Knowledge is Power 😎

গ্যাংটক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য | Gangtok | Bengali Gossip 24

কোন মন্তব্য নেই

 

গ্যাংটক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য |  Gangtok


গ্যাংটক! উত্তর -পূর্ব ভারতের সিকিম রাজ্যের রাজধানী হলো গ্যাংটক। এটি প্রায় 1,700 মিটার উচ্চতায় রাজ্যের দক্ষিণ-পূর্ব-মধ্য অংশে তিস্তা নদীর একটি শাখায় অবস্থিত। 

গ্যাংটক এই শহরের নামের অর্থ হলো "পাহাড়ের চূড়া।"  গ্যাংটকে ভুট্টা ব্যাপক জনপ্রিয়। শহরের জনসংখ্যার মধ্যে রয়েছে নেপালি, তিব্বতী, লেপচাস এবং ভারতীয়রা। একবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে গ্যাংটককে ঘিরে থাকা বেশ কয়েকটি সম্প্রদায়কে প্রশাসনিকভাবে গ্যাংটক পৌর কর্পোরেশনের অধীনে একত্রিত করা হয়েছিল, যা শহর এবং এর জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছিল। 

গ্যাংটকে ভুট্টা, চাল, ডাল এবং কমলা ব্যাপক পরিমানে উৎপন্ন হয়। তাই গ্যাংটকে এই সমস্ত বাজারের মূল কেন্দ্র বলা হয়। 1962 সালে তিব্বত (চীন) সীমান্ত বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত উত্তর-পূর্বে প্রায় 20 কিলোমিটার নাথু লা পাস হয়ে ভারত-তিব্বত বাণিজ্য পথে গ্যাংটক একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ছিল। এই পাসটি অবশ্য 2006 সালে বাণিজ্যের জন্য পুনরায় খোলা হয়েছিল। 

গ্যাংটক শহরের মূল আকর্ষণ হলো সেখানকার প্রাক্তন রাজপ্রাসাদ, দুটি মঠ, লাল বাজার, নামগিয়াল ইনস্টিটিউট অফ তিব্বতোলজি বর্তমানে এটি একটি মিউজিয়াম।। সেখানে রয়েছে একটি লাইব্রেরি, বৌদ্ধধর্মের গবেষণার কেন্দ্র ইত্যাদি। রুমটেকের বিখ্যাত বৌদ্ধ বিহারটি দক্ষিণ -পশ্চিমে অবস্থিত এবং রাজকীয় শ্মশান নিকটবর্তী লুকশিয়ামায় অবস্থিত। 1940 এর দশকে তিব্বতীয় বৌদ্ধদের দ্বারা নির্মিত দো-ড্রল চোর্টেন, একটি স্বর্ণের স্তুপ। এছাড়াও সেখানে সিকিম বিশ্ববিদ্যালয় 2007 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

গ্যাংটকে এলাচের জন্য সরকারী রক্ষণাবেক্ষণ রয়েছে। কারণ এটি রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি এবং উপনিবেশিক ফল। দক্ষিণে তাডং-এ একটি পরীক্ষামূলক কৃষি কেন্দ্র রয়েছে। এই শহরের দেওরালি অর্কিড অভয়ারণ্যে প্রায় 200 প্রজাতির অর্কিড দেখতে পাওয়া যায়। গ্যাংটকের কাছাকাছি সুরক্ষিত প্রাকৃতিক অঞ্চলগুলির মধ্যে রয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা জাতীয় উদ্যান যা বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার আশেপাশেই অবস্থিত।

তো এই ছিল গ্যাংটক সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন