Knowledge is Power 😎

যুক্তরাজ্য সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য | United Kingdom Unknown Facts

কোন মন্তব্য নেই

 

যুক্তরাজ্য সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য

যুক্তরাজ্য বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এবং জনপ্রিয় একটি অঞ্চল।  ইউনাইটেড কিংডম গ্রেট ব্রিটেন এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড কে নিয়ে গঠিত। অনেকে গ্রেট ব্রিটেন এবং ইউনাইটেড কিংডমকে একই অঞ্চল মনে করে। কিন্তু গ্রেট ব্রিটেন এর মধ্যে উত্তর আয়ারল্যান্ড অন্তর্ভুক্ত নেই। একসময় ইতিহাসের বৃহত্তম বিশ্বশক্তি ছিল এই ইউনাইটেড কিংডম। সমগ্র বিশ্বে তারা উপনিবেশ স্থাপন করেছিল। বর্তমানের অনেক আধুনিক ইউরোপ একসময় মহান ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। 


ইউনাইটেড কিংডম বিশ্বের অনেক দেশের সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করেছে। এই জন্যই মূলত বিভিন্ন সময়কালে আমেরিকা, আফ্রিকা এবং এশিয়াকে অঞ্চলে তাদের সংস্কৃতি লক্ষ্য করা যায়। যুক্তরাজ্যের দীর্ঘ ইতিহাস থেকে জানা যায় সারা বিশ্বে তাদের উপস্থিতির কথা। এই যুক্তরাজ্যে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েদের দেখতে পাওয়া যায়। লন্ডনের রাস্তায় মেয়েদের ছোট ছোট ড্রেস পড়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।


হ্যালো বন্ধুরা! আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা জানবো যুক্তরাজ্য বা ইউনাইটেড কিংডম সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য। আপনি যদি যুক্তরাজ্য সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনারই জন্য। আশা করি আপনার ভালো লাগবে।


সর্বপ্রথম চায়ের পরিচিতি শুরু হয় যুক্তরাজ্যে


পশ্চিমা দেশ গুলির মধ্যে সবচেয়ে প্রথম চা পান করার সংস্কৃতি শুরু হয় এই যুক্তরাজ্যে।  চা প্রাথমিকভাবে পর্তুগিজদের দ্বারা ব্রিটিশ রাজপরিবারের সাথে পরিচিত হয়েছিল। প্রথমদিকে, চা শুধুমাত্র ধনী নাগরিকদের কাছেই সহজলভ্য ছিল, কারণ এর উৎপাদন ও চালানের খরচ অনেক বেশি ছিল। সময়ের সাথে সাথে বহু সংখ্যক মানুষ চা উৎপাদন শুরু করে। বর্তমানে চা সেখানে ছোট থেকে বড়ো সবার কাছেই সমান জনপ্রিয়। যুক্তরাজ্যের চা বিভিন্ন দেশে একটি মূল্যবান পণ্য হয়ে উঠেছে। তাই যুক্তরাজ্যের স্থানীয় চা কোম্পানিগুলি তাদের পণ্য বিশ্বজুড়ে রপ্তানি করে। 


লন্ডন বিশ্বের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় শহরগুলির মধ্যে একটি


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শহরের পর  লন্ডনকে দ্বিতীয় বৈচিত্র্যময় শহর হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। ভাল চাকরি বা জীবনযাত্রার মান উন্নত হওয়ার জন্য লন্ডনে ইমিগ্রান্টের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে বহু সংখ্যক আন্তর্জাতিক নাগরিক এই লন্ডন শহরে বসবাস করে। এই জন্য লন্ডন বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর। সেখানে বিভিন্ন ধরণের সংস্কৃতি খুঁজে পাওয়া যায়। বিশেষ করে জামা কাপড় এবং খাবারে তা লক্ষ্য করা যায়।


বিশ্বের প্রাচীনতম মানবসৃষ্ট কাঠামোগুলির একটি যুক্তরাজ্যে রয়েছে 


যখন মিশরের মহান পিরামিডগুলি হাজার হাজার বছর আগে আবিষ্কৃত হয়েছিল, তখন যুক্তরাজ্যের গবেষকরা নির্ধারণ করেছেন যে সেখানকার বিখ্যাত স্টোনহেঞ্জ মনোমেন্ট মিশরের পিরামিড গুলি থেকেও বেশি পুরোনো।  স্টোনহেঞ্জ হল নিওলিথিক যুগে আনুষ্ঠানিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত বড় পাথরের একটি স্থাপনা। এই কাঠামোটি প্রায় 6000 বছর আগে তৈরি হয়েছিল বলে জানা যায়। এটি সেরা-সংরক্ষিত ঐতিহাসিক মানবসৃষ্ট কাঠামোগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়।


বিশ্বের সবচেয়ে সেরা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এই যুক্তরাজ্যে


ইউনাইটেড কিংডমে গবেষণার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অনেক বেশি মর্যাদাপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ছাত্রছাত্রীদের বিষয়ে কোর্স অফার করে। যুক্তরাজ্য আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের অধ্যয়নের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্যস্থল। বিশ্ব ইতিহাস জুড়ে তাদের তাৎপর্যের কারণে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দীর্ঘস্থায়ী খ্যাতি রয়েছে। 


যুক্তরাজ্যে রাজকীয় বিবাহের সময় প্রত্যেকে এক দিন ছুটি পায়


যুক্তরাজ্য সরকারের প্রধান প্রতীক হল রাজপরিবার। ইংল্যান্ডের রাজা বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তিদের একজন। তবে, তিনি যে শুধুমাত্র সরকারের জন্য অনেক সিদ্ধান্ত নেন এমন না বিশ্বের বহু দেশে রাজার প্রভাব সমান ভাবে লক্ষ্য করা যায়। সেখানে রাজকীয় বিবাহের দীর্ঘ ঐতিহ্যের ইভেন্টগুলিকে প্রধান সরকারি ছুটির দিন হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এই রাজকীয় বিবাহ টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হয় এবং বিশ্বের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিকে এই বিশাল অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।


যুক্তরাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভারতীয় খাবারের রেসিপি খুঁজে পাওয়া যায় 


ভারতীয় উপমহাদেশে যুক্তরাজ্যের দীর্ঘস্থায়ী উপনিবেশ থাকার কারণে সেখানকার রন্ধনপ্রণালীতে ভারতের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি রপ্তানি ইতিহাস জুড়ে জয়ে আসছে। ইউনাইটেড কিংডম অনন্য খাবার এবং ঐতিহ্যবাহী খাবারের জন্য পরিচিত। কিন্তু সাম্প্রতিককালে ভারতীয় রন্ধনপ্রণালী সেখানে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সেই জন্যে যুক্তরাজ্যে ভারতীয় রেস্তোরাঁগুলিসংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঠিক একইভাবে, ব্রিটিশ খাবার ভারতের মধ্যেও অনেক জনপ্রিয়। 


ক্রিকেট এবং ফুটবল দুটি খেলায় সমানভাবে জনপ্রিয় ইউনাইটেড কিংডমে


বিশ্বের মধ্যে এমন দেশ খুবই কমই রয়েছে যেখানে একসাথে ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলায় জনপ্রিয়। ইউনাইটেড কিংডম সমানভাবে ফুটবল এবং ক্রিকেট জনপ্রিয়। ক্রিকেটের ক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের যেমন অনেক ইতিহাস হয়েছে ঠিক তেমনি ফুটবলেও ইংল্যান্ডের অনেক ধনী ক্লাব রয়েছে। সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবল লিগ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ রয়েছে। এছাড়া ও ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড বিশ্বের অন্যতম ধনী এবং জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাব।। 


তো এই ছিল ইউনাইটেড কিংডম সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন