Knowledge is Power 😎

রেল লাইনের উপর জল জমা সত্ত্বেও ট্রেন চালক কিভাবে ট্রেন কে চালিয়ে নিয়ে যায়? Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

রেল লাইনের উপর জল জমা সত্ত্বেও ট্রেন চালক কিভাবে ট্রেন কে চালিয়ে নিয়ে যায়? ট্রেনের সামনে হঠাৎ কেউ চলে আসলে চালক ব্রেক মারে না কেনো? 

রেল লাইনের উপর জল জমা সত্ত্বেও ট্রেন চালক কিভাবে ট্রেন কে চালিয়ে নিয়ে যায়? ট্রেনের সামনে হঠাৎ কেউ চলে আসলে চালক ব্রেক মারে না কেনো? Bengali Gossip 24


আজ আমি আপনাদের ট্রেনের সাথে সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানাবো যা হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না। যেমন রেলওয়ে ট্রেক এর উপর যদি কেউ হঠাৎ এসে যায় তাহলে ট্রেনের চালক ব্রেক মারে না কেন? যেমনটা আপনারা হয়তো অনেকবার লক্ষ্য করে দেখেছেন যে কোনো পশু অথবা কোন মানুষ হঠাৎ ট্রেন লাইনের উপর দেখা গেলেও ট্রেনের চালক ব্রেক করে না অথবা গাড়ি থামায় না। সেই সাথে আপনার এটাও জানতে পারবেন রেলওয়ে ট্রেক এর উপর জল পড়ে গেলেও ড্রাইভার কিভাবে ট্রেন চালিয়ে নিয়ে যায়? এভাবে গাড়ি চালালে কি কোনো রিস্ক থাকেনা? তবে যদি আপনারা এই সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে চান তাহলে এই লেখাটি শেষ পর্যন্ত অবশ্যই পড়ে দেখবেন। 


তো চলুন প্রথমেই আমরা জেনে নিই যে রেলওয়ে ট্রেক এর উপর কাউকে দেখা সত্বেও ড্রাইভার গাড়ি থামায় না কেন? আপনারা হয়তো সকলেই লক্ষ্য করে দেখেছেন যে যখন আমরা রেলওয়ে ক্রসিং এর কাছে থাকি তখন সামনে দুটি গেট লাগানো থাকে এবং যখন ট্রেন আসে তখন ট্রেনের ফাটল বন্ধ হয়ে যায় যাতে সেই সময় কেউ লাইনের উপর না আসে। কিন্তু কিছু ওভার স্মার্ট ব্যক্তি গেট অতিক্রম করে রেল লাইনটি টপকানোর চেষ্টা করে। যার ফলে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে যায় কিন্তু আপনারা কি কখনো ভেবে দেখেছেন যখন ট্রেন চলে এবং তার সামনে থেকে কেউ আশা যাওয়া করে এবং চালক দেখা সত্ত্বেও ট্রেন থামায় না? এমনটা এই কারণে করা হয় যদি ট্রেনের সামনে কিছু আসে অথবা কাউকে দেখা যায় তাহলে ট্রেন থামানোর জন্য ট্রেনের লোকো পাইলটকে ইমার্জেন্সি ব্রেক মারতে হবে। এছাড়াও এক একটি ট্রেনে প্রায় 20/22 টি কামরা থাকে। যদি ট্রেন টি 100 কিলোমিটার গতিবেগে যাচ্ছে সেই মুহূর্তে ইমার্জেন্সি ব্রেক মারার জন্য অন্ততপক্ষে 850 মিটার দূরত্ব থাকা দরকার। এছাড়াও যদি সামনে আগত গাড়িটি পুরোপুরি ভর্তি থাকে এবং এই গাড়িটি ঘণ্টায় 80 কিলোমিটার গতিবেগে সামনের দিকে আসে তাহলে সেক্ষেত্রে ইমার্জেন্সি ব্রেক মারার জন্য কমপক্ষে এক কিলোমিটার দূরত্ব থাকা দরকার। এছাড়াও ওই এত দূর থেকে সামনে থাকা জিনিস কে দেখতে অসুবিধা হয় এবং ট্রেনের লাইন টি কিছুটা মোরা থাকে তাহলে 500 মিটার দূরত্ব থেকে দেখা খুবই কঠিন। তাই লোকো পাইলট যখন সামনে কোন জিনিস দেখে তখন তার দূরত্ব খুবই কম থাকে। এই কারণে লোকো পাইলট ট্রেন কে থামায় না। তার কাছে হর্ন ই একমাত্র ভরসা যাকে বাজিয়ে মানুষকে সতর্ক করে দেয়। 


তো এবার জেনে নেওয়া যাক রেল লাইনের উপর জল ভর্তি হয়ে যাওয়া সত্বেও কিভাবে ট্রেন চালক ট্রেন কে চালিয়ে নিয়ে যায়? মুম্বই, কলকাতা, দিল্লী এবং চেন্নাই তে বৃষ্টি হলেই এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে এটা যেকোনো জায়গায় হতে পারে। যদি রেলওয়ে ট্রেকের উপর জল জমে যায় তখন ট্রেন কে অত্যন্ত ধীরগতিতে চালিয়ে নিয়ে যায়। আসলে ট্রেক বদলানোর জন্য যে পয়েন্টগুলো থাকে তাকে ম্যানুয়ালি লক করে দেয়া হয়। ফলে ট্রেন গুলি লাইন পরিবর্তন না করে সোজাসুজি চলতে থাকে। সোজাসুজি মানে ধীর গতির ট্রেন কেবল মাত্র ধীর গতির লাইন দিয়েই চলবে, দ্রুত গতির ট্রেন শুধুমাত্র দ্রুত গতির লাইন দিয়েই চলবে। আসলে রেলওয়ে ট্রেক এর উপর জল ভর্তি হয়ে গেলে ট্রেক সার্কিট ফেল হয়ে যায় এবং সেই সাথে মইন সিগন্যাল ও বন্ধ হয়ে যায় কিন্তু অটোমেটিক সিগনাল থেকে প্রত্যেক ব্যক্তি সিগনাল পোস্টে সিগনাল লাগানো থাকে এবং যার ফলে কেবল মাত্র 15 কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে চলে। ফলে কোনো রিস্ক থাকে না। 


এবার আপনাদের জানার সুবিধার্থে ভারতীয় রেলের সম্বন্ধে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়ে দিই, যা হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না। যেগুলো আপনাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জীবনযাপনে অনেকটাই সাহায্য করবে। আপনাদের বলে দিই যে ভারতের সর্বপ্রথম রেলওয়ে স্টেশন হলো ছাত্রপতি শিবাজি রেলওয়ে স্টেশন। 1853 খ্রিস্টাব্দের 16 এপ্রিল প্রথমবারের মতো রেল পরিবহন শুরু হয়েছিল। ভারতের প্রথম প্যাসেঞ্জার ট্রেন মহারাষ্ট্র থেকে মুম্বাইয়ের থানে পর্যন্ত প্রায় 35 কিলোমিটার রাস্তা যাত্রা করেছিল এবং এই যাত্রা সম্পন্ন করতে প্রায় 45 মিনিট সময় লেগেছিল সেই ট্রেনটিতে 14 টি কামরা এবং 400 জন যাত্রী ছিল। এটি ব্রিটিশ গভর্নর লর্ড ডালহৌসির সময়কালে চালানো হয়েছিল। এই কারণেই 16 এপ্রিল দিনটিতে ভারতীয় রেল পরিবহন দিবস পালন করা হয়। এছাড়াও আপনারা হয়তো সকলেই জানেন যে ভারতীয় রেল ব্যবস্থা এশিয়ার সবথেকে বৃহত্তম রেল ব্যবস্থা। সেই সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়ার পর ভারতীয় রেল নেটওয়ার্ক বিশ্বের চতুর্থ সবথেকে বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক। এছাড়াও ভারতীয় রেলওয়ে পৃথিবীর সবথেকে উচ্চতম রেলওয়ে ব্রিজ বানানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের চেনাব নদীর উপর তৈরি করা হবে যার উচ্চতা হবে আইফেল টাওয়ার এর থেকেও বেশি এবং আপনারা কি জানেন ভারতীয় রেলওয়ে এক দিনে কতটা দূরত্ব যাত্রা করে? যেটা শুনে আপনারা হয়তো অবাক হয়ে যাবেন এবং সেই দূরত্ব হলো পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের প্রায় 8 গুণ বেশি। এছাড়াও ভারতীয় রেলওয়ে ইউনেস্কো থেকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের খেতাব অর্জন করেছে আর সেটি হলো দার্জিলিং এর হিমালয় স্টেশন। 


তো এই ছিলো ভারতীয় রেল লাইন সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য। 


কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন