Knowledge is Power 😎

মালদ্বীপের ইতিহাস | Bengali Gossip 24

1 টি মন্তব্য

মালদ্বীপ সম্পর্কে বিস্তারিত অজানা তথ্য 

মালদ্বীপ সম্পর্কে বিস্তারিত অজানা তথ্য | Bengali Gossip 24

(Unknown Things about Maldives)

আপনি কি জানেন বিশ্বের সর্বপ্রথম জলের নিচে মন্ত্রিসভার বৈঠক করে কোন দেশ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে যে দেশটির নাম উঠে আসে সেটি হল মালদ্বীপ। জলবায়ু হুমকির মুখে মালদ্বীপ যে বিশেষ অবস্থানে রয়েছে সেটা বোঝাতে দেশটির সরকার এই আয়োজন করেছে। পৃথিবীর সবচেয়ে নিচু ভূমির দেশ হচ্ছে মালদ্বীপ। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা মাত্র এক থেকে দেড় মিটারের মতো। অনেকের মতে মালদ্বীপ শব্দটি সংস্কৃত শব্দ মালাদীপা থেকে এসেছে। বাংলায় যার অর্থ হচ্ছে দ্বীপপুঞ্জের মালা। কথাটা কিন্তু সত্যি। দক্ষিণ এশিয়ার এই ছোট দেশ টি আয়তনে মাত্র 300 বর্গ কিলোমিটার। এবং প্রায় 1190 টি ছোট ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত। বেশিরভাগ দ্বীপ গুলি আবার অনেকটা গলার মালার মতো।

1887 থেকে 1956 পর্যন্ত ব্রিটিশদের উপনিবেশ হিসেবে থাকার পর 1965 সালে মালদ্বীপ স্বাধীন হয়। এছাড়া সতেরো শতকে ডাচ রা এবং এর আগে পর্তুগিজরা মালদ্বীপ শাসন করে গেছে। তবে ঔপনিবেশিক আমলের আগে মালদ্বীপের কথা বলতে গেলে আমাদের ফিরে যেতে হবে খ্রিস্টপূর্ব 269 এ। ধারণা করা হয় ভারত থেকে একদল মানুষ এসে প্রথম মালদ্বীপে বসতি স্থাপন করে। প্রথাগতভাবে এরা ছিল সূর্যের উপাসক। ইতিহাসবিদদের মতে মালদ্বীপ প্রথম শাসন করেছেন রাজা কলিঙ্গ। এছাড়া আরেক সূর্য উপাসক রাজা আদিত্যের কোথাও জানা যায় তাঁর হাত ধরেই আদিত্য শাসনামলের সূচনা হয়েছিল। অনেকেই হয়তো জানেন না একশন মুদ্রার প্রধান উৎস ছিল এই মালদ্বীপ। যখন টাকা পয়সার প্রচলন ছিল না তখন এই মুদ্রায় ছিলো একমাত্র বিনিময় মাধ্যম। মুসলিম প্রধান মালদ্বীপে মূল ধর্ম হলো ইসলাম। ইসলামের সাথে মালদ্বীপের প্রথম পরিচয় ঘটে 1153 সালে। এর আগে খ্রিস্টপূর্ব 2000 অব্দ সূর্যের উপাসক রা মালদ্বীপে বসতি স্থাপন করেছিল। তাদের কিছু মন্দির ছিল যেগুলো সূর্যের দিকে মুখ করে তৈরি করা। পুরনো এই মন্দির গুলোর উপরেই দেশটির কিছু মসজিদ তৈরি করা হয়েছে।

মালদ্বীপের অর্থনীতি মূলত পর্যটন কেন্দ্রিক। দেশের বেশির ভাগ জিডিপির উৎস হচ্ছে পর্যটন শিল্প। এছাড়া মাছ ধরা এবং মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ এই সকল মাঝারি শিল্প মালদ্বীপের অর্থনীতির অন্যতম দিক। পর্যটন কেন্দ্রিক দেশ হলেও মালদ্বীপে অ্যালকোহল বা অ্যালকোহল জাতীয় দ্রব্য পুরোপুরি ভাবে নিষিদ্ধ। কিছু কিছু বার বা রিসোর্টে সেগুলো থাকলেও সেগুলো নজরদারির মধ্যেই থাকে। 


এছাড়াও পৃথিবীর মধ্যে নিরাপদ দেশ গুলির একটি হলো মালদ্বীপ  এই দেশে অপরাধ খুবই কম হয়। বড়ো কোন ধরনের চুরি-ডাকাতি এসব নেই বললেই চলে। মালদ্বীপে সূর্যের তাপ খুবই বেশি হয়ে থাকে। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এখানে সূর্যের আলো লম্বা ভাবে পড়ে। যার ফলে মালদ্বীপ ভ্রমণের জন্য ছাতা ব্যবহার আবশ্যিক। 

এছাড়া ভ্রমণের জন্য মালদ্বীপে যেসব জায়গা খুবই জনপ্রিয় সেগুলির মধ্যে রয়েছে রাজধানী মালে সিটি, মেরু আইসল্যান্ড, কুড়া মাঠি, মাফুসি আইসল্যান্ড ইত্যাদি।

তো এই ছিল মালদ্বীপ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।

1 টি মন্তব্য :