Knowledge is Power 😎

জো বাইডেন সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নিন I Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য 

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য


আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য প্রায় 50 বছরের রাজনৈতিক জীবন তার। হোয়াইট হাউসে যাওয়ার যে স্বপ্ন বহুদিন থেকে লালন করে আসছেন সেই স্বপ্নের পথে এখনো লড়াইয়ে লিপ্ত। 1987 সালে একবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার জন্য মাঠে নামেন। ডেমোক্র্যাট দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন, কিন্তু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে তিনি অন্যের লেখা চুরি করে নিজের নামে চালিয়ে যাচ্ছেন। এই অভিযোগের সূত্র ধরে আরেকটা অভিযোগ সামনে আনা হয়। ছাত্র জীবনের একটি ঘটনা যখন তিনি আইনের ছাত্র হিসেবে তার সাইটেশন পেপারে আরেকজনের লেখা হুবহু ব্যবহার করেছিলেন। তিনি তখন বলেছিলেন সেটা যে নিয়ম বহির্ভূত তা তিনি জানতেন না। এমন অসততার অভিযোগ আনা বলে তিনি প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন। পরে তার এক বন্ধুকে বলেছিলেন "ওই ঘটনা টা আমাকে একটু একটু করে যন্ত্রণা দিয়েছে। সবসময় আমি নিজেকে একজন সৎ মানুষ হিসেবে মনে করেছি। এই জায়গা টায় আমি বিরাট ধাক্কা খেয়েছি"। 


আরেক জায়গায় তিনি লিখেছেন  "আমি নিজের উপর রাগ আর হতাশায় ভুগছি। আমেরিকার মানুষকে আমি কিভাবে বোঝাবো  যে এটা আসল পরিচয় নয় আমার। এটা শুধু আমার একটা মস্ত ভুল"। 


এরপর স্বজনহারানো স্ত্রী-পুত্রকে হারানো, নিজের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ সহ নানা সংকটে আর 20 বছর নিজের সঙ্গে সংগ্রাম করেছেন বাইডেন। এর মাঝে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়ে গিয়েছেন তার থেকে বয়সে ছোটো অনেকেই। যেমন বিল ক্লিনটন, জর্জ বুশ, বারাক ওবামা এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। 


2008 সালে দলীয় মনোনয়ন দৌড়ে নামেন। তবে বারাক ওবামার সঙ্গে পেরে ওঠেননি। যদিও বারাক ওবামা তাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট করে নেন। এরপর 2016 সালের নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন পাননি। হিলারি ক্লিনটনের কাছে হেরে যান। আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প। 


কিন্তু হাল ছাড়েননি জো বাইডেন। তার স্বপ্ন ছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবেন। অবশেষে 2020 সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন লাভ করেন। সেখানেও অনিশ্চয়তা ছিল। জয় লাভ করতে করতেই যেন হেরে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে তিনি মনোনয়ন পেয়ে যান। 


এমনি হাল না ছাড়া মানুষ জো বাইডেন।  মানুষের স্বপ্ন কিভাবে লালন করতে পারে দীর্ঘ সময় ধরে তা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। জো বাইডেন প্রায়ই একটা কথা বলতেন, "বাবার একটা কথা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা। কে তোমাকে কতবার ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো সেটা বড় কথা নয়। কত দ্রুত তুমি উঠে দাঁড়াতে পারলে মানুষ হিসাবে  সেটাই হবে তোমার সাফল্যের পরিচয়"। 


1990 এর দশকে জো বাইডেনের সহকর্মী বলেছেন বাইডেন কখনো হাল হারে না। দরকার না হলেও তার কাজ সে  করেই যায়। অনেকের মতে বাইডেন অনেক প্রতিকূলতা কাটিয়ে দীর্ঘদিন টিকে থাকা একজন ব্যক্তি। এমন সংগ্রামমুখর যার জীবন এমন সুন্দর কথা তিনি বলেন তারই হওয়া উচিত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। কিন্তু পৃথিবীর দুর্ভাগ্য যে সারা বিশ্ব এখন প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতিকদের দখলে। যেখানে  ডোনাল্ড ট্রাম্প, শি জিংপিং, নরেন্দ্র মোদী, কিম জং উন এবং এমুয়েল ম্যাক্রোন শাসন করছেন সেখানে হয়তো বাইডেন বেমানান। কিন্তু পৃথিবীর উচিত জো বাইডেন এবং জাস্টিন ট্রুডো এঁদের দিকে ধাবিত হওয়া। 


পৃথিবীর প্রকৃতি হল উদারতার সহনশীলতার এবং নম্রতার। আমরা ডোনাল্ড ট্রাম্প কে নিয়ে স্রেফ মজা করি। জোকার হিসেবে বেশ মজাদার। কিন্তু সমর্থন জো বাইডেনের দিকেই থাকে। ভালো-মন্দ সবার থাকে। তবে জো বাইডেন ডিসার্ভ করে। যদিও আমেরিকার জনগণ ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো জোকার কেই পছন্দ করবে। 


তো এই ছিল আমেরিকার পরবর্তী রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সম্পর্কে কিছু তথ্য । 

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন