Knowledge is Power 😎

সুরাট শহর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য | সুরাট শহরের ইতিহাস

কোন মন্তব্য নেই


সুরাট শহর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য | সুরাট শহরের ইতিহাস

পশ্চিম ভারতের গুজরাট রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর হলো সুরাট। এটি তাপ্তি নদীর মুখের কাছে খাম্বাটের উপসাগরে অবস্থিত।

সুরাট শহরটি গোপী নামে এক ব্রাহ্মণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে মনে করা হয়। যিনি 1516 সালে গোপি জলাশয় তৈরি করেছিলেন এবং এলাকার নাম সুরজপুর বা সূর্যপুর রেখেছিলেন। এরপর সুরাত 1520 সালে এই শহরের নাম হয়ে যায়। 

12 শতকে এবং 15 শতকে মুসলমানরা এই শহরকে লুণ্ঠন করেছিল।  1514 সালে পর্তুগিজ ভ্রমণকারী সুরাট শহরকে একটি প্রধান বন্দর হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন।  এটি পর্তুগিজদের  দ্বারা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল এবং এরপর মুঘলরা এই শহরকে  জয় করে নেয়। 

17 শতকে মারাঠা রাজা শিবাজী মুঘলদের তাড়িয়ে নিজেদের সাম্রাজ্য গড়ে তুলে। এরপর সুরাট ভারতের সাম্রাজ্য হয়ে ওঠে।

কাপড় ও সোনা সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করা হতো সুরাট থেকে।  এর প্রধান শিল্প ছিল বস্ত্র উৎপাদন এবং জাহাজ নির্মাণ। 16 শতকে ব্রিটিশরা সুরাটে তাদের প্রথম ভারতীয় কারখানা স্থাপন করে।

18 শতকে শহরটির ক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে থাকে।  ব্রিটিশ এবং ডাচ উভয়ই এই শহর নিয়ন্ত্রণ করার দাবি করেছিল। কিন্তু 1800 সালে এই সুরাট শহরের প্রশাসন ব্রিটিশদের কাছে চলে যায়।

উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে সুরাট একটি অধিবাসীর শহরে পরিণত হয়েছিল। এরপর  ভারতের রেলপথের সাথে সংযোগ হওয়ার মাধ্যমে এই শহরটি আবার সমৃদ্ধ হয়।

সূক্ষ্ম মসলিন তৈরির প্রাচীন শিল্প তৈরি করার মাধ্যমে এবং সুরাতের তুলা, সিল্ক, ব্রোকেড এবং সোনা ও রূপার জিনিসগুলি তৈরির মাধ্যমে সুরাট শহর জনপ্রিয় হয়ে উঠে।  এই শহরে প্রচুর পরিমাণ শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।  

এটি হাইওয়ে এবং ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে দ্বারা ভারতের অন্যান্য শহরের সাথে সংযোগ স্থাপন করে। আশেপাশের এলাকা নিবিড়ভাবে চাষ করা হয়। সেখানকার প্রধান ফসলের মধ্যে রয়েছে তুলা, বাজর, ডাল এবং ধান ইত্যাদি।

তো এই ছিল ভারতের অন্যতম জনবহুল শহর সুরাট সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন