য পাই। কলোম্বিয়ার মেয়েরা পৃথিবীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। সেখানকার মেয়েরা পশুদের আপন করে নেয়। তাই বেশিরভাগ মেয়েরা ই পশুদের সাথে সময় কাটাতে ভালোবাসে।
কলোম্বিয়াতে এমন একটি নদী আছে যেখানে রামধনুর সাতটি রং দেখতে পাওয়া যাই. আসলে সেখানে একটি Rainbow Effect আছে, যাকে Water of Rainbow Effect বলা হয়ে থাকে। এই দেশের একটা বড় অংশ আমাজন জঙ্গলে ঘেরা।
এই দেশের একটি আইন হলো দেশের জাতীয় সংগীত প্রতিদিন সকল ৬টাই এবং সন্ধ্যা ৬ টাই টিভি এবং রেডিওতে চালানো হয়. এই দেশে পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো থিয়েটার ফেস্টিবল অনুষ্ঠিত হয়। এই দেশে ব্যাপক পরিমানে কোকাইন উৎপাদন করা হয় যা রপ্তানি করা হয় আমেরিকাতে। এই দেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৫ কোটি। ৫ কোটি জনসংখ্যায় ৯০% খিস্টিয়ান। পৃথিবীর সুখী দেশ গুলির একটি হলো কলোম্বিয়া।
এই দেশে সবচেয়ে বেশি প্রজাতির পাখি দেখতে পাওয়া যায়। কলোম্বিয়াকে পিঙ্ক অফ ডলফিন ও বলা হয়ে থাকে। কলোম্বিয়ার মহিলারা নিজেদের শরীর নিয়ে খুব এ সচেতন থাকে। কলোম্বিয়াতে বেশির ভাগ খাবারে চিনির পরিমান বেশি থাকে যার ফলে প্রায় সমস্ত খাবার ই মিষ্টি হয়ে থাকে। এছাড়াও কলোম্বিয়ার শহরের রাস্তায় ফল ও জুস্ এর দোকান পাওয়া যায়। সেখানকার মেয়েরা নাচ গান খুব ই পছন্দ করেন যার কারণে শাকিরা , সোফিয়ার মতো মেয়েরা আজ দুনিয়া মাতিয়ে রেখেছে। কলোম্বিয়ার রাজধানী ভাগোটা দেখতে খুব ই সুন্দর একটি শহর। সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা খুব ই উন্নত মানের, তবুও সেখানকার ধনী এবং গরিবের মধ্যে পাঠ্যক্য লক্ষ্য করা যায়। এই দেশের বৃহত্তম শহর হলো দেশের রাজধানী ভাগোটা। কলোম্বিয়াতে সমকামিতা বৈধ করে দিয়েছে সেই দেশের সরকার। কলোম্বিয়ার নীতিবাক্য হলো Liverty & Order.
ফুটবল এর সাথে কলোম্বিয়ার সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ট। এখানকার মানুষরা ফুটবল প্রেমী। আন্তর্জাতিক ফিফা রাঙ্কিং এ কলোম্বিয়া ১৬ তম। কলোম্বিয়া প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১৯৩৮ সালে মেক্সিকোর বিপরীতে। বর্তমানে কলোম্বিয়া টিমে অনেক তারকা প্লেয়ার রয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববাসী কলোম্বিয়া কে চিনে পপ ষ্টার শাকিরার কারণে। ২০০৬ এবং ২০১০ সালের বিশ্বকাপ এর মাঠের বাইরের তারকা ছিলেন শাকিরা।
কলোম্বিয়া একটি মাত্র দেশ যেখানে প্রশান্ত মহাসাগর এবং কেরিবিয়ান সাগর একসাথে মিলে গিয়েছে। কোলোম্বিয়াতে কোনো ঋতু নেই কারণ এই দেশ ভূমধ্য রাখা বরাবর , এখানে সারাবছর সূর্যের তাপ বেশি থাকে।
কোলোম্বিয়াতে প্রচুর পরিমানে প্রজাপতি পাওয়া যাই। বিশেষজ্ঞরা মনে করে সারা পৃথিবীর ৪০% প্রজাপতি এখানে পাওয়া যাই. কলোম্বিয়া সবচেয়ে দামি হীরা উৎপাদন করে থাকে।
কলোম্বিয়াতে ধূমপান প্রচুর পরিমানে করা হয়ে থাকে যার ফলে সেখানকার মানুষ ধূমপানের ফলে মারা যায়।
সেখানে ছেলেদের থেকে মেয়েরা ই বেশি প্রাধান্য পাই। কলোম্বিয়ার মেয়েরা পৃথিবীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। সেখানকার মেয়েরা পশুদের আপন করে নেয়। তাই বেশিরভাগ মেয়েরা ই পশুদের সাথে সময় কাটাতে ভালোবাসে।
কলোম্বিয়াতে এমন একটি নদী আছে যেখানে রামধনুর সাতটি রং দেখতে পাওয়া যাই. আসলে সেখানে একটি Rainbow Effect আছে, যাকে Water of Rainbow Effect বলা হয়ে থাকে। এই দেশের একটা বড় অংশ আমাজন জঙ্গলে ঘেরা।
এই দেশের একটি আইন হলো দেশের জাতীয় সংগীত প্রতিদিন সকল ৬টাই এবং সন্ধ্যা ৬ টাই টিভি এবং রেডিওতে চালানো হয়. এই দেশে পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো থিয়েটার ফেস্টিবল অনুষ্ঠিত হয়। এই দেশে ব্যাপক পরিমানে কোকাইন উৎপাদন করা হয় যা রপ্তানি করা হয় আমেরিকাতে। এই দেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৫ কোটি। ৫ কোটি জনসংখ্যায় ৯০% খিস্টিয়ান। পৃথিবীর সুখী দেশ গুলির একটি হলো কলোম্বিয়া।
এই দেশে সবচেয়ে বেশি প্রজাতির পাখি দেখতে পাওয়া যায়। কলোম্বিয়াকে পিঙ্ক অফ ডলফিন ও বলা হয়ে থাকে। কলোম্বিয়ার মহিলারা নিজেদের শরীর নিয়ে খুব এ সচেতন থাকে। কলোম্বিয়াতে বেশির ভাগ খাবারে চিনির পরিমান বেশি থাকে যার ফলে প্রায় সমস্ত খাবার ই মিষ্টি হয়ে থাকে। এছাড়াও কলোম্বিয়ার শহরের রাস্তায় ফল ও জুস্ এর দোকান পাওয়া যায়। সেখানকার মেয়েরা নাচ গান খুব ই পছন্দ করেন যার কারণে শাকিরা , সোফিয়ার মতো মেয়েরা আজ দুনিয়া মাতিয়ে রেখেছে। কলোম্বিয়ার রাজধানী ভাগোটা দেখতে খুব ই সুন্দর একটি শহর। সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা খুব ই উন্নত মানের, তবুও সেখানকার ধনী এবং গরিবের মধ্যে পাঠ্যক্য লক্ষ্য করা যায়। এই দেশের বৃহত্তম শহর হলো দেশের রাজধানী ভাগোটা। কলোম্বিয়াতে সমকামিতা বৈধ করে দিয়েছে সেই দেশের সরকার। কলোম্বিয়ার নীতিবাক্য হলো Liverty & Order.
ফুটবল এর সাথে কলোম্বিয়ার সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ট। এখানকার মানুষরা ফুটবল প্রেমী। আন্তর্জাতিক ফিফা রাঙ্কিং এ কলোম্বিয়া ১৬ তম। কলোম্বিয়া প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১৯৩৮ সালে মেক্সিকোর বিপরীতে। বর্তমানে কলোম্বিয়া টিমে অনেক তারকা প্লেয়ার রয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববাসী কলোম্বিয়া কে চিনে পপ ষ্টার শাকিরার কারণে। ২০০৬ এবং ২০১০ সালের বিশ্বকাপ এর মাঠের বাইরের তারকা ছিলেন শাকিরা।
তো এই ছিল কলম্বিয়া সম্পর্কে অজানা তথ্য।
Horror Movie Name List in Bengali | হরর মুভি লিস্ট
![](https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/f2d/1/16/1f3ac.png)
![](https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/f2d/1/16/1f3ac.png)
অনেক দর্শক বন্দুরা আছেন যারা হরর মুভি দেখতে পছন্দ করেন, মূলত তাদের জন্য কিছু হরর মুভির নাম নিচে দেওয়া হলো।
➨হলিউড মুভির তালিকাঃ
1. The Shining (1980)
2. Get Out (2017)
3. The Exorcist (1973)
4. Rosemary's Baby (1968)
5. Let the Right One In (2008)
6. Evil Dead II (1987)
7. A Nightmare on Elm Street (1984)
8. Annabelle (2014)
9. The Evil Dead (1981)
10. The Others (2001)
11. Psycho (1960)
12. Alien (1979)
13. The Witch (2016)
14. Poltergeist (1982)
15. The Descent (2005)
16. The Conjuring 2 (2016)
17. 28 Days Later... (2002)
18. The Ring (2002)
19. The Texas Chainsaw Massacre (2003)
20. IT (2017)
21. Green Room (2015)
22. The Cabin in the Woods (2012)
23. The Blair Witch Project (1999)
24. Orphan (2009)
25. Antichrist (2009)
26. It Follows (2014)
27. Halloween (2007)
28. Priest (2011)
![Horror Movie Name List in Bengali Horror Movie Name List in Bengali](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiQK8juyJ6yRPed7paYFRSYmcF0j8iw17xVp1oeSamxGQNVKl-HiFJ6wQINeNY7Qp0cjQkl9J6Dv1bObUUdYVyqkw_hYLO66_VNIOJp7ln4vw6WKaKyKAO8LunkXm0xrdL1-mRxdDhxD83l/w200-h112/image.jpg)
30. The Mist (2007)
31. The Autopsy of Jane Doe (2016)
32. Insidious (2010) (Series)
33. Lights Out (2016)
34. Hostel (2005)
35. Dead Silence (2007)
36. Trick 'r Treat (2007)
37. Devils Whisper (2017)
38. The Other Side Of The Door (2016)
39. Jinn (2014)
40. Annabelle: Creation (2017)
41. The Purge (2013)
42. The Conjuring (2013)
43. Child's Play (1988) (Series)
44. The House of the Devil (2009)
45. The Woman in Black 2: Angel of Death (2014)
46. The Haunting in Connecticut 2: Ghosts of Georgia (2013)
47. The Devil Inside (2012)
48. The Forest (2016)
49. You're Next (2011)
50. Eden Lake (2008)
51. Sinister (2012)
52. Don't Knock Twice (2016)
53. Shaun of the Dead (2004)
54. May (2002)
55. The Eye (2002)
56. The Exorcism of Emily Rose (2005)
57. Silent Hill (2006)
58. Scream (1996) (Series)
59. The Human Centipede (First Sequence) (2009)
60. Insidious: Chapter 2 (2013)
61. Mirrors (2008) 6.2
62. Evil Dead (2013) 6.2
63. Mirrors (2008) 6.2
64. Drag Me to Hell (2009)
65. Room 237 (2013)
66. Carrie (2013)
67. The Strangers (2008)
68. I Know What You Did Last Summer (1997) (Series)
69. Maggie (2015)
70. Under The Shadow (2016)
71. Hush (2016)
72. The Others (2001)
73. The Poughkeepsie Tapes (2007)
74. Raw (2016)
75. The Witch (2015)
76. Grave Encounters (2011)
77. The Women in Black (2012)
78. Strange Circus (2005)
79. Morgan (2016)
80. 1408 (2007)
81. The Thing (1982)
82. The Haunting (1963)
83. The Last Exorcism (2010)
84. Friend Request (2016)
85. The Bell Witch Haunting (2013)
86. Ouija: Origin of Evil (2016)
87. Cannibal Holocaust (1980)
88. 10 Cloverfield Lane (2016)
89. Saw (2004) (Series)
90. Final Destination (2000) (Series)
91. Wrong Turn (2003) (Series)
➨ বলিউড মুভির তালিকাঃ
- Raat (1992)
- 6-5=2 (2013)
- 13 B
- 3 AM (2014)
- 1920 (Series)
- Bhoot (2003)
- Darna Mana Hai (2003)
- Veerana (1988)
- 100 Days (1991)
- Haunted 3D
- Darr The Mall
- Ek Thi Daayan
- Horror Story (2013)
- Bhool Bhulaiyaa (2007)
- Shaapti: The Cursed (2010)
- Raaz Series
➨কোরিয়ান মুভির তালিকাঃ
1. Memento Mori (1999)
2. Phone (2002)
3. Bedevilled (2010)
4. Hansel & Gretel (2007)
5. Thrist (2009)
6. Bloody Reunion (2006)
7. Voice (2005)
8. The Host (2006)
9. Wishing Stairs (2003)
10. Into The Mirror (2003)
11.A tale of two Sisters (2003)
12. Death Bell (2008)
13. Epitaph (2০07)
14. A Blood Pledge (2009)
15. 3 Extremes II (2002)
16. Three… Extremes (2004)
17. Killer Toon (2013)
18. The Wailing (2016)
19. Possessed (2009)
1. Magi
2. Dabbe Series
3. Siccin Series
4. Cin Kuyusu
5. Kucuk Kiyamet (2006)
6. Musallat (2007)
7. El- Cin (2013)
8. Reminiscence: The Biginning (2014)
9. Munafik (2015)
10. Azap (2015)
➨জাপানিজ মুভির তালিকাঃ
1. The Grudge (Series)
2. The Ringu
3. Onibaba (1964)
4. Tomie (1999)
5. Audition (1999)
6. Ju-on: The Curse (2000)
7. Spiral (2000)
8. Suicide Club (2001)
9. Dark Water (2002)
10. Reincarnation (2005)
11. Noroi: The Curse (2005)
12. Kairo (2001)
➨অন্যান্যঃ
1. Goodnight Mommy (Austrian)
2. Suspiria (Italy)
3. Sleep Tight (Spanish)
4. The BabaDook (Australian)
5. High Tension (France)
6. The Eye (Hong Kong)
7. Mama (2013) (Spanish)
8. The Orphanage (Spanish)
9. Let The Right One In (Sweden)
10. Shutter (Thailand)
11. Rec (Spanish)
12. Inside (France)
13. Julia’s Eyes (Spanish)
14. The House at the End of Time (Venezuela)
15. Rigor Mortis (Hong Kong)
16. Macabre (Indonesian)
17. Inner Sense (Hong Kong)
18. Nang Nak (Thailand)
19. The Loved Ones (Australia)
20. Dumplings (Hong Kong)
21. The Maid (Singaporean)
22. The Devil’s Backbone (Spanish)
23. Alone (Thailand)
🎬
Superstar Dev
সুপারস্টার দেব
দেব কলকাতার অন্যতম বড় সুপারস্টার । যার প্রায় প্রতিটি মুভিই হিট এর তাকমা পেয়েছে । অভিনেতা হিসেবে দেব কেমন এবং তার মুভি গুলোই কেমন সেই সমস্ত কথায় যাওয়ার আগে, আমি আগে এবং পরে দেব কে নিয়ে কি ভাবি তা নিয়ে একটু বলি । দেব এর ফাস্ট মুভি অগ্নিশপথ সেই মুভি ফ্লপ করে এবং এর পর তার দ্বিতীয় মুভি আই লাভ ইউ আর এই মুভি হিট হওয়ার পর তাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হইনি । কিন্তু সেসময় দেব যতই সফল থাকুক না কেন তাকে আমার একদমই ভাল লাগতনা বরং তার অভিনয় দেখে তাকে ন্যাকা ষষ্টি মনে হত । একে তো ন্যাকা ষষ্টি তার উপর আবার সাউথ রিমেক যার কারনে ওর মুভি কখনো মজা করেই দেখতাম না ইচ্ছে তো দূরের কথা । হটাত একদিন চ্যানেল ঘাটতে যেয়ে দেবের চ্যাম্প মুভি টা সামনে পড়লো ফাস্টয়ে দেখতে ইচ্ছে হইনি কিন্তু পরে মনে হল দেখি বান্দা আবার কোন মুভি থেকে ঝেড়ে দিল । মভিটা কিছুক্ষণ দেখার পর মনে হল আর একটু দেখি এভাবে পুরো মুভি টাই দেখলাম দেখে বেশ ভাল লাগলো। মুভির কনসেপ্ট টা যে একদম ইউনিক কিছু তেমন টা না এরকম অনেক মুভিই আছে । কিন্তু আমার যে বিষয়টা ভাল লেগেছে তা হল এক তো সে হুবুহু কোন মুভি থেকে কপি করেনি , আর দ্বিতীয় সে কিছু নতুন করার চেষ্টা করেছে ,যা ওর সমসাময়িকরা বলতে গেলে একদমই করে না । সেই দিক দিয়ে দেখলে ওর প্রতি একটা আলাদা সম্মান চলে আসে । যে সে তার comfort zone থেকে বাইরে এসে মুভিটা করেছে । এর পর থেকে দেব এর প্রতি কিছুটা expectation কাজ করছিল যে ওর কাছ থেকে বেটার কিছু পাব , আর তারই ধারাবাহিকতায় আমাজন অভিযান , ককপিট , এবং কাবির এর মত এক অসাধারণ মুভি সে দিয়েছে । কাবির মুভিটা তে দেব এত সুন্দর করে কাজ করেছে যে তার তুলনা পুরো বাংলাতে নেই । ভারত এবং আমাদের দেশের প্রধান সারির নায়করা যখন সাউথ এর বস্তা পচা রিমেক নিয়ে ব্যাস্ত তখন দেব এর কাবির এর মত মুভি করে এগিয়ে যাওয়াটা সত্যিই প্রশংসার পাওয়ার যোগ্য । কাবির মুভিতে শুরু থেকে যেভাবে একটা সাসপেন্স বজায় রেখেছে আর লাস্ট এ যখন ঘটনা রিভিল হয় সত্যি খুব দারুন লাগে । আর দেব এর এমন সমস্ত কাজের জন্য প্রশংসার দাবিদার , যে সে মুভির content and concept দেখে মুভি করছে সেটা অনবদ্য । আর আমার মতে দেব নিঃসন্দেহে একজন অসাধারণ অভিনেতা যিনি দিন কে দিন নিজে কে ভেঙে আবার নতুন করে গড়ে চলেছেন ।
![]() |
Dev |
দেব কলকাতার অন্যতম বড় সুপারস্টার । যার প্রায় প্রতিটি মুভিই হিট এর তাকমা পেয়েছে । অভিনেতা হিসেবে দেব কেমন এবং তার মুভি গুলোই কেমন সেই সমস্ত কথায় যাওয়ার আগে, আমি আগে এবং পরে দেব কে নিয়ে কি ভাবি তা নিয়ে একটু বলি । দেব এর ফাস্ট মুভি অগ্নিশপথ সেই মুভি ফ্লপ করে এবং এর পর তার দ্বিতীয় মুভি আই লাভ ইউ আর এই মুভি হিট হওয়ার পর তাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হইনি । কিন্তু সেসময় দেব যতই সফল থাকুক না কেন তাকে আমার একদমই ভাল লাগতনা বরং তার অভিনয় দেখে তাকে ন্যাকা ষষ্টি মনে হত । একে তো ন্যাকা ষষ্টি তার উপর আবার সাউথ রিমেক যার কারনে ওর মুভি কখনো মজা করেই দেখতাম না ইচ্ছে তো দূরের কথা । হটাত একদিন চ্যানেল ঘাটতে যেয়ে দেবের চ্যাম্প মুভি টা সামনে পড়লো ফাস্টয়ে দেখতে ইচ্ছে হইনি কিন্তু পরে মনে হল দেখি বান্দা আবার কোন মুভি থেকে ঝেড়ে দিল । মভিটা কিছুক্ষণ দেখার পর মনে হল আর একটু দেখি এভাবে পুরো মুভি টাই দেখলাম দেখে বেশ ভাল লাগলো। মুভির কনসেপ্ট টা যে একদম ইউনিক কিছু তেমন টা না এরকম অনেক মুভিই আছে । কিন্তু আমার যে বিষয়টা ভাল লেগেছে তা হল এক তো সে হুবুহু কোন মুভি থেকে কপি করেনি , আর দ্বিতীয় সে কিছু নতুন করার চেষ্টা করেছে ,যা ওর সমসাময়িকরা বলতে গেলে একদমই করে না । সেই দিক দিয়ে দেখলে ওর প্রতি একটা আলাদা সম্মান চলে আসে । যে সে তার comfort zone থেকে বাইরে এসে মুভিটা করেছে । এর পর থেকে দেব এর প্রতি কিছুটা expectation কাজ করছিল যে ওর কাছ থেকে বেটার কিছু পাব , আর তারই ধারাবাহিকতায় আমাজন অভিযান , ককপিট , এবং কাবির এর মত এক অসাধারণ মুভি সে দিয়েছে । কাবির মুভিটা তে দেব এত সুন্দর করে কাজ করেছে যে তার তুলনা পুরো বাংলাতে নেই । ভারত এবং আমাদের দেশের প্রধান সারির নায়করা যখন সাউথ এর বস্তা পচা রিমেক নিয়ে ব্যাস্ত তখন দেব এর কাবির এর মত মুভি করে এগিয়ে যাওয়াটা সত্যিই প্রশংসার পাওয়ার যোগ্য । কাবির মুভিতে শুরু থেকে যেভাবে একটা সাসপেন্স বজায় রেখেছে আর লাস্ট এ যখন ঘটনা রিভিল হয় সত্যি খুব দারুন লাগে । আর দেব এর এমন সমস্ত কাজের জন্য প্রশংসার দাবিদার , যে সে মুভির content and concept দেখে মুভি করছে সেটা অনবদ্য । আর আমার মতে দেব নিঃসন্দেহে একজন অসাধারণ অভিনেতা যিনি দিন কে দিন নিজে কে ভেঙে আবার নতুন করে গড়ে চলেছেন ।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন