Knowledge is Power 😎

উত্তর কোরিয়া দেশের চমকপ্রদ তথ্য | North Korea Unknown Facts

কোন মন্তব্য নেই

 

উত্তর কোরিয়া দেশের চমকপ্রদ তথ্য

পূর্ব এশিয়ায় কোরিয়ান উপদ্বীপে অবস্থিত রিপাবলিক অফ উত্তর কোরিয়া হল একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির পর দেশটি দক্ষিণ কোরিয়ার একটি পৃথক সত্তা থেকে আলাদা হয়েছিল। এবং 1948 সালের 9 সেপ্টেম্বর এর অস্তিত্ব লাভ করেছিল।


স্বাধীনতার পর আজ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ায় একই পরিবারের তিনজন মানুষ শাসন করেছেন। কিম ইল-সাং ছিলেন দেশের প্রথম শীর্ষ নেতা । 1994 সালে তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি উত্তর কোরিয়া শাসন করেছেন। এরপর  তার পুত্র কিম জং-ইল 17 বছর শাসন করেছেন। এরপর উনি মারা যাওয়ার পর তার পুত্র বর্তমান শাসক কিম জং-উন এই পদে আসেন।


আজ উত্তর কোরিয়ায় প্রায় 25 মিলিয়নেরও বেশি নাগরিক বসবাস করেন এবং প্রতি বছর 4000 থেকে 6000 পর্যটক এই দেশটিতে বেড়াতে আসেন।


হ্যালো বন্ধুরা! আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা জানবো বিশ্বের সবচেয়ে গোপন দেশ উত্তর কোরিয়া  সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য। আপনি যদি উত্তর কোরিয়া দেশ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনারই জন্য। আশা করি আপনার ভালো লাগবে।



বর্তমান উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং-উন কে বলা হয় দেশটির লিডার। তাকে প্রেসিডেন্ট বলা হয় না।


উত্তর কোরিয়ার প্রথম নেতা কিম ইল-সাং এর মৃত্যুর চার বছর পর ডেমোক্র্যাটিক পিপলস রিপাবলিক কোরিয়ার চিরস্থায়ী নেতা নির্বাচিত করা হয়েছিল। তাই উত্তর কোরিয়ার বর্তমান নেতা কিম জোন-উনের রাষ্ট্রপতির কোনো টাইটেল নেই।  তবে তাকে ডিপিআরকে এর সর্বোচ্চ নেতা, সেনাবাহিনীর সুপ্রিম কমান্ডার এবং ওয়ার্কার্স পার্টির চেয়ারম্যান ইত্যাদি বলা হয়।


উত্তর কোরিয়ায় পুরুষ ও মহিলাদের মিলিটারি তে জয়েন হওয়া বাধ্যতামূলক।


উত্তর কোরিয়ায় সবচেয়ে বেশি বাধ্যতামূলক মিলিটারি সার্ভিস দেওয়া হয়।  17 বছরের বেশি বয়সের পুরুষদের মিলিটারি তে নিয়োগ করা হয় এবং তাদের 30 বছর পর্যন্ত মিলিটারি সার্ভিস দিতে হয়। অপরদিকে সেখানে সিলেক্টিভলি মহিলাদেরও  নিয়োগ করা হয় এবং তাদেরকে 23 বছর হওয়া পর্যন্ত মিলিটারি ট্রেনিং দেওয়া হয়।


উত্তর কোরিয়ার রয়েছে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম সামরিক বাহিনী


উত্তর কোরিয়া আয়তনে ছোট হওয়া সত্ত্বেও দেশটিতে প্রায় 1.2 মিলিয়ন সক্রিয় সামরিক বাহিনী রয়েছে, এছাড়া  6 মিলিয়ন রিজার্ভ সেনা হিসাবে কাজ করে।  দেশের জনসংখ্যার প্রায় 6 শতাংশ সক্রিয় সামরিক বাহিনী তে প্রতিনিধিত্ব করে।


উত্তর কোরিয়া জুচ ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে যা বিশ্বের অন্যান্য ক্যালেন্ডার থেকে পুরোপুরি আলাদা 


জুচ ক্যালেন্ডারের টাইমলাইন ডেমোক্র্যাটিক পিপলস রিপাবলিকের প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল-সাং এর জন্ম বছরের সাথে একত্রিত হয়েছে।  তাঁর জন্ম বছর 1912, সেখান থেকেই ক্যালেন্ডারের গণনা শুরু হয়।  জুচ ক্যালেন্ডারটি 9 সেপ্টেম্বর 1997 থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং 2021 সালে এই ক্যালেন্ডারের বর্তমান বছর জুচ 112।


উত্তর কোরিয়া জুচ ক্যালেন্ডারের পাশাপাশি জুচ আদর্শকেও অনুসরণ করে


জুচ, যার অর্থ "স্বনির্ভরতা"। এই কনসেপ্ট টি প্রথম কিম ইল-সাং নিয়ে আসেন। তিনি মনে করতেন "মানুষ তার নিজের ভাগ্যের মালিক" এই ধারণার উপর ভিত্তি করে তারা একটি স্বাধীন জাতি এবং শক্তিশালী সমাজতন্ত্র গড়ে তুলতে পারবে। 


এই দেশে কেবলমাত্র চারটি টেলিভিশন চ্যানেল রয়েছে যা সমস্ত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন 


উত্তর কোরিয়ায় লিমিটেড টেলিভিশন চেনেল রয়েছে। সেখানে চাইলেই যা খুশি দেখানো যায় না।  এবং যে চারটি চেনেল সেখানে রয়েছে সব গুলিই রাষ্ট্র প্রধানের নির্দেশে চলে। উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের জন্য বর্তমান চারটি চ্যানেল হ'ল কোরিয়ান সেন্ট্রাল টেলিভিশন, মনসুডে টেলিভিশন, য়ংনামসান টেলিভিশন এবং স্পোর্ট টেলিভিশন।


টেলিভিশন এর পাশাপাশি এই দেশে ইন্টারনেটেরও ব্যবহার সীমিত


উত্তর কোরিয়ায় গ্লোবাল ইন্টারনেট অ্যাক্সেস বেশিরভাগ উচ্চ-স্তরের কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষিত এবং উত্তর কোরিয়ার বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে অল্প সংখ্যক মনিটরিং কম্পিউটার পাওয়া যায়।  জনসাধারণ এর জন্য দেশটিতে জাতীয় ইনট্রানেট রয়েছে। যা কোয়াংমিওং নামে পরিচিত।


আপনি জেনে অবাক হবেন 2016 সালে, উত্তর কোরিয়া দুর্ঘটনাক্রমে তাদের ডিএনএস ডেটা ফাঁস করে দিয়েছিল,  যেখানে দেখা যায় তাদের কাছে কেবল 28 " টি .কেপি" ডোমেন রয়েছে।  যেখানে United Kingdom এর প্রায় 10 মিলিয়ন এর বেশি ".uk" ডোমেন রয়েছে। এবং রেড স্টার ওএস নামে  তাদের একটি নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে।


উত্তর কোরিয়ার গড় সাক্ষরতার হার 99 শতাংশ


ভাবলেও অবাক লাগে উত্তর কোরিয়ায় নিয়ম কানুন এত স্ট্রিক্ট হওয়া সত্ত্বেও দেশটি শিক্ষায় অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। সেখানে নাগরিকদের ফ্রী এডুকেশন প্রদান করা হয়। স্কুলে পড়া বাচ্চাদের 11 বছরের বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রদান করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে  pre-school (এক বছর), primary school (চার বছর) এবং secondary school (ছয় বছর)।


তো এই ছিল উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে কিছু আজনা তথ্য।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন