Knowledge is Power 😎

তানজানিয়া দেশের চমকপ্রদ তথ্য | Tanzania Unknown Facts

কোন মন্তব্য নেই

 

তানজানিয়া দেশের চমকপ্রদ তথ্য

তানজানিয়া পূর্ব আফ্রিকার গ্রেট লেক অঞ্চলে অবস্থিত একটি দেশ। প্রায় 945,087 বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে অবস্থিত তানজানিয়া মোট আটটি দেশের সাথে সীমানা ভাগ করে। উত্তরে কেনিয়া এবং উগান্ডা , পশ্চিমে রুয়ান্ডা , বুরুন্ডি এবং কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র এবং দক্ষিণে জাম্বিয়া , মালাউই এবং মোজাম্বিক । তানজানিয়ার পূর্ব সীমান্ত ভারত মহাসাগরের সাথে মিলিত হয়েছে।


প্রায় 76,150 বর্গ কিমি এলাকা নিয়ে তাবোরা তানজানিয়ার বৃহত্তম অঞ্চল। দার-এস-সালাম অঞ্চল যেটি তানজানিয়ার প্রাক্তন রাজধানী এটি জনসংখ্যার দিক থেকে দেশের বৃহত্তম অঞ্চল। ডোডোমা হলো দেশের বর্তমান রাজধানী।


তানজানিয়া বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত তাদের বন জঙ্গলের জন্য। যারা সাফারি পছন্দ করেন তাদের জন্য শীর্ষ গন্তব্যগুলির মধ্যে একটি। সাফারি অ্যাডভেঞ্চারে যাওয়ার একাধিক সুযোগ ছাড়াও দেশটিতে প্রাকৃতিক দৃশ্যের অনেক বৈচিত্র্য লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও এই দেশটিতে বেড়াতে গিয়ে বন্যপ্রাণী পর্যবেক্ষণ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তানজানিয়ায় সবচেয়ে বড় পার্ক রয়েছে যা প্রাণীদের জন্য আরামদায়ক জায়গা সরবরাহ করে। 


যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মনে করে যে মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো হলো তানজানিয়ার একমাত্র দেখার মতো গন্তব্য স্থান। তবে এই দেশটিতে দেখার মতো আরো অনেক কিছু রয়েছে। তানজানিয়ার দেশের একটি দীর্ঘ এবং সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে।


হ্যালো বন্ধুরা! আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা জানবো দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে অবস্থিত একটি দেশ তানজানিয়া সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য। আপনি যদি তানজানিয়া দেশ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনারই জন্য। আশা করি আপনার ভালো লাগবে।


তানজানিয়া দেশে বিশ্বের প্রাচীনতম জাতীয় উদ্যানগুলির মধ্যে একটি রয়েছে


তানজানিয়ার সেরেঙ্গেটি জাতীয় উদ্যানটি কমপক্ষে 1 মিলিয়ন বছর ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে। এটি একটি পার্ক এবং এর এলাকা যেমন আছে তেমন বজায় রাখার চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে তানজানিয়ানরা উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৈচিত্র্য রক্ষা করতে পেরেছে। সেখানে বিদ্যমান অনেক প্রাণী ও উদ্ভিদ পৃথিবীর অন্য কোনো জায়গায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। পার্কটির আরও একটি বিশেষত্ব হল এর ওল ডোইনিও লেংগাই। এটি একটি  সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। যেখান থেকে অস্বাভাবিক লাভা নির্গত হয় যা এই জমিকে আরো উর্বর করে। বিশ্বের অন্য কোনো আগ্নেয়গিরিতে এর মতো লাভা নির্গত হয় না।


বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠা জলের হ্রদ তানজানিয়ায় অবস্থিত


লেক টাঙ্গানিকা হল দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বাদু জলের হ্রদ। প্রথমটি হলো বৈকাল হ্রদ। এই হ্রদে বিশ্বের মিঠা জলের প্রায় 8 শতাংশ রয়েছে। এবং কমপক্ষে 500 প্রজাতির মাছ এই হ্রদে বসবাস করে। আপনি যদি এইভাবে হ্রদে ডুব দেন তাহলে কিন্তু মানুষ খুঁজে পাবেন না। কারণ মাছ গুলি প্রায় জলের 20 মিটার নিচে থাকে। 


তানজানিয়া দেশের জাতীয় উদ্যানগুলির মধ্যে একটি অদ্ভুত ধরণের সিংহ দেখা যায়


এই দেশের জাতীয় উদ্যান গুলোতে এমন কিছু অদ্ভুত সিংহ দেখা যায় সেগুলি গাছে উঠতে পারে। সিংহ গুলি কিভাবে গাছে উঠতে পারে যদিও বিজ্ঞানীরা এখনও সেই কারণ চিহ্নিত করতে পারেননি। কিন্তু কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন মাছি থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য তারা গাছে উঠে যায়। কারণ যাই হোক না কেন এই দৃশ্যগুলো দেখতে কিন্তু ভালই লাগে। 


বিশ্বের অন্যতম সুন্দর সমুদ্র সৈকত তানজানিয়ায় রয়েছে


আপনি যদি মনে করে থাকেন তানজানিয়া শুধু মাত্র একটি বন জঙ্গলের দেশ তাহলে আপনি ভুল। আপনার যদি বন জঙ্গল সাফারি ভালো না লাগে তাহলে আপনি সমুদ্রসৈকতে সময় কাটাতে পারেন। সেখানে জাঞ্জিবার দ্বীপটি নীল জলে ভাসছে এবং সাদা বালির সাথে দুর্দান্ত সৈকত রয়েছে। এই দ্বীপটি এত জনপ্রিয় না হওয়া সত্ত্বেও এই সমুদ্র সৈকত টি বিশ্বের সেরা সমুদ্র সৈকতের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।


তানজানিয়ায় আফ্রিকার সবচেয়ে উঁচু পর্বত অবস্থিত


মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো হল আফ্রিকার সবচেয়ে উঁচু পর্বত যা তানজানিয়ায় অবস্থিত। এর চূড়ার একটি শ্বাসরুদ্ধকর পর্বতারোহণ আপনার ভ্রমণ কে আরো মনোমুগ্ধকর করে তুলবে। এর উপরে উঠার সময় আলপাইন মরুভূমি এবং রেইনফরেস্ট সহ বিভিন্ন ধরণের মনোরম দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়।


তানজানিয়া দেশের খাবার অনেকটাই ভিন্ন ধরণের


আফ্রিকার এই দেশে অনেক ঐতিহ্যবাহী খাবার পাওয়া যায়। এই দেশের বেশিরভাগ খাবারই বিদেশি স্বাদযুক্ত খাবার। তানজানিয়ার জনগণ মশলাযুক্ত খাবার খেতে পছন্দ করেন। 


তো এই ছিল তানজানিয়া দেশ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।।


কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন